Announcement

Collapse
No announcement yet.

লক্ষ্যহীন জীবন কেবলই এক মরুভূমি :

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • লক্ষ্যহীন জীবন কেবলই এক মরুভূমি :

    পৃথিবীতে খোঁজ নিলে দেখা যায়, সফল মানুষদের সংখ্যা নিতান্তই হাতেগোনা। হাজারো কোটি মানুষের ভীড়ে গুটিকয়েক লোকই সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারে। আমরা সফলদের নিয়ে কত কথা বলি। তাদের নিয়ে ঈর্ষা করি। তাদের জীবনী ও গল্প শুনে আশ্চর্য হই। আপনি কি মনে করেন, তারা খুব সহজেই এ স্তরে উপনীত হতে পেরেছিলেন? কক্ষনোই নয়; এর পেছনে তাদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। সময়ের ভাষা বুঝে তার আগে আগে চলার কসরত করতে হয়েছে। এভাবেই তারা মানুষের কাতার থেকে উত্তীর্ণ হয়ে চলে গেছেন মহামানবদের কাতারে।

    তিক্ত হলেও সত্য যে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখে অনেক কিছুরই, কিন্তু জীবন পরিচালিত করে লক্ষ্যহীনভাবে। কারও কারও লক্ষ্য থাকলেও তা স্থির নয়; বরং পরিবেশ, পরিস্থিতি ও কালের চক্রে তা পাল্টে যায়। অথচ যা যুগের আবর্তনে পরিবর্তিত হয়, তা কখনো লক্ষ্য হতে পারে না। লক্ষ্য তো সেটাই যা অর্জনের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দেওয়া যায়। এমন লক্ষ্য নিয়ে কতজন চলে, খুঁজতে গিয়ে ফলাফল প্রায় জিরো পেয়েছি। বেশিরভাগকেই পেয়েছি এমন, যাদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। আর দুয়েকজন যা-ওবা লক্ষ্যের কথা বলেছে, তা আদৌ লক্ষ্য নয়; বরং উপার্জনের মাধ্যমকেই সে জীবনের লক্ষ্য ভেবে বসেছে!

    কথাগুলো কেন বললাম? এজন্য যে, আমাদের অনেক ভাই আবেগের ওপর চলতে চান। আবেগ দিয়েই বিশ্বজয় করার ইচ্ছা লালন করেন। আর এ আবেগের সবটুকু আবার অনলাইন নির্ভর। অথচ অনলাইনের দু,চারশ লাইক-কমেন্ট দিয়ে বিপ্লব তো দূরে থাক, একটা সরিষার দানাও কিনতে পারবেন না। এ তো সব মরুর বুকে দেখা মরীচিকার ন্যায়। অনলাইনে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছেন, কিন্তু প্রয়োজনের সময় কাছে ডাকলে অধিকাংশকেই খুঁজে পাবেন না। তাই এ মরীচিকার পেছনে জীবনের মূল অংশ ব্যয় করে প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন কখনোই সম্ভব নয়। অনলাইন দাওয়াতের ছোট্ট একটি প্লাটফর্ম মাত্র। কিন্তু আপনার মূল কাজ হতে হবে সব অফলাইনে। অফলাইনের কাজ ছাড়া শুধু অনলাইন এক্টিভিটি আপনার মৃত্যুকূপ স্বরূপ, যেখানে জীবনের সকল অর্জন দাফন হয়।-সংগৃহীত

  • #2
    সিক্রেট মুজাহিদ ভাইদের জন্য কিছু টিপস।
    ১/ ইলেক্ট্রনিক কাজ করতে পারা। অনেককে দেখা যায় একটা ফ্যান / বাল্ম লাগানোর লোক ডাকে।
    ২/ সাইকেল / বাইক। খুব দ্রুত শিখে ফেলা।
    ৩/ রান্নার কাজ জানা। ময়দানে রান্নার দায়িত্ব আপনার উপর পড়তে পারে।
    ৪/নিজেত এলাকার সবগুলো রাস্তাঘাট চিনে রাখা।
    ৫/ নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা, চা, পান,এজাতীয় কারো উপর ছেড়ে না দেওয়া।
    ৬/ এলাকাভিত্তিক ইসলামী সংগঠনে উল্লেখ্য যোগ্য ভূমিকা রাখা, তবে বুঝতে দেওয়া যাবে না আপনি তানজিম করেন।
    ৭/ ইয়াতিম বিধবা, গরিব, মিসকিনদের সব সময় দান করে যাওয়া।
    ৮/ টার্গেট করে দাওয়াত দেওয়া। দাওয়াত দিতে গিয়ে লক্ষ রাখতে হবে সবাইকেই মুজাহিদ বানিয়ে ফেলার চিন্তা না করা। যাদের ভেতর মুজাহিদ হওয়ার যোগ্যতা আছে তাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া।
    ৯/ প্রাথমিক চিকিৎসার যোগ্যতা অর্জন করা।
    ১০/ পারার মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা।
    ان المتقین فی جنت ونعیم
    سورة الطور

