আমরা ছিলাম অজ্ঞ। ভুলে গিয়েছিলাম মানুষ হিসেবে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব। তাই এমন কিছু ছিল না যার কাছে আমরা মাথা নত করিনি। গাছ,মাছ, পাথর, মাটি, গরু, বানর, হাতির সামনেও নত হয়েছি। দুর্ভিক্ষের দিনগুলোতেও মূর্তির সামনে খাবার দিতে হয়েছে। আর বাহ্মণদের প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল আমাদের উপর। আমাদের কোনো একজন যদি ওদের সাথে তর্কে জড়িয়েছে তো তার জিহবা কেটে ফেলা হয়েছে। তাদের সমপর্যায়ের আসনে আসীন হলে পশ্চাদ্দেশে গরম লোহা ঢুকিয়ে দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। এটাই ছিল আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা। মনুসংহিতা নামক গ্রন্থের আদেশ এটাই।
কত বিধবাই না সতিদাহ প্রথার বলি হয়েছে। আর কত বোনই না কুমারিত্ব হারিয়েছে পুরোহিত বাবুদের কাছে। দুর্ভিক্ষের দিনগুলো কেটেছে অনেক কষ্টে। কেউ কাউকে কিছুই দিত না। অর্থসংকটে সুদ ছাড়া অর্থ ধার পেতাম না। দস্যুতায় ভরে গিয়েছিল সমাজ। ধর্মের জুলুমে নুয়ে পড়তে হয়েছে নিরীহদের। বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারতের অদ্ভুত কাহিনী শুনে কখনো হেসেছি, কখনো কেদেছি। হাতিসদৃশ গণেশ কিভাবে ময়ূর, ইদুর, রাজহাসের উপর হয়ে চড়ে আসে। বুঝে না আসলেও মেনে নিতে হয়েছে, কারণ সত্যের দাওয়াত থেকে আমরা ছিলাম বঞ্চিত।
অবশেষে মুহাম্মাদ বিন কাসির তেড়ে আসে মিথ্যার প্রাচীর ভেঙ্গে দিতে। ভয় পেয়েছিলাম সেদিন না জানি নতুন করে কোন জুলুম পেয়ে বসে আমাদের। কিন্তু নাহ...... বিন কাসিমের সেই তলোয়ার জ্বালিয়ে দেয় সকল অত্যাচার, অনাচার আর সমস্ত জালিমদের ভেল্কিবাজী। আমরা পাই সত্যের সন্ধান। দলে দলে ছোটে যেতাম মাসজিদে। জড়ো হয়ে একই মেঝেতে বসে শুনতাম সর্বোচ্চ থেকে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য। শিখলাম ইনসাফ। মাথা উচু করে দাড়িয়েছিলাম সম্মান নিয়ে। অসংখ্য মতবাদের জুলুম থেকে মুক্ত হয়ে ইসলামের ইনসাফে ধন্য হলাম। দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে আখিরাতের প্রশস্ততার দিকে ধাবিত হলাম। চরম দূর্ভিক্ষের দিনেও আমরা ছিলাম সুখি, এক আল্লাহকে ভালোবেসে। নিজে পেঠ ভরে খাইনি বটে তবে অন্যকে খাওয়াতে শিখেছিলাম। সুখে, শান্তিতে চলছিল আমাদের দিনগুলি। অপদস্ত, অবহেলিত ছিল পাপিষ্ঠ কাফিরেরা।
....... কিন্তু হায়! দীর্ঘকাল আমাদের উপর দিয়ে চলে গেলে আমরা ভুলে গেলাম সকল ইনসাফ। জুলুম পেয়ে বসে আমাদের পূণর্বার। পুরো ভূমি জুড়ে আমরা আজ নিষ্পেষিত, নিপীড়িত। স্বজাতির হাহাকারে বাতাস কাঁদে। আমাদের তবুও ঘুম ভাঙ্গে না। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের তলোয়ারে আজ জং ধরেছে। কেউ তা হাতে নিয়ে নাড়া ও দিচ্ছে না। এমন কেউ কি নেই যে আমাদেরকে উদ্ধার করবে এই জালিম অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে। কায়েম করবে আল্লাহর রাজ। আমাদের বৃদ্ধরা কাঁদছে, মায়েরা কাঁদছে, অবুঝ শিশুরা কাঁদছে মুহাম্মাদ বিন কাসিমের মতো একজন জানবাজের হুংকারের জন্য। বখতিয়ারের ঘোড়া কি আ___র আসবে না.....? আমরা কি এভাবেই নিষ্পেষিত হতে থাকবো? আহ! আজ যদি আমাদের সেই ভাই বিন কাসিম থাকতো! ছিন্নভিন্ন করে দিতো জালিমদের ভেল্কিবাজী।
