বিসমিহী তা’য়ালা
প্রারম্ভিকা
সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তায়ালার জন্যে যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কারো কাছে জবাব দিতে ও বাধ্য নন। বরং সকলেই তার নিকট দ্বায়বদ্ধ। সমস্ত কিছু তার হুকুমেই সৃষ্টি। তিনি এই সৃষ্টিতে কারো নিকট সাহায্য চাননি। ( নাউযুবিল্লাহ ) তিনি সাহায্যের চাইতে অনেক উর্ধ্বে। তিনি ই বিপদে সাহায্য কারী। তার সত্তা অতি পবিত্র। তিনি সকল প্রকার পঙ্কিলতা হতে মুক্ত।
সালাত ও সালাম বর্শীত হোক ঐ মহান আদর্শ মানবের প্রতি, যিনি এই পৃথিবীতে সর্ব শেষ নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। যিনি তার পবিত্র জবানে উচ্চারণ করেছিলেন
“যদি তোমরা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সাক্ষী দাঁও; তাহলে তোমরা কামিয়াব হয়ে যাবে”।
হে আমার উম্মাহ !!!
হে আমার মুসলিম উম্মাহ... তুমি আজ তোমার জীবনের এক গুরুত্ত পূর্ণ অধ্যায় অতিক্রম করছো। তুমি তোমার এই সু-দীর্ঘ পথচলায় ১৪৪০ টি বছর পার করেছো। এ যাবৎ কত দুঃখ-দুর্দশা তুমি সয়েছ। নীরবে একাকী চোখের অশ্রু ঝরিয়েছো।এমন ও সময় তুমি পার করেছো তোমার সেই অশ্রু মুছার জন্যে কেউ ছিলোনা। তুমি যখন মক্কা ছেড়ে মদীনায় এলে কত কষ্টই না সয়েছ সেই বিদায়ে।
অতঃপর যখন কাফেররা তোমার মাথা গুঁজারঠাই টুকু নিয়েও ছিনিমিনি খেলছি। ষড়যন্ত্র করছিলো কিভাবে এই ইসলামের ভূমিটা ধ্বংস করা যায়; ঠিক তখনি তুমি তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যে হাতে তুলে নিলে ঝংকার পরা টুটা-ফাটা ঝঞ্জাক্ষুব্দ তরবারী। রচিত হল তোমার জীবনের এক নতুন অধ্যায়। শুরুহলো তোমার জীবনের এক রক্তে রঞ্জিত রক্তিম ইতিহাস। মহা পবিত্র আল-কোরআনের ভাষায়ঃ
أُذِنَ لِلَّذِینَ یُقَـٰتَلُونَ بِأَنَّهُمۡ ظُلِمُوا۟ۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ نَصۡرِهِمۡ لَقَدِیرٌ
যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। [Surat Al-Hajj 39]
ٱلَّذِینَ أُخۡرِجُوا۟ مِن دِیَـٰرِهِم بِغَیۡرِ حَقٍّ إِلَّاۤ أَن یَقُولُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُۗ وَلَوۡلَا دَفۡعُ ٱللَّهِ ٱلنَّاسَ بَعۡضَهُم بِبَعۡضࣲ لَّهُدِّمَتۡ صَوَ ٰمِعُ وَبِیَعࣱ وَصَلَوَ ٰتࣱ وَمَسَـٰجِدُ یُذۡكَرُ فِیهَا ٱسۡمُ ٱللَّهِ كَثِیرࣰاۗ وَلَیَنصُرَنَّ ٱللَّهُ مَن یَنصُرُهُۥۤۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَقَوِیٌّ عَزِیزٌ
যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।[Surat Al-Hajj 40]
এখানে সুস্পষ্ট ভাবে তোমার হাতে তরবারি তুলে নেওয়ার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।এবং এর জন্যে মহান আল্লাহ তায়ালাই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।
“রক্তাক্ততা থেক শান্তি প্রতিষ্ঠা”
প্রারম্ভিকা
সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তায়ালার জন্যে যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কারো কাছে জবাব দিতে ও বাধ্য নন। বরং সকলেই তার নিকট দ্বায়বদ্ধ। সমস্ত কিছু তার হুকুমেই সৃষ্টি। তিনি এই সৃষ্টিতে কারো নিকট সাহায্য চাননি। ( নাউযুবিল্লাহ ) তিনি সাহায্যের চাইতে অনেক উর্ধ্বে। তিনি ই বিপদে সাহায্য কারী। তার সত্তা অতি পবিত্র। তিনি সকল প্রকার পঙ্কিলতা হতে মুক্ত।
সালাত ও সালাম বর্শীত হোক ঐ মহান আদর্শ মানবের প্রতি, যিনি এই পৃথিবীতে সর্ব শেষ নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। যিনি তার পবিত্র জবানে উচ্চারণ করেছিলেন
“যদি তোমরা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সাক্ষী দাঁও; তাহলে তোমরা কামিয়াব হয়ে যাবে”।
হে আমার উম্মাহ !!!
