দারসুল হাদিস (জিহাদের ফজিলত-পর্ব-১)
الحمد لله وحده والصلوة والسلام على من لا نبي بعده. اما بعد.
প্রিয় মুজাহিদ বন্ধুগণ, আপনারা কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আমি এখন জিহাদের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করবো। জিহাদের ফজিলত অনেক। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেনে। আমি এগুলো ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের খেদমতে পেশ করবো।
হাদিসে আছে,
- حدثنا إسحاق بن منصور أخبرنا عفان حدثنا همام حدثنا محمد بن جحادة قال أخبرني أبو حصين أن ذكوان حدثه أن أبا هريرة رضي الله عنه حدثه قال جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال دلني على عمل يعدل الجهاد قال لا أجده قال هل تستطيع إذا خرج المجاهد أن تدخل مسجدك فتقوم ولا تفتر وتصوم ولا تفطر قال ومن يستطيع ذلك قال أبو هريرة إن فرس المجاهد ليستن في طوله فيكتب له حسنات
“হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, (হে আল্লাহর রাসুল) আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যা (সওয়াবের দিক থেকে) জিহাদের সমান হবে। উত্তরে হুযুর বললেন, এমন আমল আমার জানা নেই। অর্থাৎ জিহাদের সমান কোন আমল নেই। অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুজাহিদ যখন জিহাদের জন্য ময়দানে চলে যায় তখন তুমি কি পারবে মসজিদে প্রবেশ করে অনবরত নামাজ পড়তে এবং ধারাবাহিক রোজা রাখতে? লোকটি বলল, তা কার সাধ্য? কেউও পারবে না। অর্থাৎ কেউ যখন এমনটা পারবে না তো, সওয়াবের দিক থেকে মুজাহিদের সমান কেউ হতে পারবে না। (সুবহানাল্লাহ)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ‘মুজাহিদের ঘোড়া রশিতে বাঁধা থাকা অবস্থায় ঘোরাফেরা করে, এতেও তার জন্য নেকি লেখা হয়।’
হাদিসের ব্যাখ্যায়,
কাযী ইয়ায রহ. (মৃত্যু৫৪৪ হি.) বলেন,
قال عياض اشتمل حديث الباب على تعظيم أمر الجهاد لان الصيام وغيره مما ذكر من فضائل الاعمال قد عدلها كلها الجهاد حتى صارت جميع حالات المجاهد وتصرفاته المباحة معادلة لاجر المواظب على الصلاة وغيرها ولهذا قال صلى الله عليه وسلم لا تستطيع ذلك.
“ এই হাদিসটি জিহাদের ফজিলত বুঝাচ্ছে। কেননা রোজা এবং ফজিলতপুর্ণ অন্যান্য নেক আমল এগুলোর সবগুলোর সমপরিমান সওয়াব জিহাদের মধ্যে পাওয়া যায়। এমনকি মুজাহিদের ব্যক্তিগত (যেমন খাওয়া, ঘুম, গোসল ইত্যাদি) কাজকর্ম এবং বৈধ পদক্ষেপ এগুলোর সওয়াব ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির সওয়াবের সমান। ( ফতহুল বারী: খন্ড ৬ পৃষ্ঠা: ৬ মাকতাবাতুস সছা)
ইমাম ইবনে দাক্বিকুল ঈদ রহ. (মৃত্যু: ৭০২ হি.) বলেন,
قال ابن دقيق العيد القياس يقتضي أن يكون الجهاد أفضل الاعمال التي هي وسائل لان الجهاد وسيلة إلى اعلان الدين ونشره وإخماد الكفر ودحضه ففضيلته بحسب فضيلة ذلك والله أعلم.
“যুক্তিতেও এটা বলে যে, জিহাদ সব চেয়ে বড় ইবাদত হবে। কারণ, জিহাদ হচ্ছে, আল্লাহর দ্বীনের প্রচার-প্রসার এবং কুফরকে মিটিয়ে দেওয়ার মাধ্যম। তাই তার ফজিলতও ঐ হিসেবে হবে।
আল্লাহ সর্বজ্ঞাত ( ফতহুল বারী: খন্ড ৬ পৃষ্ঠা: ৬ মাকতাবাতুস সছা)
الحمد لله وحده والصلوة والسلام على من لا نبي بعده. اما بعد.
