[IMG]https://s8.postimg.cc/6qm4pyzj9/Screenshot_7.png[/IMG]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর, শুধুমাত্র আমেরিকান সেনারা প্রায় একলাখ নব্বই হাজার জার্মানি নারী, যুবতী ও মেয়েশিশুর সম্ভ্রমহানি করেছে! তাদের মিত্রশক্তি ব্রিটিশ সেনারা পঁয়তাল্লিশ হাজার জার্মানি যুবতীকে ধর্ষণ করেছে! তদ্রুপ আরেক মিত্রশক্তি ফরাসি সেনারা পঞ্চাশ হাজার জার্মানি যুবতীর ইজ্জতহানি করেছে! শুধু তাই নয়; আমেরিকান সেনারা তিনহাজার পাঁচশ ফরাসি যুবতীর ইজ্জত হরণ করেছে। অথচ ফ্রান্স ছিল তাদের মিত্রশক্তি! আবার রাশিয়া প্রায় একমিলিয়ন নারীর শ্লীলতাহানি করে! এদের অনেককেই তাদের মা-বাবার সামনেই বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করা হয়েছে! অনেকেরই অনাবৃত লাশ রাস্তার উপর পড়ে রয়! অনেককেই ধর্ষণে বাঁধা দেয়ার কারণে গুলি করে উড়িয়ে দেয়া হয়!
আমেরিকান সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে এই আইন জারি করা হয়েছিল যে, জার্মানির প্রত্যেক বাসিন্দা যেন নিজ নিজ ঘরের সামনে তার পরিবার-পরিজনের সকল সদস্যের নামের একটা তালিকা করে লটকিয়ে রাখে। এই তালিকা লটকানোর পর যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর। শুধু এতটুকু বলা যায় যে, আমেরিকান সেনাদের হাতে উপর্যুপরি ধরষণের শিকার সতেরোজন নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ভাগ্যবিড়ম্বিতা এসব নারীদের সবচেয়ে কমবয়সী ধর্ষিতার বয়স ছিল সাত, আর সবচেয়ে বয়স্ক ধর্ষিতার বয়স ছিল ঊনসত্তর!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যে বিরাট সংখ্যক জার্মানি নারীরা জার্মানের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য গমন করে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এই পরীক্ষা দিনভর চলতো। নারীরা লাইন ধরে পরীক্ষা করাতো। আরেকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জার্মান সরকার পঞ্চাশ দশক পর্যন্ত সাইত্রিশ হাজার শিশুর পরিচয় তাদের মায়ের নামেই নিবন্ধিত করেছে! এদের বাপের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি! এমনকি আজও পর্যন্ত প্রায় অর্ধ মিলিয়ন জার্মানি নাগরিকের কোনো পিতৃপরিচয় পাওয়া যায়নি! শুধুমাত্র জার্মানি নারীদের গণহারে ধর্ষণ করার কারণে!
পশ্চিমা সাদাচামড়ার দুপেয়ে পশুগুলোর এ-এক চেপে রাখা ইতিহাস। এই পশুগুলোই আজকের কথিত সভ্য পৃথিবীতে নারী অধিকারের ফেরিওয়ালা! নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ! নারী স্বাধীনতার ঠিকাদার! নারীমুক্তির অগ্রপথিক! তারা তাদের কালো ইতিহাস লুকিয়ে রাখতে চাইলেও তাদের স্বজাতির কোনো না কোনো নীতিবাদী ঐতিহাসিক এসব কালো ইতিহাসের ভাঁজকরা পাতা উল্টিয়ে দেয়! জেনে ফেলে দুনিয়াবাসী! এই কালো ইতিহাসটাও উন্মোচন করেছেন জার্মানির এক নারী ইতিহাসবেত্তা মরিয়ম গেবহার্ড তার রচিত ‘সেনারা যখন এল’ বইয়ের পাতায়। তিনিও একজন সাদা চামড়ার দুপেয়ে প্রাণী! অবশ্য পশু নয়!
