শুরু করছি বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহিমান্বিত আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু
সর্বাধিক তারিফ একমাত্র সেই মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর জন্য যিনি সর্বশক্তির আধার।তিনিই সেই পবিত্র সত্তা যিনি এক ও অদ্বিতীয়।আর ইয়াহুদি কাফের মুসরিকেরা তাঁর সম্পর্কে যা বলে ও করে তা থেকে তিনি মহাপবিত্র।বস্তুত তিনিই হলেন মুমিন মুজাহিদিন্দের একমাত্র হেফাজতকারি সাহায্যকারি আর উত্তম অভিভাবক।মহান রব বলেন –
"যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল্ল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে। আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।"
অসংখ্য ও অগণিত দুরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের চক্ষু শীতলকারী রহমাতুল্লিলআলামিন সাইয়েদুল মুরসালিন সাইয়েদুল মুজাহিদিন মুহাম্মাদ (সঃ) এর উপর। যিনি বলেন –
"ইমানদার ব্যক্তির উদাহরণ শস্যের নরম ডগার ন্যায়, বাতাস যে দিকেই বয়ে চলে, সেদিকেই তার পত্র-পল্লব ঝুঁকে পড়ে। বাতাস যখন থেমে যায়, সেও স্থির হয়ে দাঁড়ায়। ইমানদারগণ বালা-মুসিবত দ্বারা এভাবেই পরীক্ষিত হন। কাফেরদের উদাহরণ দেবদারু (শক্ত পাইন) বৃক্ষের ন্যায়, যা একেবারেই কঠিন ও সোজা হয়। আল্লাহ যখন ইচ্ছা করেন, তা মূলসহ উপড়ে ফেলেন।"
আমার চক্ষু শীতলকারী সাইয়েদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদ (স) আরও বলেন -
"জেনে রেখ, সমস্ত মানুষ জড়ো হয়ে যদি তোমার উপকার করতে চায়, কোনও উপকার করতে পারবে না, তবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আবার তারা সকলে মিলে যদি তোমার ক্ষতি করতে চায়, কোনও ক্ষতি করতে পারবে না, তবে যততুটু আল্লাহ তোমার কপালে লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, কিতাব শুকিয়ে গেছে।"
হে আমার প্রিয় ও সম্মানিত ভাইয়েরা
যুদ্ধ,সেতো পাহাড়সম ধৈর্যের এক অগ্নিপরীক্ষা।
এটি এমনই এক পথ যে পথে ছাড়তে হবে স্বীয় পরিবার মাতা-পিতা স্ত্রি সন্তান-সন্ততি।এমনকি ছাড়তে হবে প্রিয় আবাসভুমি।ছাড়তে হবে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও যশ-ক্ষেতি।এখানে বিলিন ও ধ্বংস হয়ে যাবে নিজের সর্বস্ব।এখানে ক্ষণে ক্ষণে দেখতে হবে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সন্তান ও প্রিয় মুজাহিদ সাথি ভাইদের ও মুসলিম মা-বাবা,ভাই-বোনদের শহীদি লাশ যা আমাদের করে তুলবে রিদয়ভারাক্রান্ত এবং তিব্র প্রতিশোধমুখী,এখানে সরু ও সঙ্কীর্ণ হয়ে যাবে সুপ্রশস্থ পথগুলি,এ পথ এমনি এক পথ যেখানে ভরা যৌবনপ্রাপ্ত হওয়া সত্তেও তিব্র অপ্রতিরোধ্যমুখি থাকা সত্তেও মাঝে মাঝে সুস্থ দেহ নিশ্চল হয়ে পরবে।জ্যৈষ্ঠের খড়রদ্রের প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে উত্তপ্ত গিরিপথ গুলি চলতে চলতে স্বীয় পদযুগল ফেটে চৌচির ও নিশ্চল হয়ে পড়বে, যেভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যায় আবাদি জমিগুলো। তিব্র পানির পিপাসা আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় নিষ্প্রাণ হয়ে পরবে দেহগুলি।এ পথে থাকবে তিব্র ভয় তাগুত করতিক আক্রমণের। এখানে মনের মধ্যে বিরাজ করতে থাকবে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক, তাগুত করতিক গ্রেফতারের.........আর অমানবিক রিমান্ডের......
তবে যারা ধৈর্য্যধারণ করেছে এবং সৎকার্য করেছে তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান রয়েছে।(হুদ-১১)
হে আমার হৃদয় প্রশান্তকারি প্রিয় ভাইয়েরা...
বলুন, দুনিয়ার বুকে এমন কোন জাতি আগত হয়েছে যারা তাদের পরওয়ারদেগার প্রদত্ত পরিক্ষায় পাশ করা বেতিতই বীরেরবেশে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে??বলুন, মুসলিমদের কোন সেই বিজয়দীপ্ত ইতিহাস যেখানে দেহের তপ্ত রক্ত প্রবাহিত , দুনিয়ার সব কিছুর মায়া ত্যাগ, জান-মালের সর্বোচ্চ কুরবানি , লৌহ মানবের মত দিঢ় ও অবিচল আর পাহাড়সম ধৈর্যের সাক্ষ্য বহন করে না??বলুন,বিগত হয়েছে কি এমন কোন মুসলিম জাতি যাদের উপর আবর্তিত হয়নি তাদের রব করতিক কঠিন পরিক্ষা?বিপদ আর বালা-মুসিবত??
হে ভাই, আমাদের রব তো আমাদের বিপদ,বালা-মুসিবাত দেন শুধু মাত্র আমাদের পরিক্ষার জন্য যাতে করে তিনি চিনে নিতে পারেন প্রকৃত ইমানদারদের এবং তিনি এ সকল পরিক্ষার মাধ্যমে ইমানদারদের পাকসাফ করেন সেইভাবে,যেভাবে কোন স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতব খনি থেকে উদ্ধার করে রিফাইন করা হয় মূল্যবান করার জন্য।দেখুন তিনি সুবহানাহুওয়াতাআলা কতো স্পষ্ট করে বলেছেন –
“তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না।আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে চান।(আলে ইমরান ১৪০-১৪১)”
হে ভাই,আমাদের এহেন কঠিন পরিস্থিতি বা আল্লাহ প্রদত্ত পরীক্ষার সময় আপনি স্মরণ করুন আইয়ুব (আ) এর উপর আবর্তিত কঠিন পরীক্ষার ঘটনা।আর তার অবস্থা দেখুন মহান রব-ই বলেন-
আমি তাকে পেলাম সবরকারী। চমৎকার বান্দা সে। নিশ্চয় সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।(ছয়াদ ৪৪)
আর সাইয়েদেনা ইব্রাহিম (আ) এর জীবন মানেই এক মর্মান্তিক পরিক্ষার জীবন । জীবনের কোন স্তরে তিনি পরিক্ষার সম্মুখীন হয়নি বলতে পারেন ভাই।কি কঠিন থেকে কঠিনতর জীবন ছিল ওনার।জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্তা করার মর্মান্তিক শাস্তি হাসিমুখে বরণ করে নেওয়া এবং এক আল্লাহর উপর-ই ভরসা করা ও সাহায্য চাওয়ার এক অতুলনীয় পরিক্ষা ,কেনানে পরিক্ষার সম্মুখিন হন দুর্ভিক্ষের ,সেখান থেকে হিজরত করে যান মিশরে ,সেখানে লম্পট ফেরাউন করতিক প্রিয় স্ত্রি সারাকে কে অপহরহের চেষ্টা , স্ত্রি হাযেরা ও শিশু পুত্র ইসমাইল কে জনমানবহীন মরুভূমিতে নির্বাসন,প্রায় ৮০ বছর বয়সে খাৎনার আদেশ, চক্ষু শীতলকারি হৃদয়কে প্রশান্তকারি সবচেয়ে প্রিয় বস্তু মাত্র ১৩/১৪ বছর বয়সের প্রিয় পুত্রকে কুরবানির আদেশ।এছাড়াও তার পুরো জিন্দেগিই ছোট – বড় পরীক্ষায় ভরপুর।আর আর এ কারনেই আল্লাহ তাকে মর্যাদা দিয়েছেন বিশ্বের বুকে।আল্লাহ বলেন-
যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও! তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।(আল বাকারা ১২৪)
আর সাইয়েদুল মুরসালিন খাতামুন নাবিইয়িন আমাদের নেতা মুহাম্মাদ (স) এর সীমাহীন বালা-মুসিবত দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ পরীক্ষিয় জীবন সম্পর্কে নিশ্চয়ই সবাই কম-বেশি ওয়াকিবহাল। তাই আমি শুধু আমার একমাত্র আদর্শ নবি(স) এর হুনাইন এর মর্মান্তিক ঘটনাকেই স্মরণ করছি। যখন মুসলিমেরা চার পাশ থেকে সরে গিয়েছিল, শোকের ছায়া নেমে এসেছিল ময়দানে।হঠাৎ যেন সবকিছু কি থেকে কি হয়ে গেল । তখন কি করেছিল আমাদের বীর বাহাদুর নবী?ময়দান থেকে পিছু হঠে ছিলেন?শক্তিহীনতার অজুহাত দেখিয়ে পালিয়ে কি গিয়েছিলেন?
