Announcement

Collapse
No announcement yet.

খাওয়ারেজের বিরুদ্ধে লড়াই করার মহা ফাযীলাহ - ২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • খাওয়ারেজের বিরুদ্ধে লড়াই করার মহা ফাযীলাহ - ২

    দ্বিতীয় ফাযীলাহ : খাওয়ারেজ হত্যাকারীর জন্য রয়েছে মহা প্রতিদান

    আলী রাঃ থেকে সহীহাইনে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,
    حَدَّثْتُكُمْ عن رَسولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ حَدِيثًا، فَواللَّهِ لَأَنْ أخِرَّ مِنَ السَّماءِ، أحَبُّ إلَيَّ مِن أنْ أكْذِبَ عليه، وإذا حَدَّثْتُكُمْ فِيما بَيْنِي وبيْنَكُمْ، فإنَّ الحَرْبَ خِدْعَةٌ، وإنِّي سَمِعْتُ رَسولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ يقولُ: سَيَخْرُجُ قَوْمٌ في آخِرِ الزَّمانِ، أحْداثُ الأسْنانِ، سُفَهاءُ الأحْلامِ، يقولونَ مِن خَيْرِ قَوْلِ البَرِيَّةِ، لا يُجاوِزُ إيمانُهُمْ حَناجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ، كما يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، فأيْنَما لَقِيتُمُوهُمْ فاقْتُلُوهُمْ، فإنَّ في قَتْلِهِمْ أجْرًا لِمَن قَتَلَهُمْ يَومَ القِيامَةِ
    আমি যখন রাসূল থেকে তোমাদের কোনো হাদীস বর্ণনা করি- আল্লাহর শপথ! তখন রাসূলুল্লাহর নামে কোনো মিথ্যা বলার চেয়ে অধিক পছন্দের হলো আমি আসমান থেকে নিচে পতিত হওয়া। আমি যখন তোমাদেরকে আমার ও তোমাদের মাঝে কারো বিষয়ে বর্ণনা করি তাহলে জেনে রেখো, যুদ্ধ হলো ধোঁকা। (অর্থাৎ আমি রাসূল থেকে কোনো কথা গোপন, অথবা বিকৃতি ইত্যাদি করিনা। তবে রাসূল ছাড়া অন্যদের থেকে করি; কারণ যুদ্ধ হলো ধোঁকা।) নিঃসন্দেহে আমি রাসূলকে বলতে শুনেছি যে,শেষ যমানায় অল্প বয়সী নির্বোধ এক জাতি আত্মপ্রকাশ করবে যারা জগতের সর্বোত্তম কথা বলবে। তাদের ঈমান তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনি বেরিয়ে যায় তীর ধনুক থেকে। তোমরা তাদের যেখানে পাবে সেখানেই হত্যা করো। কেননা তাদের হত্যার মধ্যে রয়েছে হত্যাকারীর জন্য কেয়ামতের ময়দানে মহা প্রতিদান। ( সহীহ বুখারী : ৬৯৩০, সহীহ মুসলিম : ১০৬৬)
    এখানে أجر শব্দটি نكرة তথা অনির্দিষ্ট বিশেষ্য এসেছে। আর নাকিরাহ শব্দ আনা হয় প্রাচুর্য এবং আধিক্য বুঝানোর জন্য। অর্থাৎ তাদের হত্যার মাঝে রয়েছে হত্যাকারীর জন্য কেয়ামতের দিন মহা প্রতিদান।
    মোল্লা আলী ক্বারী রহিঃ মিরক্বাতে বলেন, তোমরা তাদের যেখানে পাও সেখানে হত্যা করো। কেননা তাদের হত্যার মধ্যে রয়েছে হত্যাকারীর জন্য কেয়ামতের দিন বিরাট প্রতিদান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ : ৩৫৩৫ নম্বর, ৭/১০০ পৃঃ দারুল ফিকির)
    ইবনে মাসউদ রাঃ এর বর্ণনায় আরো স্পষ্ট ভাবে এসেছে। ইমাম আহমাদ রহিঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বর্ণনা করেছেন,

    قوم في آخر الزمان، سفهاء الأحلام، أحداث - أو قال: حدثاء - الأسنان، يقولون من خير قول الناس، يقرءون القرآن بألسنتهم لا يعدو تراقيهم، يمرقون من الإسلام كما يمرق السهم من الرمية، فمن أدركهم، فليقتلهم، فإن في قتلهم أجرا عظيما عند الله، لمن قتلهم

