Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাহাদাতের ফযীলতের ব্যাপারে একটি সংশয়ের উত্তর (একটি হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাহাদাতের ফযীলতের ব্যাপারে একটি সংশয়ের উত্তর (একটি হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা)

    শাহাদাতের ফযীলতের ব্যাপারে একটি সংশয়ের উত্তর (একটি হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা)

    (একভাই নিম্মোক্ত হাদিসটির ব্যাখ্যা এবং হাদিসের উপর যে ইশকাল হয় তার উত্তর জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আমি এর উত্তর নতুন থ্রেডে দিচ্ছি।)

    عَنْ عُبَيْدِ بْنِ خَالِدٍ السُّلَمِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، فَقُتِلَ أَحَدُهُموَمَاتَ الْآخَرُ بَعْدَهُ، فَصَلَّيْنَا عَلَيْهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا قُلْتُمْ؟» قَالُوا: دَعَوْنَا لَهُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، اللَّهُمَّ أَلْحِقْهُ بِصَاحِبِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَأَيْنَ صَلَاتُهُ بَعْدَ صَلَاتِهِ؟ وَأَيْنَ عَمَلُهُ بَعْدَ عَمَلِهِ؟ فَلَمَا بَيْنَهُمَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ». رواه النسائي (1985) وأبو داود (2523) وأحمد (17921) وابن أبي شيبة (35566) وقال الإمام ابن الملقن في البدر المنير (9/ 232) : هذا الحديث صحيح. وقال الشيخ عوامة في تعليقه على مصنف ابن أبي شيبة (19/127) : هو حديث صحيح. وقال الشيخ شعيب: إسناده صحيح.

    অর্থ: উবাইদ বিন খালিদ আসসুলামী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই ব্যক্তির মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করে দিলেন। তাদের একজন (যুদ্ধে) নিহত হন এবং অন্যজন তার পরে কোন এক জুম’আর দিন কিংবা তার কাছাকাছি কোন দিনে মারা যান। আমরা তার জানাযা আদায় করলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা (দ্বিতীয় ব্যক্তির জন্য) কি দু’আ করেছো? আমরা বললাম, আমরা তার জন্য দু’আ করেছি এবং বলেছি, “হে আল্লাহ্! তাঁকে ক্ষমা করুন এবং তাঁকে তার সঙ্গীর সাথে মিলিত করুন”। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে প্রথম ব্যক্তির সালাতের পর দ্বিতীয় ব্যক্তির সালাত, প্রথম ব্যক্তির সওমের পর দ্বিতীয় ব্যক্তির সওম ও অন্যান্য আমল কোথায় যাবে? এ দুই ব্যক্তির (মর্যাদার) মধ্যে আসমান-যমীনের ব্যবধান।’ –সুনানে নাসায়ী: ১৯৮৫; সুনানে আবু দাউদ: ২৫২৩; মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২১; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা: ৩৫৫৬৬

    হাদিসের মান:- ইমাম ইবনুল মুলাক্কিন, শায়েখ আওয়ামা, শায়েখ শুয়াইব রহ. হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। (দেখুন, আলবদরুল মুনির: ৯/২৩২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, তাহকীক: শায়েখ আওয়ামা: ১৯/১২৭; সুনানে আবু দাউদ, তাহকীক: শায়েখ শুয়াইব: ৪/১৭৯)

    ইশকালঃ- এখান থেকে বুঝে আসে শহীদি মৃত্যুর চেয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর ফজিলত বেশী।অনেকে এটার মাধ্যমে দলিলও পেশ করে।

    উত্তর: হাদিস থেকে যে ইশকাল সৃষ্টি হয় এটা বুঝার পূর্বে আমরা শরিয়তের একটি মূলনীতি বুঝে নিলে ভালো হবে। মূলনীতিটি হলো:-

