Announcement

Collapse
No announcement yet.

চলে গেলেন উম্মাহর আরেক সিংহ বাংলার প্রবীণ মুজাহিদ শাইখ হাফেজ ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চলে গেলেন উম্মাহর আরেক সিংহ বাংলার প্রবীণ মুজাহিদ শাইখ হাফেজ ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ



    চলে গেলেন উম্মাহর আরেক সিংহ বাংলার প্রবীণ মুজাহিদ শাইখ হাফেজ ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ। শাইখ গতকাল শনিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ইন্তেকাল করেছেন। রহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসিআহ।
    শাইখ রহিমাহুল্লাহ একজন আফগান ফেরত মুজাহিদ ছিলেন এবং আরাকানের জিহাদের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন মুজাহিদদের একজন কমান্ডার। হরকাতুল জিহাদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার পিতা ছিলেন একজন আলিম মাওলানা
    আব্দুর রশিদ। তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পর্বতপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সেই ২০১২ সাল থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। তাগুতের দাবী- শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান। পরে দ্রুত তাকে কারা হাসাপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালেই তিনি মারা যান। কিন্তু হাসপাতালের এক ডাক্তার জানায়, উনাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আল্লাহ-ই ভালো জানেন আসলে কি হয়েছিল। আল্লাহ শাইখকে জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করুন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

    আজ এক দিকে উম্মাহর সিংহরা কারারুদ্ধ হচ্ছেন, শহীদ হচ্ছেন। কারাগার থেকে উনাদের লাশ বের হচ্ছে। অপরদিকে আলিমদের একটি দল গণভবনে দাওয়াত খেতে যাচ্ছেন... ওহ! কি মর্মান্তিক মিল! একই দিনে একদল আলিম সরকারী দাওয়াত খেতে যাচ্ছেন গণভবনে... অপরদিকে সেই দিনে একই সরকারের কারাগার থেকে এমন আলিমদের লাশ বের হচ্ছে, যারা বলেন ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ! বিধানদাতা একমাত্র আল্লাহ!
    হে মহাপুরুষেরা! আপনারা কবরে শান্তিতে থাকুন! আপনাদের সন্তানেরা আপনাদের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ! তাগুতের কাছ থেকে আপনাদের উপর বয়ে যাওয়া প্রতিটা জুলুমের বদলা নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ...







  • #2
    ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
    আল্লাহ তা‘আলা হযরতকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন এবং জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন
    পরিশেষে আবু আব্দুল্লাহ ভাইয়ের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই...হে মহাপুরুষেরা! আপনারা কবরে শান্তিতে থাকুন! আপনাদের সন্তানেরা আপনাদের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ! তাগুতের কাছ থেকে আপনাদের উপর বয়ে যাওয়া প্রতিটা জুলুমের বদলা নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ... !
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে কবুল করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      হে আল্লাহ, আপনি শাইখকে জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
      হে মহাপুরুষেরা! আপনারা কবরে শান্তিতে থাকুন! আপনাদের সন্তানেরা আপনাদের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ! তাগুতের কাছ থেকে আপনাদের উপর বয়ে যাওয়া প্রতিটা জুলুমের বদলা নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ... !
      আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        কারাগারে আমাদের শাইখদের একটি তালিকা প্রকাশ করা যায় কি না?! আমাদের শাইখরা কারাগারে আর আমরা সন্তানরা তআ জানবই না, তা, কি করে হয়। বাংলাদেশ কারাগারে হুজির ভাইয়েরাও আছেন সেই জেএমবির ভাইয়েরা আছেন,আছেন আল কায়দার ও আইএসের ভাইগন। সবার জন্য মুক্তির দুয়া করি আল্লাহ যেনো দ্রুত জালিমের বন্দিশালা থেকে ভাইদের মুক্ত করে দেন, আমীন। হায় আফসোস একই দ্বীন কেও যায় গবভবনে আর কেও যায় কারাগারে!!! কেও যায় দেশে দেশে মিথ্যা ফতুয়ার ভান্ড নিয়ে।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ শাইখকে আমার উস্তাদকে জান্নাতের সবুজ পাখী হিসেবে কবুল করুন। ইয়া রাব্বুল আলামিন। ২০০৩ সালের সেই কোর্সে উস্তাদের সেই কথাগুলো এখনও মনে পড়ে। আর আমি তো বদলে গেছি উস্তাদের একটি কথাতেই। যে কথার দ্বারা আমি শিখার প্রয়াস আজ অব্ধি পাই। এই ভুমিতে নিয়ে আসা উনাদের আমানত আমরা সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারি নাই করেছি কেবলই গাফলতি। যা কিছু কোরবান দেয়ার শুধু উনারাই দিয়েছেন। হে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিন। দান করুন আমার উস্তাদকে জান্নাতের সুমহান মর্যাদা।

