রামাদানের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখার ফযীলত এবং করণীয় কিছু আমল
আল্লাহ তাআলা এ বছর আমাদের মেহেরবাণী করে রামাদান মাস দান করেছেন। আমরা সাধ্যমত ইবাদত করার চেষ্টা করেছি। রমযান মাস আমাদের আমল অনুযায়ী আমাদের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে সাক্ষী হয়ে থাকবে। এ মাসে যে ব্যক্তি ভালো আমল করতে পেরেছে, সে যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে ও শুভ পরিণামের অপেক্ষায় থাকে। নিশ্চয় আল্লাহ ভালো আমলকারীর আমল নষ্ট করেন না। আর যে ব্যক্তি এ মাসে অন্যায় কাজ করেছে, সে যেন প্রভুর কাছে খালেস তাওবা করে। যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা তাওবাকারীর তাওবা কবুল করেন।
রামাদান মাস শেষ হয়ে দেখতে দেখতে শাওয়াল মাস চলে এসেছে। আজ ১২ই শাওয়াল। শাওয়াল আরবি মাসের হিসাব অনুযায়ী দশম মাস। শাওয়াল মাসে বিশেষ একটি আমল আছে। তা হলো- এ মাসে ছয়টি রোযা রাখা।
শাওয়াল মাসের ১ তারিখ ইদুর ফিতর। বছরে পাঁচ দিন রোযা রাখা হারাম। পাঁচদিনের একদিন হলো শাওয়াল মাসের ১ তারিখ অর্থ্যাৎ ইদুল ফিতরের দিন। তাই শাওয়াল মাসের ১ তারিখ রোযা রাখা যাবে না।
একটি ভুল ধারণা
অনেকে মনে করেন শাওয়াল মাসের রোযা ইদুল ফিতরের পরদিন থেকে (২রা শাওয়াল) থেকে লাগাতর ছয়দিন (৭ই শাওয়াল) রাখতে হবে। মাঝে গ্যাপ দেওয়া যাবে না।
না ভাই! এটা ভুল ধারণা। বরং শাওয়াল মাসের ছয় রোযা পুরো শাওয়াল মাসের যে কোন ছয়দিন রাখলেই হবে। (১লা শাওয়াল বা ইদুল ফিতরের দিন ব্যতীত)
আপনি চাইলে ইদুল ফিতরের পরদিন (২রা শাওয়াল) থেকে লাগাতর ছয়দিন (৭ই শাওয়াল) রাখতে পারেন। কোন সমস্যা নেই।
অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখতে পারবেন অর্থ্যাৎ একটি রাখলেন। এরপর কয়েকদিন রাখলেন না। আবার একটি রাখলেন। এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখতে পারেন। ইদুল ফিতরের দিন ব্যতীত এ মাসে মোট ছয়টি রোযা রাখলেই হবে।
তবে আমার মতে এমনভাবে রাখা যাতে কয়েকটি হাদিসের উপর আমল হয়ে যায়।
মনে করেন, আপনি শাওয়াল মাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখ তিনটি রাখলেন। তাহলে হবে কি জানেন?
চলুন! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এর কয়েকটি হাদিস থেকেই দেখে নেই-
প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন করা: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পর্কে বলেন,
ثَلَاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ
প্রতি মাসে তিনটি এবং এক রমযানের পর অন্য রমযান সিয়াম পালন করা সারা বছর সিয়াম পালনের সমান।
ثَلَاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ
প্রতি মাসে তিনটি এবং এক রমযানের পর অন্য রমযান সিয়াম পালন করা সারা বছর সিয়াম পালনের সমান।
মুসলিম: ১১৬২
অনুরূপ আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
أَوْصَانِي خَلِيلِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلاَثٍ... «صِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ
আমাকে আমার বন্ধু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন।... এর মাঝে উল্লেখ করলেন: প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন
أَوْصَانِي خَلِيلِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلاَثٍ... «صِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ
আমাকে আমার বন্ধু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন।... এর মাঝে উল্লেখ করলেন: প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন
বুখারী: ১১৭৮; মুসলিম: ৭২১
তবে উত্তম হচ্ছে, এ তিন দিনের সাওম أيام الْبِيض অর্থাৎ চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে হওয়া।
কারণ,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ যর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন:
يَا أَبَا ذَرٍّ، إِذَا صُمْتَ مِنَ الشَّهْرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ، وَخَمْسَ عَشْرَةَ
হে আবূ যর! তুমি যখন প্রতি মাসে তিনদিন সিয়াম পালন করবে তখন তা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করবে।
يَا أَبَا ذَرٍّ، إِذَا صُمْتَ مِنَ الشَّهْرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ، وَخَمْسَ عَشْرَةَ
হে আবূ যর! তুমি যখন প্রতি মাসে তিনদিন সিয়াম পালন করবে তখন তা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করবে।
আহমদ ৫/১৫০; তিরমিযী: ৭৬১
উল্লেখিত হাদিসত্রয় দ্বারা একথা স্পষ্ট যে, চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখা প্রমাণিত ও আমলযোগ্য একটি বিষয়।
আপনি শাওয়াল মাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখলে কয়েকটি হাদিসের উপর আমল হয়ে গেল।
এরপর বাকি তিনটি রোযা আপনি শাওয়াল মাসের সোম ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে থেকে যে কোন তিনদিন রাখলেন। তাহলে কি হবে জানেনে?
