Tweet
বেশ কয়েকদিন আগে এই পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই নিজের বাসা থেকে সামান্য কাপড়,টাকা আর ল্যাপটপ নিয়ে বাসা থেকে আল্লাহর নামে বের হয়ে পড়ি। বুঝতে পারছিলাম না যে কোথায় যাবো , কারণ আত্মীয় স্বজন কারো বাসাই তখন নিরাপদ না। তাই চলে গেলাম প্রায় ২ বছর পুরনো এক ভাইয়ের বাসায়। উনি আর আমি আগে একই হালাকায় অংশগ্রহন করতাম। গিয়ে দেখি উনি বাসায় নেই, এলাকায় আসতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। তাই এবার গেলাম এই হালাকারই আরেক ভাই এর বাসায়। গিয়ে বললাম ভাই আমার আজকে রাতে থাকার জায়গা নাই, আপনি কি জাহিদ (এটা আমার দেয়া নাম, এই পোস্টে ইউজ করার জন্য)ভাইকে একটু ম্যাসেজ দিবেন যেন উনি আমাকে আজ রাতটুকু উনার বাসায় থাকতে দেন। আসলে আমি সেই ভাইকে এই কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল যাতে তিনি আমাকে বলেন যে আপনার জাহিদ ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার দরকার নাই, আমার বাসাতেই থাকেন। কিন্তু আমি চরম আশাহত হলাম উনি কিছুই বললেন না। যাই হোক একটু পরে জাহিদ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হল। উনি আমাকে এমন স্থানে যেতে বললেন যা আমি চিনি না। আমি বারবার জাহিদ ভাইকে বললাম ভাই আপনি আমাকে এই জায়গা থেকে রিসিভ করেন কিন্তু আল্লাহ্* ভালো জানেন কেন উনি আমার বলা জায়গায় আসলেন না।
জাহিদ ভাইয়ের সাথে যখন এই কথাগুলো হচ্ছিল তখন ২য় ভাই সবই শুনছিলেন কিন্তু সুবহান আল্লাহ্* উনি একবারও বললেন না ভাই আজকের রাত আমার বাসায় থাকেন । কিন্তু উনার পক্ষে এটা খুবই সহজ ছিল।
হাসবি'আল্লাহ, তারপর আবার আল্লাহ্*র নামে বের হয়ে প্রায় রাত ৯ টা পর্যন্ত ইতস্তত ঘুরে বেড়ালাম। যখন আর কোন উপায় নেই তখন লাস্ট চান্স হিসেবে গেলাম এক পুরাতন তাবলিগি ভাইয়ের কাছে। গিয়ে নিজের অবস্থা জানিয়ে বললাম আজকে রাতে কি থাকা যাবে? সুবহান আল্লাহ্* উনি প্রথমে বললেন তুমি কি রাতে খেয়েছ আমি বললাম না। উনি আমার জন্য খাবার কিনে আনলেন। রাতে থাকতে দিলেন । যখন পরদিন সকালে চলে যাচ্ছি তখন তিনি আমাকে অনেক টাকা দিতে চাইলেন । আল্লাহু আকবর উনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন শুধু ইসলামি ভাত্তৃত বোধের কারনেই ।
সুবহান আল্লাহ্* আমি অবাক হলাম কি লাভ হল এক হালাকায় বসে আল ওয়ালা আল বারার আলোচনা করে!! সূরা তওবার তাফসীর পড়ে!! আরও বিভিন্ন কিতাব পড়ে!!
এই কি ছিল আপনাদের ইসলামি ভাতৃতবোধ !! প্রিয় ভাই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ আপনার মামা বাড়ির কোন আবদার না। এটা একটা ইবাদত। আপনি সারাদিন বিভিন্ন জামাতের দোষ গুণ নিয়ে হাসাহাসি করলেন আর যখন আপনার পরীক্ষা আল্লাহ্* নিলেন তখন আপনি হয়ে গেলেন ভীতুর ডিম। আফসোস আপনার জন্য । আপনি কি মনে করেছেন পরীক্ষা শুধু মদিনার আনসার আর মক্কার মুহাজিরদের জন্যই!!! আপনার উপরে কি পরীক্ষা আসবে না?? অবশ্যই আসবে।। কখনো হিজরত করে বাসা ছাড়তে হবে আবার কখনো অন্য ভাইকে মদিনার আনসারদের মত নিজের বাসায় থাকতে দিতে হবে। আপনি কি জিহাদকে ফেসবুকে বড় বড় স্ট্যাটাস দেয়া আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলার মাঝেই সীমাবদ্ধ মনে করেন??
