খিলাফতের পতনে আমরা কী হারালাম
১৯২৪ সালের ৩ মার্চ পতন হয়েছে উসমানি খিলাফতের । সদ্য অতিবাহিত হয়ে গেল খিলাফত পতনের পূর্ণ নব্বই বছর।
আসুন, দেখি ! এই নব্বই বছরে আমরা কী কী হারালাম ?
(মুসলিম বিশ্বে চালানো গণহত্যার ইতিহাস নির্ভর পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নিম্নোক্ত তথ্যাদি প্রদান করা হল)
– ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন দখল করল সন্ত্রাসী ইহুদীরা । এতে এ যাবত আনুমানিক শহীদ হয়েছেন, ১৯ লক্ষ মুসলমান । উদ্ধাস্তু হয়েছেন প্রায়৫০ লক্ষ মুসলমান ।
– ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয় তখন নিহত
হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি মুসলমান ।
– ইটালী লিবিয়া আক্রমণের সময় শহীদ হন প্রায় ৫ লক্ষ মুসলমান ।
– ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্মের সময় নিহত হোন (কথিত) আরো ৩০ লক্ষ মুসলমান, (সত্য-মিথ্যা আল্লাহ ভালো জানেন, নির্ভরযোগ্যসুত্রে যদি কেউ নিশ্চিত সংখ্যা জানান, তাহলে সংশোধন করার অবকাশ আছে) ।
– চেচনিয়ায় এ যাবত শহীদ ৫ লক্ষ ।
-বসনিয়ায় ১০ লক্ষ ।
– বার্মায় ১৫ লক্ষ ।
-আফগানিস্তানে রাশিয়া-আমেরিকা মিলে ২৫ লক্ষ ।
– ইরাকে ইরান- আমেরিকার সাথেকয়েকবারের লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ।
– জিংজিয়াংয়ে ১৫ লক্ষ ।
– ফিলিপাইনে ৫ লক্ষ ।
– আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৩০ লক্ষ ।
-কাশ্মীরে ৫ লক্ষ ।
– ভারতে ১০ লক্ষ ।
– বুলগেরিয়া, কসাভো, আলবেনিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরো১০ লক্ষ ।
– সিরিয়ায় বাশারের বাপ হাফিজের আমল থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ।
– তাছাড়া ইয়েমেন, লেবানন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে আরো ১০ লক্ষ ।
তাহলে বুঝা গেলো খিলাফত পতনের পর ৯০ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যা হলো প্রায় আড়াই কোটি, উদ্ধাস্তু আনুমানিক ৫০ কোটি । হারানো মুসলিম ভূ-খন্ড হলো ফিলিস্তিন, পুর্বতুর্কিস্তান (জিংজিয়াং), মিন্দানাও, দক্ষিণ সুদান, পুর্ব-তিমুরসহ আরো অনেকভূমি ।
আসুন, এবার দেখি খিলাফত থাকাকালে আমাদের অবস্থা কী ছিল ?
জেনে রাখা প্রয়োজন যে, নবীজীর ইন্তেকালের পর ধারাবাহিকভাবে প্রায় সোয়া তেরশ বছর পর্যন্ত খিলাফত ছিল । মধ্যখানে একবারতাতারীরা যখন বাগদাদে অবস্থিত আব্বাসি খিলাফত ধ্বংস করেছিল তখন ১২৫৮ – ৬১পর্যন্ত মুসলমানদের কোনো খলীফা ছিলেন না ।
এই সাড়ে তেরশ বছরে মুসলমানদের যেসব রক্তপাত হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঃ-
খেলাফতে রাশেদার আমলে এবং উমাইয়া আমলে বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক দেড় লক্ষ । ক্রুসেডাররা বায়তুল মুকাদ্দস দখলের সময় ১ লক্ষ এবং পরবর্তী লড়াইয়ে আরো ২ লক্ষ । তাতারী সয়লাবে বোখারা, সমরকন্দ, শীরাজ, বাগদাদ এবং দামেস্কে অনুমানিক ৫০লক্ষ । স্পেনে ২০ লক্ষ । আরো বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক আরো ৫০ লক্ষ ।তাহলে বুঝা গেলো খিলাফত থাকাকালে সোয়া তেরশ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যাহচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ ।
ভু-খন্ড হারিয়েছি স্পেন । আবার ইসলামের ছায়াতলে এসেছে স্পেন এবং ইউরোপের দানিয়ুব নদী পর্যন্ত এবং বর্তমান মুসলিমবিশ্ব ।
আর খিলাফতছাড়া মাত্র ৯০ বছরে আমাদের নিহতের সংখ্যা হলো আড়াইকোটি । বিজয় করেছিশূন্য (০) ভুমি । হারিয়েছি অসংখ্য মুসলিম ভূ-খন্ড ।