সেই ভূমি আজও আছে, সেই সিন্দু উপত্যকা আজও আছে কিন্তু বিন কাসিম আর তার অভিযানের ঝড় আসে না। হে আমাদের রব! হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! হে ভালোবাসা সৃষ্টিকারী রব! আমাদের অন্তরে বিন কাসিমের তেজ দাও! ভালোবাসা দাও তলোয়ারের প্রতি, জিহাদের প্রতি, আর সেই বখতিয়ারের ঘোড়ার প্রতি। ঘৃণাও সৃষ্টি করে দাও জালিমদের জুলুমে'র প্রতি।
কত বিধবাই না সতিদাহ প্রথার বলি হয়েছে। আর কত বোনই না কুমারিত্ব হারিয়েছে পুরোহিত বাবুদের কাছে। দুর্ভিক্ষের দিনগুলো কেটেছে অনেক কষ্টে। কেউ কাউকে কিছুই দিত না। অর্থসংকটে সুদ ছাড়া অর্থ ধার পেতাম না। দস্যুতায় ভরে গিয়েছিল সমাজ। ধর্মের জুলুমে নুয়ে পড়তে হয়েছে নিরীহদের। বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারতের অদ্ভুত কাহিনী শুনে কখনো হেসেছি, কখনো কেদেছি। হাতিসদৃশ গণেশ কিভাবে ময়ূর, ইদুর, রাজহাসের উপর হয়ে চড়ে আসে। বুঝে না আসলেও মেনে নিতে হয়েছে, কারণ সত্যের দাওয়াত থেকে আমরা ছিলাম বঞ্চিত।
অবশেষে মুহাম্মাদ বিন কাসির তেড়ে আসে মিথ্যার প্রাচীর ভেঙ্গে দিতে। ভয় পেয়েছিলাম সেদিন না জানি নতুন করে কোন জুলুম পেয়ে বসে আমাদের। কিন্তু নাহ...... বিন কাসিমের সেই তলোয়ার জ্বালিয়ে দেয় সকল অত্যাচার, অনাচার আর সমস্ত জালিমদের ভেল্কিবাজী। আমরা পাই সত্যের সন্ধান। দলে দলে ছোটে যেতাম মাসজিদে। জড়ো হয়ে একই মেঝেতে বসে শুনতাম সর্বোচ্চ থেকে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য। শিখলাম ইনসাফ। মাথা উচু করে দাড়িয়েছিলাম সম্মান নিয়ে। অসংখ্য মতবাদের জুলুম থেকে মুক্ত হয়ে ইসলামের ইনসাফে ধন্য হলাম। দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে আখিরাতের প্রশস্ততার দিকে ধাবিত হলাম। চরম দূর্ভিক্ষের দিনেও আমরা ছিলাম সুখি, এক আল্লাহকে ভালোবেসে। নিজে পেঠ ভরে খাইনি বটে তবে অন্যকে খাওয়াতে শিখেছিলাম। সুখে, শান্তিতে চলছিল আমাদের দিনগুলি। অপদস্ত, অবহেলিত ছিল পাপিষ্ঠ কাফিরেরা।
....... কিন্তু হায়! দীর্ঘকাল আমাদের উপর দিয়ে চলে গেলে আমরা ভুলে গেলাম সকল ইনসাফ। জুলুম পেয়ে বসে আমাদের পূণর্বার। পুরো ভূমি জুড়ে আমরা আজ নিষ্পেষিত, নিপীড়িত। স্বজাতির হাহাকারে বাতাস কাঁদে। আমাদের তবুও ঘুম ভাঙ্গে না। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের তলোয়ারে আজ জং ধরেছে। কেউ তা হাতে নিয়ে নাড়া ও দিচ্ছে না। এমন কেউ কি নেই যে আমাদেরকে উদ্ধার করবে এই জালিম অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে। কায়েম করবে আল্লাহর রাজ। আমাদের বৃদ্ধরা কাঁদছে, মায়েরা কাঁদছে, অবুঝ শিশুরা কাঁদছে মুহাম্মাদ বিন কাসিমের মতো একজন জানবাজের হুংকারের জন্য। বখতিয়ারের ঘোড়া কি আ___র আসবে না.....? আমরা কি এভাবেই নিষ্পেষিত হতে থাকবো? আহ! আজ যদি আমাদের সেই ভাই বিন কাসিম থাকতো! ছিন্নভিন্ন করে দিতো জালিমদের ভেল্কিবাজী।
সেই ভূমি আজও আছে, সেই সিন্দু উপত্যকা আজও আছে কিন্তু বিন কাসিম আর তার অভিযানের ঝড় আসে না। হে আমাদের রব! হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! হে ভালোবাসা সৃষ্টিকারী রব! আমাদের অন্তরে বিন কাসিমের তেজ দাও! ভালোবাসা দাও তলোয়ারের প্রতি, জিহাদের প্রতি, আর সেই বখতিয়ারের ঘোড়ার প্রতি। ঘৃণাও সৃষ্টি করে দাও জালিমদের জুলুমে'র প্রতি।
Comment