ওহে জীবন বাঁচান ফরয ফতোয়া দিয়ে যারা ঘরে বসে থাক, তোমাদের নবী (স) কি বুঝেন নাই তাঁর জীবনের মূল্য?
অহে দ্বীনের দায়ীগণ, যারা বল ,আমরা মরে গেলে দ্বীনের দাওয়াত কে দিবে? তাহলে তো দ্বীন শেষ হয়ে যাবে । শুনো তাহলে রাসুল (স) এর কথিত আশেকেরা ,তিনি (স) কি বুঝেন নাই যে তিনি মারা গেলে দুনিয়া থেকে দ্বীন বিদায় নিবে? বরং তিনি তরবারি হাতে নিয়ে ময়দানেই থাকলেন আর নিজের চিরসত্য নবুওাতের সত্যতার সাক্ষ্য দিলেন।এই কঠিন মর্মান্তিক পরিস্থিতে , জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার এক সম্ভাবনাময়য় অবস্থাতেও সকল ভয়-ভীতি কে প্রত্যাখ্যান করে ময়দান হতে পিছু না হটে ময়দানেই থাকলেন এবং বলতে থাকলেন - আমি সত্য নবি , আমি মিথ্যা নবি নই, আমি আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান ”
ওহে বঙ্গবাহাদুর বীরেরা ,
অনুপ্রানিত হও তোমাদের চক্ষু শীতলকারী নেতা রাসুল(স) এর বাহাদুরিতায় ভরপুর সিরাত থেকে।
ভুলে গেছেন বিলাল ইবনে রাবাহকে (রা) রিমান্ডে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে প্রহারের কথা!!ভুলে গেছেন খাব্বাব ইবনে আরতের (রা) উপর সেই রিমান্ড অত্যাচার! অধিকাংশ সময় তাঁকে নগ্নদেহে তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রখা হতো। যার ফলে তার কোমরের গোশত গলে পড়ে গিয়েছিল। লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দেয়া হতো। উমার (রাঃ) একদিন তাঁর উপর নির্যাতনের বিস্তৃত বিবরণ জানতে চাইলেন। খাব্বাব (রাঃ) তখন বললেন, “আমার কোমর দেখুন।’’ উমার (রাঃ) কোমর দেখে আঁৎকে উঠে বললেন, ‘‘এমন কোমর তো কথোও দেখিনি?’’ উত্তরে খাব্বাব (রাঃ) খলীফাকে জানালেন, ‘‘আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে চেপে ধরে রাখা হতো, ফলে আমার চর্বি ও রক্তে আগুন নিভে যেত।’’ আল্লাহু আকবার!
:সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত, ইয়াসির ইবনে আমর, আম্মার ইবনে ইয়াসিরের (রা.) স্মৃতি কি আপনি ভুলে গেছেন!! আবু জান্দাল ইবনে সুহাইল, আব্দুল্লাহ ইবনে সুহাইলের (রা) বন্দিদশার কথা কি মনে পরে না! খুবাইবের (রা.) ফাসি কি আপনার শিহরণ জাগায় না!!( collected)
ইমাম আবু হানিফা, আহমাদ বিন হাম্বাল, তারিক বিন জিয়াদ , ইবন তাইমিয়া , সাইয়েদ কুতুব শহিদ, শাইখুল হিন্দ (রহ.) প্রমুখদের কারাবন্দী জীবন কি আমাদের অনুপ্রাণিত করে না !!!
মনে কি পড়েনা ইবন তাইমিয়া (র) এর সেই বিখ্যাত বানী ???
“ আমার শত্রুরা আমার কি করতে পারে? আমার জান্নাত হচ্ছে আমার হৃদয়ে এবং তা আমাকে ছেড়ে যায়না । কারাগার জীবন হচ্ছে আল্লাহর সাথে আমার একান্ত সাক্ষাত , আমার মৃত্যু হচ্ছে শাহাদাহ আর নির্বাসন হচ্ছে আমার পর্যটন ”
ভুলে কি গেলেন সাইয়েদ কুতুব শহিদ (র) এর ফাঁসির কাস্টে ঝুলার পূর্ব মুহূর্তের সেই বিখ্যাত উক্তি ???
“তুমিও শেষ পর্যন্ত নাটকের ষোল কলা পূর্ণ করতে এলে ? তুমিও? তুমি এই কালিমা দিয়ে জীবিকা উপার্জন কর আর আমি এর জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে যাচ্ছি ”
হে ভাই , এটা কি করে সম্ভব যে তাদের মতো ইমানি সাক্ষ্য বহন করা বেতিতই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ও দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিজয় পেয়ে যাবো !!যাদের সম্পর্কে আমাদের পালনকর্তা বলেন -
যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী।( আলে ইমরান ১৭৩)
হে সম্মানিত ও বিজয়দীপ্ত উম্মাহ,
সুসংবাদ গ্রহন করুন সম্মানিত শামের প্রতিনিয়ত চক্ষু শিতলকারী সব বিজয়ের, সুসংবাদ গ্রহন করুন রাসুল (স) এর ভবিষ্যৎবানীকৃত খোরাসানের কাল পতাকাবাহী দলের ধারাবাহিক সাফল্লের। শামে খিলাফতে আলা মিনহাজিন নবুওয়া কায়েম এর লক্ষে মুজাহিদগণ চূড়ান্ত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে । আফগানের সমগ্র ভূমিতে আল্লাহর শরিয়াহ কায়েম যেন সময়ের ব্যাপার মাত্র । হে ভাইয়েরা বলুন , সেখানকার ভাইদের এ হৃদয় প্রশান্তকারী বিজয় ও সাফল্য কি এমনিতেই এসেছে? কি হয়নি শামে!! সিরিয়ার নদীগুলো যেন রুপ নিয়েছে ব্লাড ব্যাংক এ , যেন মনে হচ্ছিলো দুনিয়ার কাফেরগোষ্ঠী মুসলিমদের তাজা রক্তগুলি জমা করছে সিরিয়ার নদিগুলতে, ভুমি গুলো পরিণত হয়েছিল এক গণকবরস্থানে । বাড়িঘর গুলির তো কোন চিহ্ন বা অস্তিত্বই রাখেনি।
আর খোরাসান এর ভাইদের পরিক্ষার দৃষ্টান্ত তো সকলেরই সামনে ।আফগানের জীবন্ত পাহাড়গুলি যেন তালেবানদের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল । এর পরেও তারা দিঢ় পদ থেকে ধৈর্যের এর উপমা তৈরি করে সর্বশক্তিমান রব এর পক্ষ থেকে আজ মিষ্টি ফল ভোগ করছে । তাহলে হে ভাই বলুন,পরীক্ষা ছাড়া কি কখনো ফল আশা করা যায় ?পাশ করা বেতিতই কি আনন্দিত হওয়া যায় ??
