Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিপদে ধৈর্যধারনঃ আল্লাহ যার কল্যান চান দুনিয়ায় তাকে বিপদে নিক্ষেপ করেন | জিহাদের এই কন্টকাকীর্ণ পথে ধৈর্যধারনই একমাত্র করনীয় ;

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিপদে ধৈর্যধারনঃ আল্লাহ যার কল্যান চান দুনিয়ায় তাকে বিপদে নিক্ষেপ করেন | জিহাদের এই কন্টকাকীর্ণ পথে ধৈর্যধারনই একমাত্র করনীয় ;

    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ یُّقۡتَلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ اَمۡوَاتٌ ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ وَّ لٰکِنۡ لَّا تَشۡعُرُوۡنَ وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ الَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَصَابَتۡهُمۡ مُّصِیۡبَۃٌ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَیۡهِ رٰجِعُوۡنَاُولٰٓئِکَ عَلَیۡهِمۡ صَلَوٰتٌ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ وَ رَحۡمَۃٌ ۟ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُهۡتَدُوۡنَ
    হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।আর আল্লাহর পথে নিহতদেরকে মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা বুঝ না, আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।যারা, তাদেরকে যখন বিপদ আক্রান্ত করে তখন বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। এদের উপর তাদের রবের পক্ষ হতে শান্তি ও করুনা বর্ষিত হবে এবং এরাই সুপথগামী। (সূরা বাকারাঃ ১৫৩-১৫৭)
    اَحَسِبَ النَّاسُ اَنۡ یُّتۡرَکُوۡۤا اَنۡ یَّقُوۡلُوۡۤا اٰمَنَّا وَ هُمۡ لَا یُفۡتَنُوۡنَوَ لَقَدۡ فَتَنَّا الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ فَلَیَعۡلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ صَدَقُوۡا وَ لَیَعۡلَمَنَّ الۡکٰذِبِیۡنَ
    মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী।(সূরা আনকাবুতঃ ২-৩)
    اَمۡ حَسِبۡتُمۡ اَنۡ تُتۡرَکُوۡا وَ لَمَّا یَعۡلَمِ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ جٰهَدُوۡا مِنۡکُمۡ وَ لَمۡ یَتَّخِذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَ لَا رَسُوۡلِهٖ وَ لَا الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَلِیۡجَۃً ؕ وَ اللّٰهُ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ
    তোমরা কি মনে করেছ যে, তোমাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে? অথচ এখনও আল্লাহ যাচাই করেননি যে, তোমাদের মধ্যে কারা জিহাদ করেছে এবং কারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ ছাড়া কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেনি। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।(সূরা তওবাঃ ১৬)

    আল্লাহ যার কল্যান চান দুনিয়ায় তাকে বিপদে নিক্ষেপ করেন

    حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ " عِظَمُ الْجَزَاءِ مَعَ عِظَمِ الْبَلاَءِ وَإِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ قَوْمًا ابْتَلاَهُمْ فَمَنْ رَضِيَ فَلَهُ الرِّضَا وَمَنْ سَخِطَ فَلَهُ السُّخْطُ "
    . আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিপদ যত তীব্র হবে, প্রতিদানও তদনুরূপ বিরাট হবে নিশ্চয় আল্লাহ কোন জাতিকে ভালোবাসলে তাদের পরীক্ষা করেন যে কেউ তাতে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্য রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর যে কেউ তাতে অসন্তুষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে অসন্তুষ্টি
    ইবনে মাজাহ: ৪০৩১
    حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الْخَيْرَ عَجَّلَ لَهُ الْعُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الشَّرَّ أَمْسَكَ عَنْهُ بِذَنْبِهِ حَتَّى يُوَفَّى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
    وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ عِظَمَ الْجَزَاءِ مَعَ عِظَمِ الْبَلاَءِ وَإِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ قَوْمًا ابْتَلاَهُمْ فَمَنْ رَضِيَ فَلَهُ الرِّضَا وَمَنْ سَخِطَ فَلَهُ السَّخَطُ "

    . আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা যখন তার কোন বান্দার কল্যাণ সাধন করতে চান তখন তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে তাকে বিপদে নিক্ষেপ করেন আর যখন তিনি তার কোন বান্দার অকল্যাণ সাধন করতে চান তখন তাকে তার অপরাধের শাস্তি প্রদান হতে বিরত থাকেন তারপর কিয়ামতের দিন তিনি তাকে পুরাপুরি শাস্তি দেন
    তিরমিযি: ২৩৯৬
    এ সনদেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ বিপদ যত মারাত্মক হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তা’আলা যখন কোন জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে (বিপদে) সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য (আল্লাহ্ তা’আলার) সন্তুষ্টি বিদ্যমান। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য (আল্লাহ্ তা’আলার) অসন্তুষ্টি বিদ্যমান।
    ইবনু মা-জাহ (৪০৩১)



