খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেয়ে উত্তম হওয়ার ব্যাপারে যে সকল বর্ণনা এসেছে সেগুলো দিয়ে শেষ করবো।
ইবনু আবী শাইবাহ রহিঃ এই অর্থেই কা'ব আল আহবার রহিঃ থেকে বর্ণনা করেছেন, যাকে খাওয়ারিজ হত্যা করে তার জন্য রয়েছে দশটি নূর। শহীদের চেয়ে আটটি বেশি। ( মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবাহ : ৩৭৯১১)
এই সনদের প্রত্যেক বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত । আর কা'ব আল আহবার রহিঃ বনু ইসরাইল থেকে কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন যা আমরা সত্যায়নও করিনা আবার মিথ্যাও বলিনা।
ইমাম আজুররী রহিঃ কা'ব আল আহবার রহিঃ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শহীদের দুটি নূর/ আলো। আর যাকে খাওয়ারিজ হত্যা করেছে তার দশটি নূর ( আশারীয়াহ : ৪১)
ইবনু হুবায়রা রহিঃ আলী রাঃ এর পূর্ববর্তী হাদীস ( لولا أن تبطروا لحدّثتكم بما وعد الله الذين يقتلونهم على لسان محمد) এ বলেন, এটা উল্লেখ করেছেন যাতে করে কেউ খারিজি ফিতনা আত্মপ্রকাশ কালে তাদের সাথে লড়াই করার চেয়ে মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে অগ্রগণ্য মনে না করে। বরং এই বর্ণনা অনুযায়ী খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা অধিক উত্তম মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেয়ে। কারণ এতে করে ইসলামের মূল পুঁজি রক্ষা হবে। আর মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে লাভ অর্জন হবে। (আল ইফসাহ : ১/২৮০) এই ব্যাখ্যাটি ঐ সময়ে প্রযোজ্য হবে যখন কিতাল ফরযে কেফায়া হবে।
ইবনু আবী শাইবাহ রহিঃ আসিম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন : আমি আবু সাঈদ খুদরী রাঃ কে বলতে শুনেছি- যখন তার হাতদ্বয় বার্ধক্যে কাঁপছিলো খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার নিকট অধিক প্রিয় মুশরিকদের বিরুদ্ধে অনেক লড়াইয়ের চেয়ে। (মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবাহ : ৩৭৮৮৬) বর্ণনাকারী আসিম বিন শামীখ অপরিচিত হওয়ায় এই বর্ণনাকে কতিপয় মুহাদ্দিস যয়ীফ বলেছেন।
ইবনু আবী শাইবাহ রহিঃ বর্ণনা করেছেন, আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বলেছেন, খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার নিকট অধিক প্রিয় দাইলামের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেয়ে। (মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবাহ : ৩৭৯৩৮)
দাইলাম হলো আবু সাঈদ খুদরী রাঃ এর যমানায় একটি তুর্কি মুশরিক জাতি।
ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রহিঃ ১২৫ হিজরির বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে উমাইয়া শাসনামলে খাওয়ারিজ ও মুসলিমদের মাঝে ফায়সালা কারী এক যুদ্ধের ব্যাপারে বলেন, খাওয়ারিজের নেতৃত্বে ছিলো আব্দুল ওহিদ আল হুয়ারী এবং মুসলিমদের নেতৃত্বে ছিলেন হানযালাহ ইবনু সাফওয়ান। মাগরিবে ফেতনার রূপ প্রচন্ড আকার ধারণ করলো এবং যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠলো। ওক্কাশাহ আল খারিজি এক বিশাল বাহিনী নিয়ে মোকাবেলায় অগ্রসর হলো। সেদিন এমন ভয়ানক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে যা ইতিপূর্বে কেউ শুনেনি। ওক্কাশাহ পরাজিত হলো। এই বর্বরদের অসংখ্য সৈন্য নিহত হলো। তারপর খাওয়ারিজ আরো অহংকারী হয়ে উঠলো। এবার স্বয়ং নেতা আব্দুল অহিদ আল হুয়ারী অগ্রসর হলো । তখন হানযালাহ চল্লিশ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করলো। অবশেষে মুসলিমরা পরাজিত হলো এবং বিশ হাজার সৈন্য শাহাদাত বরণ করলো। আব্দুল অহিদ আল হুয়ারী কায়রাওয়ান থেকে এক ফারসাখ দূরে অবস্থান