অনেকেই বলেন যে, বিন লাদিন এবং তার সাথীদের আমরিকার হাতে তুলে দিলে কি এমন ক্ষতি হত? আল-ক্বায়িদাই তো বলে যে ব্যক্তির চেয়ে দলের স্বার্থ আগে, দলের চেয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থ আগে। তাহলে আল-ক্বায়িদা কেন নিজেদের স্যেক্রিফাইস করলো না, আর মোল্লা উমার-ই বা কেন তাদের আমরিকার হাতে তুলে না দিয়ে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ধ্বংস করে মুসলিমদের হত্যা-নির্যাতন করার এত বড় সুযোগ আমরিকাকে দিলেন?
.
.
প্রথমত আপনাদের নিজেদের প্রশ্নের সাথে নিজেদের সৎ হতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র বলতে আপনি যা বুঝেন শরীয়াত-ও তাই বুঝে কিনা সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ! আমরিকার হাতে আল-ক্বায়িদাকে তুলে দিলে আফগানের ইসলামী রাষ্ট্র টিকে যেত, এবং এরপরও সেটা স্বাধীন এবং ইসলামী ইমারাত থাকত -এরকম নিশ্চয়তা দেয়ার মত কি কেউ ছিল? না, কেউই ছিল না। কারণ এর চেয়েও লেইম লেইম এক্সকিউসে মার্কিনরা আরো অনেক দেশে হামলা করেছে, এবং এর জন্য তাদের তেমন কোন জবাবদিহীতা করতে হয় নি। এবং শুধু কি আল-ক্বায়িদাকে ধরিয়ে দেয়ার দাবীই ছিল? তালিবানদের শাসন, শরীয়াহ আইনের ব্যাপারেও তো তাদের আপত্তি ছিল। তো এজন্য কি শরীয়াহ আইন স্থাগিত করা উচিত ছিল? তালিবানদের ক্ষমতা শুধু আমরিকার কথায় ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল? নিজেদের সাথে সততা রেখে প্রশ্ন করুন।
.
.
মোল্লা উমার কেন আল-ক্বায়িদাকে আমরিকার হাতে তুলে দেয় নি, এর পিছনে কারণগুলো তিনি নিজেই বলে গিয়েছেন। পাকিস্তান থেকে বড় বড় ‘আলিমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল যে বৃহত্তর স্বার্থে যেন বিন লাদিনকে আমরিকার হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, আগামীকাল আমাকে চাইলে কি, আমাকেও তুলে দিবেন? এটাই তো হল মূল কথা! এটাই হল বাকি সকল ইসলামপন্থী এবং ‘উলামা সমাজ থেকে তাদের পার্থক্য! তারা একসাথে সীসাঢালা প্রচীর হয়ে ফাইট দিয়ে মরতে চায়। আর বাকিরা বলে একজনকে ধরিয়ে দিলে তো আমরা বাঁচলাম, দে ধরাইয়া। পরের দিন কুফফারেরা আরেকজনকে চায়, পরের দিন আরেকজনকে! এভাবেই চলতে থাকে, চলে আসছে। আর কত নিজেদের আরামের জন্য নিজের ভাইদের ধরিয়ে দিবো? কালকে হয় আপনাকেও ধরিয়ে দেয়া হবে, অথবা আপনি নিজেই তাদের একজনে পরিণত হবেন, যাদের কাছে ধরিয়ে দেয়া হয়।
.
.
বাকিরা বিন লাদিনকে ছেড়ে দিয়েছিল। মোল্লা উমার ছাড়েন নি। তারা তাই মোল্লা উমারকেও ছেড়ে দিল। আমরিকাকে জল দিল, আকাশ দিল, ভূমি দিল এনাদের উপর আক্রমণ করার জন্য। এগুলো ব্যবহার করে আমরিকা শতশত মানুষ মারল, ইসলামী ইমারাহ ধ্বংস করলো। এরপর যারা কিনা জল, স্থল, গগণ দিল, তারাই সকল দায়ভার বিন লাদিন আর মোল্লা উমারের উপর চাপালো। তারা আমরিকার বিরুদ্ধে না গেলে আমরিকা এমন করত না। তাহলে আপনারা কি করলেন, আপনারা কেন আমরিকাকে না থামিয়ে সুযোগ করে দিলেন? তখন তারা বলবে, সেটাও বিন লাদিন আর মোল্লা উমারের দোষ। কারণ তারা এমনটা না করলে আমরিকা ‘তাদের’ ব্ল্যাকমেইল করতে পারত না। তাই ব্ল্যাক মেইল করার আগেই আমরিকার পায়ে মাথা ঠুকিয়ে রাখাই কাম্য। এটা নাকি লোক দেখানো মাথা ঠেকানো। মনে মনে তো আমরা আল্লাহকেই মানছি। এজন্যই তো গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা সকল কিছু ইসলাম সম্মত হয়ে যাচ্ছে কতক উজবুকের কাছে।
.