সূত্র: Miriam Gebhardt: When the Soldiers Came
[সংগৃহীত]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর, শুধুমাত্র আমেরিকান সেনারা প্রায় একলাখ নব্বই হাজার জার্মানি নারী, যুবতী ও মেয়েশিশুর সম্ভ্রমহানি করেছে! তাদের মিত্রশক্তি ব্রিটিশ সেনারা পঁয়তাল্লিশ হাজার জার্মানি যুবতীকে ধর্ষণ করেছে! তদ্রুপ আরেক মিত্রশক্তি ফরাসি সেনারা পঞ্চাশ হাজার জার্মানি যুবতীর ইজ্জতহানি করেছে! শুধু তাই নয়; আমেরিকান সেনারা তিনহাজার পাঁচশ ফরাসি যুবতীর ইজ্জত হরণ করেছে। অথচ ফ্রান্স ছিল তাদের মিত্রশক্তি! আবার রাশিয়া প্রায় একমিলিয়ন নারীর শ্লীলতাহানি করে! এদের অনেককেই তাদের মা-বাবার সামনেই বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করা হয়েছে! অনেকেরই অনাবৃত লাশ রাস্তার উপর পড়ে রয়! অনেককেই ধর্ষণে বাঁধা দেয়ার কারণে গুলি করে উড়িয়ে দেয়া হয়!
আমেরিকান সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে এই আইন জারি করা হয়েছিল যে, জার্মানির প্রত্যেক বাসিন্দা যেন নিজ নিজ ঘরের সামনে তার পরিবার-পরিজনের সকল সদস্যের নামের একটা তালিকা করে লটকিয়ে রাখে। এই তালিকা লটকানোর পর যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর। শুধু এতটুকু বলা যায় যে, আমেরিকান সেনাদের হাতে উপর্যুপরি ধরষণের শিকার সতেরোজন নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ভাগ্যবিড়ম্বিতা এসব নারীদের সবচেয়ে কমবয়সী ধর্ষিতার বয়স ছিল সাত, আর সবচেয়ে বয়স্ক ধর্ষিতার বয়স ছিল ঊনসত্তর!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যে বিরাট সংখ্যক জার্মানি নারীরা জার্মানের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য গমন করে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এই পরীক্ষা দিনভর চলতো। নারীরা লাইন ধরে পরীক্ষা করাতো। আরেকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জার্মান সরকার পঞ্চাশ দশক পর্যন্ত সাইত্রিশ হাজার শিশুর পরিচয় তাদের মায়ের নামেই নিবন্ধিত করেছে! এদের বাপের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি! এমনকি আজও পর্যন্ত প্রায় অর্ধ মিলিয়ন জার্মানি নাগরিকের কোনো পিতৃপরিচয় পাওয়া যায়নি! শুধুমাত্র জার্মানি নারীদের গণহারে ধর্ষণ করার কারণে!
পশ্চিমা সাদাচামড়ার দুপেয়ে পশুগুলোর এ-এক চেপে রাখা ইতিহাস। এই পশুগুলোই আজকের কথিত সভ্য পৃথিবীতে নারী অধিকারের ফেরিওয়ালা! নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ! নারী স্বাধীনতার ঠিকাদার! নারীমুক্তির অগ্রপথিক! তারা তাদের কালো ইতিহাস লুকিয়ে রাখতে চাইলেও তাদের স্বজাতির কোনো না কোনো নীতিবাদী ঐতিহাসিক এসব কালো ইতিহাসের ভাঁজকরা পাতা উল্টিয়ে দেয়! জেনে ফেলে দুনিয়াবাসী! এই কালো ইতিহাসটাও উন্মোচন করেছেন জার্মানির এক নারী ইতিহাসবেত্তা মরিয়ম গেবহার্ড তার রচিত ‘সেনারা যখন এল’ বইয়ের পাতায়। তিনিও একজন সাদা চামড়ার দুপেয়ে প্রাণী! অবশ্য পশু নয়!
সূত্র: Miriam Gebhardt: When the Soldiers Came
[সংগৃহীত]
Comment