আল্লাহর কসম আমি আপনাদের জন্য সেই কালো গরুর মত যার উদাহরণ ইমাম আনোয়ার আল আউলাকি (রাহিঃ)দিয়েছিলেন। আপনারা তো এই ভয়েই আমাকে আপনাদের (নিরাপদ !!)ঘরে আশ্রয় দেন নি যাতে করে কোন ঝামেলায় না পড়ে যান । আফসোস আপনারা কি এটা কখনো চিন্তা করেছেন আমাকে যদি তাগুতের বাহিনী সেদিন/ কোন দিন গ্রেফতার করে তাহলে আপনাদের কি হবে?? আপনারা যা ভয় করেন তাই হবে (আল্লাহ্* না করুন) ।
আমি আমার সকল দায়ী ভাইদের বলতে চাই আপনারা কখনো এটা ভাববেন না যে আল্লাহ্* আপনাকে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বুঝার তৌফিক দিয়েছেন তার পরীক্ষা নিবেন না। আল্লাহ্* আসমান থেকে নিচে নেমে এসে আপনাকে কোন খাতা / কলম দিয়ে বলবেন না যে এইবার তুমি তাওহিদের প্রকারভেদ লিখ এটা তোমার পরীক্ষা।
আল্লাহর কসম! আল্লাহ আপনার পরীক্ষা নিবেন বিভিন্ন হালতের মাঝ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে, আল্লাহ্* আপনাকে পরীক্ষা করবেন আম্মার (রাজিঃ) এর মত করে। যার সামনে তার মাকে শহীদ করা হয়েছে, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন আবু সালামা (রাজিঃ) এর মত করে যার থেকে তার স্ত্রী আর বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া হয়েছিল, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন খুবাইব, খাব্বাব আর বেলাল (রাজিঃ) এর মত, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন সুহাইব রুমি (রাজিঃ) এর মত করে যিনি হিজরত করে সকল সম্পত্তি কুরাইশদেরকে দিয়ে দেন, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন আবু আইয়ুব আনসারী (রাজিঃ) এর মত করে।।। আল্লাহর কসম আল্লাহ্* দেখে নিবেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী।
যদি নিজের বাবা-মাকে নিজের চোখের সামনে শহীদ হতে দেখতে,নিজের স্ত্রীকে অস্মমানিত হতে দেখতে, সন্তানকে এতিম অবস্থায় দেখতে, নিজে সন্তানহারা হতে রাজি থাকেন তবেই এই জিহাদি কাফেলায় আপনায় স্বাগতম, নয়তো আপনার মত দুধের মাছির কোন দরকার আমার রব আল্লাহর নাই। আমার রব অবশ্যই তাদেরকেই কবুল করবেন যারা আমার মওলার সাথে সত্যবাদী।
সালাম বর্ষিত হোক নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ), তারা সাহাবা (রাজিঃ), এবং তাদের প্রতি যারা হেদায়েতের অনুসরন করে।
জাহিদ ভাইয়ের সাথে যখন এই কথাগুলো হচ্ছিল তখন ২য় ভাই সবই শুনছিলেন কিন্তু সুবহান আল্লাহ্* উনি একবারও বললেন না ভাই আজকের রাত আমার বাসায় থাকেন । কিন্তু উনার পক্ষে এটা খুবই সহজ ছিল।
হাসবি'আল্লাহ, তারপর আবার আল্লাহ্*র নামে বের হয়ে প্রায় রাত ৯ টা পর্যন্ত ইতস্তত ঘুরে বেড়ালাম। যখন আর কোন উপায় নেই তখন লাস্ট চান্স হিসেবে গেলাম এক পুরাতন তাবলিগি ভাইয়ের কাছে। গিয়ে নিজের অবস্থা জানিয়ে বললাম আজকে রাতে কি থাকা যাবে? সুবহান আল্লাহ্* উনি প্রথমে বললেন তুমি কি রাতে খেয়েছ আমি বললাম না। উনি আমার জন্য খাবার কিনে আনলেন। রাতে থাকতে দিলেন । যখন পরদিন সকালে চলে যাচ্ছি তখন তিনি আমাকে অনেক টাকা দিতে চাইলেন । আল্লাহু আকবর উনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন শুধু ইসলামি ভাত্তৃত বোধের কারনেই ।
সুবহান আল্লাহ্* আমি অবাক হলাম কি লাভ হল এক হালাকায় বসে আল ওয়ালা আল বারার আলোচনা করে!! সূরা তওবার তাফসীর পড়ে!! আরও বিভিন্ন কিতাব পড়ে!!
