390 - حدثنا ابن المبارك عن سليمان بن المغيرة عن عبد الله بن مغفل
عن عبد الله بن سلام أنه قال حين هاج الناس بعثمان يا أيها الناس لا تقتلوا عثمان فوالذي نفسي بيده ما قتلت أمة قط نبيها فيصلح الله أمرهم حتى يهريقوا دم سبعين ألفا منهم وما قتلت أمة قط خليفتها فيصلح الله أمرهم حتى يهريقوا دم أربعين ألفا منهم
(হাদিস ৩৯০ কিতাবুল ফিতান- ইমাম নুআইম ইবনে হাম্মাদ)
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে সালাম রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি ওসমান ইব্নে আফফানের ব্যাপারে লোকজনের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বলেন, হে লোক সকল! তোমরা ওসমান ইবনে আফফানকে হত্যা করোনা। কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! কোনো উম্মত তাদের নবীকে হত্যা করলে আল্লাহ তাআলা তাদের সত্ত্বর হাজার লোককে হত্যা করার ব্যবস্থা করেন। আর যদি কোনো উম্মত তাদের খলীফাকে হত্যা করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার বিপরীতে চল্লিশ হাজার লোককে হত্যার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করেন।
আল্লাহর রাস্তায় চলা "ওয়ারিশে-রাসুল আলেমে দ্বীন" মুজাহিদদের না হক কতলকারিরা ( আমরা শহিদ ধারনা করি) বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে না। ঈনশাল্লাহ। দুর্বলদের পক্ষ থেকে আল্লাহ একাই যথেষ্ট। পরিস্থিতির পরিবর্তন আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়ে থেকে। সমস্ত উত্থান আর পতনের তিনিই মালিক।
বনি ইসরাইল দ্বীন থেকে বহু দুরে সরে গিয়েছিল।আল্লাহ তাদের উপর ফেরাউনকে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহ এক সময় বনি ইসরাইলের অবস্থা পরিবর্তন করার এরাদা করলেন । মুসা (আঃ) কে তাদের মাঝে প্রেরণ করলেন। মুসা (আঃ) বনি ইসরাইলের কাছে রাসুল হিসেবে আসলেন। মুসা (আঃ) এর বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ফেরাউনের জুলুম অত্যাচার জারি থাকল। বনি ইসরাইলের অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন। আল্লাহ উপযুক্ত সময়ে পরিস্থিতি পাল্টিয়ে দিলেন। ফেরাউন তার সমস্ত লোক লস্কর সহ (কিবুতি সম্প্রদায়) ধবংস হয়ে গেল। কথিত আছে, মুসা (আঃ) সাথে ৬ লক্ষের বনি ইসরাইলের কাফেল ছিল আর কিবুতি সম্প্রদায় ছিল ১২ লক্ষের মত।
আল্লাহ তাদের ফেরাউনের মত জালিমের হাত থেকে নিজের কুদরতে মুক্তি দিলেন।
এবার তাদের সামনে জিহাদের হালত নিয়ে আসলেন। তাদেরকে সশস্ত্র হবার হুকুম জারি হল। বনি ইসরাইলের জন্যে মনুষ্যের প্রাকৃতিক এবং সাধারণ জীবন-যাপনের শর্ত হয়ে আসল সশস্ত্র জিহাদ। জিহাদের ঘাট অতিক্রম করার পর তারা সুজলা-সুফলা- শস্য-শ্যমলা ফিলিস্তিনকে তাদের বসবাসের জন্যে পাইলেন।
৮৪:১৯ لَ لَتَرۡكَبُنَّ طَبَقًا عَنۡ طَبَقٍ ﴿ؕ۱۹﴾لتركبن
অবশ্যই তোমরা এক স্তর থেকে অন্য স্তরে আরোহণ করবে।
42 - حدثنا الوليد بن مسلم عن ابن جابر
عن مكحول في قوله عز و جل لتركبن طبقا عن طبق قال في كل عشرين سنة تكونون في حال غير الحال التي كنتم عليها
(৪২ পৃ কিতাবুল ফিতান- ইমাম নুআইম ইবনে হাম্মাদ)
হযরত মাখুল (রহঃ) থেকে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন প্রত্যেক বিশ বছর পর পর তোমাদের অবস্থা পরিবর্তন হতে থাকবে।
বনি ইসরাইল মুসা (আঃ) এর উপস্থিতিতে ৪০ বছরের সময় নিয়েছিল জিহাদের হুকুমের উপর অমল করতে। মরুভূমির মাঝে বসবাস করছিল পুরা সময় টা। নতুন প্রজন্ম আসল। জিহাদ করলেন। আল্লাহ তাদের হাতে বিজয় দিলেন। বনি ইসরাইল ফিলিস্তিনে প্রবেশ করলেন।
এই ভু-খন্ডে সাম্প্রতিক একটি পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তন আল্লাহ আমাদের জাতির জন্যে সহজ করে দিয়েছিলেন। সামনে আমাদের কাছে আরও বড় কোরবানির তাকাযা আসার সম্ভাবনা আছে। এখন জোরদার ঈদাদের আমল করা দরকার।