    বিপদ দ্বীনদারিতার অনুপাতে আসে

    حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلاَءً قَالَ " الأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الأَمْثَلُ فَالأَمْثَلُ فَيُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ دِينُهُ صُلْبًا اشْتَدَّ بَلاَؤُهُ وَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ رِقَّةٌ ابْتُلِيَ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَمَا يَبْرَحُ الْبَلاَءُ بِالْعَبْدِ حَتَّى يَتْرُكَهُ يَمْشِي عَلَى الأَرْضِ مَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأُخْتِ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ ‏أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلَاءً قَالَ الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ.
    . মুসআব ইবনু সা'দ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (সাদ) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মানুষের মাঝে কার বিপদের পরীক্ষা সবচেয়ে কঠিন হয়? তিনি বললেনঃ নবীদের বিপদের পরীক্ষা, তারপর যারা নেককার তাদের, এরপর যারা নেককার তাদের বিপদের পরীক্ষা মানুষকে তার ধর্মানুরাগের অনুপাত অনুসারে পরীক্ষা করা হয় তুলনামূলকভাবে যে লোক বেশি ধাৰ্মিক তার পরীক্ষাও সে অনুপাতে কঠিন হয়ে থাকে আর যদি কেউ তার দ্বীনের ক্ষেত্রে শিথিল হয়ে থাকে তাহলে তাকে সে মোতাবিক পরীক্ষা করা হয় অতএব, বান্দার উপর বিপদাপদ লেগেই থাকে, অবশেষে তা তাকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেয় যে, সে যমীনে চলাফেরা করে অথচ তার কোন গুনাহই থাকে না
    তিরমিযি: ২৩৯৮
    حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ يُوعَكُ فَوَضَعْتُ يَدِي عَلَيْهِ فَوَجَدْتُ حَرَّهُ بَيْنَ يَدَىَّ فَوْقَ اللِّحَافِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَشَدَّهَا عَلَيْكَ قَالَ " إِنَّا كَذَلِكَ يُضَعَّفُ لَنَا الْبَلاَءُ وَيُضَعَّفُ لَنَا الأَجْرُ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلاَءً قَالَ " الأَنْبِيَاءُ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ثُمَّ مَنْ قَالَ " ثُمَّ الصَّالِحُونَ إِنْ كَانَ أَحَدُهُمْ لَيُبْتَلَى بِالْفَقْرِ حَتَّى مَا يَجِدُ أَحَدُهُمْ إِلاَّ الْعَبَاءَةَ يُحَوِّيهَا وَإِنْ كَانَ أَحَدُهُمْ لَيَفْرَحُ بِالْبَلاَءِ كَمَا يَفْرَحُ أَحَدُكُمْ بِالرَّخَاءِ " .
    . আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট গেলাম, তখন তিনি ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন আমি তাঁর উপর আমার হাত রাখলে তার গায়ের চাদরের উপর থেকেই তাঁর দেহের প্রচন্ড তাপ অনুভব করলাম আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কত তীব্র জ্বর আপনার তিনি বলেনঃ আমাদের (নবী-রাসূলগণের) অবস্থা এমনই হয়ে থাকে আমাদের উপর দ্বিগুণ বিপদ আসে এবং দ্বিগুণ পুরস্কারও দেয়া হয় আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কার উপর সর্বাধিক কঠিন বিপদ আসে? তিনি বলেনঃ নবীগণের উপর আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারপর কার উপর? তিনি বলেনঃ তারপর নেককার বান্দাদের উপর তাদের কেউ এতটা দারিদ্র পীড়িত হয় যে, শেষ পর্যন্ত তার কাছে তার পরিধানের কম্বলটি ছাড়া আর কিছুই থাকে না তাদের কেউ বিপদে এত শান্ত ও উৎফুল্ল থাকে, যেমন তোমাদের কেউ ধন-সম্পদ প্রাপ্তিতে আনন্দিত হয়ে থাকে
    ইবনে মাজাহ : ৪০২৪
    حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا رَأَيْتُ الْوَجَعَ عَلَى أَحَدٍ أَشَدَّ مِنْهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
    . আইশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসুস্থতাজনিত কষ্টের তুলনায় বেশি কষ্ট আমি আর কোন ব্যক্তির হতে দেখিনি
    তিরমিযি: ২৩৯৭
    حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا يَزَالُ الْبَلاَءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ فِي نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَمَالِهِ حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ " .
    . আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিন নারী-পুরুষের উপর, তার সন্তানের উপর ও তার ধন-সম্পদের উপর অনবরত বিপদাপদ লেগেই থাকে সবশেষে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে সে গুনাহমুক্ত অবস্থায় মিলিত হয়
    তিরমিযি: ২৩৯৯
    حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَيُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَغْرَاءَ أَبُو زُهَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَوَدُّ أَهْلُ الْعَافِيَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِينَ يُعْطَى أَهْلُ الْبَلاَءِ الثَّوَابَ لَوْ أَنَّ جُلُودَهُمْ كَانَتْ قُرِضَتْ فِي الدُّنْيَا بِالْمَقَارِيضِ " .
    . জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে বিপদে পতিত (ধৈর্যধারী) মানুষদের যখন প্রতিদান দেয়া হবে, তখন (পৃথিবীতে) বিপদমুক্ত মানুষেরা আকাঙক্ষা (পরিতাপ) করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি কাঁচি দ্বারা তাদের শরীরের চামড়া কেটে টুকরা টুকরা করে দেয়া হত
    তিরমিযি: ২৪০২


