Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রসঙ্গঃ খোরাসান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রসঙ্গঃ খোরাসান

    খোরাসান। ফারসি শব্দ। 'খোর' ও 'আসান' শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত। 'খোর' অর্থ সূর্য আর 'আসান' অর্থ উদয়াচল। অর্থাৎ 'খোরাসান' মানে সূর্যের উদয়াচল। খোরাসান নামের এই বিশাল ভূখণ্ড পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত হওয়ার কারণে তাকে 'খোরাসান' বলা হয়। মাদ্রাসা পড়ুয়ারা 'খোরাসান' শব্দের সাথে বেশ পরিচিত। হাদিসের গ্রন্থাদি থেকে নিয়ে প্রায় সব আরবি কিতাবাদীতে 'খোরাসান' শব্দটি পাওয়া যায়। কারণ, এসব কিতাবের লেখক বা কিতাবে উল্লেখিত মুসলিম পণ্ডিতদের প্রায় অনেকেরই জন্মস্থান এই খোরাসান। সে হিসেবে 'খোরাসান' অঞ্চলটি আহলে ইলমদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু আফসোস, বেশিরভাগ আহলে ইলমই এই 'খোরাসান' ও তার বর্তমান ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে অবগত নন! তাঁরা মনে করেন, 'খোরাসান' রূপকথার কোনো এক অলীক অঞ্চল!
    প্রাচীণকালে 'খোরাসান' বলতে এক বিশাল ভূখণ্ড বুঝানো হত। বর্তমান পৃথিবীর পাঁচটি দেশ নিয়ে ছিল প্রাচীন 'খোরাসান'র ভৌগলিক সীমারেখা। এই পাঁচটি দেশ হলো- পূর্ব ইরান, উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান। তবে এখনও ইরানের একটি প্রদেশ 'খোরাসান' নামে পরিচিত। এসব দেশ বর্তমানে মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত। আজও এসব অঞ্চলে ইসলামি নিদর্শনাবলী অতীত কীর্তি ও ঐতিহ্যের কালসাক্ষী হয়ে আছে। নব্বই দশকের আগে এই দেশগুলো কম্যুনিস্ট বিপ্লব গ্রাস করে নিয়েছিল। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
    আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, সিহাহ সিত্তার রচয়িতাদের জন্মস্থান এই খোরাসানেই! অর্থাত তাঁরা সকলেই অনারবি ছিলেন। তাঁদের কারো মাতৃভাষা আরবি ছিল না; তাঁদের ভাষা ছিল ফারসি। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারি ও ইমাম আবু ঈসা তিরমিজি রাহ.- এর জন্মস্থান 'বুখারা' ও 'তিরমিজ' উজবেকিস্তানে, ইমাম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ কুশাইরি, ইমাম আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে আশ'আস সিজিস্তানি ও ইমাম মুহাম্মদ ইবনে মাজাহ কাজবিনি রাহ.-এর জন্মস্থান যথাক্রমে 'নিশাপুর', 'সিজিস্তান' ও 'কাজবিন' ইরানে, ইমাম আহমদ ইবনে শুয়ায়িব নাসায়ি রাহ. এর জন্মস্থান 'নাসা' তুর্কমেনিস্তানে অবস্থিত।
    খোরাসানের ইতিহাসপ্রসিদ্ধ প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রধান নগর ছিল চারটি। হেরাত, মার্ভ, বলখ ও নিশাপুর। এই চারটি নগরের মধ্যে তিনটিই বর্তমানে আফগানিস্তানে অবস্থিত। বুঝা গেল, প্রাচীন খোরাসানের মূলকেন্দ্র ছিল বর্তমান আফগানিস্তান। বর্তমান আফগানিস্তান যে খোরাসান, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এই খোরাসানই হল কালো পতাকাধারীদের অবস্থানস্থল। যাঁদের মাঝেই আগমন করবেন আল্লাহর খলিফা মাহদি আ.। বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও যাঁদের পতাকাতলে সমবেত হতে বলেছেন রাসুল (সা)।
    সুতরাং, সেখানে এই মুহূর্তে যে তালিবান অবস্থান করছে সন্দেহাতীতভাবে তাঁরাই সেই কালোপতাকাধারী আর তাঁদের কাছে আনুগত্যের শপথ নেওয়া আল কায়দাও এই কালো পতাকাধারী বাহিনিরই অন্তর্ভুক্ত।
    (আল্লাহ আলাম )
    আল্লাহ সুবহানু তায়ালা আমাদের তওফিক দিন এই দলের সাথে যুক্ত হওয়ার। আমিন।

    বিঃদ্রঃ কেও কি বলবেন কিভাবে পোস্টে ছবি সংযুক্ত করা যায়?

  • #2
    ভাই, খুবি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
    আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আমার এক আত্বীয় অনেক অসুস্থ আপনাদের কাছে দুয়ার দর্খাস্ত।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

      ভাই আপনার পোস্ট থেকে বিষয়গুলো আর ভালভাবে জানতে পারলাম ।

      Comment


      • #4
        জাঝাকাল্লাহ আখি, আমার বিষয় টা পরিস্কার ছিলনা, খোরাসানের ভিতরে বর্তমানে কতটা রাষ্ট আছে এই পোষ্ট দারা জানতে পারলাম, আল্লাহ আমাদেরকে জিবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত এই খোরাসানের কালো পতাকা বাহি দলের সাথে থাকার তাওফিক দন করুন আমিন।
        আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ আখি ...।।
          খুব গুরুত্তপুর্ন পোষ্ট ।
          আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।

          Comment


          • #6
            যাজাকাল্লাহ ।আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট করেছেন ভাই। আপনার মেহনতকে আল্লাহ কবুল করুন। আমীন।

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ আখি ...।।
              খুব গুরুত্তপুর্ন পোষ্ট ।

              Comment

              Working...
              X