তাই আমাদের উচিত, একবার আমেরিকা, আরেকবার রাশিয়া, অন্যবার চীনের উপর নির্ভর না করে অতি তাড়াতাড়ি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা । কারণ নবীজী(সাঃ) বলেছেন,
” খিলাফত আবার আসবে নবুওতের আদলে ! “(মুসনাদে আহমদ , মিশকাত)
নতুবা আমাদের নিহতের সংখ্যা এবং হারানো ভু-খন্ডের তালিকা বাড়তেই থাকবে ।
এবার বুঝতে পারছেন তো খিলাফতের পতনে আমরা কী কী হারালাম ।
এটা ইতিহাস অধ্যয়নের পর আমার আনুমানিক হিসাব, তাই কোনো বইয়ের সুত্র দিতে পারব না । শুধু এতটুকু বলবো, আপনারা ইতিহাস পড়ুন, তাহলে বুঝতে পারবেন, আমার পরিসংখ্যান কতটুকু সঠিক ।
আলহামদুলিল্লাহ ! তবে সুসংবাদ হচ্ছে যে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হাতেগোনা কয়েকটি দল কার্যকরী ভুমিকা পালন করতেছে । এর মধ্যে তালেবান-আলকায়দা হচ্ছে অন্যতম প্রধান । এ যাবত আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া সহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলে তারা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠাকরেছে ।
সারা মুসলিমবিশ্বকে এক পতাকার তলে নিয়ে আসার লক্ষ্যে তারা ‘নুসরাতুল ইসলাম’ (ইসলামের সমর্থনে প্রামাণ্য পত্র) নামে একটি গাইডবুকও বের করেছে ।
সাত পদবিশিষ্ট একতার এই মুলভিত্তির ষষ্ঠ পদ হচ্ছে, খিলাফাতে ইসলামিয়্যাহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে এক করা ।
আল্লাহ তাআলা তাদের কাজে বরকত দিন এবং আমাদেরকে তাদের পতাকাতলে এক হবার তাওফিক দিন …আমীন …
-হানীন ইলদারম
১৯২৪ সালের ৩ মার্চ পতন হয়েছে উসমানি খিলাফতের । সদ্য অতিবাহিত হয়ে গেল খিলাফত পতনের পূর্ণ নব্বই বছর।
আসুন, দেখি ! এই নব্বই বছরে আমরা কী কী হারালাম ?
(মুসলিম বিশ্বে চালানো গণহত্যার ইতিহাস নির্ভর পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নিম্নোক্ত তথ্যাদি প্রদান করা হল)
– ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন দখল করল সন্ত্রাসী ইহুদীরা । এতে এ যাবত আনুমানিক শহীদ হয়েছেন, ১৯ লক্ষ মুসলমান । উদ্ধাস্তু হয়েছেন প্রায়৫০ লক্ষ মুসলমান ।
– ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয় তখন নিহত
হয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি মুসলমান ।
– ইটালী লিবিয়া আক্রমণের সময় শহীদ হন প্রায় ৫ লক্ষ মুসলমান ।
– ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্মের সময় নিহত হোন (কথিত) আরো ৩০ লক্ষ মুসলমান, (সত্য-মিথ্যা আল্লাহ ভালো জানেন, নির্ভরযোগ্যসুত্রে যদি কেউ নিশ্চিত সংখ্যা জানান, তাহলে সংশোধন করার অবকাশ আছে) ।
– চেচনিয়ায় এ যাবত শহীদ ৫ লক্ষ ।
-বসনিয়ায় ১০ লক্ষ ।
– বার্মায় ১৫ লক্ষ ।
-আফগানিস্তানে রাশিয়া-আমেরিকা মিলে ২৫ লক্ষ ।
– ইরাকে ইরান- আমেরিকার সাথেকয়েকবারের লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ।
– জিংজিয়াংয়ে ১৫ লক্ষ ।
– ফিলিপাইনে ৫ লক্ষ ।
– আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৩০ লক্ষ ।
-কাশ্মীরে ৫ লক্ষ ।
– ভারতে ১০ লক্ষ ।
– বুলগেরিয়া, কসাভো, আলবেনিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরো১০ লক্ষ ।
– সিরিয়ায় বাশারের বাপ হাফিজের আমল থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ।
– তাছাড়া ইয়েমেন, লেবানন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে আরো ১০ লক্ষ ।
তাহলে বুঝা গেলো খিলাফত পতনের পর ৯০ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যা হলো প্রায় আড়াই কোটি, উদ্ধাস্তু আনুমানিক ৫০ কোটি । হারানো মুসলিম ভূ-খন্ড হলো ফিলিস্তিন, পুর্বতুর্কিস্তান (জিংজিয়াং), মিন্দানাও, দক্ষিণ সুদান, পুর্ব-তিমুরসহ আরো অনেকভূমি ।
আসুন, এবার দেখি খিলাফত থাকাকালে আমাদের অবস্থা কী ছিল ?