    কুরআন-সুন্নাহর কোন বক্তব্য বাহ্যিকভাবে অপর বক্তব্যের বিরোধী হয়ে গেলে যেটা ‘মুহকাম’ বা দ্ব্যর্থহীন সেটা অনুযায়ী আমল করা হবে, আর যে বক্তব্য ‘মুতাশাবিহ’ বা দ্ব্যর্থবোধক সেটাকে মুহকামের সাথে মিলিয়ে এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হবে যেন দুই বক্তব্যের মাঝে কোন বিরোধ না থাকে, পরিভাষায় একে رَدُّ المُتَشابِه إلى المُحْكَم (মুতাশাবিহকে মুহকামের দিকে ফিরানো, মুহকাম অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা) বলা হয়। -(এ মূলনীতির জন্য দেখুন, সুরা আলে ইমরান, আয়াত, ৭; আহকামুল কুরআন, ইমাম জাসসাস, 2/282 দারু ইহইয়াউত তুরাস 1405 হি.; তাফসীরে ইবনে কাসীর, ২/৩৬৫ দারু তাইয়েবাহ, 1419 হি.; বাদায়েউস সানায়ে’ ১/২১ দারুল কুতুব, ১৪০৬ হি.; বাহরুল রায়েক, ১/২৫৯ দারুল কিতাবিল ইসলামী; ই’লামুল মুওয়াক্কিয়ীন, ৪/৫৮ দারু ইবনুল জাওযী, ১৪২৩ হি.; ফাতহুল বারী, ইবনে রজব, 7/240 মাকতাবাতুল গুরাবা আলআছারিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.)

    এবার উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে আমরা হাদিসটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। তো আমরা জানি ইসলামে শাহাদাতের মর্যাদা অনেক অনেক বেশি। কুরআন-সুন্নাহয় শাহাদাতের ফযীলতের ব্যাপারে অসংখ্য আয়াত-হাদিস এসেছে। এমনকি আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হওয়া স্বত্বেও শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছেন। সুতরাং শহিদি মৃত্যুর ফযীলত যে স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে বেশি- এটা শরীয়তের একটি মুহকাম বিধান যাতে কোন ধরণের তাওয়ীল বা ব্যাখ্যার সুযোগ নেই। পক্ষান্তরে আমাদের আলোচ্য হাদিসটি মুতাশাবিহ বা দ্ব্যর্থবোধক। একে তো এ ব্যাপারে হাদিস শুধু একটিই, অধিকন্তু হাদিসটি স্বাভাবিক মৃত্যু শহিদি মৃত্যুর চেয়ে উত্তম- এ ব্যাপারে অকাট্য প্রমাণ নয়, এতে ব্যাখ্যার সুযোগ রয়েছে। তাই উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে হাদিসটির ব্যাখ্যা এমনভাবে করতে হবে যেন তা শরীয়তের মুহকাম বিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়। তো হাদিসটির ব্যাখ্যা কি? আল্লামা খলিল আহমদ সাহারানপুরী রহ. হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন,

    وقد يستشكل فضيلة درجة الآخر بالصلاة والصوم والأعمال غير الصلاة والصوم على القتل في سبيل الله.قلت: لا إشكال فيه، فإن بعضهم يبلغ درجة بالصلاة والصوم لا يبلغها الشهداء، ألا ترى أن أبا بكر الصديق - رضي الله عنه - بلغ درجة من الفضل لم يبلغها الشهداء وغيرهم بكمال إخلاصه وصدقه مع الله - تعالى -، فلعل هذا الرجل الآخر بلغ درجة بإخلاصه وصدقه في أعماله لم يبلغها الأول مع شهادته في سبيل الله. (بذل المجهود في حل سنن أبي داود 9/ 86(


    ‘হাদিসের উপর আপত্তি উত্থাপিত হয়, কারণ হাদিস থেকে বুঝে আসে, দ্বিতীয় ব্যক্তি নামায রোযা দ্বারা শাহাদাতের শাহাদাতের চেয়েও বেশি ফযিলত অর্জন করেছেন। আমি বলবো, হাদিসে কোন আপত্তি নেই। কেননা, কেউ কেউ নামায-রোযার দ্বারা সেই স্তরে পৌঁছে যায় যে স্তরে শহিদরাও পৌছতে পারেন না। যেমন আবু বকর রাযি. নিজের ইখলাস ও আল্লাহর সাথে সততা দ্বারা (শহিদ না হয়েও) সে স্তরে পৌঁছেছেন যে স্তরে শহিদরাও পৌঁছতে পারেনি। তো হতে পারে এই দ্বিতীয় ব্যক্তি তার নামায-রোযায় ইখলাস ও সিদকের দ্বারা সেই স্তরে পৌঁছেছেন যে স্তরে প্রথম ব্যক্তি শহিদ হয়েও পৌঁছতে পারেননি।’ –বাযলুল মাজহুদ: ৯/৮৬

    তো যারা এ হাদিস দিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুকে শহিদি মৃত্যুর চেয়ে উত্তম বলে দলিল পেশ করেন তারা কি বলতে পারবেন, আমাদের নামায-রোযায় সিদক ও ইখলাস এত উচ্চ স্তরের যার দ্বারা আমরা সেই সাহাবীর মতো শাহাদাতের চেয়েও বেশি মর্যাদা লাভ করতে পারবো?! অথচ আমাদের নামাযের কি দুরবস্থা তা তো আমরা সকলেই জানি। লাখো মুসল্লির মাঝে কতজন খুশু-খুযুর সাথে নামায পড়েন?

