Announcement

Collapse
No announcement yet.

গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় দুটি হাদীস || আল্লাহর দয়ার বিশালতা || তিনি যালিমকে ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় দুটি হাদীস || আল্লাহর দয়ার বিশালতা || তিনি যালিমকে ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না!

    এক. আল্লাহর দয়ার বিশালতা
    عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال: قَدِمَ رسولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْيٍ فإذا امرأةٌ مِنَ السَّبْيِ تَسْعَى، إِذْ وَجَدَتْ صَبِيَّا في السَّبْيِ أَخَذَتْهُ فَأَلْزَقَتْهُ بِبَطْنِهَا فَأَرْضَعَتْهُ، فقال رسولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «أَتَرَوْنَ هَذِهِ المرأةَ طَارِحَةً وَلَدَهَا في النَّارِ؟» قلنا: لا واللهِ. فقال: «للهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ هَذِهِ بِوَلَدِهَا».
    [صحيح] - [متفق عليه]

    উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের নিকট কিছু সংখ্যক বন্দী এল। তিনি দেখলেন যে, বন্দীদের মধ্যে একজন মহিলা খোঁজাখুঁজি করছে। হঠাৎ সে বন্দীদের মধ্যে একটি শিশুকে পেলো, আর তাকে ঝাপটে ধরে পেটের সাথে মিলিয়ে নিল ও তাকে দুধ পান করাল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বললেন, “তোমরা কি মনে কর যে, এই মহিলা তার সন্তানকে আগুনে ফেলতে পারে?” আমরা বললাম, ‘না, আল্লাহর কসম!’ তিনি বললেন, “এই মহিলাটি তার সন্তানের ওপর যতটা দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর তার চেয়ে অধিক দয়ালু।”


    সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)

    ব্যাখ্যা:

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কতক বন্দী নিয়ে আসা হলো। দেখা গেল বন্দীদের মধ্যে একজন মহিলা খোঁজাখুঁজি করছে। সে বন্দীদের মধ্যে একটি বাচ্চা দেখতে পেয়ে তার প্রতি দয়া করে তাকে বুকে-পেটে লাগিয়ে জড়িয়ে ধরল এবং তাকে দুধ পান করাল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণকে জানিয়ে দেন যে, আল্লাহর রহমত মায়ের রহমত থেকেও অনেক বিশাল।

    হাদীসের শিক্ষা:
    মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের উপর উপমাহীন/সীমাহীন দয়াশীল। তথাপিও মানব বুঝের নিকটবর্তী করতে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সময়ে সময়ে বিভিন্ন উপমা দিয়ে আল্লাহর দয়া-মায়ার বিশালত্ব বুঝাতে চেয়েছেন। সুবহান আল্লাহ!
    তাই আমাদেরও কর্তব্য আল্লাহর রহমত থেকে কখনো নিরাশ না হওয়া। তাঁর রহমত পাওয়ার ভিখারী হয়ে থাকা। আল্লাহর রহমত তো বাহানা তালাশ করে!

    দুই. আল্লাহ যালিমকে ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না!
    عن أبي موسى الأشعري رضي الله عنه مرفوعاً: «إن الله ليُمْلِي للظالم، فإذا أخذه لم يُفْلِتْهُ»، ثم قرأ: (وكذلك أخذ ربك إذا أخذ القرى وهي ظالمة إن أخذه أليم شديد).
    [صحيح] - [متفق عليه]

    আবূ মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অত্যাচারীকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন তিনি তাকে পাকড়াও করেন, তখন তাকে ছাড়েন না।” তারপর তিনি এই আয়াত পড়লেন, যার অর্থ, “আর আপনার রবের পাকড়াও এরূপই হয়ে থাকে। যখন তিনি অত্যাচারী জনপদকে পাকড়াও করে থাকেন। নিশ্চয় তাঁর পাকড়াও যন্ত্রণাদায়ক, কঠিন।”


    সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)

    ব্যাখ্যা:

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ তা‘আলা যালিমকে অবকাশ দেন এবং তাকে তার নিজের ওপর যুলুম করার সুযোগ দেন। অবশেষে যখন তিনি তাকে পাকড়াও করেন তখন তাকে ছাড়েন না, যতক্ষণ না তিনি তার শাস্তিকে পূর্ণ করেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার এই বাণী তিলাওয়াত করলেন। “আর এরূপই হয় আপনার রবের পাকড়াও যখন তিনি পাকড়াও করেন অত্যাচারী জনপদসমূহকে। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও বড়ই যন্ত্রণাদায়ক, কঠোর।” [সূরা হূদ, আয়াত: ১০২]

    হাদীসের শিক্ষা:

    জ্ঞানী যখন জুলুম করে এবং তার ফলে কোনো বিপদ তাকে স্পর্শ না করে, তখন সে আল্লাহর পাকড়াও হতে নির্ভয় হয় না, বরং সে জানে যে, এটি তাকে সুযোগ দেওয়া। ফলে সে পাওনাাদারকে তার হক পরিশোধ করতে তাড়াহুড়া করে।

    আল্লাহ যালেমদের অবকাশ দেন যাতে তাদের অপকর্ম আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে আল্লাহ তাদের শাস্তিকে দ্বিগুণ করেন। হাদীস বা কুরআনের উত্তম তাফসীর হলো আল্লাহর বাণী এবং তাঁর রাসূলের বাণী।

    *****
    হে মুমিন, নিরাশ হয়ো না!
    হে যালিম, নিশ্চিন্ত হয়ো না!
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    হে মুমিন, নিরাশ হয়ো না!
    হে যালিম, নিশ্চিন্ত হয়ো না!
    উত্তম কথা বলেছেন ভাই
    জাযাকাল্লাহ খাইরান

    Comment


    • #3
      Originally posted by Omor Faruk View Post
      উত্তম কথা বলেছেন ভাই
      জাযাকাল্লাহ খাইরান
      ওয়া ইয়্যাকা ভাই
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X