    বিপদে রাসুলুল্লাহ () এর অবস্থা

    . আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে আবূ সায়ফ্ কর্মকারের নিকট গেলাম তিনি ছিলেন (নাবী-তনয়) ইব্রাহীম (রাঃ)-এর দুধ সম্পর্কীয় পিতা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইব্রাহীম (রাঃ)-কে তুলে নিয়ে চুমু খেলেন এবং নাকে-মুখে লাগালেন অতঃপর (আরেক বার) আমরা তার (আবূ সায়ফ্-এর) বাড়িতে গেলাম তখন ইব্রাহীম (রাঃ) মুমূর্ষু অবস্থায় এতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উভয় চক্ষু হতে অশ্রু ঝরতে লাগল তখন ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আর আপনিও? (ক্রন্দন করছেন?) তখন তিনি বললেনঃ অশ্রু প্রবাহিত হয় আর হৃদয় হয় ব্যথিত তবে আমরা মুখে তা-ই বলি যা আমাদের রব পছন্দ করেন আর হে ইব্রাহীম! তোমার বিচ্ছেদে আমরা অবশ্যই শোকসন্তপ্ত
    বুখারী : ১৩০৩
    . উসামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত একবার উসামাহ ইবনু যায়দ, সা‘দ ও ‘উবাই (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলেন এমন সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক কন্যা তাঁর কাছে খবর পাঠালেন যে, আমার পুত্র মুমূর্ষু অবস্থায় আছে কাজেই তিনি যেন আমাদের নিকট আসেন তিনি সালামের সঙ্গে এ কথা বলে পাঠালেন যে, আল্লাহ্ যা দান করেন আর যা নিয়ে নেন সব কিছুই আল্লাহর জন্য আর সব কিছুই আল্লাহর নিকট নির্ধারিত আছে অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ

    কর এবং সাওয়াবের আশা কর এরপর তাঁর কন্যা কসম দিয়ে আবার খবর পাঠালেন এতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাওয়ার জন্য দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম

    (সেখানে গিয়ে) তিনি যখন বসলেন, শিশুটিকে তাঁর সামনে আনা হল তিনি তাকে নিজের কোলে নিয়ে বসালেন, আর শিশুটির শ্বাস নিঃশেষ হয়ে আসছিল এতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু’চোখ অশ্রু প্রবাহিত করল তখন সা‘দ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ কী ব্যাপার? তিনি বললেনঃ এ হল রহমত, যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের যাকে ইচ্ছা তার মনের ভিতরে দিয়ে থাকেন আর আল্লাহ্ কেবলমাত্র তাঁর দয়ালু বান্দাদের ওপরই দয়া করে থাকেন
    বুখারী : ৬৬৫৫

    রাসুলুল্লাহ() এর বিপদ এর সময় যে দু' পড়তেন

    ১০. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদের সময় এ দু‘আ পড়তেনঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই যিনি মহান ও ধৈর্যশীল আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই তিনিই আসমান যমীনের প্রতিপালক ও মহান আরশের প্রভু
    বুখারী: ৬৩৪৫


    বিপদের প্রাথমিক অবস্থায়ই ধৈর্যধারন করতে হয়

    ১১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিপদের প্রথম অবস্থায়ই প্রকৃত সবর
    বুখারী: ১৩০২
    ১২. আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মহান আল্লাহ্ বলেছেনঃ হে বনী আদম! যদি তুমি সওয়াবের আশায় প্রথম আঘাতেই ধৈর্য ধারণ করো তাহলে আমি তোমাকে সওয়াবের বিনিময় হিসাবে জান্নাত দান না করে সন্তুষ্ট হবো না
    ইবনে মাজাহ : ১৫৯৭