    তাছাড়া এই যে দ্বিতীয় সাহাবী যিনি পরে মারা গেলেন তিনি কি আমাদের মতই জিহাদ ও শাহাদাতের প্রতি অনাগ্রহী ছিলেন? না কি তিনি শাহাদাতের সন্ধানে জিহাদের ময়দানে ছুটে বেড়িয়েছেন? তাই হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী তিনি তো শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করতে পারেন। কিন্তু আমরা জিহাদের জন্য কোন ধরণের প্রস্তুতি না নিয়ে ঘরে বসে থেকে বরং জিহাদ ও শাহাদাতের প্রতি মানুষকে অনুৎসাহিত করে কিভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু দ্বারা তার মতো শহীদের চেয়েও উত্তম মর্যাদার আকাঙ্ক্ষা করতে পারি? আলোচ্য হাদিসের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী কারী রহ. বলেন,

    وذلك لأنه أيضا كان مرابطا في سبيل الله، فله المشاركة في الشهادة حكما وطريقة، وله الزيادة في الطاعة والعبادة شريعة وحقيقة، وإلا فمن المعلوم أن لا عمل أزيد ثوابا على الشهادة جهادا في سبيل الله، وإظهارا لدينه، لا سيما في مبادئ الدعوة مع قلة أعوانه من أهل الملة. مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح (8/3307)

    ‘(দ্বিতীয় ব্যক্তি মর্যাদায় শহিদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হওয়ার কারণ হলো) সেও আল্লাহর পথে মুরাবিত ছিল। তাই সেও হুকমী শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেছে। পাশাপাশি সে ইবাদত ও আনুগত্যও বেশি করেছে। নতুবা এটা তো সর্বজনবিদিত যে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য জিহাদে শহিদ হওয়ার তুলনায় কোনো আমলের সওয়াব বেশি হতে পারে না। বিশেষকরে দাওয়াতের সূচনালগ্নে যখন দ্বীনের সাহায্যকারী কম থাকে।’ –মেরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৩৩০৭

    সারকথা হলো, হাদিসটি যেহেতু বাহ্যিকভাবে ইসলামের সর্বস্বীকৃত মুহকাম বিষয়ের বিপরীত, তাই ইলমের মূলনীতি অনুযায়ী হাদিসটির ব্যাখ্যা করতে হবে। ব্যাখ্যা একাধিক হতেই পারে, যার নিকট যে ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য মনে হয় তিনি তা গ্রহণ করবেন। কিন্তু কুরআন-সুন্নাহর অসংখ্য নুসুস দ্বারা প্রমাণিত শরিয়তের সর্বস্বীকৃত একটি বিষয়কে এ ধরণের একটি মাত্র দ্ব্যর্থবোধক হাদিস দিয়ে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করা অন্তরের বক্রতারই প্রমাণ বহন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ

    ‘(হে রাসূল!) তিনিই আল্লাহ, যিনি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, যার কিছু আয়াত মুহকাম, যার উপর কিতাবের মূল ভিত্তি এবং অপর কিছু আয়াত মুতাশাবিহ। যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা সেই মুতাশাবিহ আয়াতের পেছনে পড়ে থাকে, উদ্দেশ্যে ফিতনা সৃষ্টি করা এবং সেসব আয়াতের তাবীল খোঁজা। -সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৭

    হায়! এধরণের মুতাশাবিহ ও দ্ব্যর্থবোধক হাদিস পেশ করে উম্মাহকে জিহাদ বিমুখ করা কি কোন আলেমের শান হতে পারে? অথচ আলেমগণ তো সেই নবীর ওয়ারিশ যাকে আদেশ করা হয়েছে মুমিনদের জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার। পক্ষান্তরে জিহাদ থেকে বিমুখ করা, জিহাদে অনুৎসাহিত করা তো মুনাফিকদের অভ্যাস। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الْمُعَوِّقِينَ مِنْكُمْ وَالْقَائِلِينَ لِإِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا وَلَا يَأْتُونَ الْبَأْسَ إِلَّا قَلِيلًا (18) أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ

