অহুদ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গাড়ী থামল। এখন এখানে জনপদ গড়ে উঠেছে, তখন জনবসতি ছিল না।
ছিল শুধু অহুদ পর্বত এবং অহুদ প্রান্তর, সেই প্রান্তর, যেখানে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হয়ে আল্লাহর নবী সাঃ
হাজির হয়েছিলেন সাতশ জানবাজ সাহাবাকে সংগে নিয়ে। কেন? শিরক ও কুফুরির বিরুদ্ধে লড়াই
করার জন্য, দুনিয়াতে দ্বীনকে কেয়ামত পর্যন্ত যিন্দা রাখার জন্য।
আজ চৌদ্দশ বছর পর কেন এলাম এখানে? এই কেন' এর কি কোন জবাব আছে আমার কাছে? না তবে
হযরতকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমরা অহুদের ময়দানে কেন এসেছি? তিনি বললেন, অহুদের ময়দানে আমরা
এসেছি, শহীদানে অহুদের পিছনের কাতারে শামিল হওয়ার জন্যে, "তা-দমে যিন্দিগি" ঈমান ও কুফুরের
জিহাদে ছাবিতকদম থাকার বাই'য়াত গ্রহনের জন্য এবং আমাদের মুর্দা দিলে শাহাদাতের তামানন্না আবার
যিন্দা করার জন্য।
দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদছি, আর ভাবছিলাম, এখানে আজ এসেছি দর্শক য়ে, অথচ একদিন এখানে হক-বাতিলের
মাঝে ঘোরতর যুদ্ধ হয়েছিল। রহমতের নবীর দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে তীর বৃষ্টি ছুটে এসেছিল, এখানেই এই মাটিতে
আল্লাহর নবীর পবিত্র রক্ত ঝরেছিল, দান্দান শহীদ হয়েছিল! এখানেই তো আমার প্রেয়ারা নবী পড়ে গিয়েছিলেন
যখমি হয়ে!
অহুদের প্রান্তরে আজ আমরা দর্শক, কিন্তু সেদিন শহীদানের সরদার নবীর চাচা হযরত হামজা রাদি এর বুক চিরে কলজে
বের করা হয়েছিল এবং সে দৃশ্য আল্লাহর নবীকে দেখতে হয়েছিল! কি কষ্ট ই হয়েছিল সেদিন আমার পেয়ারা নবীর!
অন্তরে কেন ব্যথার ঢেউ জাগে না! হৃদয় থেকে কেন রক্ত ঝরে না! এই শহীদানে অহুদের কোরবানী ও শাহাদাতের পথ ধরেই
তো ইসলাম পৌঁছেছে আমাদের কাছে!
এখন কি দুনিয়াতে ঈমান ও কুফুরের মোকাবেলা নেই? এখন কি যিন্দিগির ময়দানে হক ও বাতিলের লড়াই নেই? সে
ময়দানে কোথায় শহীদানে অহুদের উত্তরসূরীরা?
এখানে এই মাটিতে একদিন ইতিহাস তৈরি হয়েছিল, শাহাদাত ও কোরবানীর ইতিহাস! সাতশ জানবাজ ছাহাবার মাথার
উপর তিন হাজার তলোয়ার ঝলসে উঠার ইতিহাস। ছাহাবায়ে কেরাম এখানে ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমরা সেই
ইতিহাস লিখি এবং পড়ি, একটু রক্ত সিন্চন করে ইতিহাসকে প্রান দিতে পারি না, তবু দাবী করি, আমরা তাদের উত্তরসূরী!
আকাশের সূর্য সেদিন ও এখানে ছিলো। কী দেখেছিলো সে এখানে সেদিন? তালহার বীরত্ব! আলীর শৌর্য!