    বিপদে ধৈর্যধারন

    ১৩. আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ কোন মুসলিম যখন বিপদে পড়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আল্লাহর নির্দেশিত ‘‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন’’ (আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চিত আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী) পাঠ করে এবং বলে, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট বিপদে সওয়াবের প্রত্যাশা করি, তুমি আমাকে এর পুরস্কার দান করো এবং আমাকে এর বিনিময় দান করো, তখন আল্লাহ্ তাকে পুরস্কৃত করেন এবং এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দান করেন

    রাবী (উম্মু সালামাহ) বলেন, আবূ সালামাহ (রাঃ) ইনতিকাল করলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে হাদীস আমার কাছে বর্ণনা করেছিলেন তা স্মরণ করলাম আমি বললাম, ‘‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন হে আল্লাহ্! আমার বিপদের পুরস্কার আপনার কাছেই আশা করি অতএব আমাকে তার বিনিময়ে পুরস্কৃত করুন অতঃপর আমি যখন বলতে চাইলাম, আমাকে এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করুন, তখন আমি মনে মনে বললাম, আবূ সালামাহ (রাঃ) অপেক্ষা আমাকে উত্তম কিছু দান করুন তারপর আমি তা বললাম’’ অতএব আল্লাহ আমাকে বিনিময় স্বরূপ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দান করেন এবং আমার বিপদে তিনি আমাকে পুরস্কৃত করেন
    ইবনে মাজাহ : ১৫৯৮
    ১৪. আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও লোকেদের মাঝখানের দরজা খুলে অথবা পর্দা তুলে দেখেন যে, লোকজন আবূ বাকর (রাঃ)-এর পিছনে সালাত পড়ছে তিনি তাদেরকে উক্ত অবস্থায় দেখে আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং আশা করেন যে, আল্লাহ্ যেন আবূ বাকরকে তাদের প্রতিনিধি নির্ধারণ করেন, যেভাবে তিনি তাদেরকে দেখতে পেয়েছেন এরপর তিনি বলেনঃ হে লোকসকল! কোন লোকের উপর অথবা কোন মু’মিন ব্যক্তির উপর কোন বিপদ আসলে সে যেন অপরের উপর আপতিত বিপদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে, বরং আমার উপর আপতিত বিপদের কোন কথা স্মরণ করে প্রশান্তি লাভ করে কেননা আমার পরে আমার কোন উম্মাতের উপর, আমার বিপদের তুলনায় কঠিন বিপদ আপতিত হবে না
    ইবনে মাজাহ: ১৫৯৯