          Comment


          • #6
            খালিজি ভাই,আমাদেরকে শাইখের পরিচয় ও জীবনী শুনানো যাবে??? শাইখের নছিহতগুলো আমাদের বলা যাবে!? আপনারা যারা শাইখের সান্নিধ্যে ছিলেন।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              Originally posted by Bara ibn Malik View Post
              খালিজি ভাই,আমাদেরকে শাইখের পরিচয় ও জীবনী শুনানো যাবে??? শাইখের নছিহতগুলো আমাদের বলা যাবে!? আপনারা যারা শাইখের সান্নিধ্যে ছিলেন।
              বারা ইবনে মালিক ভাইয়ের সাথে আমি একমত। অর্থাৎ আমিও জানতে আগ্রহী। আশা করি ভাই আমাদেরকে মাহরুম করবেন না।
              আল্লাহ তা‘আলা ঐ ভাইকে তাওফিক দান করুন। আমীন
              আমি অপেক্ষায় রইলাম.............!
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                শাইখ রহিমাহুল্লাহর আরও দুটি ছবি-



                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তা‘আলা শাইখকে জান্নাতের সু-উচ্চ মাকাম দান করুক করুক, আমীন
                  দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                  জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ্ শাইখ কে জান্নাতের সু-উচ্চ মাক্বাম দান করুন। আমীন।

                    গণভবনে দরবারী মোল্লাদের দাওয়াত পাওয়া আর ওই গণভবনের ধারক বাহকদের কারাগারে মাজলুম মুজাহিদ আলেমের শহীদ হওয়া!!! এ যেন হৃদয়কে চুর্নবিচুর্ণ করে দেওয়া এক দৃশ্য।
                    আল্লাহু আকবার।
                    ঠিক কয়েক বছর অতীতেও একই দৃশ্য দেখেছে বাংলার মুসলমানেরা। কওমী স্বীকৃতির ঘোষণার দিন গণভবনে এই মোল্লারাই স্বীকৃতির মুলার জন্য গেছিলেন। আর ঐ মুহুর্তে মুফতি আব্দুল হান্নান রহিমাহুল্লাহকে শহীদ করা হয়।
                    - আল্লাহ্ এই মাজলুমদের একমাত্র তুমিই সহায়। তুমিই একমাত্র সাহায্যকারী।
                    খোরাসান থেকে আরাকান,
                    আপনার ত্যাগের স্বাক্ষর থাকবে বহমান।
                    মজলুম শহীদ আপনাকে সালাম।

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ শাইখকে জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করুন। জান্নাতে আমাদেরকে উনার সঙ্গি হিসেবে কবুল করুন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

                      Comment


                      • #12
                        আমার একটি অনুরোধ,হুজুররা যারা ত্বাগুত সরকারের টাকায় হজ্বে গেছে তাদের সবার ছবি ও নাম ঠিকানাসহ অনলাইনে প্রকাশ করা হউক। জাতি ওদের চিনে রাখুক।
                        শাইখের জীবনী আমাদের প্লিজ, জানাবেন।
                        ان المتقین فی جنت ونعیم
                        سورة الطور

                        Comment


                        • #13
                          আবু আবদুল্লাহ ভাইয়ের অনুমতি চাচ্ছি যতটুকু জানি ততটুকু লেখব?