এই কি ছিল আপনাদের ইসলামি ভাতৃতবোধ !! প্রিয় ভাই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ আপনার মামা বাড়ির কোন আবদার না। এটা একটা ইবাদত। আপনি সারাদিন বিভিন্ন জামাতের দোষ গুণ নিয়ে হাসাহাসি করলেন আর যখন আপনার পরীক্ষা আল্লাহ্* নিলেন তখন আপনি হয়ে গেলেন ভীতুর ডিম। আফসোস আপনার জন্য । আপনি কি মনে করেছেন পরীক্ষা শুধু মদিনার আনসার আর মক্কার মুহাজিরদের জন্যই!!! আপনার উপরে কি পরীক্ষা আসবে না?? অবশ্যই আসবে।। কখনো হিজরত করে বাসা ছাড়তে হবে আবার কখনো অন্য ভাইকে মদিনার আনসারদের মত নিজের বাসায় থাকতে দিতে হবে। আপনি কি জিহাদকে ফেসবুকে বড় বড় স্ট্যাটাস দেয়া আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলার মাঝেই সীমাবদ্ধ মনে করেন??
আল্লাহর কসম আমি আপনাদের জন্য সেই কালো গরুর মত যার উদাহরণ ইমাম আনোয়ার আল আউলাকি (রাহিঃ)দিয়েছিলেন। আপনারা তো এই ভয়েই আমাকে আপনাদের (নিরাপদ !!)ঘরে আশ্রয় দেন নি যাতে করে কোন ঝামেলায় না পড়ে যান । আফসোস আপনারা কি এটা কখনো চিন্তা করেছেন আমাকে যদি তাগুতের বাহিনী সেদিন/ কোন দিন গ্রেফতার করে তাহলে আপনাদের কি হবে?? আপনারা যা ভয় করেন তাই হবে (আল্লাহ্* না করুন) ।
আমি আমার সকল দায়ী ভাইদের বলতে চাই আপনারা কখনো এটা ভাববেন না যে আল্লাহ্* আপনাকে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বুঝার তৌফিক দিয়েছেন তার পরীক্ষা নিবেন না। আল্লাহ্* আসমান থেকে নিচে নেমে এসে আপনাকে কোন খাতা / কলম দিয়ে বলবেন না যে এইবার তুমি তাওহিদের প্রকারভেদ লিখ এটা তোমার পরীক্ষা।
আল্লাহর কসম! আল্লাহ আপনার পরীক্ষা নিবেন বিভিন্ন হালতের মাঝ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে, আল্লাহ্* আপনাকে পরীক্ষা করবেন আম্মার (রাজিঃ) এর মত করে। যার সামনে তার মাকে শহীদ করা হয়েছে, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন আবু সালামা (রাজিঃ) এর মত করে যার থেকে তার স্ত্রী আর বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া হয়েছিল, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন খুবাইব, খাব্বাব আর বেলাল (রাজিঃ) এর মত, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন সুহাইব রুমি (রাজিঃ) এর মত করে যিনি হিজরত করে সকল সম্পত্তি কুরাইশদেরকে দিয়ে দেন, আল্লাহ্* আপনার পরীক্ষা নিবেন আবু আইয়ুব আনসারী (রাজিঃ) এর মত করে।।। আল্লাহর কসম আল্লাহ্* দেখে নিবেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী।
যদি নিজের বাবা-মাকে নিজের চোখের সামনে শহীদ হতে দেখতে,নিজের স্ত্রীকে অস্মমানিত হতে দেখতে, সন্তানকে এতিম অবস্থায় দেখতে, নিজে সন্তানহারা হতে রাজি থাকেন তবেই এই জিহাদি কাফেলায় আপনায় স্বাগতম, নয়তো আপনার মত দুধের মাছির কোন দরকার আমার রব আল্লাহর নাই। আমার রব অবশ্যই তাদেরকেই কবুল করবেন যারা আমার মওলার সাথে সত্যবাদী।
সালাম বর্ষিত হোক নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ), তারা সাহাবা (রাজিঃ), এবং তাদের প্রতি যারা হেদায়েতের অনুসরন করে।
Comment