আপনারা কি শাবরা শাতিলার ইতিহাস জানেন? অনেকেই জানেননা। কারণ জানতে দেয়া হয়নি।
মিডিয়া বলছে মুসলমানরা জংগী, সন্ত্রাসী, বর্বর। আপনিও শুনে বলছেন, হ্যা, তাইতো মুসলমানরা জংগী। প্রকৃত জংগী, প্রকৃত বর্বর কারা আসুন শুধুমাত্র একটা গণহত্যা থেকে জানি।
১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনা এটি । লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পশ্চিম উপকণ্ঠে স্বভূমি থেকে নির্বাসিত হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জন্য আশ্রয়স্থল ছিল দুটো উদ্বাস্তু শিবির ।
একটির নাম শাবরা এবং অপরটির নাম শাতিলা । ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সর্বাত্নক সহযোগিতায় লেবাননের ম্যারেনাইট খ্রিস্টানপন্থী ফালাঞ্জিস্ট জঙ্গিরা ঐদিন সন্ধায় হানা দেয় এই উদ্ভাস্তু শিবির দুটোয়। প্রান নিয়ে যেন সেখান থেকে কেউ পালাতে না পারে সে জন্য এর আগেই ইসরাইলি ট্যাংক চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে শিবির দুটো।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত টানা ৪০ ঘণ্টা শিবিরের মধ্যে চলে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, আর নির্যাতন । রাতের আধারে এই গণহত্যা চালাতে সহযোগিতা করার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনী আলো জ্বালিয়ে দেয়। ৪০ ঘণ্টার এই হত্যাযজ্ঞে অন্তত তিন হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হয় । নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরো বেশী ।
কারণ অনেক লাশ রাতের আঁধারে বুল্ডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল । আহত হয় আরও অনেক । এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মূল পরিকল্পনাকারী ছিল ইসরাইলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন লেবানন থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কার্যালয় ও কার্যক্রম অপসারণের জন্য ১৯৮২ সালের ৬ জুন লেবাননে ইসরাইলি সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেয় । ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে লেবাননে ধংসযজ্ঞ আরম্ভ করে । যেমনটি তারা করেছে ২০০৬ সালেও ।
ফালাঞ্জিস্ট নেতা এলি হোবেইকারের নেতৃত্বে চালানো হয় এই শাবরা শাতিলা হত্যাকাণ্ড । আর মূল পরিকল্পনাকারী অ্যারিয়েল শ্যারন ২০০১ সালে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হয় ।
ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট ফিস্কের বর্ণনা অনুযায়ী, যেসব সাংবাদিক এই গণহত্যার পর ঘুরে ঘুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সবাই, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তারা। সংঘর্ষে ডজনখানেক মৃতদেহ মেনে নেয়া যায়, কিন্তু হাজার হাজার মানুষের অর্থহীন হত্যা?
সারি সারি নারীর দেহ পড়েছিল যাদের শরীরের ছিন্নপোষাক আর দেহের ভঙ্গি শারীরিক অত্যাচারের ইঙ্গিত করছিল, আরো ছিল গলাকাটা শিশুর মরদেহ। সারি সারি করে দেয়ালের সামনে পড়ে থাকা তরুণদের লাশের পিঠে ছিল গুলির চিহ্ন।
আমেরিকান আর্মির রেশন টিন, ইসরায়লী আর্মির যন্ত্রপাতি আর হুইস্কির খালি বোতলের পাশে জঞ্জালের মতো স্তুপ করে রাখা হয়েছিল ছোট ছোট বাচ্চাদের পচা গলা দেহ।
সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক তখন প্রশ্ন করেছিলেন, "কতজন কে হত্যা করলে সেটাকে আমরা গণহত্যা বলতে পারি?"