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by shamin View Post
                            বারা ইবনে মালিক ভাইয়ের সাথে আমি একমত। অর্থাৎ আমিও জানতে আগ্রহী। আশা করি ভাই আমাদেরকে মাহরুম করবেন না।
                            আল্লাহ তা‘আলা ঐ ভাইকে তাওফিক দান করুন। আমীন
                            আমি অপেক্ষায় রইলাম.............!
                            আমি তো তখন একেবারে নবীন ছিলাম। ২০০১ -২ এর সময়। তখন জিহাদ শব্ধটা কত জনপ্রিয় ছিল। আর এখন বাস্তবতা সবার সামনে। কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে আমার এক বন্ধু যে কিনা সেই টিসি কোর্সের আমার সঙ্গি ছিল এবং সেই কোর্সেই শায়েখ আমাদের একটা শিক্ষা প্রদান করেন ২০০৩ সালে। আমার সেই বন্ধু এখন বলে এটা ছিল একটা পথভ্রষ্টতাআমরা পথভ্রষ্ট ছিলাম।। তাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম সঠিক কি সে উত্তর দিয়েছিল এখন সবচেয়ে উত্তম কাজ হচ্ছে পিতা মাতার খেদমত। আল্লাহ তাকে সঠিক বুঝ দান করুক। যাইহোকআসলে শায়েখের এত কাছের সান্নিধ্য পাই নাই। তবে আলহামদুলিল্লাহ্* উনার অনেক আম মজলিশে উপস্থিত থাকার সোভাগ্য হয়েছিল। আসলে উনাদের মত ত্যাগী সিংহদের জীবনী আমাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য রচনা হওয়া দরকার। উনাদের পরবর্তী ভাইদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে ইনশাআল্লাহ পরিপূর্ণ জীবনী লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করব। আর আবু আবদুল্লাহ ভাইতো উনার পরিচয় তুলে ধরেছেন। সেদিন টিসি কোর্সে শায়েখ আমাদের জন্য জিহাদের উপর অনেক আলোচনা তুলে ধরেন, যেটা আজো আমার জীবনে এই পথে চলার জন্য ভিত্তি হয়ে আছে। শায়েখ সেদিন আমাদের সামনে বাংলার শ্রেষ্ঠ মুজাহিদের একজন মুফতি শহীদ আবদূর রহমান ফারুকি (রঃ) জীবনী তুলে ধরেন। শায়েখ আমাদের বলেন, উনি মুফতি শহীদ আবদূর রহমান ফারুকি (রঃ) হাত ধরে জিহাদের পবিত্র ভুমিতে প্রথম গমন করেন। মুফতি শহীদ আবদূর রহমান ফারুকি (রঃ) তখন দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়তেন। আফগানদের জিহাদের ফল্গু যখন দুনিয়ার লোকজন শুনতে লাগল শহীদ ফারুকি (রঃ) তখন মাদ্রাসার দরসে বসে থাকতে পারেন নাই। তিনি জিহাদের ভুমিতে উপস্থিত হন। জিহাদের ভুমিতে যখন তিনি উপস্থিত হন তখন আফগান মুজাহিদগন উনাকে নিয়ে হাসাহাসি করেন, তুমি মনে হয় এটা খেলনা মনে করেছ এটা খেলানার বস্তু নয়, তুমি তোমার দেশে ফিরে যাও। কিন্তু উনি ছেড়ে দেন নাই, দীর্ঘ ছয় মাস উনি মুজাহিদদের জন্য পাহাড়ি পথের দূর দূরান্ত এলাকা থেকে পানি বহন করে আনতেন আর পাকশাকের কাজে সহযোগীতা করতেন। শায়েখ ইয়াহিয়া (রঃ) বলেন, তখন উনার সাথে দেওবন্দের দুইজন পাকিস্তানি বন্ধুও যোগ দেন। এইভাবে উস্তাদ ইয়াহিয়া (রঃ) শহীদ ফারুকি (রঃ) এর বৈবাহিক জীবন থেকে শুরু উনাদেরকে জিহাদের ভুমিতে নিয়ে যাওয়া জিহাদি কার্যক্রমের অনেক কিছু আমাদের সামনে তুলে ধরেন এবং তিনি যখন খোস্তে মাইন বিস্পোরিত হয়ে শহীদ হন, তখন উস্তাদ ইয়াহিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর উস্তাদ জিহাদি কার্যক্রম নিয়ে উনার আলোচনায় অনেক পদ্ধতি উনি আমাদের সামনে তুলে ধরেন। আমার খেয়াল আছে, উস্তাদ বলেন যদি তোমাদের কাউকে ইন্দিয়ায় কোথায়ও গুপ্তচর বৃত্তির জন্য পাঠানো হয় তোমরা কি করবে, তিনি সেটা তুলে ধরেন। সত্যি সত্যি আমি কিছু দিন পর হিন্দি ভাষা শিখার একটা বই সংগ্রহ করে আমি হিন্দি পড়া পুরো শিখে ফেলি। দেখুন হিন্দুস্তানের জিহাদের জন্য তখন থেকেই উনাদের ফিকির ছিল। ইয়া রব, উস্তাদকে জান্নাতের সুমহান মর্যাদা দান করুন।

                            Comment


                            • #15
                              আল্লাহ্* শায়েখকে জান্নাতুল ফেরদাউসের সুউচ্চ মাক্বাম দান করুন। আমীন। শায়েখের জানাযায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, তারা কখনো এতো সুদর্শন চেহারা আগে কখনো দেখেনি। আল্লাহু আকবার। শায়েখ অল্প বয়সের একাধিক সন্তান রেখে গিয়েছেন। আল্লাহ্* তাদের উত্তম সান্নিধ্য দান করুন। আমীন।

                              Comment

                              Working...
                              X