দূরস্ত সাহসী “সাঈদা” বিবির কীর্তি
ইসলামের প্রথম যুগের দিকে তাকালে দেখা যায়, সাহাৰায়ে কেরাম নিজেদের জান-মাল , ইজ্জত, অব্রু সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছেন ইসলামের ঝান্ডাকে ঊডডীন করার জন্য। তাঁরা কোন সময় আপোষ করেননি কাফের মুশরিকদের সাথে। একান্ত আপনজনদের সাথেও নয়। বরং অনেক সাহাবায়ে কেরাম নিজের পিতা, মতা, ভাই-বােন, আত্নীয়-স্বজনদেরকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন শুধু ইসলামের সাথে দুশমনী আর নবী করীম (সাঃ) এর সাথে বেয়াদবী করার কারণে, বর্তমানে হুজুর (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরাম নেই ঠিক কিন্তু তাদের উত্তরসূরী সিংহ শার্দুলেরা আছেন। যারা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন খােদার পথে, তবুও আপোষ করেননি কোন কূলাঙ্গারদের সাথে একান্ত প্রিয়জন হওয়া সত্বেও। এক্ষেত্রে মহিলাদের ভুমিকাও অপ্রশংসনীয়। তাঁরা আপন সস্তান-স্বামীকে হাতে
তরবারী দিয়ে রণাঙ্গণে পাঠিয়ে দিতেন এবং শহীদ হলে বিলাপেৱ পরিবর্তে গর্ববােধ করতেন।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! যে সমস্ত ভাগ্যবতী মহিলাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে আছে, তাদের থেকে একজনের বিপ্লবী কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
আফগানিস্তানের নাগমান প্রদেশে ডুবিশারান গ্রামে সাঈদা বিবি নামের সােল বছরের এক সংগ্রামী তরুনী। তার ভাই আফযাল হুসাইন কট্টর কমিউনিস্টে বিশ্বাসী ছিল।
রাশিয়ান লাল বিপ্লব আফগানিস্তান গ্রাস করার পর সে নির্বিচারে মুসলিম নিধনে মেতে ওঠে ৷ একদিন রাশিয়ান রক্ত পিপাসু লাল ফৌজ পার্শ্ববর্তী গাঁয়ের উপর হামলা চালায় তাদের হামলায় গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা শিশু, জোয়ান শতশত বনী আদম মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে যায়। গ্রামের অধিকাংশ ঘর ধ্বংসস্তৃপে পরিণত হয়, ভন্নদশা নিয়ে যে দু'একটি অবশিষ্ট ছিলো তার ভেতর থেকে স্বজনহারা নারী শিশুদের মর্মান্তিক আহাজারীতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গ্রামের বুক চিড়ে বয়ে চলা ছোট্ট নদীর পানি রক্তের বর্ণ ধারণ করে ৷ অপারেশন শেষে আফযাল কতিপয় কসাই কমিউনিস্ট নিয়ে ঘরে ফিরলে তার বোন অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে তাদেরকে সাদরে বরণ করে নেয় ৷ সে বলতে থাকে, “তেমােদেরকে মােবারকবাদ, তোমরা আজ চমৎকার ও প্রশংসনীয় এক কাজ করেছো, আমাদের বিপ্লবের শত্রুদের ধ্বংস করেছ। তোমাদের সফলতার আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে, মনে চাচ্ছে ভবিষ্যতে আমিও এ ধরণের অপারেশনে শামিল থাকব ৷ এখন আমার নিবেদন হচ্ছে, তোমরা রাতে আমার নিমন্ত্রন কবুল করো। তার ভাইয়ের সহযোগী শতাধিক রুশ সৈন্য সন্তুষ্টচিত্তে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করলো ৷ বাহাদুর এবং হুশিয়ার সাঈদা দ্রুত রাতের খাবার তৈরী করে তাদের সামনে পেশ করলো। সুস্বাদূ খাবার শেষে তারা প্রাণ ভরে মদ পান করে মাতাল হয়ে মরণ ঘুমে বিভাের হলো। সাঈদা যখন বুঝলো যে, প্রচন্ড মদের নেশায় তারা মরার মতো ঘুমাচ্ছে তখন সে ধারালো এক তলোয়ার নিয়ে একে একে একশ রাশিয়ান সৈন্যকে জাহান্নামের ঠিকানায় পাঠিয়ে নিজের ভাই আফযালকে বিনিদ্র করে বলল, ভাইজান! তোমার সাথীদের অবস্থা একটু ভাল ভাবে দেখে নাও। আফযাল নিজ সাথীদেরকে খুনের দরিয়ায় মাখামাখি অবস্থায় দেখে প্রচন্ড ক্রোধে চিৎকার শুরু করে। মুজাহিদা সাঈদা বদল; ডাইজান অযথা কেন ছটফট করছো? তোমার জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষমান। আমি নিশ্চিত বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে, সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন দখলদার রাশিয়ান এবং দেশ বিক্রিকারী