আবু দোজানার বিক্রম! ওয়াহশীর হিংস্রতা! হিন্দার পৈচাশিক উল্লাস। এখানেই তো নূরের ফিরিশ্তারা আকাশ থেকে নেমে
এসেছিল তাঁকে গোসল দিতে, যিনি বাশরশয্য থেকে ছুটে এসেছিলেন জিহাদের ময়দানে ।
তুমি কি দেখেছিলে নবীর জন্য জান কোরবান করার সেই সব দুর্লভ দৃশ্য! তুমি কি দেখেছিলে সেই পুণ্যবতী ছাহাবিয়্যকে,
ভাই স্বামী ও পুত্রের শাহাদাতের খবর শুনেও যার মুখে শুধু একটি ব্যাকুল প্রশ্ন ছিলো, আল্লাহর নবী কেমন আছেন?
তার পর প্রিয় নবীকে দেখে বলেছিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনাকে দেখার পর আমার কোন দুঃখ নেই !
হে জাবালে অহুদ! আমাকে বল সেই ভালোবাসার কথা! কিতাবের পাতা থেকে নয়! আমি শুনতে চাই তোমার থেকে
হয়ত তাতে আমার কলবেও পয়দা হবে জিহাদের জযবাহ! শাহাদাতের তামান্না! কিতাবের পাতায় আছে শুধু ঘটনার
বর্ণনা, আমি তোমার কাছে পেতে চাই ঘটনার মর্ম ও বেদনা! কিতাবের পাতা থেকে তো আসে না জান্নাতের খুশবু!
আসে তোমার পেছন থেকে! এবং পায় শুধু তারা যারা ছুটে যায় তলোয়ার হাতে তলোয়ারের দিকে!
হে জাবালে অহুদ! প্রতিজ্ঞা করছি, আজীবন আমি করবো সত্যের পক্ষে, আজীবন আমি লড়াই করবো বাতিলের
বিরুদ্ধে, তোমার পেছন থেকে আসা সেই খোশবুর একটুখানি ভাগ পাওয়ার জন্য।
লেখাটি সামান্য কমবেশী করে লেখা
আদীব হুজুর এর বাইতুল্লার মুসাফির থেকে
বানান ভুল আমার পক্ষ হতে।
তিনি বানান ভুলের উর্ধে।
ছিল শুধু অহুদ পর্বত এবং অহুদ প্রান্তর, সেই প্রান্তর, যেখানে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হয়ে আল্লাহর নবী সাঃ
হাজির হয়েছিলেন সাতশ জানবাজ সাহাবাকে সংগে নিয়ে। কেন? শিরক ও কুফুরির বিরুদ্ধে লড়াই
করার জন্য, দুনিয়াতে দ্বীনকে কেয়ামত পর্যন্ত যিন্দা রাখার জন্য।
আজ চৌদ্দশ বছর পর কেন এলাম এখানে? এই কেন' এর কি কোন জবাব আছে আমার কাছে? না তবে
হযরতকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমরা অহুদের ময়দানে কেন এসেছি? তিনি বললেন, অহুদের ময়দানে আমরা
এসেছি, শহীদানে অহুদের পিছনের কাতারে শামিল হওয়ার জন্যে, "তা-দমে যিন্দিগি" ঈমান ও কুফুরের
জিহাদে ছাবিতকদম থাকার বাই'য়াত গ্রহনের জন্য এবং আমাদের মুর্দা দিলে শাহাদাতের তামানন্না আবার
যিন্দা করার জন্য।
দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদছি, আর ভাবছিলাম, এখানে আজ এসেছি দর্শক য়ে, অথচ একদিন এখানে হক-বাতিলের
মাঝে ঘোরতর যুদ্ধ হয়েছিল। রহমতের নবীর দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে তীর বৃষ্টি ছুটে এসেছিল, এখানেই এই মাটিতে
আল্লাহর নবীর পবিত্র রক্ত ঝরেছিল, দান্দান শহীদ হয়েছিল! এখানেই তো আমার প্রেয়ারা নবী পড়ে গিয়েছিলেন
যখমি হয়ে!
