পৃথিবীতে খোঁজ নিলে দেখা যায়, সফল মানুষদের সংখ্যা নিতান্তই হাতেগোনা। হাজারো কোটি মানুষের ভীড়ে গুটিকয়েক লোকই সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারে। আমরা সফলদের নিয়ে কত কথা বলি। তাদের নিয়ে ঈর্ষা করি। তাদের জীবনী ও গল্প শুনে আশ্চর্য হই। আপনি কি মনে করেন, তারা খুব সহজেই এ স্তরে উপনীত হতে পেরেছিলেন? কক্ষনোই নয়; এর পেছনে তাদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। সময়ের ভাষা বুঝে তার আগে আগে চলার কসরত করতে হয়েছে। এভাবেই তারা মানুষের কাতার থেকে উত্তীর্ণ হয়ে চলে গেছেন মহামানবদের কাতারে।
তিক্ত হলেও সত্য যে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখে অনেক কিছুরই, কিন্তু জীবন পরিচালিত করে লক্ষ্যহীনভাবে। কারও কারও লক্ষ্য থাকলেও তা স্থির নয়; বরং পরিবেশ, পরিস্থিতি ও কালের চক্রে তা পাল্টে যায়। অথচ যা যুগের আবর্তনে পরিবর্তিত হয়, তা কখনো লক্ষ্য হতে পারে না। লক্ষ্য তো সেটাই যা অর্জনের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দেওয়া যায়। এমন লক্ষ্য নিয়ে কতজন চলে, খুঁজতে গিয়ে ফলাফল প্রায় জিরো পেয়েছি। বেশিরভাগকেই পেয়েছি এমন, যাদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। আর দুয়েকজন যা-ওবা লক্ষ্যের কথা বলেছে, তা আদৌ লক্ষ্য নয়; বরং উপার্জনের মাধ্যমকেই সে জীবনের লক্ষ্য ভেবে বসেছে!
কথাগুলো কেন বললাম? এজন্য যে, আমাদের অনেক ভাই আবেগের ওপর চলতে চান। আবেগ দিয়েই বিশ্বজয় করার ইচ্ছা লালন করেন। আর এ আবেগের সবটুকু আবার অনলাইন নির্ভর। অথচ অনলাইনের দু,চারশ লাইক-কমেন্ট দিয়ে বিপ্লব তো দূরে থাক, একটা সরিষার দানাও কিনতে পারবেন না। এ তো সব মরুর বুকে দেখা মরীচিকার ন্যায়। অনলাইনে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছেন, কিন্তু প্রয়োজনের সময় কাছে ডাকলে অধিকাংশকেই খুঁজে পাবেন না। তাই এ মরীচিকার পেছনে জীবনের মূল অংশ ব্যয় করে প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন কখনোই সম্ভব নয়। অনলাইন দাওয়াতের ছোট্ট একটি প্লাটফর্ম মাত্র। কিন্তু আপনার মূল কাজ হতে হবে সব অফলাইনে। অফলাইনের কাজ ছাড়া শুধু অনলাইন এক্টিভিটি আপনার মৃত্যুকূপ স্বরূপ, যেখানে জীবনের সকল অর্জন দাফন হয়।-সংগৃহীত
তিক্ত হলেও সত্য যে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখে অনেক কিছুরই, কিন্তু জীবন পরিচালিত করে লক্ষ্যহীনভাবে। কারও কারও লক্ষ্য থাকলেও তা স্থির নয়; বরং পরিবেশ, পরিস্থিতি ও কালের চক্রে তা পাল্টে যায়। অথচ যা যুগের আবর্তনে পরিবর্তিত হয়, তা কখনো লক্ষ্য হতে পারে না। লক্ষ্য তো সেটাই যা অর্জনের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দেওয়া যায়। এমন লক্ষ্য নিয়ে কতজন চলে, খুঁজতে গিয়ে ফলাফল প্রায় জিরো পেয়েছি। বেশিরভাগকেই পেয়েছি এমন, যাদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। আর দুয়েকজন যা-ওবা লক্ষ্যের কথা বলেছে, তা আদৌ লক্ষ্য নয়; বরং উপার্জনের মাধ্যমকেই সে জীবনের লক্ষ্য ভেবে বসেছে!
কথাগুলো কেন বললাম? এজন্য যে, আমাদের অনেক ভাই আবেগের ওপর চলতে চান। আবেগ দিয়েই বিশ্বজয় করার ইচ্ছা লালন করেন। আর এ আবেগের সবটুকু আবার অনলাইন নির্ভর। অথচ অনলাইনের দু,চারশ লাইক-কমেন্ট দিয়ে বিপ্লব তো দূরে থাক, একটা সরিষার দানাও কিনতে পারবেন না। এ তো সব মরুর বুকে দেখা মরীচিকার ন্যায়। অনলাইনে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছেন, কিন্তু প্রয়োজনের সময় কাছে ডাকলে অধিকাংশকেই খুঁজে পাবেন না। তাই এ মরীচিকার পেছনে জীবনের মূল অংশ ব্যয় করে প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন কখনোই সম্ভব নয়। অনলাইন দাওয়াতের ছোট্ট একটি প্লাটফর্ম মাত্র। কিন্তু আপনার মূল কাজ হতে হবে সব অফলাইনে। অফলাইনের কাজ ছাড়া শুধু অনলাইন এক্টিভিটি আপনার মৃত্যুকূপ স্বরূপ, যেখানে জীবনের সকল অর্জন দাফন হয়।-সংগৃহীত
Comment