ব্যক্তিদেরকেও এমন করুণ ও অবমাননাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে যা এখন তুমি নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছো আমার মনে এই বিশ্বাসও আছে যে, মুসলমানের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, এবং অবশ্যই আফগানিস্তান একদিন স্বাধীন সার্বভৌম ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আফযাল বোনের অগ্নি মূর্তি দেখে তার নিকট কর জোড়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলাে, কিন্তু ঈমানদার বোন তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলল যদি আমি তোমাকে মাফ করে দিই তবুও আমার আল্লাহ আমাদের দ্বীন, আমাদের মাতৃভূমি, এই যমীনের মাসুম বাচ্চা, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষের প্রবাহিত রক্ত তোমাকে মাফ করবেনা। এই বলে সে তলােয়ারের অগ্রভাগ দিয়ে তার ভাইয়ের দেহকে দ্বিখন্ডিত করে ঈমান ও দেশ প্রেমের প্রমাণ পেশ করলো।
পরবর্তীতে গানশীপ হেলিকপ্টারের বিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে শাহাদত বরণ করে সাঈদা অন্যদের সামনে নজীরবিহীন ঈমানের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যায়।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! শুধু আফগানিস্তান নয় বরং গোটা বিশ্বের মুক্তিকামী মুসলমানদেরকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাঈদা বিবি। সাঈদা বিবির অবদানের কথা আফগানিস্তানের আ'ম জনতা কখনও ভুলতে পারবে না। সাঈদা বিবি যেন সমস্ত পৃথিবীর তাগুতী বাহিনীকে এটাই জানিয়ে দিলেন যে, দ্বীন ইসলাম ও মাতৃভূমি রক্ষার জন্যে মুসলমান সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারেন, প্রয়োজনে নিজের প্রাণটিও দিয়ে দিতে পারেন খােদাৱ পথে। তবুও আপােষ করতে জানে না কোন ঘুনাফেকের সাথে, আল্লাহ তা’য়ালা সাঈদা বিবিকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।
ইসলামের প্রথম যুগের দিকে তাকালে দেখা যায়, সাহাৰায়ে কেরাম নিজেদের জান-মাল , ইজ্জত, অব্রু সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছেন ইসলামের ঝান্ডাকে ঊডডীন করার জন্য। তাঁরা কোন সময় আপোষ করেননি কাফের মুশরিকদের সাথে। একান্ত আপনজনদের সাথেও নয়। বরং অনেক সাহাবায়ে কেরাম নিজের পিতা, মতা, ভাই-বােন, আত্নীয়-স্বজনদেরকে নিজ হাতে হত্যা করেছেন শুধু ইসলামের সাথে দুশমনী আর নবী করীম (সাঃ) এর সাথে বেয়াদবী করার কারণে, বর্তমানে হুজুর (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরাম নেই ঠিক কিন্তু তাদের উত্তরসূরী সিংহ শার্দুলেরা আছেন। যারা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন খােদার পথে, তবুও আপোষ করেননি কোন কূলাঙ্গারদের সাথে একান্ত প্রিয়জন হওয়া সত্বেও। এক্ষেত্রে মহিলাদের ভুমিকাও অপ্রশংসনীয়। তাঁরা আপন সস্তান-স্বামীকে হাতে
তরবারী দিয়ে রণাঙ্গণে পাঠিয়ে দিতেন এবং শহীদ হলে বিলাপেৱ পরিবর্তে গর্ববােধ করতেন।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! যে সমস্ত ভাগ্যবতী মহিলাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে আছে, তাদের থেকে একজনের বিপ্লবী কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
আফগানিস্তানের নাগমান প্রদেশে ডুবিশারান গ্রামে সাঈদা বিবি নামের সােল বছরের এক সংগ্রামী তরুনী। তার ভাই আফযাল হুসাইন কট্টর কমিউনিস্টে বিশ্বাসী ছিল।