.
যখন মক্কার মুশরিকরা মদীনার মুনাফিক আর ইহুদীদের সাথে মিলে মদীনা আক্রমণ করে মুসলিমদের কচুকাটা করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন মুসলিমদের উপর যে বিধান ছিল, আফগানে আমরিকার আক্রমণের ক্ষেত্রেও একই বিধান। বলবেন যে মুসলিমরাই তো আগে ৯/১১ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। আরে ভাই বদর যুদ্ধের আগেও মুসলিমরাই এরকম বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, তখনকার নিষিদ্ধ মাসে তাও আবার কালিমা বলার পরও মুশরিকদের বাণিজ্য কাফিলার একজনকে হত্যা করেছিল, তো এর জন্য কি বদর যুদ্ধ করা ইনভ্যালিড ছিল? এরজন্য কি ওই সাহাবীকে মুশরিকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল? আমরিকার সাথে কি মোল্লা উমারের এমন কোন চুক্তি ছিল যে, আমরিকার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলে মোল্লা উমার তাকে আমরিকার হাতে তুলে দিবেন? না ছিল না! তাহলে কোন উসূলে আমরিকার মত প্রতারক রাষ্ট্রের হাতে কিছু মুসলিমদের তুলে দিলেই এই আশা করা যায় যে, আমরিকা চিরতরে ইসলামী ইমারাতের বিরুদ্ধে তাদের সকল অভিযোগ, ষড়যন্ত্র বন্ধ করে দিত, আর কখনো হামলা করত না?!
.
.
আফগানের আগে বিন লাদিন সুদানে ছিলেন। তখনও তো ৯/১১ হয় নি। তখন কেন সুদানকে হুমকি-ধামকি দেয়া হত? এবং কেন সুদানকে বাধ্য করা হয় বিন লাদিনকে বের করে দেয়ার জন্য? তো সুদান তো বের করে দিয়েছিল! এরপরও কি সুদান টিকতে পেরেছে? কোন খোঁজ রেখেছেন সুদানের? শুনুন আমি বলছি সুদানের কথা। দুই টুকরো করা হয়েছে সুদানকে। মরুভূমির অঞ্চলটা মুসলিমদের আর খনিজ সম্পদের ভরপুর অঞ্চলটা খ্রিষ্টানদের দেয়া হয়েছে। আরো মজার কথা কি জানেন? আমরিকান বুট ছাড়াই, বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে ভাড়া করা মুসলিম নামওয়ালা শান্তিরক্ষী বাহিনীকে গ্রাউন্ডে রেখে তাদের সাহায্যে সুদান থেকে খ্রিষ্টানদের জন্য দক্ষিণ সুদান স্বাধীন করা হয়েছে, কি কিউট না?
.
.
তো এর জন্য সুদানের প্রশাসনের কোন প্রশংসা করেন না কেন? মোল্লা উমার আমরিকার কথা না শুনে ব্যাকডেটেড হলেন, আপনাদের দুয়ো শুনলেন, অথচ সুদানের প্রশাসন তো আমরিকার কথা শুনেছিল! আপনারা দেখি তাদের প্রশংসা করছেন না! আর সুদানকে দুই টুকরো করা হল, আপনাদের অনুভূতি কি? সুদানের শাসক কি জাতিসঙ্ঘ, আর আমরিকার আইন মানতে বাধ্য? হ্যাঁ বাধ্যই তো! ব্ল্যাক মেইলড হওয়ার আগেই তো আপনারা সিজদা দিয়ে দেয়ার মানহাজে বিশ্বাস করেন। ঠিক এভাবে পশ্চিমা কুফফাররা খারাপ বলবে দেখে শরীয়াহ আইনের কথা সরাসরি বলেন না। বলেন ইসলামী গণতন্ত্রের কথা, ইসলামী ধর্মনিরপেক্ষতার কথা! নাকি এখন আর তা পশ্চিমাদের দেখানোর জন্য রয় নি? দীর্ঘদিন এই মিথ্যার সাথে থাকতে থাকতে একেই সত্য ধরে নেয়া হয়েছে? যেভাবে মাজার পূজারীরা মাজার পূজার সাথে থাকতে মাজার পূজাকেই ইসলাম মনে করে থাকে!