    ‘আল্লাহ তাদেরকে ভালো করেই জানেন, তোমাদের মধ্যে যারা (জিহাদে) বাধা সৃষ্টি করে এবং নিজ ভাইদেরকে বলে, আমাদের কাছে চলে এসো। আর তারা নিজেরা তো যুদ্ধে আসেই না; আসলেও তা অতি সামান্য।(এবং তাও তোমাদের গনিমতের) প্রতি লালায়িত হয়ে।’ -সূরা আহযাব: ১৮-১৯

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিকভাবে কুরআন-সুন্নাহ বুঝার ও মানার তাওফিক দান করুন।
    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    মাশা আল্লাহ, খুব সুন্দরভাবে তথ্যভিত্তিক ইলমী আলোচনা করেছেন।
    আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন ও সব ধরনের সংশয় থেকে হিফাযত করুন। আমীন
    বারাকাল্লাহু ফিক...
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মাশা-আল্লাহ্ অনেক সুন্দর আলোচনা,
      আল্লাহ্ সম্মানীত ভাইকে উত্তম বিনীময় দান করুন,
      আমাদের সকল ভাইকে জান্নাতে একত্রিত করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        মাশা আল্লাহ, খুব সুন্দরভাবে তথ্যভিত্তিক ইলমী আলোচনা করেছেন।
        আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমীন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          আমি বুঝিনা একজন বিজ্ঞ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) কিভাবে জেনে বুঝে শরীয়তের এত বড় একটি ফজিলত পুর্ন(ফজিলতপূর্ণ) আমলের অপব্যক্ষ(অপব্যাখ্যা) করে!!!
          হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে সহীদের(শহীদের) মতো ফজিলত পুর্ন(ফজিলতপূর্ণ) আমলটি আদায় করার তৌফিক দান করুন আমীন
          সাথে সাথে যারা তোমার শরীয়তের অপব্যক্ষা(অপব্যাখ্যা) করে তাদেরকে তুমি হেদায়েত দান কর আমীন ইয়া রাব্বা আলামিন
          মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
          লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন আমীন।
            বাস্তব কথা হচ্ছে জিহাদ বিরোধীরাই এ-ই হাদিস দিয়ে ওয়াজ/ বয়ান করে। কতই ন্যাক্কারজনক কথা, জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে বসে এ-ই হাদিসের আমল করার কথা বলা।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
            سورة توبة ٤٦

            Comment


            • #7
              Originally posted by Sohail View Post
              আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন আমীন।
              বাস্তব কথা হচ্ছে জিহাদ বিরোধীরাই এ-ই হাদিস দিয়ে ওয়াজ/ বয়ান করে। কতই ন্যাক্কারজনক কথা, জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে বসে এ-ই হাদিসের আমল করার কথা বলা।
              হে আল্লাহ আমাদেরকে হাদিসের সঠিক বুঝ দান করেন।
              فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

              Comment


              • #8
                উত্তম ব্যাখ্যা। হেদায়াতের জন্য এটাই যথেষ্ট।

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন, আমীন।
                  খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ আমরা যেনো আপনার প্রতিটি হুকুমকে গুরুত্ব দিয়ে আদায় করতে পারি সেই তাওফিক দান করুন আমীন।
                  আজকাল, আমাদের সমকালীন বড় যেভাবে জিহাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে আমার ভয় হয় তাদের নিয়ে, আল্লাহ আপনি আমাদের বড়দের জাগিয়ে তুলুন। আজকাল অবস্থা এমন যে, জিহাদের কথা বললে মুহতামিম সাহেব ঐ ছাত্র শিক্ষককে বহিষ্কার করে দিচ্ছেন। আমি জীবনে এমনটি দেখেছি স্ব চোক্ষে।
                  ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                  Comment


                  • #10
                    মুহতারাম ভাই!
                    আবু দাউদ শরীফে আমি যে উস্তাদের কাছে এই হাদীসটি পড়েছি,তিনি বলেছেন
                    এখানে দ্বিতীয় সাহাবীর যে ফযীলতের কথা বলা হয়েছে, এটা শাহাদাৎ ছাড়া অন্য আমলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, শাহাদাতের ফযিলত তুলনার বাইরে।বাকী অন্যান্য আমলের দিক দিয়ে দ্বিতীয় সাহাবীর সওয়াব বেশি হবে।এখানে শাহাদাত ছাড়া দুই সাহাবীর অন্য আমলগুলোর তুলনা করা হয়েছে।