    সাহাবীদের বিপদে ধৈর্যধারনের দৃষ্টান্ত

    ১৫খাব্বাব ইবনু আরত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে (কাফিরদের পক্ষ থেকে যে সব নির্যাতন ভোগ করছিলাম এসবের) অভিযোগ করলাম তখন তিনি নিজের চাঁদরকে বালিশ বানিয়ে কা’বা শরীফের ছায়ায় বিশ্রাম করছিলেন আমরা তাঁকে বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) সাহায্য প্রার্থনা করবেন না? আপনি কি আমাদের (দুঃখ দুর্দশা লাঘবের) জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করবেন না? তিনি বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তী (ঈমানদার) গণের অবস্থা ছিল এই, তাদের জন্য মাটিতে গর্ত খনন করা হত এবং ঐ গর্তে তাকে পুঁতে রেখে করাত দিয়ে তাঁর মস্তক দ্বিখণ্ডিত করা হত
    (অমানুষিক নির্যাতনেও) তাদেরকে দ্বীন থেকে বিচ্যুত করতে পারত না লোহার চিরুনী দিয়ে আঁচড়িয়ে শরীরের হাঁড় পর্যন্ত গোশত ও শিরা উপশিরা সব কিছু ছিন্নভিন্ন করে দিত (লোমহর্ষক নির্যাতন) তাদেরকে দ্বীন থেকে বিমুখ করতে পারেনি আল্লাহর কসম, আল্লাহ এ দ্বীনকে অবশ্যই পূর্ণতা দান করবেন (এবং সর্বত্র নিরাপদ ও শান্তিময় অবস্থা বিরাজ করবে)তখনকার দিনের একজন উষ্ট্রারোহী সান’আ থেকে হাযারামাউত পর্যন্ত ভ্রমণ করবে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ভয় করবে না অথবা তাঁর মেষপালের জন্য নেকড়ে বাঘের আশঙ্কাও করবে না কিন্তু তোমরা (ঐ সময়ের অপেক্ষা না করে) তাড়াহুড়া করছ
    বুখারীঃ ৩৩৫৪
    ১৬ . ’আমর ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ ব্যক্তিকে গোয়েন্দা হিসেবে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাঠালেন এবং আসিম ইবনু সাবিত আনসারীকে তাঁদের দলপতি নিয়োগ করেন যিনি আসিম ইবনু ’উমার ইবনু খাত্তাবের নানা ছিলেন তাঁরা রওনা করলেন, যখন তাঁরা উসফান ও মক্কার মাঝে হাদআত নামক স্থানে পৌঁছেন, তখন হুযায়েল গোত্রের একটি প্রশাখা যাদেরকে লেহইয়ান বলা হয় তাদের নিকট তাঁদের ব্যাপারে আলোচনা করা হয় তারা প্রায় দু’শত তীরন্দাজকে তাঁদের পিছু ধাওয়ার জন্য পাঠান এরা তাঁদের চিহ্ন দেখে চলতে থাকে সাহাবীগণ মদিনা্ হতে সঙ্গে নিয়ে আসা খেজুর যেখানে বসে খেয়েছিলেন, অবশেষে এরা সে স্থানের সন্ধান পেয়ে গেল, তখন এরা বলল, ইয়াসরিবের খেজুর অতঃপর এরা তাঁদের পদচিহ্ন দেখে চলতে লাগল যখন আসিম ও তাঁর সাথীগণ এদের দেখলেন, তখন তাঁরা একটি উঁচু স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করলেন আর কাফিররা তাঁদের ঘিরে ফেলল এবং তাঁদেরকে বলতে লাগল, তোমরা অবতরণ কর ও স্বেচ্ছায় বন্দীত্ব বরণ কর আমরা তোমাদের অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, তোমাদের মধ্য হতে কাউকে আমরা হত্যা করব না তখন গোয়েন্দা দলের নেতা আসিম ইবনু সাবিত (রাঃ) বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমি তো আজ কাফিরদের নিরাপত্তায় অবতরণ করবো না হে আল্লাহ! আমাদের পক্ষ থেকে আপনার নবীকে সংবাদ পৌঁছিয়ে দিন’ অবশেষে কাফিররা তীর নিক্ষেপ করতে শুরু করল আর তারা আসিম (রাঃ) সহ সাত জনকে শহীদ করলো
    অতঃপর অবশিষ্ট তিনজন খুবাইব আনসারী, যায়দ ইবনু দাসিনা (রাঃ) ও অপর একজন তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর নির্ভর করে তাদের নিকট অবতরণ করলেন যখন কাফিররা তাদেরকে আয়ত্বে নিয়ে নিল, তখন তারা তাদের ধনুকের রশি খুলে ফেলে তাঁদের বেঁধে ফেললো তখন তৃতীয় জন বলে উঠলেন, ’গোড়াতেই বিশ্বাসঘাতকতা! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো না,

