আসুন প্রতিদিন একটি করে নবীজির(صلى الله عليه وسلم) হাদিস জানি!
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়ন এর পূর্বে অল্প কিছু কথাঃ
(রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়নের আদব,গুরুত্ব এবং ফজিলত এর ব্যাপারে বিস্তারিত আলিমদের নিকট থেকে জেনে নিয়েন ইংশাআল্লাহ। আমি সামান্য যা জানি তাই উল্লেখ করলাম।)
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়নের সময় নিজের মনকে এইভাবে জাগরিত রাখতে হবে যে আমি রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর মজলিশে আছি।তাই রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর সম্মান এবং ভালোবাসা অধিক পরিমানে অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর প্রতি দুরুদ এবং সালাম যথাযথ ভাবে পাঠ করতে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস পরিপূর্ণ শুনা এবং মানার নিয়ত পড়তে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস সাহাবায়ে কেরাম(রাদিয়াল্লাহু আনহুম) যেভাবে বুজেছেন এবং যেভাবে আমল করেছেন সেভাবেই আমাদের বুজতে হবে এবং সেভাবেই আমল করতে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস এর কোন কিছু আমাদের বুজে না আসলে হাকপন্থি আলিমদের নিকট জিজ্ঞাসা করতে হবে।
*একজন আলেম বলেছেন যে ইলম অর্জনের জন্য ২-টি বস্তু দরকার। তা হলঃ ১। আদব, ২। তলব।
*একটি ঘটনাঃ
"ইমাম আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) খুব অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন।এমন সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি আসলো। সে এসে তাঁর নিকট রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস শুনতে চাইল। ইমাম আওযাই(র) তখন উঠে বসে হাদিসটি বর্ণনা করলেন অতঃপর আবার শুয়ে পরলেন। তখন ওই লোক তাকে জিজ্ঞেস করল আপনি তো শুয়ে শুয়ে আমাকে হাদিসটি বলতে পারতেন। তিঁনি তখন জবাব দিলেন রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস আমি শুয়ে শুয়ে বর্ণনা করা সমীচীন মনে করি না।"
এরকম শত শত ঘটনা আছে আমদের পূর্বসূরিদের মাঝে। আমি শুধু উদাহরণস্বরূপ ১- টা ঘটনা উল্লেখ করলাম।
সুবাহানাল্লাহ! কত তাযীম-আদব ছিল তাঁদের!!
আল্লাহ্* আমাদের কে মাফ করুন এবং আমাদেরকে ও তাওফিক দান করুন।
নোট-১ঃআমি জেনারেল শিক্ষিত। তাই বেশীরভাগ সময় শুধু হাদিসের বাংলা অনুবাদ কপি-পোষ্ট করব। কোন আলিম ভাই চাইলে এই উদ্যোগ নিতে পারেন যে প্রতিদিন একটি হাদিস আরবি+অর্থ+ব্যাখ্যাসহ আমাদের জন্য পোষ্ট করতে পারেন। অথবা, অন্য কোন ভাই আরও সুন্দরভাবে এই উদ্যোগকে সাজিয়-গুছিয়ে দিতে পারেন।
নোট-২ঃআমি একা একা আমল না করে আপনাদের কে নিয়ে এই আমলটি করার ইচ্ছা হল।তাই এই উদ্যোগ নিলাম।আমার জন্য দুয়া করবেন।আজ যদি আমাদের সুযোগ থাকতো তবে তো আমরা সকল ভাই একসাথে বসে হালাকা করে কোন আলিম ভাই থেকে নিয়মিত হাদিসের দারস নিতাম। সেটা তো আমাদের হচ্ছে না তাই এই প্রচেষ্টা।আল্লাহ্* আমাদের কে কবুল করুন এবং মৃত্যু পর্যন্ত আমলটি করার তাওফিক দান করুন।
হাদিস নং-৪
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
كُلُّ أُمَّتِى مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَاهرة أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً ، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ ، فَيَقُولَ يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا ، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ
“আমার উম্মতের সকলকেই ক্ষমা করে দেয়া হবে। তবে ঐ সকল লোককে ক্ষমা করা হবে না যারা পাপ করার পর তা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দেয়। অন্যের নিকট প্রকাশ করার একটি দিক হল, কোন ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোন গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ তার পাপটা গোপন করে রাখলেন। কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের নিকট বলল, হে উমুক, জানো, রাতে আমি এই এই কাজ করেছি। সারা রাত আল্লাহ তার পাপটাকে ঢেকে রেখেছিলেন কিন্তু ভোর হলে নিজেই আল্লাহর ঢেকে রাখা বিষয়টি প্রকাশ করে দিল।” [সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: ঈমানদার ব্যক্তির নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা, হা/ ৫৬০৮]