চলুন! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এর কয়েকটি হাদিস থেকেই দেখে নেই-
সহিহ মুসলিমে এসেছে, প্রতি সোমবারের সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বললেন, সোমবার আমি জন্মগ্রহণ করেছি ও সোমবার নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়েছি এবং সোমবার আমার ওপর কুরআন নাযিল হয়েছে।
মুসলিম: ১১৬২
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে এক বর্ণনায় আছে,
إنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَحَرَّى صِيَامَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করার ব্যাপারে যত্নবান ছিলেন। এ হাদীসটি আবু দাউদ ব্যতীত ছয় গ্রন্থকারের বাকী সবাই সংকলন করেছেন। আবু দাউদে তা উসামা ইবন যায়েদ থেকে বর্ণিত।
إنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَحَرَّى صِيَامَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করার ব্যাপারে যত্নবান ছিলেন। এ হাদীসটি আবু দাউদ ব্যতীত ছয় গ্রন্থকারের বাকী সবাই সংকলন করেছেন। আবু দাউদে তা উসামা ইবন যায়েদ থেকে বর্ণিত।
আহমাদ: ৬/৮০, ৮৯, ১০৬; তিরমিযী: ৭৪৫; নাসাঈ: ৪/২০২, ২০৩; ইবন মাজাহ: ১৭৩৯
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالخَمِيسِ، فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ
বনি আদমের আমল সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। আমার আমল সিয়াম অবস্থায় পেশ হওয়া আমি পছন্দ করি।
তিরমিযী: ৭৪৭
উল্লেখিত হাদিসত্রয় দ্বারা একথা স্পষ্ট যে, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা প্রমাণিত ও আমলযোগ্য একটি বিষয়। এবং স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল।
তাহলে ভাই! শাওয়াল মাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে তিনটি রোযা রাখা। আর বাকি তিনটি রোযা শাওয়াল মাসের সোম ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে থেকে যে কোন তিনদিন রাখা। এভাবে শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা যেতে পারে।
অথবা আপনি চাইলে ইদুল ফিতরের পরদিন (২রা শাওয়াল) থেকে লাগাতর ছয়দিন (৭ই শাওয়াল) রাথতে পারেন। কোন সমস্যা নেই।
অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখতে পারবেন অর্থ্যাৎ একটি রাখলেন এরপর কয়েকদিন রাখলেন না। আবার একটি রাখলেন। এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখতে পারেন। ইদুল ফিতরের দিন ব্যতীত এ মাসে মোট ছয়টি রোযা রাখলেই হবে।
এবার আসুন! শাওয়াল মাসের ছয় রোযা সম্পর্কে হাদিস থেকে জেনে নেই-
সহিহ মুসলিমে আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ
যে ব্যক্তি রমযানে সিয়াম পালন করবে, অতঃপর শাওয়ালের আরো ছয়টি সিয়াম পালন করবে, সে সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য সাওয়াব প্রাপ্ত হবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ
যে ব্যক্তি রমযানে সিয়াম পালন করবে, অতঃপর শাওয়ালের আরো ছয়টি সিয়াম পালন করবে, সে সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য সাওয়াব প্রাপ্ত হবে।
মুসলিম: ১১৬৪
উলামায়ে কেরাম বলেন,
এ হাদিসে বিশেষ এক দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তা হলো-রামাদানে সিয়াম পালন করবে! অর্থ্যাৎ যে ব্যক্তি রামাদানে সিয়াম পালন করবে। এরপর শাওয়ালের আরো ছয়টি রোযা রাখবে। রামাদানে পরিপূর্ণভাবে সিয়াম পালনকারীর জন্য এ ফাযায়েল।
হাদিসে ثُمَّ أَتْبَعَهُ বলে এদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এবার আসুন! এক বছরের সাওয়াব কীভাবে হবে? হিসাব মিলিয়ে দেখি-
আল্লাহ তাআলা বলেন,
مَنْ جَاء بالحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أمْثَالِهَا
যে ব্যক্তি নেক কর্ম করবে, তার জন্য তার দশ সমতুল্য প্রতিদান রয়েছে।
مَنْ جَاء بالحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أمْثَالِهَا
যে ব্যক্তি নেক কর্ম করবে, তার জন্য তার দশ সমতুল্য প্রতিদান রয়েছে।
সূরা আনআম ১৬০
আল্লাহ তাআলার ঘোষণা হলো প্রত্যেক আমলের সাওয়াব কমপক্ষে ১০গুন। বেশি তো আছেই....