গ্রহণ করলো। বলা হয়ে থাকে তখন তার সাথে তিন লক্ষ সৈন্য ছিলো। হানযালাহ ইবনু সাফওয়ান সম্পদ ও অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করলেন এবং দশ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করলেন। সেদিন অনেক হাফিজ, ক্বারী ও ওয়ায়িয কাফেলার সাথে রওনা হলো। আল্লাহর কাছে দোয়া কান্নাকাটি করা হলো। সেটা ছিলো এক ঐতিহাসিক মূহুর্তে। হানযালাহ ইবনু সাফওয়ান কাতারে হেটে হেটে সৈন্যদের জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করেন। বলা হয়ে থাকে মহিলারাও মৃত্যুর শপথ করছিলেন। তারপর মুসলিমরা তাকবীর দিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। প্রথম দিকে মুসলিমদের পরাজয়ের ভাব দেখা গেলো কিন্তু মুসলিমরা সামলে নিয়ে জোরালো আক্রমণ চালালেন। ফলে শত্রু পরাজিত হলো। এবং আব্দুল অহিদ আল হুয়ারীকে হত্যা করে তার কর্তিত মস্তক নিয়ে আসা হলো। এই বর্বরের হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা আর কেউ শুনেনি। ওক্কাশাহকে বন্দি করা হলো। হানযালাহ তাকে হত্যা করলেন। তারপর নিহতদের উপর বাঁশ রেখে গণনা করার নির্দেশ দিলেন। তারপর নিহতদের উপর বাঁশের খন্ড রাখা হলো। দেখা গেল নিহতদের সংখ্যা এক লক্ষ আশি হাজারে গিয়ে দাঁড়ালো। এ এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ যার সমতুল্য কোনো যুদ্ধ ইতিপূর্বে শুনা যায়নি। এই কুকুরগুলো বন্দি মহিলা ও শিশুদের রক্ত হালাল মনে করে এবং আহলে ক্বিবলাকে কাফির বলে। এই যুদ্ধটি غزوة الأصنام তথা মূর্তির লড়াই নামে পরিচিত। ( তারিখুল ইসলাম : ৬/৮)
লাইস ইবনু সা'দ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার বদর যুদ্ধের পর গাযওয়াতুল আসনামের চেয়ে অধিক প্রিয় যুদ্ধ আর নেই যাতে আমি অংশগ্রহণ করবো।
এই সনদের প্রত্যেক বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত । আর কা'ব আল আহবার রহিঃ বনু ইসরাইল থেকে কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন যা আমরা সত্যায়নও করিনা আবার মিথ্যাও বলিনা।
ইমাম আজুররী রহিঃ কা'ব আল আহবার রহিঃ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শহীদের দুটি নূর/ আলো। আর যাকে খাওয়ারিজ হত্যা করেছে তার দশটি নূর ( আশারীয়াহ : ৪১)
ইবনু হুবায়রা রহিঃ আলী রাঃ এর পূর্ববর্তী হাদীস ( لولا أن تبطروا لحدّثتكم بما وعد الله الذين يقتلونهم على لسان محمد) এ বলেন, এটা উল্লেখ করেছেন যাতে করে কেউ খারিজি ফিতনা আত্মপ্রকাশ কালে তাদের সাথে লড়াই করার চেয়ে মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে অগ্রগণ্য মনে না করে। বরং এই বর্ণনা অনুযায়ী খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা অধিক উত্তম মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেয়ে। কারণ এতে করে ইসলামের মূল পুঁজি রক্ষা হবে। আর মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে লাভ অর্জন হবে। (আল ইফসাহ : ১/২৮০) এই ব্যাখ্যাটি ঐ সময়ে প্রযোজ্য হবে যখন কিতাল ফরযে কেফায়া হবে।
ইবনু আবী শাইবাহ রহিঃ আসিম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন : আমি আবু সাঈদ খুদরী রাঃ কে বলতে শুনেছি- যখন তার হাতদ্বয় বার্ধক্যে কাঁপছিলো খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার নিকট অধিক প্রিয় মুশরিকদের বিরুদ্ধে অনেক লড়াইয়ের চেয়ে। (মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবাহ : ৩৭৮৮৬) বর্ণনাকারী আসিম বিন শামীখ অপরিচিত হওয়ায় এই বর্ণনাকে কতিপয় মুহাদ্দিস যয়ীফ বলেছেন।
ইবনু আবী শাইবাহ রহিঃ বর্ণনা করেছেন, আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বলেছেন, খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমার নিকট অধিক প্রিয় দাইলামের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেয়ে। (মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবাহ : ৩৭৯৩৮)