আজ বাংলার জমিনে আল্লাহর মদদে যখন আনসার আল ইসলাম ( আল কায়দা উপমহাদেশ) তার দুর্ধর্ষ ও মুমিনদের আত্মা প্রশান্তকারি সব সফল অভিযানের মাধ্যমে এদেশের মুসলিমদের মনে জায়গা করে নিয়েছে , যখন বাংলার আকাশ-বাতাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল আনসার আল ইসলামের স্তুতি , যখন চায়ের আড্ডায় বা কফি হাউসে , শপিং মলে কিংবা মার্কেটে, যখন কলেজ-ভার্সিটির সবুজ ক্যাম্পাসে অথবা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সত্যানুসন্ধানি ছাত্রদের জবানেতে প্রশংসার সাথে জায়গা করে নিয়েছিল আনসার আল ইসলাম । ঠিক তখনই সর্বশক্তিমান আল্লাহ চাইলেন পরিক্ষা নিতে যাতে করে তিনি ধৈর্যশীলদের চিনে নিতে পারেন ।
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।(আলে ইমরান ১৪২)
এবং বুঝিয়ে দিলেন , তোমরাও কস্মিনকালেও বিজয়ী হতে পারবেননা তোমাদের পালনকর্তা প্রদত্ত পরিক্ষার সম্মুখিন হওয়া ছাড়া যেমনি ভাবে হয়েছেন পূর্ববর্তীগণ।
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন –
তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।( আল বাকারা ২১৪)
হে ভাই প্রিয় ভাই আমার
এটি তো যুদ্ধের-ই একটি স্বাভাবিক নিয়ন যে যেকোনো সময়ে যেকোনো দলই আহত-নিহত , ধরপাকড় , বিপদ-আপদ, শোক –বেদনা ,আহাজারি-রোনাজারি ইত্যাদির সম্মুখীন হতে পারে । কিন্তু আমাদের তো হারানোর কিছু নাই ,আমাদের প্রতিদান তো আমাদের রবের-ই কাছে । কাফেরদের তো কোন প্রতিদান নাই। বস্তুত আমাদের রব তো আমাদের পুত-পবিত্র করার জন্যই আমাদের সাময়িক বিপদ-আপদ দেন।
আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে চান।(আলে ইমরান ১৪০-১৪১)
ওহে বাংলার সিংহ শাবকেরা !!
তোমাদের হতাশা ,দুঃখ-দুর্দশা সব ভুলে যেতে , শিরা উপশিরায় নতুন করে উত্তাল সমুদ্রের ন্যায় জোয়ার আনতে, দুঃসাহসিকতায় বক্ষকে প্রশস্থ করতে , পদযুগলকে পাহাড়ের ন্যায় দৃঢ় ও অটল রাখতে , শোককে লৌহের ন্যায় শক্তিতে পরিণত করতে , গ্রেফতার ও রিমান্ডের ডর-ভয় কে চূড়ান্ত জয়ে রুপান্তর করতে আমাদের একমাত্র অভিভাবক মহাশক্তিধর রবের নিম্নোক্ত বানীটি কি যথেস্থ নয় !!!
আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে,তোমরাই জয়ী হবে।(আলে ইমরান ১৩৯)
হে বাংলার বীর মুজাহিদিন ভাইয়েরা
তোমাদের তারুন্নে উদ্যমতার ঢেউ , শরীরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও ক্লান্তিহীনতা, পাহাড়সম বাধা থাকা সত্তেও জয়ের এক অদম্য মানসিকতা,মনোবল কে সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে যাওয়া , নীরবতার অন্তরালে থেকে বাহুতে শক্তি সঞ্চয় করা ,নতুন করে ভরা যৌবন সাগরে উত্তাল ঢেউ নিয়ে আসার জন্য কি যথেস্ট নয় আমার করুনাময় মনিবের এই বার্তা!!
আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।(আলে ইমরান ১৪৬)
হে সম্মানিত ভাইয়েরা
বিগত দিনগুলোর তুলনায় কাশ্মীরের অবস্থা ভয়াবহ। অপরদিকে ইয়াহুদির বাচ্চা ইয়াহুদিরা তাদের উগ্রতা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি করেছে । এই কিছুদিন আগে ৩০০ ইয়াহুদি তাদের নাপাক পা ফেলেছে পবিত্র আল-কুদসে। সিরিয়ায় কুফুরি মিল্লাত মুজাহিদিন্দের সাথে পেরে না উঠে কাপুরুষের ন্যায় রাসায়নিক বোমার মাধ্যমে সাধারণ মুসলিমদের পাইকারিভাবে হত্যা করছে। আমাদের এ অঞ্চলের অবস্থা তো সকলেরই জানা আছে ।সুতরাং হে ভাইয়েরা , ভয়ের কোন কারন নেই, তিব্র অত্যাচার আর নির্যাতনের অন্তরালে বিজয়ের ঘ্রাণ আস্বাদন করুন , কেননা ইতিহাস সাক্ষী , শত্রুর প্রচুর উত্থানই তাদের পতন হয়ে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ্* । ভুলে যাবেন না , রাত যত গভীর হয় সুবহে সাদিক ততোটাই ঘনিয়ে আসে ।।
আজ শামে যদি খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষরণ ও প্রসব বেদনা চলে থাকে , আফগানের সমগ্র ভূমিতে শরিয়াহ কায়েম যদি সময়ের ব্যাপার মাত্র হয়ে থাকে, তাহলে শুনুন হে ভাইয়েরা আমি বলছি গাজওয়ায়ে হিন্দের চূড়ান্ত মহাযুদ্ধ আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ছে ইনশাআল্লাহ্*।
সুতরাং সাময়িক নিরবতার অন্তরালে হে প্রিয় ভাইয়েরা
প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকেআর, যেন; আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে ; আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।
আর
হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।(আলে ইমরান ২০০)
ওই এদেশের আমেরিকা ও ভারতের ভৃত্য সরকারের কাপুরুষ তাগুত গোষ্ঠী
তোরা যদি আমাদের সাময়িক নিরবতায় মনে করিস আমরা পালিয়েছি ,আমাদের শক্তি খর্ব হয়ে গিয়েছে ,তাহলে এ চিন্তা শুধু তোদের দুর্ভাগ্যই ডেকে আনবে বৈ কিছু নয় কেননা আমাদের শক্তি তো আমাদের অভিভাবক আল্লাহ্*র-ই থেকে আর যিনি হলেন মহা পরাক্রমশালী এবং মহাশক্তিধর। শুনে রাখ হে মূর্খের দল আমরা পালিয়ে যেতে শিখি নাই,পরাজয় কি জিনিস আমরা জানি না কেননা আমাদের বাচা-মরা সবই তো সৌভাজ্ঞের বিষয় । আর এতে আমরা আমাদের একমাত্র অভিবাবক করুনাময় আল্লাহর কাছে বিনিময় কামনা করি । আর তোরা তো হচ্ছিস এতিম, অসহায়। আর অভিভাবকহীন।
ওই শোন , দুনিয়ার বুকে এমন কোন বেক্তি জন্ম নেয়নি, এমন কোন সন্তান তার মায়ের দুধ পান করেনি যে মুসলিমদের পরাজিত করবে,মুসলিম দের উপর কর্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। বদর ,অহুদ, খায়বার আর হুনাইনের ইতিহাস কি তোরা জানিস না , রোম ও খাওয়ারিজদের ধ্বংস কি তোদের অজানা?তাতারিদের সাথে ওলামাদের যুদ্ধ ও বালাকটের ময়দান কি তোরা প্রত্যক্ষ করিস নি?
খালেদ বিন ওয়ালিদ ,তারিক বিন জিয়াদ , সালাউদ্দিন আইয়ুবি, বক্তিয়ার খিলজি , হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কি,কাছেম নানুতবি , সৈয়দ আহম্মদ শাহ্* (র) প্রমুখ বীর বাহাদুরদের গৌরবদীপ্ত বিজয়ী ইতিহাস কি তোদের অজানা ??