.
.
প্রথমত আপনাদের নিজেদের প্রশ্নের সাথে নিজেদের সৎ হতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র বলতে আপনি যা বুঝেন শরীয়াত-ও তাই বুঝে কিনা সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ! আমরিকার হাতে আল-ক্বায়িদাকে তুলে দিলে আফগানের ইসলামী রাষ্ট্র টিকে যেত, এবং এরপরও সেটা স্বাধীন এবং ইসলামী ইমারাত থাকত -এরকম নিশ্চয়তা দেয়ার মত কি কেউ ছিল? না, কেউই ছিল না। কারণ এর চেয়েও লেইম লেইম এক্সকিউসে মার্কিনরা আরো অনেক দেশে হামলা করেছে, এবং এর জন্য তাদের তেমন কোন জবাবদিহীতা করতে হয় নি। এবং শুধু কি আল-ক্বায়িদাকে ধরিয়ে দেয়ার দাবীই ছিল? তালিবানদের শাসন, শরীয়াহ আইনের ব্যাপারেও তো তাদের আপত্তি ছিল। তো এজন্য কি শরীয়াহ আইন স্থাগিত করা উচিত ছিল? তালিবানদের ক্ষমতা শুধু আমরিকার কথায় ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল? নিজেদের সাথে সততা রেখে প্রশ্ন করুন।
.
.
মোল্লা উমার কেন আল-ক্বায়িদাকে আমরিকার হাতে তুলে দেয় নি, এর পিছনে কারণগুলো তিনি নিজেই বলে গিয়েছেন। পাকিস্তান থেকে বড় বড় ‘আলিমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল যে বৃহত্তর স্বার্থে যেন বিন লাদিনকে আমরিকার হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, আগামীকাল আমাকে চাইলে কি, আমাকেও তুলে দিবেন? এটাই তো হল মূল কথা! এটাই হল বাকি সকল ইসলামপন্থী এবং ‘উলামা সমাজ থেকে তাদের পার্থক্য! তারা একসাথে সীসাঢালা প্রচীর হয়ে ফাইট দিয়ে মরতে চায়। আর বাকিরা বলে একজনকে ধরিয়ে দিলে তো আমরা বাঁচলাম, দে ধরাইয়া। পরের দিন কুফফারেরা আরেকজনকে চায়, পরের দিন আরেকজনকে! এভাবেই চলতে থাকে, চলে আসছে। আর কত নিজেদের আরামের জন্য নিজের ভাইদের ধরিয়ে দিবো? কালকে হয় আপনাকেও ধরিয়ে দেয়া হবে, অথবা আপনি নিজেই তাদের একজনে পরিণত হবেন, যাদের কাছে ধরিয়ে দেয়া হয়।
.
.
বাকিরা বিন লাদিনকে ছেড়ে দিয়েছিল। মোল্লা উমার ছাড়েন নি। তারা তাই মোল্লা উমারকেও ছেড়ে দিল। আমরিকাকে জল দিল, আকাশ দিল, ভূমি দিল এনাদের উপর আক্রমণ করার জন্য। এগুলো ব্যবহার করে আমরিকা শতশত মানুষ মারল, ইসলামী ইমারাহ ধ্বংস করলো। এরপর যারা কিনা জল, স্থল, গগণ দিল, তারাই সকল দায়ভার বিন লাদিন আর মোল্লা উমারের উপর চাপালো। তারা আমরিকার বিরুদ্ধে না গেলে আমরিকা এমন করত না। তাহলে আপনারা কি করলেন, আপনারা কেন আমরিকাকে না থামিয়ে সুযোগ করে দিলেন? তখন তারা বলবে, সেটাও বিন লাদিন আর মোল্লা উমারের দোষ। কারণ তারা এমনটা না করলে আমরিকা ‘তাদের’ ব্ল্যাকমেইল করতে পারত না। তাই ব্ল্যাক মেইল করার আগেই আমরিকার পায়ে মাথা ঠুকিয়ে রাখাই কাম্য। এটা নাকি লোক দেখানো মাথা ঠেকানো। মনে মনে তো আমরা আল্লাহকেই মানছি। এজন্যই তো গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা সকল কিছু ইসলাম সম্মত হয়ে যাচ্ছে কতক উজবুকের কাছে।
.
