ইসলামের সাথে জিহাদের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য.. ( সাইয়েদ কুতুব রাহি)
ইসলাম অকারনে কিংবা কোনো খোঁড়া অজুহাতে কাউকে আক্রমন করার পক্ষপাতী নয়। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর শুধু এ জন্যে আক্রমন করে না যে, সে ভিন্ন ধর্মালম্বী। ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রত্যেককেই তার পছন্দ অনুযায়ী ধর্মমত পালন করার স্বাধীনতা ইসলাম নিশ্চিত করে। কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি, কিংবা কোনো ব্যক্তি যখন ইসলামের বাণী প্রচারের ও প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখনই কেবল ইসলাম তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুকুম দেয়। কেননা এ পর্যায়ে এসে ব্যক্তি বা দল মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই বাধা অপসারন করে প্রত্যেকের জন্য স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই জিহাদের লক্ষ্য।
জনগনেরর উপর যেসব ব্যাক্তি তাদের মনগড়া শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে মানুষকে তাদের আদর্শের গোলাম বানিয়ে রেখেছে, সেসব শক্তির মূলৎপাটন করাই জিহাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য।
প্রতিকূল পরিবেেশের কারণে বিশ্বজুড়ে ইসলাম বিরোধীদের তোড়জোড় ও হুমকি-ধমকিতে ভয় পেয়ে তাদেরকে খুশি করার জন্য কিংবা পাশ্চাত্যের ধূর্ত লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত ও নমনীয় হওয়ার কারনে কোনো ব্যাখ্যা দিলে তা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা জিহাদ ইসলামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলাম যতদিন আছে জিহাদও ততদিন থাকবে। দেশরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, যুদ্ধ করার অস্ত্রশস্ত্র, সাজসরন্জাম না থাকলেও জিহাদের হুকুম বহাল থাকবে। ইতিহাসের অমুক সময়ের তমুকেরা জিহাদ করেনি, এমন কথা বলে কোন লাভ নেই। যারা করেনি সেটা তাদের ব্যাপার। এতে ইসলামে জিহাদের হুকুম রহিত হয়নি; বরং তারাই ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে।
ইতিহাসের উথান-পতনের ঘটনা পর্যালোচনার সময় এটা কিছুতেই ভুলে গেলে চলবে না যে, ইসলাম বিশ্বমানবতার সার্বজনীন মুক্তির ঘোষনা দিয়েছে। এবং সে জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থাও নির্ধারন করে দিয়েছে। জিহাদ এ কর্মপন্থারই নাম। নিছক দেশরক্ষার প্রয়োজনে জিহাদ করা কিংবা উপায় উপকরনের সাথে জিহাদকে শর্তযুক্ত করে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গায়রুল্লাহর দাসত্ব থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করা, গোটা পৃথিবীকে আল্লাহর আইনের অধীনে নিয়ে আসা এবং সমাজের স্বার্থপর, ধোঁজাবাজ, ও প্রতারক নেতাদের হটিয়ে সেখানে সৎ যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা ইসলামি জিহাদের উদ্দেশ্য।
জাহেলি সমাজের স্বার্থপররা জানে যে, আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হলে তথা ইসলামি শরিয়াহ বাস্তবায়িত হলে তাদের নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও স্বার্থ বজায় থাকবে না। তাই আল্লাহর সার্বভোমত্বের ঘোষনা দেয়ার সাথে সাথেই এসব নেতারা ইসলামি আন্দোলনকে দমন করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। তারা ভালো করেই জানে যে, আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের মতো দুশ্চরিত্র, স্বার্থপর, লম্পট ও প্রতারকদের কোনো অস্তিত্ব সমাজে থাকবে না। তাই তারা ইসলামি আন্দোনকে নিজেদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে হুমকি-স্বরুপ মনে করে এবং ইসলামি আন্দোলোনকে অংকুরেই ধ্বংস করে দিতে চায়।
এক্ষেত্রে ইসলামি আন্দোলনকে তার নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার স্বার্থেই আত্নরক্ষামূলক কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। ইসলাম কারো সাথে অকারনে সংঘর্ষে যাওয়া পছন্দ করে কিনা, এ প্রশ্ন এখানে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সমাজে এ ধরনের পরিস্থতি সৃষ্টি হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সংঘাত এক অনিবার্য পরিণতি। কেননা এটা উভয়েরই অস্তিত্বের লড়াই। ইসলামি জীবনব্যস্থা এমনই দুটো সাংঘর্ষিক বিষয়, যার সহাবস্হান কখনই সম্ভব নয় তাই অনিবার্য ও সংগত কারনেই ইসলামি আন্দোলনকে এ স্তরে প্রতিরক্ষামূলক কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