    যাঁরা শহীদ হয়েছেন আমি তাঁদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করব’ কাফিররা তাঁকে শহীদ করে ফেলে এবং তারা খুবাইব ও ইবনু দাসিনাকে নিয়ে চলে যায় অবশেষে তাঁদের উভয়কে মক্কায় বিক্রয় করে ফেলে এটা বাদার যুদ্ধের পরের কথা তখন খুবাইবকে হারিস ইবনু ’আমিরের পুত্রগণ ক্রয় করে নেয় আর বাদার যুদ্ধের দিন খুবাইব (রাঃ) হারিস ইবনু ’আমিরকে হত্যা করেছিলেন খুবাইব (রাঃ) কিছু দিন তাদের নিকট বন্দী থাকেন
    ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, আমাকে ’উবায়দুল্লাহ ইবনু আয়ায্ অবহিত করেছেন, তাঁকে হারিসের কন্যা জানিয়েছে যে, যখন হারিসের পুত্রগণ খুবাইব (রাঃ)-কে শহীদ করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিল, তখন তিনি তার কাছ থেকে ক্ষৌর কাজ সম্পন্ন করার উদ্দেশে একটা ক্ষুর ধার চাইলেন তখন হারিসের কন্যা তাকে একখানা ক্ষুর ধার দিল সে সময় ঘটনাক্রমে আমার এক ছেলে আমার অজ্ঞাতে খুবাইবের নিকট চলে যায় এবং আমি দেখলাম যে, আমার ছেলে খুবাইবের উরুর উপর বসে রয়েছে এবং খুবাইবের হাতে রয়েছে ক্ষুর আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম খুবাইব আমার চেহারা দেখে বুঝতে পারলেন যে, আমি ভয় পাচ্ছি তখন তিনি বললেন, তুমি কি এ ভয় করো যে, আমি এ শিশুটিকে হত্যা করে ফেলব? কখনো আমি তা করব না আল্লাহর কসম! আমি খুবাইবের মত উত্তম বন্দী কখনো দেখিনি আল্লাহর শপথ! আমি একদা দেখলাম, তিনি লোহার শিকলে আবদ্ধ অবস্থায় ছড়া হতে আঙ্গুর খাচ্ছেন, যা তাঁর হাতেই ছিল অথচ এ সময় মক্কা্য় কোন ফলই পাওয়া যাচ্ছিল না হারিসের কন্যা বলতো, এ তো ছিল আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে প্রদত্ত জীবিকা, যা তিনি খুবাইবকে দান করেছেন অতঃপর তারা খুবাইবকে শহীদ করার উদ্দেশে হারাম এর নিকট হতে হিল্লের দিকে নিয়ে বের হয়ে পড়ল, তখন খুবাইব (রাঃ) তাদের বললেন, আমাকে দু’রাক’আত সালাত আদায় করতে দাও তারা তাঁকে সে অনুমতি দিল তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করে নিলেন অতঃপর তিনি বললেন, ’তোমরা যদি ধারণা না করতে যে, আমি মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছি তবে আমি সালাতকে দীর্ঘ করতাম হে আল্লাহ! তাদেরকে এক এক করে ধ্বংস করুন’ (অতঃপর তিনি এ কবিতা দু’টি আবৃত্তি করলেন)
    ’’যখন আমি মুসলিম হিসেবে শহীদ হচ্ছি তখন আমি কোন রূপ ভয় করি না
    আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমাকে যেখানেই মাটিতে লুটিয়ে ফেলা হোক না কেন
    আমার এ মৃত্যু আল্লাহ তা’আলার জন্যই হচ্ছে তিনি যদি ইচ্ছা করেন,
    তবে আমার দেহের প্রতিটি খন্ডিত জোড়াসমূহে বরকত সৃষ্টি করে দিবেন’’
    অবশেষে হারিসের পুত্র তাঁকে শহীদ করে ফেলে বস্তুত যে মুসলিম ব্যক্তিকে বন্দী অবস্থায় শহীদ করা হয় তার জন্য দু’রাক’আত সালাত আদায়ের এ রীতি খুবাইব (রাঃ)-ই প্রবর্তন করে গেছেন যে দিন আসিম (রাঃ) শাহাদত বরণ করেছিলেন, সেদিন আল্লাহ তা’আলা তাঁর দু’আ কবুল করেছিলেন সেদিনই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে তাঁদের সংবাদ ও তাঁদের উপর যা’ যা’ আপতিত হয়েছিল সবই অবহিত করেছিলেন আর যখন কুরাইশ কাফিরদেরকে এ সংবাদ পৌঁছানো হয় যে, আসিম (রাঃ)-কে শহীদ করা হয়েছে তখন তারা তাঁর কাছে এক লোককে পাঠায়, যাতে সে ব্যক্তি তাঁর লাশ হতে কিছু অংশ কেটে নিয়ে আসে, যেন তারা তা দেখে চিনতে পারে কারণ, বাদার যুদ্ধের দিন আসিম (রাঃ) কুরাইশদের এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন আসিমের লাশের (রক্ষার জন্য) মৌমাছির ঝাঁক প্রেরিত হল যারা তাঁর দেহ আবৃত করে রেখে তাদের ষড়যন্ত্র হতে হিফাযত করল ফলে তারা তাঁর শরীর হতে এক খন্ড গোশ্তও কেটে নিতে পারেনি

    বুখারীঃ ৩০৪৫


    চিৎকার করে ক্রন্দন, জামা কাপড় ছিড়া, বিলাপ করা নিষেধ

    ১৭. আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ যারা শোকে গন্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে ও জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়
    বুখারী: ১২৯৮


