দারসুল হাদিস
نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما : أتاه رجلان في فتنة ابن الزبير فقالا إن الناس صنعوا ما ترى وأنت ابن عمر وصاحب النبي صلى الله عليه و سلم فما يمنعك أن تخرج ؟ فقال يمنعني أن الله حرم دم أخي فقالا ألم يقل الله { وقاتلوهم حتى لا تكون فتنة } . فقال قاتلنا حتى لم تكن فتنة وكان الدين لله وأنتم تريدون أن تقاتلوا حتى تكون فتنة ويكون الدين لغير الله. (بخاري: كتاب التفسير: باب { وقاتلوهم حتى لا تكون فتنة ويكون الدين لله فإن انتهوا فلا عدوان إلا على الظالمين }
“ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যোবায়ের রা. এর সাথে হাজ্জাজের যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে দুজন লোক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর নিকট আসলো। (ঐ যুদ্ধে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. অংশগ্রহন করেননি। তাই ঐ দুজন লোক তার অংশগ্রহন না করার কারণ জানতে চেয়ে) বলল, লোকজনের অবস্থা তো আপনি দেখতে পাচ্ছেন অর্থাৎ উভয় দলের মাঝে প্রচন্ড যুদ্ধ বেধে গেছে। অথচ আপনি হলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী এবং ওমর ইবনুল খাত্তাবের বেটা। (আপনার তো এখন যুদ্ধ না করে বসে থাকার কথা নয়!!!)। কোন বিষয় আপনাকে যুদ্ধ অংশগ্রহন থেকে বারণ করছে? তাদের এ বক্তব্য শুনে হযরত ইবনে ওমর রা. বললেন, আল্লাহ তায়ালা মুসলমান ভাইয়ের রক্তপাতকে হারাম করেছেন এ হুকুম আমাকে যুদ্ধে অংশগ্রহন থেকে বারণ করেছে। অর্থাৎ উভয় পক্ষের লোকেরা যেহেতু মুসলমান তাই আমি যুদ্ধে অংশগ্রহন করলে আমার হাতে মুসলমানের রক্ত ঝরবে। আর আল্লাহ তায়ালা এটাকে হারাম করেছেন। একথা শুনে তারা আবার বললো, আল্লাহ তায়ালা তো বলেছেন, “ফেতনা দমনের আগ পরযন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকো”। (তাহলে আপনি আল্লাহর আদেশ পালনার্থে যুদ্ধ করে ফেতনা দমন করছেন না কেন?) একথার উত্তরে ইবনে ওমর রা. বললেন, আমরা যুদ্ধে করেছি যাতে ফেতনা দমন হয় এবং আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী হয়। আর তোমরা এখন যুদ্ধ করছো ফেতনা বাড়ানোর জন্য”। ( বুখারী: কিতাবুত তাফসীর)
এ হাদিসটি বলার উদ্দ্যেশ্য হলো, আমি এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম যেখানে এ হাদিসের দরস চলছিলো, জনাব মুহাদ্দিস সাহেব অনেক বড় আলেম। তিনি হাদিসের তরজমা এমনভাবে করলেন তা শুনে আমার মনে হলো, তিনি জিহাদ ছেড়ে বসে থাকার পক্ষে বড় একটি দলিল পেয়ে গেছেন। তাই তিনি অনেক শক্ত ভাবেই হাদিসের তরজমাটি বললেন।
এ অবস্থা দেখে আমি অনেক কষ্ট পেলাম। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলো। অনেক ব্যথিত মন নিয়ে ঐ মজলিস শেষ করলাম।
অনেকেই এ হাদিস দিয়ে জিহাদ ছেড়ে বসে থাকার পক্ষে দলিল দিয়ে থাকে।
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. যখন যুদ্ধ থেকে বিরত ছিলেন তখন যুদ্ধের উভয় পক্ষ মুসলমান ছিলেন। আর বর্তমানে একপক্ষ মুসলমান অপর পক্ষ কাফের। তখনকার যুদ্ধটি ইমান-কুফরের ছিলোনা। কিন্তু বর্তমানের যুদ্ধটি ইমান-কুফরের। জিহাদ ছেড়ে বসে থাকার পক্ষে হাদিসকে দলিল বানানো যে কতবড় ইলমী খেয়ানত এবং ইসলামের সাথে গাদ্দারী তা সকল বুঝমান ব্যক্তিদের সামনে স্পষ্ট।
সমস্ত তাগুত যখন ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত তখন যদি হাদিসের দরস থেকে এমন উক্তি আসে তাহলে এর চেয়ে বেশী দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে??????
