দরসুল হাদিস (গাজওয়াতুল হিন্দ)
3175 - عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "عصابتان من أمتي أحرزهما الله من النار: عصابة تغزو الهند وعصابة تكون مع عيسى بن مريم".
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আযাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “আমার উম্মতের দুটি জামাতকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে মুক্তি দিবেন। এর মধ্যে এক জামাত হলো, যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আরেকদল যারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. এর সাথে থাকবে।”
(সুনানে নাসাঈ: হাদিস নং: ৩১৭৫)
**এ হাদিস সম্পর্কে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. (মৃত্যু: ২৪১ হি.) বলেন,
(عصابتان من أمتي أحرزهم الله من النار عصابة تغزو الهند وعصابة تكون مع عيسى بن مريم عليه السلام) . حديث حسن وهذا إسناد ضعيف من أجل بقية.
হাদিসটি হাসান। তবে বাকীয়া নামক রাবীর কারণে এ সনদটি যয়ীফ
(মুসনাদে আহমাদ: খন্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ২৭৮)
** ইমাম নুরুদ্দীন হাইসামী রহ. (মৃত্যু: ৮০৭ হি.) বলেন,
رواه الطبراني في الأوسط وسقط تابعيه والظاهر أنه راشد بن سعد وبقية رجاله ثقات.
“ হাদিসটি ইমাম তাবরানী রহ. মু’জামে আওসাতে বর্ণনা করেছেন। সনদের মধ্যে একজন তাবেয়ীর নাম ছুটে গেছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, সে তাবেয়ী হলো, রাশেদ ইবনে সায়াদ এবং সনদের বাকী রাবীগণ বিশ্বস্ত।”
(মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস নং: ৯৪৫৩ )
** প্রশিদ্ধ মুহাক্কিক্ব শুয়াইব আরনাউত রহ. বলেন,
حديث حسن وهذا إسناد ضعيف من أجل بقية.
“হাদিসটি হাসান। তবে বাকীয়া নামক রাবীর কারণে এ সনদটি যয়ীফ”
(শুয়াইব আরনাউতের হুকুম সহ মুসনাদে আহমাদ খন্ড: ২২ পৃষ্ঠা: ১৩২)
প্রিয় ভাইয়েরা। আপনারা সকলেই জানেন যে, হাসান হাদিসের উপর আমল করা যায় এবং দালিলও দেওয়া যায়। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এ হাদিসে বর্ণিত দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করেন। আমিন।
এ ছাড়াও হাদিসটি বর্ণনা করেন,
১. ইমাম বুখারী রহ. (মৃত্যু: ২৫৬ হি.) তার কিতাব, তারিখে কাবীরে (খন্ড: ৬ পৃষ্ঠা: ২৭)
২. হাফেজ জালালুদ্দিন সুয়ুতী রহ. (মৃত্যু: ৯১১ হি.) তার কিতাব, জামেউস সগীরে (খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ১৫৪)
৩. হাফেজ ইবনুল আছীর আল-জাযরী রহ. (মৃত্যু: ৬০৬ হি.) তার কিতাব, জামেউল উসুলে (খন্ড: ৯ পৃষ্ঠা: ২০২)
৪. হাফেজ আবু বকর আল বায়হাক্বী রহ. (মৃত্যু: ৪৫৮ হি.) তার কিতাব, সুনানে কুবরাতে (খন্ড: ৯ পৃষ্ঠা: ১৭৬)
৫. হাফেজ আলী আল মুত্তাক্বী আল হিন্দী রহ. (মৃত্যু: ৯৭৫ হি.) তার কিতাব, কানযুল উম্মালে (খন্ড: ১৪ পৃষ্ঠা: ৩৮৫)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন।
3175 - عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "عصابتان من أمتي أحرزهما الله من النار: عصابة تغزو الهند وعصابة تكون مع عيسى بن مريم".
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আযাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “আমার উম্মতের দুটি জামাতকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে মুক্তি দিবেন। এর মধ্যে এক জামাত হলো, যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আরেকদল যারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. এর সাথে থাকবে।”
(সুনানে নাসাঈ: হাদিস নং: ৩১৭৫)
**এ হাদিস সম্পর্কে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. (মৃত্যু: ২৪১ হি.) বলেন,
(عصابتان من أمتي أحرزهم الله من النار عصابة تغزو الهند وعصابة تكون مع عيسى بن مريم عليه السلام) . حديث حسن وهذا إسناد ضعيف من أجل بقية.
হাদিসটি হাসান। তবে বাকীয়া নামক রাবীর কারণে এ সনদটি যয়ীফ
(মুসনাদে আহমাদ: খন্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ২৭৮)
** ইমাম নুরুদ্দীন হাইসামী রহ. (মৃত্যু: ৮০৭ হি.) বলেন,
رواه الطبراني في الأوسط وسقط تابعيه والظاهر أنه راشد بن سعد وبقية رجاله ثقات.
“ হাদিসটি ইমাম তাবরানী রহ. মু’জামে আওসাতে বর্ণনা করেছেন। সনদের মধ্যে একজন তাবেয়ীর নাম ছুটে গেছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, সে তাবেয়ী হলো, রাশেদ ইবনে সায়াদ এবং সনদের বাকী রাবীগণ বিশ্বস্ত।”
(মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস নং: ৯৪৫৩ )
** প্রশিদ্ধ মুহাক্কিক্ব শুয়াইব আরনাউত রহ. বলেন,
حديث حسن وهذا إسناد ضعيف من أجل بقية.
“হাদিসটি হাসান। তবে বাকীয়া নামক রাবীর কারণে এ সনদটি যয়ীফ”
(শুয়াইব আরনাউতের হুকুম সহ মুসনাদে আহমাদ খন্ড: ২২ পৃষ্ঠা: ১৩২)
প্রিয় ভাইয়েরা। আপনারা সকলেই জানেন যে, হাসান হাদিসের উপর আমল করা যায় এবং দালিলও দেওয়া যায়। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এ হাদিসে বর্ণিত দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করেন। আমিন।
এ ছাড়াও হাদিসটি বর্ণনা করেন,
১. ইমাম বুখারী রহ. (মৃত্যু: ২৫৬ হি.) তার কিতাব, তারিখে কাবীরে (খন্ড: ৬ পৃষ্ঠা: ২৭)
২. হাফেজ জালালুদ্দিন সুয়ুতী রহ. (মৃত্যু: ৯১১ হি.) তার কিতাব, জামেউস সগীরে (খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ১৫৪)
৩. হাফেজ ইবনুল আছীর আল-জাযরী রহ. (মৃত্যু: ৬০৬ হি.) তার কিতাব, জামেউল উসুলে (খন্ড: ৯ পৃষ্ঠা: ২০২)
৪. হাফেজ আবু বকর আল বায়হাক্বী রহ. (মৃত্যু: ৪৫৮ হি.) তার কিতাব, সুনানে কুবরাতে (খন্ড: ৯ পৃষ্ঠা: ১৭৬)
৫. হাফেজ আলী আল মুত্তাক্বী আল হিন্দী রহ. (মৃত্যু: ৯৭৫ হি.) তার কিতাব, কানযুল উম্মালে (খন্ড: ১৪ পৃষ্ঠা: ৩৮৫)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন।
Comment