দাইলাম হলো আবু সাঈদ খুদরী রাঃ এর যমানায় একটি তুর্কি মুশরিক জাতি।
ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রহিঃ ১২৫ হিজরির বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে উমাইয়া শাসনামলে খাওয়ারিজ ও মুসলিমদের মাঝে ফায়সালা কারী এক যুদ্ধের ব্যাপারে বলেন, খাওয়ারিজের নেতৃত্বে ছিলো আব্দুল ওহিদ আল হুয়ারী এবং মুসলিমদের নেতৃত্বে ছিলেন হানযালাহ ইবনু সাফওয়ান। মাগরিবে ফেতনার রূপ প্রচন্ড আকার ধারণ করলো এবং যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠলো। ওক্কাশাহ আল খারিজি এক বিশাল বাহিনী নিয়ে মোকাবেলায় অগ্রসর হলো। সেদিন এমন ভয়ানক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে যা ইতিপূর্বে কেউ শুনেনি। ওক্কাশাহ পরাজিত হলো। এই বর্বরদের অসংখ্য সৈন্য নিহত হলো। তারপর খাওয়ারিজ আরো অহংকারী হয়ে উঠলো। এবার স্বয়ং নেতা আব্দুল অহিদ আল হুয়ারী অগ্রসর হলো । তখন হানযালাহ চল্লিশ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করলো। অবশেষে মুসলিমরা পরাজিত হলো এবং বিশ হাজার সৈন্য শাহাদাত বরণ করলো। আব্দুল অহিদ আল হুয়ারী কায়রাওয়ান থেকে এক ফারসাখ দূরে অবস্থান গ্রহণ করলো। বলা হয়ে থাকে তখন তার সাথে তিন লক্ষ সৈন্য ছিলো। হানযালাহ ইবনু সাফওয়ান সম্পদ ও অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করলেন এবং দশ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করলেন। সেদিন অনেক হাফিজ, ক্বারী ও ওয়ায়িয কাফেলার সাথে রওনা হলো। আল্লাহর কাছে দোয়া কান্নাকাটি করা হলো। সেটা ছিলো এক ঐতিহাসিক মূহুর্তে। হানযালাহ ইবনু সাফওয়ান কাতারে হেটে হেটে সৈন্যদের জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করেন। বলা হয়ে থাকে মহিলারাও মৃত্যুর শপথ করছিলেন। তারপর মুসলিমরা তাকবীর দিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। প্রথম দিকে মুসলিমদের পরাজয়ের ভাব দেখা গেলো কিন্তু মুসলিমরা সামলে নিয়ে জোরালো আক্রমণ চালালেন। ফলে শত্রু পরাজিত হলো। এবং আব্দুল অহিদ আল হুয়ারীকে হত্যা করে তার কর্তিত মস্তক নিয়ে আসা হলো। এই বর্বরের হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা আর কেউ শুনেনি। ওক্কাশাহকে বন্দি করা হলো। হানযালাহ তাকে হত্যা করলেন। তারপর নিহতদের উপর বাঁশ রেখে গণনা করার নির্দেশ দিলেন। তারপর নিহতদের উপর বাঁশের খন্ড রাখা হলো। দেখা গেল নিহতদের সংখ্যা এক লক্ষ আশি হাজারে গিয়ে দাঁড়ালো। এ এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ যার সমতুল্য কোনো যুদ্ধ ইতিপূর্বে শুনা যায়নি। এই কুকুরগুলো বন্দি মহিলা ও শিশুদের রক্ত হালাল মনে করে এবং আহলে ক্বিবলাকে কাফির বলে। এই যুদ্ধটি غزوة الأصنام তথা মূর্তির লড়াই নামে পরিচিত। ( তারিখুল ইসলাম : ৬/৮)
লাইস ইবনু সা'দ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার বদর যুদ্ধের পর গাযওয়াতুল আসনামের চেয়ে অধিক প্রিয় যুদ্ধ আর নেই যাতে আমি অংশগ্রহণ করবো।
সমাপ্ত আলহামদুলিল্লাহ
تمت بعون الله تعالى وتوفيقه
تمت بعون الله تعالى وتوفيقه
খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করার মহা ফাযীলাহ - ১
খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করার মহা ফাযীলাহ - ২
খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করার মহা ফাযীলাহ - ৩
খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে লড়াই করার মহা ফাযীলাহ - ৪
https://dawahilallah.com/showthread.php?24034
প্রিয় ভাইদের নেক দোয়ার আশায়!
Comment