    বিপদে মৃত্যু কামনা না করে সওয়াবের আশা করা

    ১৮. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা করবে না আর যদি কেউ এমন অবস্থায় পড়ে যে, তাকে মৃত্যু কামনা করতেই হয়, তবে সে দু‘আ করবেঃ হে আল্লাহ! যতদিন বেঁচে থাকা আমার জন্য কল্যাণকর হয়, ততদিন আমাকে জীবিত রাখো, আর যখন আমার জন্য মৃত্যুই কল্যাণকর হয় তখন আমার মৃত্যু দাও
    বুখারী: ৬৩৫১
    ১৯. আবূ যারা আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হালাল বস্ত্তুকে হারাম করে নেয়া এবং ধনসম্পদ ধ্বংস করা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি (যুহ্দ) নয়, বরং দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি হলোঃ আল্লাহর নিকট যা আছে তার চেয়ে তোমার নিকট যা আছে তার উপর অধিক নির্ভরশীল না হওয়া এবং তুমি কোন বিপদে পতিত হলে তার বিনিময়ে সওয়াবের আশার তুলনায় বিপদে পতিত না হওয়াটা তোমার নিকট অধিকতর কাঙ্ক্ষিত না হওয়া হিশাম (রাঃ) বলেন, আবূ ইদরীস আল-খাওলানী (রাঃ) বলেছেন, হাদীস ভান্ডারে এ হাদীসটি যেন স্বর্ণ খনির খাঁটি সোনা
    ইবনে মাজাহ : ৪১০০
    ২০. আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুসলিমকে যে কোনো ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক এমন কি (তার পায়ে) কাঁটাও লাগে, আল্লাহ তা'আলা এর মাধামে তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।'
    বুখারীঃ ৫৬৪২, মুসলিম ২৫৭৩, তিরমিযী ৯৬৬
    ২১. আবু ইয়াহিয়া সুহাইব ইবনু সিনান রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তাঁর প্রতিটি কাজে তাঁর জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মুমিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। সুতরাং তাঁর সুখ এলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌঁছলে সে ধৈর্য্য ধারণ করে। ফলে এটাও তাঁর জন্য মঙ্গলময় হয়।

    মুসলিমঃ ২৯৯৯

    জিহাদের ময়দানে বিপদে পতিত হলে

    ২৩. মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি উষ্ট্রীর দুধ দু’ বার দোহনের মধ্যবর্তী সময়টুকু আল্লাহর পথে জিহাদ করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব যে ব্যক্তি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আল্লাহর কাছে শাহাদাতের প্রার্থনা করে, অতঃপর (নিজ ঘরেই) মারা যায় অথবা নিহত হয়, তার জন্য শহীদের সাওয়াব রয়েছে (মধ্যবর্তী বর্ণনাকারী) ইবনুল মুসান্না এরপর আরো বর্ণনা করেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে (যুদ্ধে) আহত হয় কিংবা কোনো বিপদে পতিত হয়, কিয়ামাতের দিন তার এ যখমের স্থান পূর্বের মতো তাজা থাকবে এবং এর রং হবে জা‘ফরানের রঙের মতো আর এর ঘ্রাণ কস্তুরীর ঘ্রাণের অনুরূপ মহান আল্লাহর পথে যার শরীরে কোনো ফোঁড়া উঠে, তাতে শহীদের সীলমোহর অংকিত হবে
    আবু দাউদ: ২৫৪১