    Comment


    • #3
      jajakallah. allah lekhokke uttom protidan din. amin

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ, আমাদের জীবন যেন লক্ষ্যহীন না হয়। বরং সর্বদা তোমার সন্তুষ্টির পথে আগুয়ান হওয়াই যেন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হয়, ইনশা আল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          মাসাআল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেছেন।।বাস্তবতাকে উপলব্ধি করার পোস্ট।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ
            মাশাআল্লাহ
            ভাই সুন্দর পোস্ট করেছেন

            Comment


            • #7
              সম্মানিত ভাইয়েরা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি কেন জানি নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারছি না.আমি খুব অলস।

              Comment


              • #8
                Originally posted by saif abdullah View Post
                পৃথিবীতে খোঁজ নিলে দেখা যায়, সফল মানুষদের সংখ্যা নিতান্তই হাতেগোনা। হাজারো কোটি মানুষের ভীড়ে গুটিকয়েক লোকই সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারে। আমরা সফলদের নিয়ে কত কথা বলি। তাদের নিয়ে ঈর্ষা করি। তাদের জীবনী ও গল্প শুনে আশ্চর্য হই। আপনি কি মনে করেন, তারা খুব সহজেই এ স্তরে উপনীত হতে পেরেছিলেন? কক্ষনোই নয়; এর পেছনে তাদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। সময়ের ভাষা বুঝে তার আগে আগে চলার কসরত করতে হয়েছে। এভাবেই তারা মানুষের কাতার থেকে উত্তীর্ণ হয়ে চলে গেছেন মহামানবদের কাতারে।

                তিক্ত হলেও সত্য যে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখে অনেক কিছুরই, কিন্তু জীবন পরিচালিত করে লক্ষ্যহীনভাবে। কারও কারও লক্ষ্য থাকলেও তা স্থির নয়; বরং পরিবেশ, পরিস্থিতি ও কালের চক্রে তা পাল্টে যায়। অথচ যা যুগের আবর্তনে পরিবর্তিত হয়, তা কখনো লক্ষ্য হতে পারে না। লক্ষ্য তো সেটাই যা অর্জনের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দেওয়া যায়। এমন লক্ষ্য নিয়ে কতজন চলে, খুঁজতে গিয়ে ফলাফল প্রায় জিরো পেয়েছি। বেশিরভাগকেই পেয়েছি এমন, যাদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। আর দুয়েকজন যা-ওবা লক্ষ্যের কথা বলেছে, তা আদৌ লক্ষ্য নয়; বরং উপার্জনের মাধ্যমকেই সে জীবনের লক্ষ্য ভেবে বসেছে!

                কথাগুলো কেন বললাম? এজন্য যে, আমাদের অনেক ভাই আবেগের ওপর চলতে চান। আবেগ দিয়েই বিশ্বজয় করার ইচ্ছা লালন করেন। আর এ আবেগের সবটুকু আবার অনলাইন নির্ভর। অথচ অনলাইনের দু,চারশ লাইক-কমেন্ট দিয়ে বিপ্লব তো দূরে থাক, একটা সরিষার দানাও কিনতে পারবেন না। এ তো সব মরুর বুকে দেখা মরীচিকার ন্যায়। অনলাইনে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছেন, কিন্তু প্রয়োজনের সময় কাছে ডাকলে অধিকাংশকেই খুঁজে পাবেন না। তাই এ মরীচিকার পেছনে জীবনের মূল অংশ ব্যয় করে প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন কখনোই সম্ভব নয়। অনলাইন দাওয়াতের ছোট্ট একটি প্লাটফর্ম মাত্র। কিন্তু আপনার মূল কাজ হতে হবে সব অফলাইনে। অফলাইনের কাজ ছাড়া শুধু অনলাইন এক্টিভিটি আপনার মৃত্যুকূপ স্বরূপ, যেখানে জীবনের সকল অর্জন দাফন হয়।-সংগৃহীত
                মাশা'আল্লাহ। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
                প্রিয় ভাই! প্রয়োজনীয় কথা গুলো খুব সুন্দর করেই বলেছেন।মাশা'আল্লাহ।

                প্রিয় ভাই! আমরা কিভাবে আমাদের লক্ষার্জনে সফল হতে পারব! কিছু উপকারী টিপস বলে দিলে অনেক উপকৃত হতাম।
                ইসলামের জন্যে এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
                =আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী হাঃফিঃ

                Comment

                Working...
                X