    শেষ যমানায় অল্প বয়সী নির্বোধ এক জাতির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তারা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কথা বলবে। তারা যবানে কুরআন তেলাওয়াত করবে তবে তা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তীর ধনুক থেকে যেভাবে বেরিয়ে যায় তারাও ইসলাম থেকে সেভাবে বেরিয়ে যাবে। তাই যেই তাদেরকে নাগালে পাবে সেই যেন তাদের হত্যা করে। কেননা আল্লাহর কাছে তাদের হত্যাকারীদের জন্য রয়েছে মহা প্রতিদান। (মুসনাদু আহমাদ : ৩৮৩১, শুয়াইব আরনাউত রহিঃ বলেন, হাদীসটি হাসান সূত্রে বর্ণিত।)
    ইমাম আহমাদ রহিঃ ও হারিস ইবনে উসামা রহিঃ বর্ণনা করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অচিরেই অল্প বয়সী, কুরআনের ব্যাপারে তীব্র বাকপটু এক জাতি আত্মপ্রকাশ করবে। তারা কুরআন পড়বে কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তাদেরকে যেখানে পাও সেখানে হত্যা করো। আবার পেলে আবার হত্যা করো। কেননা তাদের হত্যাকারীকে প্রতিদান দেওয়া হবে। (মুসনাদু আহমাদ : ২০৩৮২, বুগয়াতুল বাহিস : ৭০৪। বুসীরি রহিঃ তার বর্ণনা সূত্রকে সহীহ বলেছেন। ইতহাফুল খিয়ারাহ : ৪/২১৮। শুয়াইব আরনাউত রহিঃ বলেন তার সনদ শক্তিশালী।)
    অর্থাৎ তাদের হত্যাকারীরা প্রকৃতপক্ষে পরিপূর্ণ প্রতিদান লাভ করবে।
    আল্লামা বাদরুদ্দীন আহনী রহিঃ বলেন, নিঃসন্দেহে তাদের হত্যার মধ্যে রয়েছে মহা প্রতিদান ; কারণ তারা মুসলিমদের ঐক্য নষ্ট করার জন্য জমিনে জিহাদের পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। (উমদাতুল ক্বারী : ১৬/১৪৪)
    কোনো বিষয়কে অস্পষ্ট কিংবা অনির্দিষ্ট করে আনার ক্ষেত্রে আরবদের একটি উদ্দেশ্য হলো ঐ অস্পষ্ট বা অনির্দিষ্ট বিষয়ের মর্যাদা বড় করা এবং তার প্রাচুর্য বুঝানো। সুতরাং উপরোক্ত হাদীস সমূহে খাওয়ারেজ হত্যার (أجر) প্রতিদানকে অনির্দিষ্ট করে আনা হয়েছে তার প্রাচুর্য এবং আধিক্য বুঝানোর জন্য।

    তৃতীয় ফাযীলাহ : সর্বোত্তম প্রতিদান হলো খাওয়ারেজ হত্যাকারীর জন্য এবং সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ হলো খারেজিদের হাতে নিহত ব্যক্তি
    আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে কিছু সম্পদ আসলো। তিনি নিজ হাতে সেগুলো বন্টন করে দিচ্ছিলেন। সেখানে কাপড় গুটানো নিদর্শনধারী এক ব্যক্তি ছিলো যার দুই চোখের মাঝে সিজদার চিহ্ন ছিলো। এভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিতে দিতে এক পর্যায়ে সম্পদ শেষ হয়ে গেল। তখন নিদর্শনধারী লোকটি বললো, আজ পর্যন্ত তুমি ইনসাফ করোনি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
    إذا لم أعدل فمن ذا يعدل بعدي، أما إنه ستمرق مارقة يمرقون من الدين مروق السهم من الرمية ثم لا يعودون إليه حتى يرجع السهم على فوقه، يقرؤون القرآن لا يجاوز تراقيهم، يحسنون القول ويسيئون الفعل، فمن لقيهم فليقاتلهم، فمن قتلهم فله أفضل الأجر، ومن قتلوه فله أفضل الشهادة، هم شر البرية برىء الله منهم، يقتلهم أولى الطائفتين بالحق
    আমি ইনসাফ না করলে আমার পরে কে ইনসাফ করবে? জেনে রেখো, নিঃসন্দেহে অচিরেই এক পথভ্রষ্ট জাতি দ্বীন থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর তারা আর ফিরে আসবে না যতক্ষণ না তীর তার ধনুকে ফিরে আসে। তারা কুরআন পড়বে কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ভালো কথা বলবে আর মন্দ কাজ করবে। যে তাদের হত্যা করবে তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান। আর তারা যাকে হত্যা করবে তার জন্য রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ শাহাদাহ। তারা জগদ্বাসীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। আল্লাহ তাদের থেকে মুক্ত। তাদেরকে দুইটি দলের মধ্যে হকের অধিক নিকটবর্তী দলটি হত্যা করবে। ( আল মুসতাদরাক লিল হাকিম : ২৬৫৯, ইমাম যাহবী রহিঃ তাকে সহীহ বলেছেন।)
    এই হাদীস থেকে বুঝা যায় তাদের হত্যাকারীর জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান এবং তাদের হাতে নিহত ব্যক্তির জন্য রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ শাহাদাহ।


    চলবে ইনশাআল্লাহ....


    খাওয়ারেজ হত্যার মহা ফাযীলাহ!! - ১
    https://dawahilallah.com/showthread.php?23896

  • #2
    বারাকাল্লাহ ভাই চালিয়ে যান আল্লাহ তা'য়ালা আপনার ইল্মে বারাকাহ দান করুক আমিন

    Comment


    • #3
      ধারাবাহিভাবে চলমান থাকুক......এই শুভ কামনা।
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment

      Working...
      X