রাশিয়ান লাল বিপ্লব আফগানিস্তান গ্রাস করার পর সে নির্বিচারে মুসলিম নিধনে মেতে ওঠে ৷ একদিন রাশিয়ান রক্ত পিপাসু লাল ফৌজ পার্শ্ববর্তী গাঁয়ের উপর হামলা চালায় তাদের হামলায় গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা শিশু, জোয়ান শতশত বনী আদম মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে যায়। গ্রামের অধিকাংশ ঘর ধ্বংসস্তৃপে পরিণত হয়, ভন্নদশা নিয়ে যে দু'একটি অবশিষ্ট ছিলো তার ভেতর থেকে স্বজনহারা নারী শিশুদের মর্মান্তিক আহাজারীতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গ্রামের বুক চিড়ে বয়ে চলা ছোট্ট নদীর পানি রক্তের বর্ণ ধারণ করে ৷ অপারেশন শেষে আফযাল কতিপয় কসাই কমিউনিস্ট নিয়ে ঘরে ফিরলে তার বোন অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে তাদেরকে সাদরে বরণ করে নেয় ৷ সে বলতে থাকে, “তেমােদেরকে মােবারকবাদ, তোমরা আজ চমৎকার ও প্রশংসনীয় এক কাজ করেছো, আমাদের বিপ্লবের শত্রুদের ধ্বংস করেছ। তোমাদের সফলতার আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে, মনে চাচ্ছে ভবিষ্যতে আমিও এ ধরণের অপারেশনে শামিল থাকব ৷ এখন আমার নিবেদন হচ্ছে, তোমরা রাতে আমার নিমন্ত্রন কবুল করো। তার ভাইয়ের সহযোগী শতাধিক রুশ সৈন্য সন্তুষ্টচিত্তে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করলো ৷ বাহাদুর এবং হুশিয়ার সাঈদা দ্রুত রাতের খাবার তৈরী করে তাদের সামনে পেশ করলো। সুস্বাদূ খাবার শেষে তারা প্রাণ ভরে মদ পান করে মাতাল হয়ে মরণ ঘুমে বিভাের হলো। সাঈদা যখন বুঝলো যে, প্রচন্ড মদের নেশায় তারা মরার মতো ঘুমাচ্ছে তখন সে ধারালো এক তলোয়ার নিয়ে একে একে একশ রাশিয়ান সৈন্যকে জাহান্নামের ঠিকানায় পাঠিয়ে নিজের ভাই আফযালকে বিনিদ্র করে বলল, ভাইজান! তোমার সাথীদের অবস্থা একটু ভাল ভাবে দেখে নাও। আফযাল নিজ সাথীদেরকে খুনের দরিয়ায় মাখামাখি অবস্থায় দেখে প্রচন্ড ক্রোধে চিৎকার শুরু করে। মুজাহিদা সাঈদা বদল; ডাইজান অযথা কেন ছটফট করছো? তোমার জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষমান। আমি নিশ্চিত বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে, সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন দখলদার রাশিয়ান এবং দেশ বিক্রিকারী ব্যক্তিদেরকেও এমন করুণ ও অবমাননাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে যা এখন তুমি নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছো আমার মনে এই বিশ্বাসও আছে যে, মুসলমানের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, এবং অবশ্যই আফগানিস্তান একদিন স্বাধীন সার্বভৌম ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আফযাল বোনের অগ্নি মূর্তি দেখে তার নিকট কর জোড়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলাে, কিন্তু ঈমানদার বোন তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলল যদি আমি তোমাকে মাফ করে দিই তবুও আমার আল্লাহ আমাদের দ্বীন, আমাদের মাতৃভূমি, এই যমীনের মাসুম বাচ্চা, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষের প্রবাহিত রক্ত তোমাকে মাফ করবেনা। এই বলে সে তলােয়ারের অগ্রভাগ দিয়ে তার ভাইয়ের দেহকে দ্বিখন্ডিত করে ঈমান ও দেশ প্রেমের প্রমাণ পেশ করলো।
পরবর্তীতে গানশীপ হেলিকপ্টারের বিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে শাহাদত বরণ করে সাঈদা অন্যদের সামনে নজীরবিহীন ঈমানের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যায়।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! শুধু আফগানিস্তান নয় বরং গোটা বিশ্বের মুক্তিকামী মুসলমানদেরকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাঈদা বিবি। সাঈদা বিবির অবদানের কথা আফগানিস্তানের আ'ম জনতা কখনও ভুলতে পারবে না। সাঈদা বিবি যেন সমস্ত পৃথিবীর তাগুতী বাহিনীকে এটাই জানিয়ে দিলেন যে, দ্বীন ইসলাম ও মাতৃভূমি রক্ষার জন্যে মুসলমান সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারেন, প্রয়োজনে নিজের প্রাণটিও দিয়ে দিতে পারেন খােদাৱ পথে। তবুও আপােষ করতে জানে না কোন ঘুনাফেকের সাথে, আল্লাহ তা’য়ালা সাঈদা বিবিকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।
Comment