ওই তোরা কি দেখিস নি এই জামানার খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি শেইখ ওসামা বিন লাদিন (র) কে ? যার ভয়ে পুরো কাফের দুনিয়া থর থর করে কাঁপত। যার চেহারা দেখলে তোদের স্বঘোষিত খোদা ওবামার কালিজা শুকিয়ে মরুভুমিতে পরিনত হতো। আমেরিকার ছোট ছোট বাচ্চারা যখন খেলত ,তখন তারা একজন আরেকজনকে ভয় দেখানর জন্য বলতো “ওই লাদেন এল,লাদেন এল”। দুনিয়ার একপ্রান্তে থেকে আল্লাহর এ সিংহ যদি কোন বার্তা পাঠাতো আর দুনিয়ার অনপ্রান্তের সকল কুফুরি মিল্লাত নিরাপত্তার সরবচ্চো বেষ্টনীতে থাকার পরও ভয়ে নিস্তেজ হয়ে যেত । ওই কাপুরুষের দল,তোরাই বল, ওবামার সমগ্র প্রেসিডেন্ট জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য কি ?? তা হল ওসামাকে হত্যা । আর যাকে হত্যা করতে লেগেছে দীর্ঘ ১১ বছর। আল্লাহর এক সিংহ কে হত্যা করা যদি হয় দুনিয়ার কথিত সবচেয়ে শক্তিধর প্রেসিডেন্ট এর জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য ,আর যাকে হত্যা করতে লেগেছে ১১ বছর , তাহলে ওই আল্লাহর দুশমনেরা একটু ভাব তোদের অবস্থা কি হবে?যখন দুনিয়ার প্রতিটি কোণায় কোণায় আল্লাহ ওসামা তৈরি করে দিয়েছেন । পেরেছিস কি ওসামাকে হত্যা করে কিছু করতে? বরং ওসামা (র) এর দেহের তাজা-উত্তপ্ত রক্ত ময়দান গুলোকে উর্বর-ই করেছে যেভাবে জৈব সার পেয়ে অনুরবর ভূমিগুলো উর্বর হতে থাকে।
শোন তোদের কথিত প্রভুদের কথা
আমি এটা ভাবি না যে , তাঁর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রচুর নিরাপদ করে দিয়েছে । এটাই আমার কথা। আমার অপর অভিযোগ হচ্ছে যে, এর জন্য অনেক অনেক মূল্য দিতে হয়েছে , এর জন্য লেগেছে ১০ টি বছর, ২ অথবা ৩ টি দেশে আক্রমণ করতে হয়েছে , অনেক মানুষকে হত্যা করতে হয়েছে , পাঁচ হাজারেরও বেশি আমেরিকানদের জীবন দিতে হয়েছে , ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে......এক বেক্তির ছায়ার পিছনে ছুটতে?[......] আমি ভাবি দুনিয়াবেপি অনেক নিরপরাদ মুসলিমদের হত্যার মাধ্যমে আমরা ভয়াবহ বিপদ সংকুল অবস্থায় আছি, কারন আমরা প্রচুর অতিরিক্ত ক্ষতিসাধন করেছি নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার সময় হতে। সমস্ত ইরাকে স্বার্থ হাসিলের জন্য বম্বিং করা হয়েছিলো ৯/১১ এর ছুতোয়। সুতরাং, আমি বলতে চাই এইসব আমরা যত কম করতাম, ততো কম বিপদে আমরা থাকতাম।[Rep. Ron paul ,সিএনএন এর এন্ডারসন কুপার ৩৬০ এ ]
কার ব্যাপারে আমাদের সবচেয়ে ভীত হওয়া উচিত ? এটা আফগানিস্তান , ইরাক, পাকিস্তান ,ইয়েমেন নাকি সোমালিয়া ? সবার এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে , আমি ভীত । আমার মতে এটা একটা সংগ্রাম , এটা বহু ব্যাপক রূপ লাভ করেছে । এক হচ্ছে নিরাপত্তার দিক , কিন্তু অপর দিক হচ্ছে এর বৃত্তান্ত , এর মতাদর্শ যা বিন লাদিনের মত লোকেরা উপস্থাপন করেছে , কারন আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এই মতাদর্শের চরমপন্থায় জড়িত যারা এর প্রস্তাবনাকারি , তার চেয়ে বেশি রয়েছে এর বিশাল বিস্তৃত সমর্থক । [ টনি ব্লেয়ার , সিএনএন এর এন্ডারসন কুপার ৩৬০ এ ]
ওই বাংলার তাগুত গোষ্ঠী,তোরা যাদের থেকে নিরাপত্তার আশা করিস , তোদের সেই কথিত খোদাদের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে তোদের কি অবস্থা দাঁড়াবে একটু চিন্তা কর । আফগান , ইরাক , সিরিয়ায় তোদের প্রভুদের অবস্থা দেখে কি তোদের শিক্ষা হচ্ছে না ? আরে তোদের অবস্থা দেখে তো মনে হয় যে তোরা এখনি বাঁচা-মরার এক চূড়ান্ত যুদ্ধে নেমেছিস । যার ফলে তোদের যুদ্ধ সরঞ্জাম ও রশদ স্বল্পতাও দেখা যাচ্ছে । অথচ আমরা এখনো তোদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়নি । রাস্তা দিয়ে যখন তোদের চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাই তখন তোদের দেখে মনে হয় যেন এক ভয়ংকর যুদ্ধের ন্যায় রণ সাজে সজ্জিত হয়ে ভীরু ও কাপুরুষের ন্যায় রাস্তায় অসহায়ভাবে দারিয়ে আছিস যেন কোত্থেকে কখন জানি এক অতর্কিক হামলা তোদের জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয় । ওই তোরা তোদের বুকে হাত দিয়ে বলতো যে তোরা খুবি ভাল আছিস ? আর তোরাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিস না ? অথচ আমরা তোদের উপর এখনও হাত দেয়নি । তাহলে যখন আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় তোদের কে কচুকাটা করতে থাকবো ইনশাআল্লাহ্* তখন কি করবি?
আমি তোদের মনে করিয়ে দিচ্ছি আমাদের অন্তর প্রশান্তকারি আমীর মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (র) এর সেই দৃঢ় ও বিখ্যাত উক্তি
“ বুশ আমাদেরকে পরাজয়ের অঙ্গিকার করেছে আর আল্লাহ আমাদের সাথে বিজয়ের ওয়াদা করেছে। অতিশিঘ্রই ইনশাআল্লাহ আমরা দেখে নিবো কার ওয়াদা সত্য হয় ”
উক্ত চিরসত্য উক্তির বাস্তবতা আজ পুরা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করছে । অতএব আমি তোদের বলছি –
তোরা আমাদের শিখরসহ সমূলে উৎপাটন করার অঙ্গীকার করেছিস আর আমরাও ইনশাআল্লহ আল্লাহর মদদ নিয়ে তোদের দুনিয়ার বুক থেকে এমন ভাবে ধ্বংস ও বিলীন করার শপথ করেছি যেমনিভাবে কোন গ্রাম সাগরে তলিয়ে গেলে সাগর দেখে বিন্দুমাত্র বুঝার কোন অবকাশ থাকে না যে এখানে কোন এক সময়ে জনবসতি ছিল ।
হে তাগুত প্রশাসন গোষ্ঠীর মধ্যে যারা নিজেদের ইমানদার বলে দাবি করো ,
আমি তোমাদের বলছি কিভাবে তোমরা আল্লাহর পথে বাঁধা দিয়ে কুফরি কাজে শামিল হয়ে নিজেদের ইমানদার দাবি কর আর জান্নাতের আশা করো !! যদি সত্যিই তোমরা আল্লাহকে-ই রব হিসেবে স্বীকার করে থাকো ,তাহলে শোন তোমাদের মহাপরক্রমশালী রবের বাণী –
যারা কুফরি করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে , তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দেন । (মুহাম্মাদ-১)
অতএব আল্লাহ্*র পথে বাধা প্রদান করা কুফরির সাথে সমতুল্য একটি বিষয় । যার ফলে আল্লাহ কর্ম বিনষ্ট করে দেন। সুতরাং তোমাদের কে আমার বিনীত, আন্তরিক ও দরদমাখা আহবান , আল্লাহ কে ভয় কর , আল্লাহকে-ই ভয় কর যার থেকে তোমরা এসেছ এবং যার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন । আর ভয় কর সেই দিনকে যেই দিন তাঁর সামনে দাড়াতে হবে । ভয় করো কবরকে যেখানে অনিবার্যভাবে যেতে-ই হবে ।। আর তোমরা তাদের মতো হইয়ো না যাদের সম্পর্কে আমার মহান রব বলেন -
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।( বাকারা – ৬)
পরিশেষে রাহমানের দরবারে প্রার্থনা করি -----
“ হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর।(আলে ইমরান ১৪৭) ”
“ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।( আলে ইমরান ১৯৪) ”
“ হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।( আল বাকারা – ২৮৬)
শেষ কথা
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।যিনি বিচার দিনের মালিক।আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।( ফাতিহা ১-৪)
