৭২০ খ্রিস্টাব্দ। স্পেন বিজয় হয়েছে প্রায় ৮ বছর হয়ে গিয়েছে। মুসলিমরা ভয়ানক পিরেনিজ পর্বতমালা অতিক্রম করে ফ্রান্সের একাংশ দখল করে নিয়েছে।
এই সময়ে স্পেনের গভর্ণর ছিলেন- আমির আম্বাসা ইবনে সুহায়ম কালবি।তিনি সমগ্র স্পেন জুড়ে সুশাসন কায়েম করেছিলেন। এসময়ে পিরেনিজ পার্বত্য অঞ্চলের কোল ঘেসে বসবাসরত খ্রিস্টানদের একটি দল বিদ্রোহ করে বসে।শুরুতে তারা অল্প থাকলেও ক্রমান্বয়ে তাদের দল ভারি হতে থাকে আর এই দলের নেতৃত্বে যে লোকটি ছিল, ইংরেজরা তাকে "পোলিও" নামে ডাকে। যদিও তার আরো একটি নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়, সেটি হল-"বালাই"। পোলিওর নেতৃত্বে তারা তারা লুটপাট শুরু করলে ইসলামিক আর্মি তাদের প্রতি মনোনিবেশ করে এবং তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করে। খ্রিস্টানদের দলের অগণিত ডাকাতদের হত্যা, বন্দি করা হয়। কিন্তু পোলিও তার ৩০ জন সৈন্য সহ ফেরার হয়ে যায়। মুসলিমরা ইচ্ছা করলে এই ৩০ জনের দলের নাম নিশানা মুছে দিতে পারত। কিন্তু ছোট্ট একটি দল আর কিইবা করতে পারে, এরকম তুচ্ছজ্ঞান করে তাদেরকে কিছু করা হয়নি। যার খেসারত পরবর্তিতে মুসলিমদের চুকাতে হয়েছিল। ৩০ জনের এই দল আস্তে আস্তে ভারী হতে থাকে এবং পরবর্তিতে সেখানে একটি খ্রিস্টান রাজ্যের উৎপত্তি পর্যন্ত হয়ে যায়। অগণিত খ্রিস্টান পোলিওকে তাদের ধর্মযুদ্ধের একজন দুঃসাহসিক বীর হিসেবে গণ্য করতে থাকে। সমস্ত খ্রিস্টানদের আশা ভরসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল সেই রাজ্যটি। যেখান থেকে তারা স্পেনকে পুনরায় দখল করার সমগ্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে থাকে। একসময় সেটা সফলও হয়, ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে! পতন হয় গ্রানাডার, ধ্বংস হয় স্পেনের খিলাফত।
এই পোলিওকে বর্তমান রোমান সাম্রাজ্যের ধারক বাহক আমেরিকান বা ইউরোপিয়ানরা আজো একজন দুঃসাহসিক বীর হিসেবে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে থাকে।
আর এই যে "পোলিও" নামক বিষ টিকা যা আমরা আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করাই সেটির নাম কোথা থেকে এসেছে তা বুঝে নিন!
এরকম আরো একজন ছিল আমাদের ভারতবর্ষে। তার নাম ছিল- শিবাজি। (তখন ভারতে ক্ষমতায় ছিলেন সম্রাট আওরংজেব (রাহিঃ)।) মারাঠি দস্যুদের নেতৃত্ব দেওয়া এই শিবাজির কাজ ছিল রাতের অন্ধকারে অতর্কিত বিভিন্ন গ্রাম ও শহরবাসীদের উপর চড়াও হয়ে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে অর্থ, গহনা, ধন-সম্পদ ইত্যাদি জনগণের সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দেওয়া। বাংলায় পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুদের মত মারাঠা বর্গি জাতিরও সমান কুখ্যাতি ছিল। তাদের নির্মম অত্যাচারের কাহিনী গ্রামীণ লোকগাথা ও ইতিহাসের পাতায় পাতায় মজুত রয়েছে। মারাঠা বর্গিদের নিষ্ঠুর অত্যাচারে দেশের মানুষ এত আতঙ্কগ্রস্ত ছিল যে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কান্না থামানোর জন্য এখনও বাংলার মায়েরা বর্গিদের ত্রাসকে মনে করিয়ে আওড়িয়ে থাকেন,
‘খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
বর্গি এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দিব কিসে।’
যদিও বর্তমান হিন্দুরা এই শিবাজিকে তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদায় ভূষিত করেছে এবং সম্রাট আওরংগজেব(রাহিঃ)কে একজন খুনি, রক্ত পিপাসু শাসক হিসেবে চিত্রায়িত করেছে, যিনি এই অঞ্চলে শরিয়া কায়েম করেছিলেন, আর তাঁর দৈনিক জীবিকা নির্বাহ হত কুরআন হাতে লিখে এবং টুপি সেলাই করে সামান্য যে পয়সা পাওয়া যেত তা দিয়ে! ।
উপসংহারঃ সমস্ত জাতি তাদের ইতিহাস জানে।কিন্তু জানেনা মুসলিমরা। আফসোস!!