জেনে রাখা প্রয়োজন যে, নবীজীর ইন্তেকালের পর ধারাবাহিকভাবে প্রায় সোয়া তেরশ বছর পর্যন্ত খিলাফত ছিল । মধ্যখানে একবারতাতারীরা যখন বাগদাদে অবস্থিত আব্বাসি খিলাফত ধ্বংস করেছিল তখন ১২৫৮ – ৬১পর্যন্ত মুসলমানদের কোনো খলীফা ছিলেন না ।
এই সাড়ে তেরশ বছরে মুসলমানদের যেসব রক্তপাত হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঃ-
খেলাফতে রাশেদার আমলে এবং উমাইয়া আমলে বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক দেড় লক্ষ । ক্রুসেডাররা বায়তুল মুকাদ্দস দখলের সময় ১ লক্ষ এবং পরবর্তী লড়াইয়ে আরো ২ লক্ষ । তাতারী সয়লাবে বোখারা, সমরকন্দ, শীরাজ, বাগদাদ এবং দামেস্কে অনুমানিক ৫০লক্ষ । স্পেনে ২০ লক্ষ । আরো বিভিন্ন লড়াইয়ে অনুমানিক আরো ৫০ লক্ষ ।তাহলে বুঝা গেলো খিলাফত থাকাকালে সোয়া তেরশ বছরে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যাহচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ ।
ভু-খন্ড হারিয়েছি স্পেন । আবার ইসলামের ছায়াতলে এসেছে স্পেন এবং ইউরোপের দানিয়ুব নদী পর্যন্ত এবং বর্তমান মুসলিমবিশ্ব ।
আর খিলাফতছাড়া মাত্র ৯০ বছরে আমাদের নিহতের সংখ্যা হলো আড়াইকোটি । বিজয় করেছিশূন্য (০) ভুমি । হারিয়েছি অসংখ্য মুসলিম ভূ-খন্ড ।
তাই আমাদের উচিত, একবার আমেরিকা, আরেকবার রাশিয়া, অন্যবার চীনের উপর নির্ভর না করে অতি তাড়াতাড়ি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা । কারণ নবীজী(সাঃ) বলেছেন,
” খিলাফত আবার আসবে নবুওতের আদলে ! “(মুসনাদে আহমদ , মিশকাত)
নতুবা আমাদের নিহতের সংখ্যা এবং হারানো ভু-খন্ডের তালিকা বাড়তেই থাকবে ।
এবার বুঝতে পারছেন তো খিলাফতের পতনে আমরা কী কী হারালাম ।
এটা ইতিহাস অধ্যয়নের পর আমার আনুমানিক হিসাব, তাই কোনো বইয়ের সুত্র দিতে পারব না । শুধু এতটুকু বলবো, আপনারা ইতিহাস পড়ুন, তাহলে বুঝতে পারবেন, আমার পরিসংখ্যান কতটুকু সঠিক ।
আলহামদুলিল্লাহ ! তবে সুসংবাদ হচ্ছে যে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হাতেগোনা কয়েকটি দল কার্যকরী ভুমিকা পালন করতেছে । এর মধ্যে তালেবান-আলকায়দা হচ্ছে অন্যতম প্রধান । এ যাবত আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া সহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলে তারা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠাকরেছে ।
সারা মুসলিমবিশ্বকে এক পতাকার তলে নিয়ে আসার লক্ষ্যে তারা ‘নুসরাতুল ইসলাম’ (ইসলামের সমর্থনে প্রামাণ্য পত্র) নামে একটি গাইডবুকও বের করেছে ।
সাত পদবিশিষ্ট একতার এই মুলভিত্তির ষষ্ঠ পদ হচ্ছে, খিলাফাতে ইসলামিয়্যাহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে এক করা ।
আল্লাহ তাআলা তাদের কাজে বরকত দিন এবং আমাদেরকে তাদের পতাকাতলে এক হবার তাওফিক দিন …আমীন …
-হানীন ইলদারম
Comment