আর হে প্রিয় ভাইয়েরা আপনাদের বিশেষ প্রার্থনায় ভুলে যাইয়েন না আমাদের বন্দী ভাইদের, ভুলে যাইয়েন না সেই সকল ভাইদের যারা মা-বাবা , স্ত্রী , সন্তান- সন্ততি, ঘরবাড়ি সব কিছু ছেড়ে পালিয়ে পালিয়ে দিনাতিপাত করছে আর আপনাদের এই ভাইটিকে।
ওয়াসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
সর্বাধিক তারিফ একমাত্র সেই মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর জন্য যিনি সর্বশক্তির আধার।তিনিই সেই পবিত্র সত্তা যিনি এক ও অদ্বিতীয়।আর ইয়াহুদি কাফের মুসরিকেরা তাঁর সম্পর্কে যা বলে ও করে তা থেকে তিনি মহাপবিত্র।বস্তুত তিনিই হলেন মুমিন মুজাহিদিন্দের একমাত্র হেফাজতকারি সাহায্যকারি আর উত্তম অভিভাবক।মহান রব বলেন –
"যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল্ল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে। আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।"
অসংখ্য ও অগণিত দুরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের চক্ষু শীতলকারী রহমাতুল্লিলআলামিন সাইয়েদুল মুরসালিন সাইয়েদুল মুজাহিদিন মুহাম্মাদ (সঃ) এর উপর। যিনি বলেন –
"ইমানদার ব্যক্তির উদাহরণ শস্যের নরম ডগার ন্যায়, বাতাস যে দিকেই বয়ে চলে, সেদিকেই তার পত্র-পল্লব ঝুঁকে পড়ে। বাতাস যখন থেমে যায়, সেও স্থির হয়ে দাঁড়ায়। ইমানদারগণ বালা-মুসিবত দ্বারা এভাবেই পরীক্ষিত হন। কাফেরদের উদাহরণ দেবদারু (শক্ত পাইন) বৃক্ষের ন্যায়, যা একেবারেই কঠিন ও সোজা হয়। আল্লাহ যখন ইচ্ছা করেন, তা মূলসহ উপড়ে ফেলেন।"
আমার চক্ষু শীতলকারী সাইয়েদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদ (স) আরও বলেন -
"জেনে রেখ, সমস্ত মানুষ জড়ো হয়ে যদি তোমার উপকার করতে চায়, কোনও উপকার করতে পারবে না, তবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আবার তারা সকলে মিলে যদি তোমার ক্ষতি করতে চায়, কোনও ক্ষতি করতে পারবে না, তবে যততুটু আল্লাহ তোমার কপালে লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, কিতাব শুকিয়ে গেছে।"
হে আমার প্রিয় ও সম্মানিত ভাইয়েরা
যুদ্ধ,সেতো পাহাড়সম ধৈর্যের এক অগ্নিপরীক্ষা।
এটি এমনই এক পথ যে পথে ছাড়তে হবে স্বীয় পরিবার মাতা-পিতা স্ত্রি সন্তান-সন্ততি।এমনকি ছাড়তে হবে প্রিয় আবাসভুমি।ছাড়তে হবে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও যশ-ক্ষেতি।এখানে বিলিন ও ধ্বংস হয়ে যাবে নিজের সর্বস্ব।এখানে ক্ষণে ক্ষণে দেখতে হবে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সন্তান ও প্রিয় মুজাহিদ সাথি ভাইদের ও মুসলিম মা-বাবা,ভাই-বোনদের শহীদি লাশ যা আমাদের করে তুলবে রিদয়ভারাক্রান্ত এবং তিব্র প্রতিশোধমুখী,এখানে সরু ও সঙ্কীর্ণ হয়ে যাবে সুপ্রশস্থ পথগুলি,এ পথ এমনি এক পথ যেখানে ভরা যৌবনপ্রাপ্ত হওয়া সত্তেও তিব্র অপ্রতিরোধ্যমুখি থাকা সত্তেও মাঝে মাঝে সুস্থ দেহ নিশ্চল হয়ে পরবে।জ্যৈষ্ঠের খড়রদ্রের প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে উত্তপ্ত গিরিপথ গুলি চলতে চলতে স্বীয় পদযুগল ফেটে চৌচির ও নিশ্চল হয়ে পড়বে, যেভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যায় আবাদি জমিগুলো। তিব্র পানির পিপাসা আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় নিষ্প্রাণ হয়ে পরবে দেহগুলি।এ পথে থাকবে তিব্র ভয় তাগুত করতিক আক্রমণের। এখানে মনের মধ্যে বিরাজ করতে থাকবে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক, তাগুত করতিক গ্রেফতারের.........আর অমানবিক রিমান্ডের......
তবে যারা ধৈর্য্যধারণ করেছে এবং সৎকার্য করেছে তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান রয়েছে।(হুদ-১১)
হে আমার হৃদয় প্রশান্তকারি প্রিয় ভাইয়েরা...
বলুন, দুনিয়ার বুকে এমন কোন জাতি আগত হয়েছে যারা তাদের পরওয়ারদেগার প্রদত্ত পরিক্ষায় পাশ করা বেতিতই বীরেরবেশে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে??বলুন, মুসলিমদের কোন সেই বিজয়দীপ্ত ইতিহাস যেখানে দেহের তপ্ত রক্ত প্রবাহিত , দুনিয়ার সব কিছুর মায়া ত্যাগ, জান-মালের সর্বোচ্চ কুরবানি , লৌহ মানবের মত দিঢ় ও অবিচল আর পাহাড়সম ধৈর্যের সাক্ষ্য বহন করে না??বলুন,বিগত হয়েছে কি এমন কোন মুসলিম জাতি যাদের উপর আবর্তিত হয়নি তাদের রব করতিক কঠিন পরিক্ষা?বিপদ আর বালা-মুসিবত??
হে ভাই, আমাদের রব তো আমাদের বিপদ,বালা-মুসিবাত দেন শুধু মাত্র আমাদের পরিক্ষার জন্য যাতে করে তিনি চিনে নিতে পারেন প্রকৃত ইমানদারদের এবং তিনি এ সকল পরিক্ষার মাধ্যমে ইমানদারদের পাকসাফ করেন সেইভাবে,যেভাবে কোন স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতব খনি থেকে উদ্ধার করে রিফাইন করা হয় মূল্যবান করার জন্য।দেখুন তিনি সুবহানাহুওয়াতাআলা কতো স্পষ্ট করে বলেছেন –
“তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না।আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে চান।(আলে ইমরান ১৪০-১৪১)”
হে ভাই,আমাদের এহেন কঠিন পরিস্থিতি বা আল্লাহ প্রদত্ত পরীক্ষার সময় আপনি স্মরণ করুন আইয়ুব (আ) এর উপর আবর্তিত কঠিন পরীক্ষার ঘটনা।আর তার অবস্থা দেখুন মহান রব-ই বলেন-
আমি তাকে পেলাম সবরকারী। চমৎকার বান্দা সে। নিশ্চয় সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।(ছয়াদ ৪৪)
আর সাইয়েদেনা ইব্রাহিম (আ) এর জীবন মানেই এক মর্মান্তিক পরিক্ষার জীবন । জীবনের কোন স্তরে তিনি পরিক্ষার সম্মুখীন হয়নি বলতে পারেন ভাই।কি কঠিন থেকে কঠিনতর জীবন ছিল ওনার।জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্তা করার মর্মান্তিক শাস্তি হাসিমুখে বরণ করে নেওয়া এবং এক আল্লাহর উপর-ই ভরসা করা ও সাহায্য চাওয়ার এক অতুলনীয় পরিক্ষা ,কেনানে পরিক্ষার সম্মুখিন হন দুর্ভিক্ষের ,সেখান থেকে হিজরত করে যান মিশরে ,সেখানে লম্পট ফেরাউন করতিক প্রিয় স্ত্রি সারাকে কে অপহরহের চেষ্টা , স্ত্রি হাযেরা ও শিশু পুত্র ইসমাইল কে জনমানবহীন মরুভূমিতে নির্বাসন,প্রায় ৮০ বছর বয়সে খাৎনার আদেশ, চক্ষু শীতলকারি হৃদয়কে প্রশান্তকারি সবচেয়ে প্রিয় বস্তু মাত্র ১৩/১৪ বছর বয়সের প্রিয় পুত্রকে কুরবানির আদেশ।এছাড়াও তার পুরো জিন্দেগিই ছোট – বড় পরীক্ষায় ভরপুর।আর আর এ কারনেই আল্লাহ তাকে মর্যাদা দিয়েছেন বিশ্বের বুকে।আল্লাহ বলেন-
যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও! তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।(আল বাকারা ১২৪)
আর সাইয়েদুল মুরসালিন খাতামুন নাবিইয়িন আমাদের নেতা মুহাম্মাদ (স) এর সীমাহীন বালা-মুসিবত দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ পরীক্ষিয় জীবন সম্পর্কে নিশ্চয়ই সবাই কম-বেশি ওয়াকিবহাল। তাই আমি শুধু আমার একমাত্র আদর্শ নবি(স) এর হুনাইন এর মর্মান্তিক ঘটনাকেই স্মরণ করছি। যখন মুসলিমেরা চার পাশ থেকে সরে গিয়েছিল, শোকের ছায়া নেমে এসেছিল ময়দানে।হঠাৎ যেন সবকিছু কি থেকে কি হয়ে গেল । তখন কি করেছিল আমাদের বীর বাহাদুর নবী?ময়দান থেকে পিছু হঠে ছিলেন?শক্তিহীনতার অজুহাত দেখিয়ে পালিয়ে কি গিয়েছিলেন?