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন। আমিন।
نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما : أتاه رجلان في فتنة ابن الزبير فقالا إن الناس صنعوا ما ترى وأنت ابن عمر وصاحب النبي صلى الله عليه و سلم فما يمنعك أن تخرج ؟ فقال يمنعني أن الله حرم دم أخي فقالا ألم يقل الله { وقاتلوهم حتى لا تكون فتنة } . فقال قاتلنا حتى لم تكن فتنة وكان الدين لله وأنتم تريدون أن تقاتلوا حتى تكون فتنة ويكون الدين لغير الله. (بخاري: كتاب التفسير: باب { وقاتلوهم حتى لا تكون فتنة ويكون الدين لله فإن انتهوا فلا عدوان إلا على الظالمين }
“ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যোবায়ের রা. এর সাথে হাজ্জাজের যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে দুজন লোক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর নিকট আসলো। (ঐ যুদ্ধে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. অংশগ্রহন করেননি। তাই ঐ দুজন লোক তার অংশগ্রহন না করার কারণ জানতে চেয়ে) বলল, লোকজনের অবস্থা তো আপনি দেখতে পাচ্ছেন অর্থাৎ উভয় দলের মাঝে প্রচন্ড যুদ্ধ বেধে গেছে। অথচ আপনি হলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী এবং ওমর ইবনুল খাত্তাবের বেটা। (আপনার তো এখন যুদ্ধ না করে বসে থাকার কথা নয়!!!)। কোন বিষয় আপনাকে যুদ্ধ অংশগ্রহন থেকে বারণ করছে? তাদের এ বক্তব্য শুনে হযরত ইবনে ওমর রা. বললেন, আল্লাহ তায়ালা মুসলমান ভাইয়ের রক্তপাতকে হারাম করেছেন এ হুকুম আমাকে যুদ্ধে অংশগ্রহন থেকে বারণ করেছে। অর্থাৎ উভয় পক্ষের লোকেরা যেহেতু মুসলমান তাই আমি যুদ্ধে অংশগ্রহন করলে আমার হাতে মুসলমানের রক্ত ঝরবে। আর আল্লাহ তায়ালা এটাকে হারাম করেছেন। একথা শুনে তারা আবার বললো, আল্লাহ তায়ালা তো বলেছেন, “ফেতনা দমনের আগ পরযন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকো”। (তাহলে আপনি আল্লাহর আদেশ পালনার্থে যুদ্ধ করে ফেতনা দমন করছেন না কেন?) একথার উত্তরে ইবনে ওমর রা. বললেন, আমরা যুদ্ধে করেছি যাতে ফেতনা দমন হয় এবং আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী হয়। আর তোমরা এখন যুদ্ধ করছো ফেতনা বাড়ানোর জন্য”। ( বুখারী: কিতাবুত তাফসীর)
এ হাদিসটি বলার উদ্দ্যেশ্য হলো, আমি এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম যেখানে এ হাদিসের দরস চলছিলো, জনাব মুহাদ্দিস সাহেব অনেক বড় আলেম। তিনি হাদিসের তরজমা এমনভাবে করলেন তা শুনে আমার মনে হলো, তিনি জিহাদ ছেড়ে বসে থাকার পক্ষে বড় একটি দলিল পেয়ে গেছেন। তাই তিনি অনেক শক্ত ভাবেই হাদিসের তরজমাটি বললেন।
এ অবস্থা দেখে আমি অনেক কষ্ট পেলাম। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলো। অনেক ব্যথিত মন নিয়ে ঐ মজলিস শেষ করলাম।
অনেকেই এ হাদিস দিয়ে জিহাদ ছেড়ে বসে থাকার পক্ষে দলিল দিয়ে থাকে।
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. যখন যুদ্ধ থেকে বিরত ছিলেন তখন যুদ্ধের উভয় পক্ষ মুসলমান ছিলেন। আর বর্তমানে একপক্ষ মুসলমান অপর পক্ষ কাফের। তখনকার যুদ্ধটি ইমান-কুফরের ছিলোনা। কিন্তু বর্তমানের যুদ্ধটি ইমান-কুফরের। জিহাদ ছেড়ে বসে থাকার পক্ষে হাদিসকে দলিল বানানো যে কতবড় ইলমী খেয়ানত এবং ইসলামের সাথে গাদ্দারী তা সকল বুঝমান ব্যক্তিদের সামনে স্পষ্ট।
সমস্ত তাগুত যখন ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত তখন যদি হাদিসের দরস থেকে এমন উক্তি আসে তাহলে এর চেয়ে বেশী দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে??????
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন। আমিন।
Comment