ইউরোপিয়ানদের শরীরের দুর্গন্ধ এতোটাই প্রকট ছিল যে, তা সহ্য করা মুশকিল ছিল! সহ্য করা কীভাবে সম্ভব? ইউরোপিয়ানরা যে গোসল কী জিনিস- তা আদৌ জানত না! এজন্যই ইউরোপিয়ান যোদ্ধাদের নাকে রেড ইন্ডিয়ানরা গোলাপফুল শুঁকাতো। কারণ, তারা জানত যে, ইউরোপিয়ান যোদ্ধারা গোলাপের সুগন্ধি সহ্য করতে পারে না! কথায় আছে না, মেথর শুঁকতে পারে না আতরের ঘ্রাণ?!
ইউরোপিয়ান ইতিহাসবেত্তা 'সেন্ডর মারাই' বলেন, ইউরোপিয়ান বারজিউসরা উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকেও জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করতো। অসুস্থতার সময়ে ও বিয়ের সময়ে!
ইউরোপে গোসলখানা নির্মাণ আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল! স্পেনসম্রাট 'দ্বিতীয় ফিলিপ' তার রাজ্যে গোসলখানা নির্মাণের নিষেধ জারি করেছিলেন! স্পেন সম্রাজ্ঞী '১ম ঈসাবেলা' গ্রানাডা দখলের পর যেসব আইন জারি করেছিলেন, তন্মধ্যে একটি আইন ছিল- আন্দালুসীয় মুসলমানদের সবগুলো গোসলখানা ভেঙ্গে ফেলা! কারণ, তিনি নিজেও গোসল করতেন না! মুসলমানরা গোসল করে ঝকঝকে থাকবে- সেটা তার কাছে একদম অসহ্য লাগত!
আমেরিকান রাইটার 'জুসেফ ম্যাক ক্যাপ' বলেন, স্পেন সম্রাজ্ঞী '১ম ঈসাবেলা' জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করেছেন। তার জন্মের দিনে ও মরণের দিনে!
আল্লামা তাকিউদ্দিন আল-হিলালি আল-মাগরিবি বলেন, প্রকৃতার্থে রাণী ঈসাবেলা তার জীবনে মাত্র একবার গোসল করেছেন! আর তা তার বিয়ের রাতে! জন্ম ও মরণের দিনের গোসল ঈসাবেলার ব্যক্তিগত কোনো কাজ ছিল না!
রাজা ফিলিপের কন্যা '২য় ঈসাবেলা' কসম করেছিলেন যে, অমুক দূর্গ বিজয় করা ব্যতিত তার দেহের পরিধেয় বস্ত্র খুলবেন না। এই অবস্থায়ই তিন বছর পেরিয়ে যায়। দেহের নাজুক অবস্থার কারণেই তিনি শেষ পর্যন্ত মারা যান!
ফরাসী ইতিহাসবেত্তা 'জর্জ ফেগারেল' বলেছেন, ফ্রান্স সম্রাট 'চৌদ্ধতম লুইস' জীবনে মাত্র ৩ বার গোসল করেছে! রূশ প্রতিনিধি লুইসের ব্যাপারে বলেছেন, লুইসের দেহের দুর্গন্ধ ভূচর প্রাণীর দুর্গন্ধের চেয়েও ছিল অসহ্যকর! লুইসের এক দাসী ছিল, 'ডি ম্যান্টিসবাম' নামে। সে আতরের হাউজে গোসল করে দেহকে সুগন্ধিত করত; যাতে করে লুইসের দুর্গন্ধ না শুঁকতে পারে!
তিনি আরও বলেন, এই লুইসের হেরেমের রমণীগণ তাদের দেহ ও দেহের পবিত্রতার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি যত্নবান ছিল। তারা বছরে মাত্র ২ বার গোসল করত!
ফ্রান্সের বর্তমান বিখ্যাত পারফিউম আবিষ্কারই হয়েছিল ফরাসীদের দেহের দুর্গন্ধ দূরীভূত করার জন্য!
ইউরোপীরা সভ্যতা শিখলে মুসলিমদের থেকেই শিখেছে। এটা তাদের ঘরানার ব্যক্তিরাই অকপটে স্বীকার করেছে। প্রসিদ্ধ ফরাসী ঐতিহাসিক 'ড্রেভার' বলেন, আমরা ইউরোপিয়ানরা সভ্য হয়েছি আরবদের (মুসলিমদের) মাধ্যমেই। মুসলিমরা আমাদেরকে শিখিয়েছে- কীভাবে দেহের যত্ন নিতে হয়। কেননা মুসলিমরা ইউরোপীদের বিপরীত ছিল। ইউরোপীরা তাদের দেহের বস্ত্র ততক্ষণ পর্যন্ত খুলত না, যতক্ষণ পর্যন্ত তা ময়লাযুক্ত হত না এবং মারাত্নক দুর্গন্ধ ছড়াত না! দেহের বসন খোলা ও ধৌত করার ক্ষেত্রে আমরা মুসলিমদেরই অনুসরণ করেছি। মুসলিমরা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতো। এমনকি তারা কাপড়কে বিভিন্ন ধরণের মূল্যবান পাথর, যেমন: যুমরূদ, ইয়াক্বূত ও মারজান দ্বারা সজ্জিত করত!
ড্রেভার আরও বলেন, তখন কর্ডোভায় প্রায় তিনশ গোসলখানা পর্যাপ্ত ছিল, যখন ইউরোপের গীর্জাগুলো গোসলখানাকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখত!