ইসলাম অকারনে কিংবা কোনো খোঁড়া অজুহাতে কাউকে আক্রমন করার পক্ষপাতী নয়। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর শুধু এ জন্যে আক্রমন করে না যে, সে ভিন্ন ধর্মালম্বী। ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রত্যেককেই তার পছন্দ অনুযায়ী ধর্মমত পালন করার স্বাধীনতা ইসলাম নিশ্চিত করে। কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি, কিংবা কোনো ব্যক্তি যখন ইসলামের বাণী প্রচারের ও প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখনই কেবল ইসলাম তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুকুম দেয়। কেননা এ পর্যায়ে এসে ব্যক্তি বা দল মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই বাধা অপসারন করে প্রত্যেকের জন্য স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই জিহাদের লক্ষ্য।
জনগনেরর উপর যেসব ব্যাক্তি তাদের মনগড়া শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে মানুষকে তাদের আদর্শের গোলাম বানিয়ে রেখেছে, সেসব শক্তির মূলৎপাটন করাই জিহাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য।
প্রতিকূল পরিবেেশের কারণে বিশ্বজুড়ে ইসলাম বিরোধীদের তোড়জোড় ও হুমকি-ধমকিতে ভয় পেয়ে তাদেরকে খুশি করার জন্য কিংবা পাশ্চাত্যের ধূর্ত লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত ও নমনীয় হওয়ার কারনে কোনো ব্যাখ্যা দিলে তা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা জিহাদ ইসলামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলাম যতদিন আছে জিহাদও ততদিন থাকবে। দেশরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, যুদ্ধ করার অস্ত্রশস্ত্র, সাজসরন্জাম না থাকলেও জিহাদের হুকুম বহাল থাকবে। ইতিহাসের অমুক সময়ের তমুকেরা জিহাদ করেনি, এমন কথা বলে কোন লাভ নেই। যারা করেনি সেটা তাদের ব্যাপার। এতে ইসলামে জিহাদের হুকুম রহিত হয়নি; বরং তারাই ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে।
ইতিহাসের উথান-পতনের ঘটনা পর্যালোচনার সময় এটা কিছুতেই ভুলে গেলে চলবে না যে, ইসলাম বিশ্বমানবতার সার্বজনীন মুক্তির ঘোষনা দিয়েছে। এবং সে জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থাও নির্ধারন করে দিয়েছে। জিহাদ এ কর্মপন্থারই নাম। নিছক দেশরক্ষার প্রয়োজনে জিহাদ করা কিংবা উপায় উপকরনের সাথে জিহাদকে শর্তযুক্ত করে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গায়রুল্লাহর দাসত্ব থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করা, গোটা পৃথিবীকে আল্লাহর আইনের অধীনে নিয়ে আসা এবং সমাজের স্বার্থপর, ধোঁজাবাজ, ও প্রতারক নেতাদের হটিয়ে সেখানে সৎ যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা ইসলামি জিহাদের উদ্দেশ্য।
জাহেলি সমাজের স্বার্থপররা জানে যে, আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হলে তথা ইসলামি শরিয়াহ বাস্তবায়িত হলে তাদের নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও স্বার্থ বজায় থাকবে না। তাই আল্লাহর সার্বভোমত্বের ঘোষনা দেয়ার সাথে সাথেই এসব নেতারা ইসলামি আন্দোলনকে দমন করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। তারা ভালো করেই জানে যে, আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের মতো দুশ্চরিত্র, স্বার্থপর, লম্পট ও প্রতারকদের কোনো অস্তিত্ব সমাজে থাকবে না। তাই তারা ইসলামি আন্দোনকে নিজেদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে হুমকি-স্বরুপ মনে করে এবং ইসলামি আন্দোলোনকে অংকুরেই ধ্বংস করে দিতে চায়।
এক্ষেত্রে ইসলামি আন্দোলনকে তার নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার স্বার্থেই আত্নরক্ষামূলক কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। ইসলাম কারো সাথে অকারনে সংঘর্ষে যাওয়া পছন্দ করে কিনা, এ প্রশ্ন এখানে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সমাজে এ ধরনের পরিস্থতি সৃষ্টি হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সংঘাত এক অনিবার্য পরিণতি। কেননা এটা উভয়েরই অস্তিত্বের লড়াই। ইসলামি জীবনব্যস্থা এমনই দুটো সাংঘর্ষিক বিষয়, যার সহাবস্হান কখনই সম্ভব নয় তাই অনিবার্য ও সংগত কারনেই ইসলামি আন্দোলনকে এ স্তরে প্রতিরক্ষামূলক কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
Comment