    বিপদে পতিত হলে নেক কাজের উসিলায় দু' করা

    ২৪. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয় হঠাৎ পাহাড় হতে এক খন্ড পাথর পড়ে গুহায় মুখ বন্ধ হয়ে যায় তখন তারা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগল তোমাদের সৎকার্যাবলীর ওসীলা নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করা ছাড়া আর কোন কিছুই এ পাথর হতে তোমাদেরকে মুক্ত করতে পারে না
    তখন তাদের মধ্যে একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতা খুব বৃদ্ধ ছিলেন আমি কখনো তাদের আগে আমার পরিবার-পরিজনকে কিংবা দাস-দাসীকে দুধ পান করাতাম না একদিন কোন একটি জিনিসের তালাশে আমাকে অনেক দূরে চলে যেতে হয়; কাজেই আমি তাঁদের ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে ফিরতে পারলাম না আমি তাঁদের জন্য দুধ দোহায়ে নিয়ে এলাম কিন্তু তাঁদেরকে ঘুমন্ত পেলাম তাদের আগে আমার পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীকে দুধ পান করতে দেয়াটাও আমি পছন্দ করিনি তাই আমি তাঁদের জেগে উঠার অপেক্ষায় পেয়ালাটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম এভাবে ভোরের আলো ফুটে উঠল তারপর তাঁরা জাগলেন এবং দুধ পান করলেন হে আল্লাহ! যদি আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে এ কাজ করে থাকি, তবে এ পাথরের কারণে আমরা যে বিপদে পড়েছি, তা আমাদের হতে দূর করে দাও ফলে পাথর সামান্য সরে গেল, কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারল না নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার এক চাচাতো বোন ছিল সে আমার খুব প্রিয় ছিল আমি তার সাথে সঙ্গত হতে চাইলাম কিন্তু সে বাধা দিল তারপর এক বছর ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে সে আমার কাছে (সাহায্যের জন্য) এল আমি তাকে একশ’ বিশ দ্বীনার এ শর্তে দিলাম যে, সে আমার সাথে একান্তে মিলিত হবে, তাতে সে রাযী হল আমি যখন সম্পূর্ণ সুযোগ লাভ করলাম, তখন সে বলল, আমি তোমাকে অবৈধভাবে মোহর ভাঙ্গার অনুমতি দিতে পারি না ফলে সে আমার সর্বাধিক প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও আমি তার সাথে সঙ্গত হওয়া পাপ মনে করে তার কাছ হতে ফিরে আসলাম এবং আমি তাকে যে স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম, তাও ছেড়ে দিলাম হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করে থাকি, তবে আমরা যে বিপদে পড়ে আছি তা দূর কর তখন সেই পাথরটি (আরো একটু) সরে পড়ল কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারছিল না নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারপর তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি কয়েকজন মজদুর নিয়োগ করেছিলাম এবং আমি তাদেরকে তাদের মজুরীও দিয়েছিলাম, কিন্তু একজন লোক তার প্রাপ্য না নিয়ে চলে গেল আমি তার মজুরীর টাকা কাজে খাটিয়ে তা বাড়াতে লাগলাম তাতে প্রচুর ধন-সম্পদ অর্জিত হল কিন্তু কিছুকাল পর সে আমার নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আমাকে আমার মজুরী দিয়ে দাও আমি তাকে বললাম, এসব উট, গরু, ছাগল ও গোলাম যা তুমি দেখতে পাচ্ছ, তা সবই তোমার মজুরী সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার সাথে বিদ্রূপ করো না তখন আমি বললাম, আমি তোমার সাথে মোটেই বিদ্রূপ করছি না তখন সে সবই গ্রহণ করল এবং নিয়ে চলে গেল তা হতে একটাও ছেড়ে গেল না হে আল্লাহ! আমি যদি তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজ করে থাকি, তবে আমরা যে বিপদে পড়েছি, তা দূর কর তখন সে পাথরটি সম্পূর্ণ সরে পড়ল তারপর তারা বেরিয়ে এসে পথ চলতে লাগল
    বুখারী: ২২৭২
    ২৫. । রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কোনো মসিবতে পরার পর এই দুয়া পড়বে, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে–সে যা হারিয়েছে, তার চেয়ে উত্তম বদলা দান করবেন:



    إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ، اللّٰهُمَّ أْجُرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِي، وَأَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِنْهَا
    [অর্থঃ আমরা তো আল্লাহ্*রই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন।] - মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮


    উম্মুল মু'মিনিন উম্মে সালামা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন, “আমার স্বামী আবু সালামা ইন্তেকাল করার পর আমি এই দুয়া পড়েছিলাম, আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে আবু সালামার থেকে উত্তম স্বামী দান করেছেন। আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বামী হিসেবে পেয়েছি।”


    শোকের সময় কুনুতে নাযেলা পাঠ

    ২৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, (বীর-ই মাউনার ঘটনায়) ক্বারী (সাহাবীগণের) শাহাদাতের পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের সালাতে) একমাস যাবৎ কুনুত-ই নাযিলা পাঠ করেছিলেন (বর্ণনাকারী বলেন) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি আর কখনো এর চেয়ে অধিক শোকাভিভূত হতে দেখিনি
    বুখারী: ১৩০০


    বিপদগ্রস্থ লোক দেখলে

    ২৬. উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক কোন বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য, তিনি যে বিপদে তোমাকে জড়িত করেছেন তা হতে আমাকে হিফাযাতে রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন", সে তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত অনিষ্ট হতে হিফাযাতে থাকবে তা যে কোন বিপদই হোক না কেন
    তিরমিযি : ৩৪৩১
    ২৭. ওয়াসিলা ইবনুল আসকা' (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার কোন ভাইয়ের বিপদে তুমি আনন্দ প্রকাশ করো না অন্যথায় আল্লাহ তা'আলা তাকে দয়া করবেন এবং তোমাকে সেই বিপদে নিক্ষিপ্ত করবেন
    তিরমিযি: ২৫০৬
    ২৮. আমর ইবন হাযম (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি তার মু’মিন ভাইকে তার বিপদে সান্ত্বনা দিবে, আল্লাহ্ তা’আলা কিয়ামতের দিন তাকে সম্মানের পোশাক পরাবেন
    ইবনে মাজাহ : ১৬০১
    Last edited by Rakibul Hassan; 05-29-2023, 10:16 AM.

  • #2
    অনেক বড় লিখা, উপকারী লিখা, পর্ব আকারে ছোট ছোট করে দিলে ভালো হতো।
    জাযাকাল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment

    Working...
    X