ওহে জীবন বাঁচান ফরয ফতোয়া দিয়ে যারা ঘরে বসে থাক, তোমাদের নবী (স) কি বুঝেন নাই তাঁর জীবনের মূল্য?
অহে দ্বীনের দায়ীগণ, যারা বল ,আমরা মরে গেলে দ্বীনের দাওয়াত কে দিবে? তাহলে তো দ্বীন শেষ হয়ে যাবে । শুনো তাহলে রাসুল (স) এর কথিত আশেকেরা ,তিনি (স) কি বুঝেন নাই যে তিনি মারা গেলে দুনিয়া থেকে দ্বীন বিদায় নিবে? বরং তিনি তরবারি হাতে নিয়ে ময়দানেই থাকলেন আর নিজের চিরসত্য নবুওাতের সত্যতার সাক্ষ্য দিলেন।এই কঠিন মর্মান্তিক পরিস্থিতে , জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার এক সম্ভাবনাময়য় অবস্থাতেও সকল ভয়-ভীতি কে প্রত্যাখ্যান করে ময়দান হতে পিছু না হটে ময়দানেই থাকলেন এবং বলতে থাকলেন - আমি সত্য নবি , আমি মিথ্যা নবি নই, আমি আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান ”
ওহে বঙ্গবাহাদুর বীরেরা ,
অনুপ্রানিত হও তোমাদের চক্ষু শীতলকারী নেতা রাসুল(স) এর বাহাদুরিতায় ভরপুর সিরাত থেকে।
ভুলে গেছেন বিলাল ইবনে রাবাহকে (রা) রিমান্ডে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে প্রহারের কথা!!ভুলে গেছেন খাব্বাব ইবনে আরতের (রা) উপর সেই রিমান্ড অত্যাচার! অধিকাংশ সময় তাঁকে নগ্নদেহে তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রখা হতো। যার ফলে তার কোমরের গোশত গলে পড়ে গিয়েছিল। লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দেয়া হতো। উমার (রাঃ) একদিন তাঁর উপর নির্যাতনের বিস্তৃত বিবরণ জানতে চাইলেন। খাব্বাব (রাঃ) তখন বললেন, “আমার কোমর দেখুন।’’ উমার (রাঃ) কোমর দেখে আঁৎকে উঠে বললেন, ‘‘এমন কোমর তো কথোও দেখিনি?’’ উত্তরে খাব্বাব (রাঃ) খলীফাকে জানালেন, ‘‘আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে চেপে ধরে রাখা হতো, ফলে আমার চর্বি ও রক্তে আগুন নিভে যেত।’’ আল্লাহু আকবার!
:সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত, ইয়াসির ইবনে আমর, আম্মার ইবনে ইয়াসিরের (রা.) স্মৃতি কি আপনি ভুলে গেছেন!! আবু জান্দাল ইবনে সুহাইল, আব্দুল্লাহ ইবনে সুহাইলের (রা) বন্দিদশার কথা কি মনে পরে না! খুবাইবের (রা.) ফাসি কি আপনার শিহরণ জাগায় না!!( collected)
ইমাম আবু হানিফা, আহমাদ বিন হাম্বাল, তারিক বিন জিয়াদ , ইবন তাইমিয়া , সাইয়েদ কুতুব শহিদ, শাইখুল হিন্দ (রহ.) প্রমুখদের কারাবন্দী জীবন কি আমাদের অনুপ্রাণিত করে না !!!
মনে কি পড়েনা ইবন তাইমিয়া (র) এর সেই বিখ্যাত বানী ???
“ আমার শত্রুরা আমার কি করতে পারে? আমার জান্নাত হচ্ছে আমার হৃদয়ে এবং তা আমাকে ছেড়ে যায়না । কারাগার জীবন হচ্ছে আল্লাহর সাথে আমার একান্ত সাক্ষাত , আমার মৃত্যু হচ্ছে শাহাদাহ আর নির্বাসন হচ্ছে আমার পর্যটন ”
ভুলে কি গেলেন সাইয়েদ কুতুব শহিদ (র) এর ফাঁসির কাস্টে ঝুলার পূর্ব মুহূর্তের সেই বিখ্যাত উক্তি ???
“তুমিও শেষ পর্যন্ত নাটকের ষোল কলা পূর্ণ করতে এলে ? তুমিও? তুমি এই কালিমা দিয়ে জীবিকা উপার্জন কর আর আমি এর জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে যাচ্ছি ”
হে ভাই , এটা কি করে সম্ভব যে তাদের মতো ইমানি সাক্ষ্য বহন করা বেতিতই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ও দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিজয় পেয়ে যাবো !!যাদের সম্পর্কে আমাদের পালনকর্তা বলেন -
যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী।( আলে ইমরান ১৭৩)
হে সম্মানিত ও বিজয়দীপ্ত উম্মাহ,
সুসংবাদ গ্রহন করুন সম্মানিত শামের প্রতিনিয়ত চক্ষু শিতলকারী সব বিজয়ের, সুসংবাদ গ্রহন করুন রাসুল (স) এর ভবিষ্যৎবানীকৃত খোরাসানের কাল পতাকাবাহী দলের ধারাবাহিক সাফল্লের। শামে খিলাফতে আলা মিনহাজিন নবুওয়া কায়েম এর লক্ষে মুজাহিদগণ চূড়ান্ত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে । আফগানের সমগ্র ভূমিতে আল্লাহর শরিয়াহ কায়েম যেন সময়ের ব্যাপার মাত্র । হে ভাইয়েরা বলুন , সেখানকার ভাইদের এ হৃদয় প্রশান্তকারী বিজয় ও সাফল্য কি এমনিতেই এসেছে? কি হয়নি শামে!! সিরিয়ার নদীগুলো যেন রুপ নিয়েছে ব্লাড ব্যাংক এ , যেন মনে হচ্ছিলো দুনিয়ার কাফেরগোষ্ঠী মুসলিমদের তাজা রক্তগুলি জমা করছে সিরিয়ার নদিগুলতে, ভুমি গুলো পরিণত হয়েছিল এক গণকবরস্থানে । বাড়িঘর গুলির তো কোন চিহ্ন বা অস্তিত্বই রাখেনি।
আর খোরাসান এর ভাইদের পরিক্ষার দৃষ্টান্ত তো সকলেরই সামনে ।আফগানের জীবন্ত পাহাড়গুলি যেন তালেবানদের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল । এর পরেও তারা দিঢ় পদ থেকে ধৈর্যের এর উপমা তৈরি করে সর্বশক্তিমান রব এর পক্ষ থেকে আজ মিষ্টি ফল ভোগ করছে । তাহলে হে ভাই বলুন,পরীক্ষা ছাড়া কি কখনো ফল আশা করা যায় ?পাশ করা বেতিতই কি আনন্দিত হওয়া যায় ??