                    Comment


                    • #11
                      আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহ আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংশয় নিরসন করেছেন।
                      দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

                      Comment


                      • #12
                        আলহামদুলিল্লাহ, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। জাযাকাল্লাহ
                        হে আল্লাহ! আমাদের সামনে হককে স্পষ্ট করে দিন। আমীন
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by alihasan View Post
                          মুহতারাম ভাই!
                          আবু দাউদ শরীফে আমি যে উস্তাদের কাছে এই হাদীসটি পড়েছি,তিনি বলেছেন
                          এখানে দ্বিতীয় সাহাবীর যে ফযীলতের কথা বলা হয়েছে, এটা শাহাদাৎ ছাড়া অন্য আমলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, শাহাদাতের ফযিলত তুলনার বাইরে।বাকী অন্যান্য আমলের দিক দিয়ে দ্বিতীয় সাহাবীর সওয়াব বেশি হবে।এখানে শাহাদাত ছাড়া দুই সাহাবীর অন্য আমলগুলোর তুলনা করা হয়েছে।
                          উত্তম ব্যাখ্যা। কারণ, রসূল সা. দ্বিতীয় ব্যক্তির আমল কে প্রথম ব্যক্তির একই ধরনের আমলের সাথে মিলিয়েছেন। আর আমি বলব, ১) ২য় ব্যক্তি হয়ত সিদ্দীকীনের স্তরে পৌঁছেছিলেন যা ১ম ব্যক্তির হয়নি। ২) শহীদের রূহ তো জান্নাতে সবুজ রঙের পাখির মাঝে থেকে বিচরণ করে। আর অন্যদের রূহ আলমে বারযাখে নির্ধারিত স্থানে থেকে আখেরাতে তাদের নতুন দেহ নিয়ে জান্নাতে যাবে। শহীদও হাশরের মাঠে উপস্থিত হয়ে নতুন দেহ নিয়ে যাবে। এসময় যদি শহীদ অন্য আমলের বিবেচনায় পরে জান্নাতে প্রবেশ করে যেমন এক হাদীসে এসেছে। শহীদের রূহ তো আগেই জান্নাত থেকে ঘুরে এসেছে। এখন পরে প্রবেশ করায় ক্ষতি নেই।

                          Comment


                          • #14
                            হাদীসটি সম্পর্কে

                            এই হাদীসে কোন ভাবে বুঝান হয়নি স্বাভাবিক মৃত্যু শহীদী মৃত্যু থেকে উত্তম বরং বুঝানো হয়েছে ২য় ব্যক্তি বেশি দিন হায়াত পাওয়ার কারনে বেশী ইবাদত করতে পারল ফলে সে অধিক সম্মানিত হল এবং প্রত্যেকের হায়াত আল্লাহর পখ্য থেকে নির্ধারিত তাই প্রত্যেক ব্যাক্তি নির্ধারিত সময়ে মারা যাবে চাই জিহাদ করুক বা না করুক তাই জিহাদ রত অবস্থায় মৃত্যু উত্তম দলীল হলاينما تكونوا يدرك كم الموت ولوكنتم في بروج مشيدة
                            আরেকটি দলিল হল
                            قل فادرءو عن أنفسكم الموت ان كنتم صادقين আরেকটি দলীল হল وما كان لنفس ان تموت الا باذن الله كتابا مؤجلا

                            Comment


                            • #15
                              আলহামদুলিল্লাহ। জাঝাকাল্লাহু খাইরান। অন্তর প্রশান্ত হলো।

                              বিশেষভাবে শুকরিয়া, বর্তমান সময়ের সৌদি রাজাদের সমর্থনকারী কোন আলেমের ক্বওল না আনার কারণে যা নেট এ সহজলভ্য দেখে অনেক আলেমই তাদের রেফারেন্স / ক্বওল নিয়ে আসেন হয়তো।

                              এভাবে তাগুতদের সমর্থনকারী আলেমদের বক্তব্য সকলে গণহারে উদ্ধৃত করায় দিনে দিনে সাধারণ মুসলিমদের মনে তাদের ব্যাপারে সু-ধারনা তৈরী হয়ে যাচ্ছে। অথচ তাগুতদের দরবারে যাতায়াতকারীদের ব্যাপারে সালাফদের অবস্থান ছিল খুবই কড়া।

                              আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকল উলামাকে এই বিষয়টি জেহেনে রাখার তৌফিক দান করুন। আমীন।

                              Comment

                              Working...
                              X