অনুভূতি: নিকট অতীতের বুনো এই দুপেয়ে প্রাণীগুলোই নাকি আজকের পৃথিবীতে সভ্যতার ফেরিওয়ালা! হায় অতীত! তুমি এতো ঘোমটা পরা কেন?!
---------
সূত্র: مذكرات الكاتب ساندور ماراي ও وثائق رسمية من أسبانية
ইউরোপিয়ান ইতিহাসবেত্তা 'সেন্ডর মারাই' বলেন, ইউরোপিয়ান বারজিউসরা উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকেও জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করতো। অসুস্থতার সময়ে ও বিয়ের সময়ে!
ইউরোপে গোসলখানা নির্মাণ আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল! স্পেনসম্রাট 'দ্বিতীয় ফিলিপ' তার রাজ্যে গোসলখানা নির্মাণের নিষেধ জারি করেছিলেন! স্পেন সম্রাজ্ঞী '১ম ঈসাবেলা' গ্রানাডা দখলের পর যেসব আইন জারি করেছিলেন, তন্মধ্যে একটি আইন ছিল- আন্দালুসীয় মুসলমানদের সবগুলো গোসলখানা ভেঙ্গে ফেলা! কারণ, তিনি নিজেও গোসল করতেন না! মুসলমানরা গোসল করে ঝকঝকে থাকবে- সেটা তার কাছে একদম অসহ্য লাগত!
আমেরিকান রাইটার 'জুসেফ ম্যাক ক্যাপ' বলেন, স্পেন সম্রাজ্ঞী '১ম ঈসাবেলা' জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করেছেন। তার জন্মের দিনে ও মরণের দিনে!
আল্লামা তাকিউদ্দিন আল-হিলালি আল-মাগরিবি বলেন, প্রকৃতার্থে রাণী ঈসাবেলা তার জীবনে মাত্র একবার গোসল করেছেন! আর তা তার বিয়ের রাতে! জন্ম ও মরণের দিনের গোসল ঈসাবেলার ব্যক্তিগত কোনো কাজ ছিল না!
রাজা ফিলিপের কন্যা '২য় ঈসাবেলা' কসম করেছিলেন যে, অমুক দূর্গ বিজয় করা ব্যতিত তার দেহের পরিধেয় বস্ত্র খুলবেন না। এই অবস্থায়ই তিন বছর পেরিয়ে যায়। দেহের নাজুক অবস্থার কারণেই তিনি শেষ পর্যন্ত মারা যান!
ফরাসী ইতিহাসবেত্তা 'জর্জ ফেগারেল' বলেছেন, ফ্রান্স সম্রাট 'চৌদ্ধতম লুইস' জীবনে মাত্র ৩ বার গোসল করেছে! রূশ প্রতিনিধি লুইসের ব্যাপারে বলেছেন, লুইসের দেহের দুর্গন্ধ ভূচর প্রাণীর দুর্গন্ধের চেয়েও ছিল অসহ্যকর! লুইসের এক দাসী ছিল, 'ডি ম্যান্টিসবাম' নামে। সে আতরের হাউজে গোসল করে দেহকে সুগন্ধিত করত; যাতে করে লুইসের দুর্গন্ধ না শুঁকতে পারে!
তিনি আরও বলেন, এই লুইসের হেরেমের রমণীগণ তাদের দেহ ও দেহের পবিত্রতার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি যত্নবান ছিল। তারা বছরে মাত্র ২ বার গোসল করত!
ফ্রান্সের বর্তমান বিখ্যাত পারফিউম আবিষ্কারই হয়েছিল ফরাসীদের দেহের দুর্গন্ধ দূরীভূত করার জন্য!
ইউরোপীরা সভ্যতা শিখলে মুসলিমদের থেকেই শিখেছে। এটা তাদের ঘরানার ব্যক্তিরাই অকপটে স্বীকার করেছে। প্রসিদ্ধ ফরাসী ঐতিহাসিক 'ড্রেভার' বলেন, আমরা ইউরোপিয়ানরা সভ্য হয়েছি আরবদের (মুসলিমদের) মাধ্যমেই। মুসলিমরা আমাদেরকে শিখিয়েছে- কীভাবে দেহের যত্ন নিতে হয়। কেননা মুসলিমরা ইউরোপীদের বিপরীত ছিল। ইউরোপীরা তাদের দেহের বস্ত্র ততক্ষণ পর্যন্ত খুলত না, যতক্ষণ পর্যন্ত তা ময়লাযুক্ত হত না এবং মারাত্নক দুর্গন্ধ ছড়াত না! দেহের বসন খোলা ও ধৌত করার ক্ষেত্রে আমরা মুসলিমদেরই অনুসরণ করেছি। মুসলিমরা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতো। এমনকি তারা কাপড়কে বিভিন্ন ধরণের মূল্যবান পাথর, যেমন: যুমরূদ, ইয়াক্বূত ও মারজান দ্বারা সজ্জিত করত!
ড্রেভার আরও বলেন, তখন কর্ডোভায় প্রায় তিনশ গোসলখানা পর্যাপ্ত ছিল, যখন ইউরোপের গীর্জাগুলো গোসলখানাকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখত!
অনুভূতি: নিকট অতীতের বুনো এই দুপেয়ে প্রাণীগুলোই নাকি আজকের পৃথিবীতে সভ্যতার ফেরিওয়ালা! হায় অতীত! তুমি এতো ঘোমটা পরা কেন?!
---------
সূত্র: مذكرات الكاتب ساندور ماراي ও وثائق رسمية من أسبانية
Comment