এই গল্পগুলো কি আপনারা জানেন? ততটুকুই জানেন যতটুকু ওরা জানতে দিয়েছে। আগামীতে আরও কত শাবরা শাতিলা আসবে কেউ জানিনা।
collected
মিডিয়া বলছে মুসলমানরা জংগী, সন্ত্রাসী, বর্বর। আপনিও শুনে বলছেন, হ্যা, তাইতো মুসলমানরা জংগী। প্রকৃত জংগী, প্রকৃত বর্বর কারা আসুন শুধুমাত্র একটা গণহত্যা থেকে জানি।
১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনা এটি । লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পশ্চিম উপকণ্ঠে স্বভূমি থেকে নির্বাসিত হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জন্য আশ্রয়স্থল ছিল দুটো উদ্বাস্তু শিবির ।
একটির নাম শাবরা এবং অপরটির নাম শাতিলা । ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সর্বাত্নক সহযোগিতায় লেবাননের ম্যারেনাইট খ্রিস্টানপন্থী ফালাঞ্জিস্ট জঙ্গিরা ঐদিন সন্ধায় হানা দেয় এই উদ্ভাস্তু শিবির দুটোয়। প্রান নিয়ে যেন সেখান থেকে কেউ পালাতে না পারে সে জন্য এর আগেই ইসরাইলি ট্যাংক চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে শিবির দুটো।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত টানা ৪০ ঘণ্টা শিবিরের মধ্যে চলে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, আর নির্যাতন । রাতের আধারে এই গণহত্যা চালাতে সহযোগিতা করার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনী আলো জ্বালিয়ে দেয়। ৪০ ঘণ্টার এই হত্যাযজ্ঞে অন্তত তিন হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হয় । নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরো বেশী ।
কারণ অনেক লাশ রাতের আঁধারে বুল্ডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল । আহত হয় আরও অনেক । এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মূল পরিকল্পনাকারী ছিল ইসরাইলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন লেবানন থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কার্যালয় ও কার্যক্রম অপসারণের জন্য ১৯৮২ সালের ৬ জুন লেবাননে ইসরাইলি সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেয় । ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে লেবাননে ধংসযজ্ঞ আরম্ভ করে । যেমনটি তারা করেছে ২০০৬ সালেও ।
ফালাঞ্জিস্ট নেতা এলি হোবেইকারের নেতৃত্বে চালানো হয় এই শাবরা শাতিলা হত্যাকাণ্ড । আর মূল পরিকল্পনাকারী অ্যারিয়েল শ্যারন ২০০১ সালে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হয় ।
ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট ফিস্কের বর্ণনা অনুযায়ী, যেসব সাংবাদিক এই গণহত্যার পর ঘুরে ঘুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সবাই, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তারা। সংঘর্ষে ডজনখানেক মৃতদেহ মেনে নেয়া যায়, কিন্তু হাজার হাজার মানুষের অর্থহীন হত্যা?
সারি সারি নারীর দেহ পড়েছিল যাদের শরীরের ছিন্নপোষাক আর দেহের ভঙ্গি শারীরিক অত্যাচারের ইঙ্গিত করছিল, আরো ছিল গলাকাটা শিশুর মরদেহ। সারি সারি করে দেয়ালের সামনে পড়ে থাকা তরুণদের লাশের পিঠে ছিল গুলির চিহ্ন।
আমেরিকান আর্মির রেশন টিন, ইসরায়লী আর্মির যন্ত্রপাতি আর হুইস্কির খালি বোতলের পাশে জঞ্জালের মতো স্তুপ করে রাখা হয়েছিল ছোট ছোট বাচ্চাদের পচা গলা দেহ।
সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক তখন প্রশ্ন করেছিলেন, "কতজন কে হত্যা করলে সেটাকে আমরা গণহত্যা বলতে পারি?"
এই গল্পগুলো কি আপনারা জানেন? ততটুকুই জানেন যতটুকু ওরা জানতে দিয়েছে। আগামীতে আরও কত শাবরা শাতিলা আসবে কেউ জানিনা।
collected
Comment