আজ বাংলার জমিনে আল্লাহর মদদে যখন আনসার আল ইসলাম ( আল কায়দা উপমহাদেশ) তার দুর্ধর্ষ ও মুমিনদের আত্মা প্রশান্তকারি সব সফল অভিযানের মাধ্যমে এদেশের মুসলিমদের মনে জায়গা করে নিয়েছে , যখন বাংলার আকাশ-বাতাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল আনসার আল ইসলামের স্তুতি , যখন চায়ের আড্ডায় বা কফি হাউসে , শপিং মলে কিংবা মার্কেটে, যখন কলেজ-ভার্সিটির সবুজ ক্যাম্পাসে অথবা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সত্যানুসন্ধানি ছাত্রদের জবানেতে প্রশংসার সাথে জায়গা করে নিয়েছিল আনসার আল ইসলাম । ঠিক তখনই সর্বশক্তিমান আল্লাহ চাইলেন পরিক্ষা নিতে যাতে করে তিনি ধৈর্যশীলদের চিনে নিতে পারেন ।
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।(আলে ইমরান ১৪২)
এবং বুঝিয়ে দিলেন , তোমরাও কস্মিনকালেও বিজয়ী হতে পারবেননা তোমাদের পালনকর্তা প্রদত্ত পরিক্ষার সম্মুখিন হওয়া ছাড়া যেমনি ভাবে হয়েছেন পূর্ববর্তীগণ।
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন –
তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।( আল বাকারা ২১৪)
হে ভাই প্রিয় ভাই আমার
এটি তো যুদ্ধের-ই একটি স্বাভাবিক নিয়ন যে যেকোনো সময়ে যেকোনো দলই আহত-নিহত , ধরপাকড় , বিপদ-আপদ, শোক –বেদনা ,আহাজারি-রোনাজারি ইত্যাদির সম্মুখীন হতে পারে । কিন্তু আমাদের তো হারানোর কিছু নাই ,আমাদের প্রতিদান তো আমাদের রবের-ই কাছে । কাফেরদের তো কোন প্রতিদান নাই। বস্তুত আমাদের রব তো আমাদের পুত-পবিত্র করার জন্যই আমাদের সাময়িক বিপদ-আপদ দেন।
আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে চান।(আলে ইমরান ১৪০-১৪১)
ওহে বাংলার সিংহ শাবকেরা !!
তোমাদের হতাশা ,দুঃখ-দুর্দশা সব ভুলে যেতে , শিরা উপশিরায় নতুন করে উত্তাল সমুদ্রের ন্যায় জোয়ার আনতে, দুঃসাহসিকতায় বক্ষকে প্রশস্থ করতে , পদযুগলকে পাহাড়ের ন্যায় দৃঢ় ও অটল রাখতে , শোককে লৌহের ন্যায় শক্তিতে পরিণত করতে , গ্রেফতার ও রিমান্ডের ডর-ভয় কে চূড়ান্ত জয়ে রুপান্তর করতে আমাদের একমাত্র অভিভাবক মহাশক্তিধর রবের নিম্নোক্ত বানীটি কি যথেস্থ নয় !!!
আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে,তোমরাই জয়ী হবে।(আলে ইমরান ১৩৯)
হে বাংলার বীর মুজাহিদিন ভাইয়েরা
তোমাদের তারুন্নে উদ্যমতার ঢেউ , শরীরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও ক্লান্তিহীনতা, পাহাড়সম বাধা থাকা সত্তেও জয়ের এক অদম্য মানসিকতা,মনোবল কে সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে যাওয়া , নীরবতার অন্তরালে থেকে বাহুতে শক্তি সঞ্চয় করা ,নতুন করে ভরা যৌবন সাগরে উত্তাল ঢেউ নিয়ে আসার জন্য কি যথেস্ট নয় আমার করুনাময় মনিবের এই বার্তা!!
আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।(আলে ইমরান ১৪৬)
হে সম্মানিত ভাইয়েরা
বিগত দিনগুলোর তুলনায় কাশ্মীরের অবস্থা ভয়াবহ। অপরদিকে ইয়াহুদির বাচ্চা ইয়াহুদিরা তাদের উগ্রতা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি করেছে । এই কিছুদিন আগে ৩০০ ইয়াহুদি তাদের নাপাক পা ফেলেছে পবিত্র আল-কুদসে। সিরিয়ায় কুফুরি মিল্লাত মুজাহিদিন্দের সাথে পেরে না উঠে কাপুরুষের ন্যায় রাসায়নিক বোমার মাধ্যমে সাধারণ মুসলিমদের পাইকারিভাবে হত্যা করছে। আমাদের এ অঞ্চলের অবস্থা তো সকলেরই জানা আছে ।সুতরাং হে ভাইয়েরা , ভয়ের কোন কারন নেই, তিব্র অত্যাচার আর নির্যাতনের অন্তরালে বিজয়ের ঘ্রাণ আস্বাদন করুন , কেননা ইতিহাস সাক্ষী , শত্রুর প্রচুর উত্থানই তাদের পতন হয়ে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ্* । ভুলে যাবেন না , রাত যত গভীর হয় সুবহে সাদিক ততোটাই ঘনিয়ে আসে ।।
আজ শামে যদি খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষরণ ও প্রসব বেদনা চলে থাকে , আফগানের সমগ্র ভূমিতে শরিয়াহ কায়েম যদি সময়ের ব্যাপার মাত্র হয়ে থাকে, তাহলে শুনুন হে ভাইয়েরা আমি বলছি গাজওয়ায়ে হিন্দের চূড়ান্ত মহাযুদ্ধ আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ছে ইনশাআল্লাহ্*।
সুতরাং সাময়িক নিরবতার অন্তরালে হে প্রিয় ভাইয়েরা
প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকেআর, যেন; আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে ; আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।
আর
হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।(আলে ইমরান ২০০)
ওই এদেশের আমেরিকা ও ভারতের ভৃত্য সরকারের কাপুরুষ তাগুত গোষ্ঠী
তোরা যদি আমাদের সাময়িক নিরবতায় মনে করিস আমরা পালিয়েছি ,আমাদের শক্তি খর্ব হয়ে গিয়েছে ,তাহলে এ চিন্তা শুধু তোদের দুর্ভাগ্যই ডেকে আনবে বৈ কিছু নয় কেননা আমাদের শক্তি তো আমাদের অভিভাবক আল্লাহ্*র-ই থেকে আর যিনি হলেন মহা পরাক্রমশালী এবং মহাশক্তিধর। শুনে রাখ হে মূর্খের দল আমরা পালিয়ে যেতে শিখি নাই,পরাজয় কি জিনিস আমরা জানি না কেননা আমাদের বাচা-মরা সবই তো সৌভাজ্ঞের বিষয় । আর এতে আমরা আমাদের একমাত্র অভিবাবক করুনাময় আল্লাহর কাছে বিনিময় কামনা করি । আর তোরা তো হচ্ছিস এতিম, অসহায়। আর অভিভাবকহীন।
ওই শোন , দুনিয়ার বুকে এমন কোন বেক্তি জন্ম নেয়নি, এমন কোন সন্তান তার মায়ের দুধ পান করেনি যে মুসলিমদের পরাজিত করবে,মুসলিম দের উপর কর্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। বদর ,অহুদ, খায়বার আর হুনাইনের ইতিহাস কি তোরা জানিস না , রোম ও খাওয়ারিজদের ধ্বংস কি তোদের অজানা?তাতারিদের সাথে ওলামাদের যুদ্ধ ও বালাকটের ময়দান কি তোরা প্রত্যক্ষ করিস নি?
খালেদ বিন ওয়ালিদ ,তারিক বিন জিয়াদ , সালাউদ্দিন আইয়ুবি, বক্তিয়ার খিলজি , হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কি,কাছেম নানুতবি , সৈয়দ আহম্মদ শাহ্* (র) প্রমুখ বীর বাহাদুরদের গৌরবদীপ্ত বিজয়ী ইতিহাস কি তোদের অজানা ??