সুত্রঃ
১।ইসলামের ইতিহাস-৩য় খন্ড- মাওলানা আকবর শাহ খান নজিবাবাদি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পৃষ্ঠা- ৪৯, ৬৮
২। চেপে রাখা ইতিহাস, ইতিহাসের ইতিহাস- আল্লামা গোলাম মোর্তজা
এই সময়ে স্পেনের গভর্ণর ছিলেন- আমির আম্বাসা ইবনে সুহায়ম কালবি।তিনি সমগ্র স্পেন জুড়ে সুশাসন কায়েম করেছিলেন। এসময়ে পিরেনিজ পার্বত্য অঞ্চলের কোল ঘেসে বসবাসরত খ্রিস্টানদের একটি দল বিদ্রোহ করে বসে।শুরুতে তারা অল্প থাকলেও ক্রমান্বয়ে তাদের দল ভারি হতে থাকে আর এই দলের নেতৃত্বে যে লোকটি ছিল, ইংরেজরা তাকে "পোলিও" নামে ডাকে। যদিও তার আরো একটি নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়, সেটি হল-"বালাই"। পোলিওর নেতৃত্বে তারা তারা লুটপাট শুরু করলে ইসলামিক আর্মি তাদের প্রতি মনোনিবেশ করে এবং তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করে। খ্রিস্টানদের দলের অগণিত ডাকাতদের হত্যা, বন্দি করা হয়। কিন্তু পোলিও তার ৩০ জন সৈন্য সহ ফেরার হয়ে যায়। মুসলিমরা ইচ্ছা করলে এই ৩০ জনের দলের নাম নিশানা মুছে দিতে পারত। কিন্তু ছোট্ট একটি দল আর কিইবা করতে পারে, এরকম তুচ্ছজ্ঞান করে তাদেরকে কিছু করা হয়নি। যার খেসারত পরবর্তিতে মুসলিমদের চুকাতে হয়েছিল। ৩০ জনের এই দল আস্তে আস্তে ভারী হতে থাকে এবং পরবর্তিতে সেখানে একটি খ্রিস্টান রাজ্যের উৎপত্তি পর্যন্ত হয়ে যায়। অগণিত খ্রিস্টান পোলিওকে তাদের ধর্মযুদ্ধের একজন দুঃসাহসিক বীর হিসেবে গণ্য করতে থাকে। সমস্ত খ্রিস্টানদের আশা ভরসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল সেই রাজ্যটি। যেখান থেকে তারা স্পেনকে পুনরায় দখল করার সমগ্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে থাকে। একসময় সেটা সফলও হয়, ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে! পতন হয় গ্রানাডার, ধ্বংস হয় স্পেনের খিলাফত।
এই পোলিওকে বর্তমান রোমান সাম্রাজ্যের ধারক বাহক আমেরিকান বা ইউরোপিয়ানরা আজো একজন দুঃসাহসিক বীর হিসেবে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে থাকে।
আর এই যে "পোলিও" নামক বিষ টিকা যা আমরা আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করাই সেটির নাম কোথা থেকে এসেছে তা বুঝে নিন!
এরকম আরো একজন ছিল আমাদের ভারতবর্ষে। তার নাম ছিল- শিবাজি। (তখন ভারতে ক্ষমতায় ছিলেন সম্রাট আওরংজেব (রাহিঃ)।) মারাঠি দস্যুদের নেতৃত্ব দেওয়া এই শিবাজির কাজ ছিল রাতের অন্ধকারে অতর্কিত বিভিন্ন গ্রাম ও শহরবাসীদের উপর চড়াও হয়ে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে অর্থ, গহনা, ধন-সম্পদ ইত্যাদি জনগণের সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দেওয়া। বাংলায় পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুদের মত মারাঠা বর্গি জাতিরও সমান কুখ্যাতি ছিল। তাদের নির্মম অত্যাচারের কাহিনী গ্রামীণ লোকগাথা ও ইতিহাসের পাতায় পাতায় মজুত রয়েছে। মারাঠা বর্গিদের নিষ্ঠুর অত্যাচারে দেশের মানুষ এত আতঙ্কগ্রস্ত ছিল যে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কান্না থামানোর জন্য এখনও বাংলার মায়েরা বর্গিদের ত্রাসকে মনে করিয়ে আওড়িয়ে থাকেন,
‘খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
বর্গি এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দিব কিসে।’
যদিও বর্তমান হিন্দুরা এই শিবাজিকে তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদায় ভূষিত করেছে এবং সম্রাট আওরংগজেব(রাহিঃ)কে একজন খুনি, রক্ত পিপাসু শাসক হিসেবে চিত্রায়িত করেছে, যিনি এই অঞ্চলে শরিয়া কায়েম করেছিলেন, আর তাঁর দৈনিক জীবিকা নির্বাহ হত কুরআন হাতে লিখে এবং টুপি সেলাই করে সামান্য যে পয়সা পাওয়া যেত তা দিয়ে! ।
উপসংহারঃ সমস্ত জাতি তাদের ইতিহাস জানে।কিন্তু জানেনা মুসলিমরা। আফসোস!!
সুত্রঃ
১।ইসলামের ইতিহাস-৩য় খন্ড- মাওলানা আকবর শাহ খান নজিবাবাদি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পৃষ্ঠা- ৪৯, ৬৮
২। চেপে রাখা ইতিহাস, ইতিহাসের ইতিহাস- আল্লামা গোলাম মোর্তজা
Comment