.
যখন মক্কার মুশরিকরা মদীনার মুনাফিক আর ইহুদীদের সাথে মিলে মদীনা আক্রমণ করে মুসলিমদের কচুকাটা করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন মুসলিমদের উপর যে বিধান ছিল, আফগানে আমরিকার আক্রমণের ক্ষেত্রেও একই বিধান। বলবেন যে মুসলিমরাই তো আগে ৯/১১ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। আরে ভাই বদর যুদ্ধের আগেও মুসলিমরাই এরকম বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, তখনকার নিষিদ্ধ মাসে তাও আবার কালিমা বলার পরও মুশরিকদের বাণিজ্য কাফিলার একজনকে হত্যা করেছিল, তো এর জন্য কি বদর যুদ্ধ করা ইনভ্যালিড ছিল? এরজন্য কি ওই সাহাবীকে মুশরিকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল? আমরিকার সাথে কি মোল্লা উমারের এমন কোন চুক্তি ছিল যে, আমরিকার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলে মোল্লা উমার তাকে আমরিকার হাতে তুলে দিবেন? না ছিল না! তাহলে কোন উসূলে আমরিকার মত প্রতারক রাষ্ট্রের হাতে কিছু মুসলিমদের তুলে দিলেই এই আশা করা যায় যে, আমরিকা চিরতরে ইসলামী ইমারাতের বিরুদ্ধে তাদের সকল অভিযোগ, ষড়যন্ত্র বন্ধ করে দিত, আর কখনো হামলা করত না?!
.
.
আফগানের আগে বিন লাদিন সুদানে ছিলেন। তখনও তো ৯/১১ হয় নি। তখন কেন সুদানকে হুমকি-ধামকি দেয়া হত? এবং কেন সুদানকে বাধ্য করা হয় বিন লাদিনকে বের করে দেয়ার জন্য? তো সুদান তো বের করে দিয়েছিল! এরপরও কি সুদান টিকতে পেরেছে? কোন খোঁজ রেখেছেন সুদানের? শুনুন আমি বলছি সুদানের কথা। দুই টুকরো করা হয়েছে সুদানকে। মরুভূমির অঞ্চলটা মুসলিমদের আর খনিজ সম্পদের ভরপুর অঞ্চলটা খ্রিষ্টানদের দেয়া হয়েছে। আরো মজার কথা কি জানেন? আমরিকান বুট ছাড়াই, বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে ভাড়া করা মুসলিম নামওয়ালা শান্তিরক্ষী বাহিনীকে গ্রাউন্ডে রেখে তাদের সাহায্যে সুদান থেকে খ্রিষ্টানদের জন্য দক্ষিণ সুদান স্বাধীন করা হয়েছে, কি কিউট না?
.
.
তো এর জন্য সুদানের প্রশাসনের কোন প্রশংসা করেন না কেন? মোল্লা উমার আমরিকার কথা না শুনে ব্যাকডেটেড হলেন, আপনাদের দুয়ো শুনলেন, অথচ সুদানের প্রশাসন তো আমরিকার কথা শুনেছিল! আপনারা দেখি তাদের প্রশংসা করছেন না! আর সুদানকে দুই টুকরো করা হল, আপনাদের অনুভূতি কি? সুদানের শাসক কি জাতিসঙ্ঘ, আর আমরিকার আইন মানতে বাধ্য? হ্যাঁ বাধ্যই তো! ব্ল্যাক মেইলড হওয়ার আগেই তো আপনারা সিজদা দিয়ে দেয়ার মানহাজে বিশ্বাস করেন। ঠিক এভাবে পশ্চিমা কুফফাররা খারাপ বলবে দেখে শরীয়াহ আইনের কথা সরাসরি বলেন না। বলেন ইসলামী গণতন্ত্রের কথা, ইসলামী ধর্মনিরপেক্ষতার কথা! নাকি এখন আর তা পশ্চিমাদের দেখানোর জন্য রয় নি? দীর্ঘদিন এই মিথ্যার সাথে থাকতে থাকতে একেই সত্য ধরে নেয়া হয়েছে? যেভাবে মাজার পূজারীরা মাজার পূজার সাথে থাকতে মাজার পূজাকেই ইসলাম মনে করে থাকে!
Comment