ওই তোরা কি দেখিস নি এই জামানার খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি শেইখ ওসামা বিন লাদিন (র) কে ? যার ভয়ে পুরো কাফের দুনিয়া থর থর করে কাঁপত। যার চেহারা দেখলে তোদের স্বঘোষিত খোদা ওবামার কালিজা শুকিয়ে মরুভুমিতে পরিনত হতো। আমেরিকার ছোট ছোট বাচ্চারা যখন খেলত ,তখন তারা একজন আরেকজনকে ভয় দেখানর জন্য বলতো “ওই লাদেন এল,লাদেন এল”। দুনিয়ার একপ্রান্তে থেকে আল্লাহর এ সিংহ যদি কোন বার্তা পাঠাতো আর দুনিয়ার অনপ্রান্তের সকল কুফুরি মিল্লাত নিরাপত্তার সরবচ্চো বেষ্টনীতে থাকার পরও ভয়ে নিস্তেজ হয়ে যেত । ওই কাপুরুষের দল,তোরাই বল, ওবামার সমগ্র প্রেসিডেন্ট জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য কি ?? তা হল ওসামাকে হত্যা । আর যাকে হত্যা করতে লেগেছে দীর্ঘ ১১ বছর। আল্লাহর এক সিংহ কে হত্যা করা যদি হয় দুনিয়ার কথিত সবচেয়ে শক্তিধর প্রেসিডেন্ট এর জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য ,আর যাকে হত্যা করতে লেগেছে ১১ বছর , তাহলে ওই আল্লাহর দুশমনেরা একটু ভাব তোদের অবস্থা কি হবে?যখন দুনিয়ার প্রতিটি কোণায় কোণায় আল্লাহ ওসামা তৈরি করে দিয়েছেন । পেরেছিস কি ওসামাকে হত্যা করে কিছু করতে? বরং ওসামা (র) এর দেহের তাজা-উত্তপ্ত রক্ত ময়দান গুলোকে উর্বর-ই করেছে যেভাবে জৈব সার পেয়ে অনুরবর ভূমিগুলো উর্বর হতে থাকে।
শোন তোদের কথিত প্রভুদের কথা
আমি এটা ভাবি না যে , তাঁর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রচুর নিরাপদ করে দিয়েছে । এটাই আমার কথা। আমার অপর অভিযোগ হচ্ছে যে, এর জন্য অনেক অনেক মূল্য দিতে হয়েছে , এর জন্য লেগেছে ১০ টি বছর, ২ অথবা ৩ টি দেশে আক্রমণ করতে হয়েছে , অনেক মানুষকে হত্যা করতে হয়েছে , পাঁচ হাজারেরও বেশি আমেরিকানদের জীবন দিতে হয়েছে , ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে......এক বেক্তির ছায়ার পিছনে ছুটতে?[......] আমি ভাবি দুনিয়াবেপি অনেক নিরপরাদ মুসলিমদের হত্যার মাধ্যমে আমরা ভয়াবহ বিপদ সংকুল অবস্থায় আছি, কারন আমরা প্রচুর অতিরিক্ত ক্ষতিসাধন করেছি নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার সময় হতে। সমস্ত ইরাকে স্বার্থ হাসিলের জন্য বম্বিং করা হয়েছিলো ৯/১১ এর ছুতোয়। সুতরাং, আমি বলতে চাই এইসব আমরা যত কম করতাম, ততো কম বিপদে আমরা থাকতাম।[Rep. Ron paul ,সিএনএন এর এন্ডারসন কুপার ৩৬০ এ ]
কার ব্যাপারে আমাদের সবচেয়ে ভীত হওয়া উচিত ? এটা আফগানিস্তান , ইরাক, পাকিস্তান ,ইয়েমেন নাকি সোমালিয়া ? সবার এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে , আমি ভীত । আমার মতে এটা একটা সংগ্রাম , এটা বহু ব্যাপক রূপ লাভ করেছে । এক হচ্ছে নিরাপত্তার দিক , কিন্তু অপর দিক হচ্ছে এর বৃত্তান্ত , এর মতাদর্শ যা বিন লাদিনের মত লোকেরা উপস্থাপন করেছে , কারন আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এই মতাদর্শের চরমপন্থায় জড়িত যারা এর প্রস্তাবনাকারি , তার চেয়ে বেশি রয়েছে এর বিশাল বিস্তৃত সমর্থক । [ টনি ব্লেয়ার , সিএনএন এর এন্ডারসন কুপার ৩৬০ এ ]
ওই বাংলার তাগুত গোষ্ঠী,তোরা যাদের থেকে নিরাপত্তার আশা করিস , তোদের সেই কথিত খোদাদের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে তোদের কি অবস্থা দাঁড়াবে একটু চিন্তা কর । আফগান , ইরাক , সিরিয়ায় তোদের প্রভুদের অবস্থা দেখে কি তোদের শিক্ষা হচ্ছে না ? আরে তোদের অবস্থা দেখে তো মনে হয় যে তোরা এখনি বাঁচা-মরার এক চূড়ান্ত যুদ্ধে নেমেছিস । যার ফলে তোদের যুদ্ধ সরঞ্জাম ও রশদ স্বল্পতাও দেখা যাচ্ছে । অথচ আমরা এখনো তোদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়নি । রাস্তা দিয়ে যখন তোদের চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাই তখন তোদের দেখে মনে হয় যেন এক ভয়ংকর যুদ্ধের ন্যায় রণ সাজে সজ্জিত হয়ে ভীরু ও কাপুরুষের ন্যায় রাস্তায় অসহায়ভাবে দারিয়ে আছিস যেন কোত্থেকে কখন জানি এক অতর্কিক হামলা তোদের জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয় । ওই তোরা তোদের বুকে হাত দিয়ে বলতো যে তোরা খুবি ভাল আছিস ? আর তোরাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিস না ? অথচ আমরা তোদের উপর এখনও হাত দেয়নি । তাহলে যখন আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় তোদের কে কচুকাটা করতে থাকবো ইনশাআল্লাহ্* তখন কি করবি?
আমি তোদের মনে করিয়ে দিচ্ছি আমাদের অন্তর প্রশান্তকারি আমীর মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (র) এর সেই দৃঢ় ও বিখ্যাত উক্তি
“ বুশ আমাদেরকে পরাজয়ের অঙ্গিকার করেছে আর আল্লাহ আমাদের সাথে বিজয়ের ওয়াদা করেছে। অতিশিঘ্রই ইনশাআল্লাহ আমরা দেখে নিবো কার ওয়াদা সত্য হয় ”
উক্ত চিরসত্য উক্তির বাস্তবতা আজ পুরা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করছে । অতএব আমি তোদের বলছি –
তোরা আমাদের শিখরসহ সমূলে উৎপাটন করার অঙ্গীকার করেছিস আর আমরাও ইনশাআল্লহ আল্লাহর মদদ নিয়ে তোদের দুনিয়ার বুক থেকে এমন ভাবে ধ্বংস ও বিলীন করার শপথ করেছি যেমনিভাবে কোন গ্রাম সাগরে তলিয়ে গেলে সাগর দেখে বিন্দুমাত্র বুঝার কোন অবকাশ থাকে না যে এখানে কোন এক সময়ে জনবসতি ছিল ।
হে তাগুত প্রশাসন গোষ্ঠীর মধ্যে যারা নিজেদের ইমানদার বলে দাবি করো ,
আমি তোমাদের বলছি কিভাবে তোমরা আল্লাহর পথে বাঁধা দিয়ে কুফরি কাজে শামিল হয়ে নিজেদের ইমানদার দাবি কর আর জান্নাতের আশা করো !! যদি সত্যিই তোমরা আল্লাহকে-ই রব হিসেবে স্বীকার করে থাকো ,তাহলে শোন তোমাদের মহাপরক্রমশালী রবের বাণী –
যারা কুফরি করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে , তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দেন । (মুহাম্মাদ-১)
অতএব আল্লাহ্*র পথে বাধা প্রদান করা কুফরির সাথে সমতুল্য একটি বিষয় । যার ফলে আল্লাহ কর্ম বিনষ্ট করে দেন। সুতরাং তোমাদের কে আমার বিনীত, আন্তরিক ও দরদমাখা আহবান , আল্লাহ কে ভয় কর , আল্লাহকে-ই ভয় কর যার থেকে তোমরা এসেছ এবং যার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন । আর ভয় কর সেই দিনকে যেই দিন তাঁর সামনে দাড়াতে হবে । ভয় করো কবরকে যেখানে অনিবার্যভাবে যেতে-ই হবে ।। আর তোমরা তাদের মতো হইয়ো না যাদের সম্পর্কে আমার মহান রব বলেন -
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।( বাকারা – ৬)
পরিশেষে রাহমানের দরবারে প্রার্থনা করি -----
“ হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর।(আলে ইমরান ১৪৭) ”
“ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।( আলে ইমরান ১৯৪) ”
“ হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।( আল বাকারা – ২৮৬)
শেষ কথা
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।যিনি বিচার দিনের মালিক।আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।( ফাতিহা ১-৪)
আর হে প্রিয় ভাইয়েরা আপনাদের বিশেষ প্রার্থনায় ভুলে যাইয়েন না আমাদের বন্দী ভাইদের, ভুলে যাইয়েন না সেই সকল ভাইদের যারা মা-বাবা , স্ত্রী , সন্তান- সন্ততি, ঘরবাড়ি সব কিছু ছেড়ে পালিয়ে পালিয়ে দিনাতিপাত করছে আর আপনাদের এই ভাইটিকে।
ওয়াসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
Comment