অহুদের প্রান্তরে আজ আমরা দর্শক, কিন্তু সেদিন শহীদানের সরদার নবীর চাচা হযরত হামজা রাদি এর বুক চিরে কলজে
বের করা হয়েছিল এবং সে দৃশ্য আল্লাহর নবীকে দেখতে হয়েছিল! কি কষ্ট ই হয়েছিল সেদিন আমার পেয়ারা নবীর!
অন্তরে কেন ব্যথার ঢেউ জাগে না! হৃদয় থেকে কেন রক্ত ঝরে না! এই শহীদানে অহুদের কোরবানী ও শাহাদাতের পথ ধরেই
তো ইসলাম পৌঁছেছে আমাদের কাছে!
এখন কি দুনিয়াতে ঈমান ও কুফুরের মোকাবেলা নেই? এখন কি যিন্দিগির ময়দানে হক ও বাতিলের লড়াই নেই? সে
ময়দানে কোথায় শহীদানে অহুদের উত্তরসূরীরা?
এখানে এই মাটিতে একদিন ইতিহাস তৈরি হয়েছিল, শাহাদাত ও কোরবানীর ইতিহাস! সাতশ জানবাজ ছাহাবার মাথার
উপর তিন হাজার তলোয়ার ঝলসে উঠার ইতিহাস। ছাহাবায়ে কেরাম এখানে ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমরা সেই
ইতিহাস লিখি এবং পড়ি, একটু রক্ত সিন্চন করে ইতিহাসকে প্রান দিতে পারি না, তবু দাবী করি, আমরা তাদের উত্তরসূরী!
আকাশের সূর্য সেদিন ও এখানে ছিলো। কী দেখেছিলো সে এখানে সেদিন? তালহার বীরত্ব! আলীর শৌর্য!
আবু দোজানার বিক্রম! ওয়াহশীর হিংস্রতা! হিন্দার পৈচাশিক উল্লাস। এখানেই তো নূরের ফিরিশ্তারা আকাশ থেকে নেমে
এসেছিল তাঁকে গোসল দিতে, যিনি বাশরশয্য থেকে ছুটে এসেছিলেন জিহাদের ময়দানে ।
তুমি কি দেখেছিলে নবীর জন্য জান কোরবান করার সেই সব দুর্লভ দৃশ্য! তুমি কি দেখেছিলে সেই পুণ্যবতী ছাহাবিয়্যকে,
ভাই স্বামী ও পুত্রের শাহাদাতের খবর শুনেও যার মুখে শুধু একটি ব্যাকুল প্রশ্ন ছিলো, আল্লাহর নবী কেমন আছেন?
তার পর প্রিয় নবীকে দেখে বলেছিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনাকে দেখার পর আমার কোন দুঃখ নেই !
হে জাবালে অহুদ! আমাকে বল সেই ভালোবাসার কথা! কিতাবের পাতা থেকে নয়! আমি শুনতে চাই তোমার থেকে
হয়ত তাতে আমার কলবেও পয়দা হবে জিহাদের জযবাহ! শাহাদাতের তামান্না! কিতাবের পাতায় আছে শুধু ঘটনার
বর্ণনা, আমি তোমার কাছে পেতে চাই ঘটনার মর্ম ও বেদনা! কিতাবের পাতা থেকে তো আসে না জান্নাতের খুশবু!
আসে তোমার পেছন থেকে! এবং পায় শুধু তারা যারা ছুটে যায় তলোয়ার হাতে তলোয়ারের দিকে!
হে জাবালে অহুদ! প্রতিজ্ঞা করছি, আজীবন আমি করবো সত্যের পক্ষে, আজীবন আমি লড়াই করবো বাতিলের
বিরুদ্ধে, তোমার পেছন থেকে আসা সেই খোশবুর একটুখানি ভাগ পাওয়ার জন্য।
লেখাটি সামান্য কমবেশী করে লেখা
আদীব হুজুর এর বাইতুল্লার মুসাফির থেকে
বানান ভুল আমার পক্ষ হতে।
তিনি বানান ভুলের উর্ধে।
Comment