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়ন এর পূর্বে অল্প কিছু কথাঃ
(রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়নের আদব,গুরুত্ব এবং ফজিলত এর ব্যাপারে বিস্তারিত আলিমদের নিকট থেকে জেনে নিয়েন ইংশাআল্লাহ। আমি সামান্য যা জানি তাই উল্লেখ করলাম।)
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস অধ্যয়নের সময় নিজের মনকে এইভাবে জাগরিত রাখতে হবে যে আমি রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর মজলিশে আছি।তাই রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর সম্মান এবং ভালোবাসা অধিক পরিমানে অন্তরে উপস্থিত রাখতে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর প্রতি দুরুদ এবং সালাম যথাযথ ভাবে পাঠ করতে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস পরিপূর্ণ শুনা এবং মানার নিয়ত পড়তে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস সাহাবায়ে কেরাম(রাদিয়াল্লাহু আনহুম) যেভাবে বুজেছেন এবং যেভাবে আমল করেছেন সেভাবেই আমাদের বুজতে হবে এবং সেভাবেই আমল করতে হবে।
*রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস এর কোন কিছু আমাদের বুজে না আসলে হাকপন্থি আলিমদের নিকট জিজ্ঞাসা করতে হবে।
*একজন আলেম বলেছেন যে ইলম অর্জনের জন্য ২-টি বস্তু দরকার। তা হলঃ ১। আদব, ২। তলব।
*একটি ঘটনাঃ
"ইমাম আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) খুব অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন।এমন সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি আসলো। সে এসে তাঁর নিকট রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস শুনতে চাইল। ইমাম আওযাই(র) তখন উঠে বসে হাদিসটি বর্ণনা করলেন অতঃপর আবার শুয়ে পরলেন। তখন ওই লোক তাকে জিজ্ঞেস করল আপনি তো শুয়ে শুয়ে আমাকে হাদিসটি বলতে পারতেন। তিঁনি তখন জবাব দিলেন রাসুলুল্লাহ(صلى الله عليه وسلم) এর হাদিস আমি শুয়ে শুয়ে বর্ণনা করা সমীচীন মনে করি না।"
এরকম শত শত ঘটনা আছে আমদের পূর্বসূরিদের মাঝে। আমি শুধু উদাহরণস্বরূপ ১- টা ঘটনা উল্লেখ করলাম।
সুবাহানাল্লাহ! কত তাযীম-আদব ছিল তাঁদের!!
আল্লাহ্* আমাদের কে মাফ করুন এবং আমাদেরকে ও তাওফিক দান করুন।
নোট-১ঃআমি জেনারেল শিক্ষিত। তাই বেশীরভাগ সময় শুধু হাদিসের বাংলা অনুবাদ কপি-পোষ্ট করব। কোন আলিম ভাই চাইলে এই উদ্যোগ নিতে পারেন যে প্রতিদিন একটি হাদিস আরবি+অর্থ+ব্যাখ্যাসহ আমাদের জন্য পোষ্ট করতে পারেন। অথবা, অন্য কোন ভাই আরও সুন্দরভাবে এই উদ্যোগকে সাজিয়-গুছিয়ে দিতে পারেন।
নোট-২ঃআমি একা একা আমল না করে আপনাদের কে নিয়ে এই আমলটি করার ইচ্ছা হল।তাই এই উদ্যোগ নিলাম।আমার জন্য দুয়া করবেন।আজ যদি আমাদের সুযোগ থাকতো তবে তো আমরা সকল ভাই একসাথে বসে হালাকা করে কোন আলিম ভাই থেকে নিয়মিত হাদিসের দারস নিতাম। সেটা তো আমাদের হচ্ছে না তাই এই প্রচেষ্টা।আল্লাহ্* আমাদের কে কবুল করুন এবং মৃত্যু পর্যন্ত আমলটি করার তাওফিক দান করুন।
হাদিস নং-৪
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
كُلُّ أُمَّتِى مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَاهرة أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً ، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ ، فَيَقُولَ يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا ، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ
“আমার উম্মতের সকলকেই ক্ষমা করে দেয়া হবে। তবে ঐ সকল লোককে ক্ষমা করা হবে না যারা পাপ করার পর তা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দেয়। অন্যের নিকট প্রকাশ করার একটি দিক হল, কোন ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোন গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ তার পাপটা গোপন করে রাখলেন। কিন্তু ভোর হলে সে নিজেই অন্য মানুষের নিকট বলল, হে উমুক, জানো, রাতে আমি এই এই কাজ করেছি। সারা রাত আল্লাহ তার পাপটাকে ঢেকে রেখেছিলেন কিন্তু ভোর হলে নিজেই আল্লাহর ঢেকে রাখা বিষয়টি প্রকাশ করে দিল।” [সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: ঈমানদার ব্যক্তির নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা, হা/ ৫৬০৮]
Comment