রামাদানের ৩০ রোযা=৩০×১০=৩০০
শাওয়ালের ৬ রোযা= ৬×১০=৬০
তাহলে ৩০০+৬০ = ৩৬০ অর্থ্যাৎ আরবি মাসের হিসাব অনুযায়ী আরবি বছর ৩৬০ দিনেও হয়। সে হিসাব সারা বছর রোযা রাখার সাওয়াব পাওয়া যাবে।
(রামাদানের ৩০ রোযায় ৩০০ দিন রোযা রাখার সাওয়াব। আর শাওয়ালের ৬ রোযায় ৬০ দিন রোযা রাখার সাওয়াব। মোট ৩৬০ দিন। যা চন্দ্র মাস গণনায় এক বছর হয়। সে হিসাবে রামাদানের ৩০ রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ৬ রোযা রাখলে এক বছর অর্থ্যাৎ সারা বছর রোযা রাখার মত)
তো ভাইয়েরা আমার! আমরা চেষ্টা করবো শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখার জন্য। আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন। আমিন
আরো কিছু কথা-
সালাফদের বিশেষ একটি আমল
আমাদের সালাফগণ রামাদান মাসে তো বেশি বেশি আমল করতেন। পাশাপাশি রামাদানের পরও আমল করতেন। তবে তাঁরা বিশেষ যে কাজটি করতেন তা হলো-রামাদানে যে আমলগুলো করতেন । রামাদানের পরে এগুলো যাতে কবুল হয়,সেজন্য বেশি বেশি দুআ করতেন। এমনকি আমাদের সালাফগণ সারা বছর রামাদানের আমলগুলো কবুলের দুআ করতেন।
আমাদেরও উচিত আল্লাহর কাছে দুআ করা-যাতে করে আমাদের রামাদানের আমলগুলো আল্লাহ কবুল করেন
পাশাপাশি আমরা আমাদের আমলকে বাড়িয়ে দিব। কেননা,আমল তো করে যেতে হবে মৃত্যু যতক্ষণ না আসে ততক্ষণ।
রমযান মাস শেষ হয়ে গেল। কিন্তু মুমিনের আমল তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেষ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
وَٱعۡبُدۡ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأۡتِيَكَ ٱلۡيَقِينُ
আপনি আপনার প্রভুর ইবাদত করুন, আপনার মৃত্যু আসা পর্যন্ত।
وَٱعۡبُدۡ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأۡتِيَكَ ٱلۡيَقِينُ
আপনি আপনার প্রভুর ইবাদত করুন, আপনার মৃত্যু আসা পর্যন্ত।
সূরা হিজরঃ আয়াত ৯৯
তিনি আরো বলেন:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর যথাযথ তাকওয়া অবলম্বন কর। আর তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর যথাযথ তাকওয়া অবলম্বন কর। আর তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
সূরা আলে-ইমরানঃ আয়াত ১০২
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ
মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়।
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ
মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়।
তিরমিযী: ১৩৭৬
এখানে একমাত্র মৃত্যুকেই মানুষের আমলের পরিসমাপ্তি ধরা হয়েছে। সুতরাং রমযান মাসের সাওম শেষ হলেও ঈমানদারের আমল সিয়াম পালনের দ্বারাই বন্ধ হয়ে যাবে না; কারণ সিয়াম তো তারপরও প্রতি বছর থাকবে। আর আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা।
পরিশেষে! সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আমাকে লেখার তাউফিক দান করেছেন এবং আপনাদের পড়ার তাউফিক দান করেছেন। এখন আমাদের কাজ হলো এ বিষয়টি আমল করা। আমরা এখনো যারা এ মাসে ছয়টি রোযা রাখিনি। এখনও ঢের সময় আছে। আমরা সবাই আমল করলে আমাদেরই ফায়দা হবে। আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন। আমিন
বিঃদ্রঃ সংগৃহীত এবং সংযোজিত
Comment