প্রিয় মুজাহিদ বন্ধুগণ, আপনারা কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আমি এখন জিহাদের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করবো। জিহাদের ফজিলত অনেক। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেনে। আমি এগুলো ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের খেদমতে পেশ করবো।
হাদিসে আছে,
- حدثنا إسحاق بن منصور أخبرنا عفان حدثنا همام حدثنا محمد بن جحادة قال أخبرني أبو حصين أن ذكوان حدثه أن أبا هريرة رضي الله عنه حدثه قال جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال دلني على عمل يعدل الجهاد قال لا أجده قال هل تستطيع إذا خرج المجاهد أن تدخل مسجدك فتقوم ولا تفتر وتصوم ولا تفطر قال ومن يستطيع ذلك قال أبو هريرة إن فرس المجاهد ليستن في طوله فيكتب له حسنات
“হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, (হে আল্লাহর রাসুল) আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যা (সওয়াবের দিক থেকে) জিহাদের সমান হবে। উত্তরে হুযুর বললেন, এমন আমল আমার জানা নেই। অর্থাৎ জিহাদের সমান কোন আমল নেই। অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুজাহিদ যখন জিহাদের জন্য ময়দানে চলে যায় তখন তুমি কি পারবে মসজিদে প্রবেশ করে অনবরত নামাজ পড়তে এবং ধারাবাহিক রোজা রাখতে? লোকটি বলল, তা কার সাধ্য? কেউও পারবে না। অর্থাৎ কেউ যখন এমনটা পারবে না তো, সওয়াবের দিক থেকে মুজাহিদের সমান কেউ হতে পারবে না। (সুবহানাল্লাহ)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ‘মুজাহিদের ঘোড়া রশিতে বাঁধা থাকা অবস্থায় ঘোরাফেরা করে, এতেও তার জন্য নেকি লেখা হয়।’
হাদিসের ব্যাখ্যায়,
কাযী ইয়ায রহ. (মৃত্যু৫৪৪ হি.) বলেন,
قال عياض اشتمل حديث الباب على تعظيم أمر الجهاد لان الصيام وغيره مما ذكر من فضائل الاعمال قد عدلها كلها الجهاد حتى صارت جميع حالات المجاهد وتصرفاته المباحة معادلة لاجر المواظب على الصلاة وغيرها ولهذا قال صلى الله عليه وسلم لا تستطيع ذلك.
“ এই হাদিসটি জিহাদের ফজিলত বুঝাচ্ছে। কেননা রোজা এবং ফজিলতপুর্ণ অন্যান্য নেক আমল এগুলোর সবগুলোর সমপরিমান সওয়াব জিহাদের মধ্যে পাওয়া যায়। এমনকি মুজাহিদের ব্যক্তিগত (যেমন খাওয়া, ঘুম, গোসল ইত্যাদি) কাজকর্ম এবং বৈধ পদক্ষেপ এগুলোর সওয়াব ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির সওয়াবের সমান। ( ফতহুল বারী: খন্ড ৬ পৃষ্ঠা: ৬ মাকতাবাতুস সছা)
ইমাম ইবনে দাক্বিকুল ঈদ রহ. (মৃত্যু: ৭০২ হি.) বলেন,
قال ابن دقيق العيد القياس يقتضي أن يكون الجهاد أفضل الاعمال التي هي وسائل لان الجهاد وسيلة إلى اعلان الدين ونشره وإخماد الكفر ودحضه ففضيلته بحسب فضيلة ذلك والله أعلم.
“যুক্তিতেও এটা বলে যে, জিহাদ সব চেয়ে বড় ইবাদত হবে। কারণ, জিহাদ হচ্ছে, আল্লাহর দ্বীনের প্রচার-প্রসার এবং কুফরকে মিটিয়ে দেওয়ার মাধ্যম। তাই তার ফজিলতও ঐ হিসেবে হবে।
আল্লাহ সর্বজ্ঞাত ( ফতহুল বারী: খন্ড ৬ পৃষ্ঠা: ৬ মাকতাবাতুস সছা)
Comment