عن عبد الله بن سلام أنه قال حين هاج الناس بعثمان يا أيها الناس لا تقتلوا عثمان فوالذي نفسي بيده ما قتلت أمة قط نبيها فيصلح الله أمرهم حتى يهريقوا دم سبعين ألفا منهم وما قتلت أمة قط خليفتها فيصلح الله أمرهم حتى يهريقوا دم أربعين ألفا منهم
(হাদিস ৩৯০ কিতাবুল ফিতান- ইমাম নুআইম ইবনে হাম্মাদ)
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে সালাম রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি ওসমান ইব্নে আফফানের ব্যাপারে লোকজনের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বলেন, হে লোক সকল! তোমরা ওসমান ইবনে আফফানকে হত্যা করোনা। কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! কোনো উম্মত তাদের নবীকে হত্যা করলে আল্লাহ তাআলা তাদের সত্ত্বর হাজার লোককে হত্যা করার ব্যবস্থা করেন। আর যদি কোনো উম্মত তাদের খলীফাকে হত্যা করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার বিপরীতে চল্লিশ হাজার লোককে হত্যার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করেন।
আল্লাহর রাস্তায় চলা "ওয়ারিশে-রাসুল আলেমে দ্বীন" মুজাহিদদের না হক কতলকারিরা ( আমরা শহিদ ধারনা করি) বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে না। ঈনশাল্লাহ। দুর্বলদের পক্ষ থেকে আল্লাহ একাই যথেষ্ট। পরিস্থিতির পরিবর্তন আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়ে থেকে। সমস্ত উত্থান আর পতনের তিনিই মালিক।
বনি ইসরাইল দ্বীন থেকে বহু দুরে সরে গিয়েছিল।আল্লাহ তাদের উপর ফেরাউনকে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহ এক সময় বনি ইসরাইলের অবস্থা পরিবর্তন করার এরাদা করলেন । মুসা (আঃ) কে তাদের মাঝে প্রেরণ করলেন। মুসা (আঃ) বনি ইসরাইলের কাছে রাসুল হিসেবে আসলেন। মুসা (আঃ) এর বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ফেরাউনের জুলুম অত্যাচার জারি থাকল। বনি ইসরাইলের অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন। আল্লাহ উপযুক্ত সময়ে পরিস্থিতি পাল্টিয়ে দিলেন। ফেরাউন তার সমস্ত লোক লস্কর সহ (কিবুতি সম্প্রদায়) ধবংস হয়ে গেল। কথিত আছে, মুসা (আঃ) সাথে ৬ লক্ষের বনি ইসরাইলের কাফেল ছিল আর কিবুতি সম্প্রদায় ছিল ১২ লক্ষের মত।
আল্লাহ তাদের ফেরাউনের মত জালিমের হাত থেকে নিজের কুদরতে মুক্তি দিলেন।
এবার তাদের সামনে জিহাদের হালত নিয়ে আসলেন। তাদেরকে সশস্ত্র হবার হুকুম জারি হল। বনি ইসরাইলের জন্যে মনুষ্যের প্রাকৃতিক এবং সাধারণ জীবন-যাপনের শর্ত হয়ে আসল সশস্ত্র জিহাদ। জিহাদের ঘাট অতিক্রম করার পর তারা সুজলা-সুফলা- শস্য-শ্যমলা ফিলিস্তিনকে তাদের বসবাসের জন্যে পাইলেন।
৮৪:১৯ لَ لَتَرۡكَبُنَّ طَبَقًا عَنۡ طَبَقٍ ﴿ؕ۱۹﴾لتركبن
অবশ্যই তোমরা এক স্তর থেকে অন্য স্তরে আরোহণ করবে।
42 - حدثنا الوليد بن مسلم عن ابن جابر
عن مكحول في قوله عز و جل لتركبن طبقا عن طبق قال في كل عشرين سنة تكونون في حال غير الحال التي كنتم عليها
(৪২ পৃ কিতাবুল ফিতান- ইমাম নুআইম ইবনে হাম্মাদ)
হযরত মাখুল (রহঃ) থেকে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন প্রত্যেক বিশ বছর পর পর তোমাদের অবস্থা পরিবর্তন হতে থাকবে।
বনি ইসরাইল মুসা (আঃ) এর উপস্থিতিতে ৪০ বছরের সময় নিয়েছিল জিহাদের হুকুমের উপর অমল করতে। মরুভূমির মাঝে বসবাস করছিল পুরা সময় টা। নতুন প্রজন্ম আসল। জিহাদ করলেন। আল্লাহ তাদের হাতে বিজয় দিলেন। বনি ইসরাইল ফিলিস্তিনে প্রবেশ করলেন।
এই ভু-খন্ডে সাম্প্রতিক একটি পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তন আল্লাহ আমাদের জাতির জন্যে সহজ করে দিয়েছিলেন। সামনে আমাদের কাছে আরও বড় কোরবানির তাকাযা আসার সম্ভাবনা আছে। এখন জোরদার ঈদাদের আমল করা দরকার।
Comment