হে আমার মুসলিম উম্মাহ... তুমি আজ তোমার জীবনের এক গুরুত্ত পূর্ণ অধ্যায় অতিক্রম করছো। তুমি তোমার এই সু-দীর্ঘ পথচলায় ১৪৪০ টি বছর পার করেছো। এ যাবৎ কত দুঃখ-দুর্দশা তুমি সয়েছ। নীরবে একাকী চোখের অশ্রু ঝরিয়েছো।এমন ও সময় তুমি পার করেছো তোমার সেই অশ্রু মুছার জন্যে কেউ ছিলোনা। তুমি যখন মক্কা ছেড়ে মদীনায় এলে কত কষ্টই না সয়েছ সেই বিদায়ে।
অতঃপর যখন কাফেররা তোমার মাথা গুঁজারঠাই টুকু নিয়েও ছিনিমিনি খেলছি। ষড়যন্ত্র করছিলো কিভাবে এই ইসলামের ভূমিটা ধ্বংস করা যায়; ঠিক তখনি তুমি তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যে হাতে তুলে নিলে ঝংকার পরা টুটা-ফাটা ঝঞ্জাক্ষুব্দ তরবারী। রচিত হল তোমার জীবনের এক নতুন অধ্যায়। শুরুহলো তোমার জীবনের এক রক্তে রঞ্জিত রক্তিম ইতিহাস। মহা পবিত্র আল-কোরআনের ভাষায়ঃ
أُذِنَ لِلَّذِینَ یُقَـٰتَلُونَ بِأَنَّهُمۡ ظُلِمُوا۟ۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ نَصۡرِهِمۡ لَقَدِیرٌ
যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। [Surat Al-Hajj 39]
ٱلَّذِینَ أُخۡرِجُوا۟ مِن دِیَـٰرِهِم بِغَیۡرِ حَقٍّ إِلَّاۤ أَن یَقُولُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُۗ وَلَوۡلَا دَفۡعُ ٱللَّهِ ٱلنَّاسَ بَعۡضَهُم بِبَعۡضࣲ لَّهُدِّمَتۡ صَوَ ٰمِعُ وَبِیَعࣱ وَصَلَوَ ٰتࣱ وَمَسَـٰجِدُ یُذۡكَرُ فِیهَا ٱسۡمُ ٱللَّهِ كَثِیرࣰاۗ وَلَیَنصُرَنَّ ٱللَّهُ مَن یَنصُرُهُۥۤۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَقَوِیٌّ عَزِیزٌ
যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।[Surat Al-Hajj 40]
এখানে সুস্পষ্ট ভাবে তোমার হাতে তরবারি তুলে নেওয়ার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।এবং এর জন্যে মহান আল্লাহ তায়ালাই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।
“রক্তাক্ততা থেক শান্তি প্রতিষ্ঠা”
হে উম্মাহ... দীর্ঘ ২৭ ঊর্ধ যুদ্ধে তোমার নেতৃত্ব প্রদান করেছেন সেই কোমল হৃদয়ের অধিকারী লৌহমানব, যার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা চূড়ান্তভাবে বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে ঘোষণা হচ্ছেঃ
وَمَاۤ أَرۡسَلۡنَـٰكَ إِلَّا رَحۡمَةࣰ لِّلۡعَـٰلَمِینَ
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।[Surat Al-Anbiya' 107]
তিনি আরকেহ নন নবীকুলের শিরোমণি ,নবুও্যাতের দরজায় তালা যিনি আমাদের কাণ্ডারি মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তিনি বলেছেন “আমি আদিষ্ট হয়েছি যে যতদিন মানুষ আল্লাহ কে এক বলে সিকার না করবে ততদিন পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করতে”।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর চেয়ে উত্তম মানব পৃথিবী দ্বিতীয় জনকে দেখেনি আর দেখবে ও না। কারন তিনি ছিলেন শরিয়ত প্রণেতা । দ্বীন-শরিয়ত প্রতিষ্ঠার সকল পথ-পদ্ধতি তাকে ওহির ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তিনি শিখেছেন এবং বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছেন। এবং তাঁর এই বাস্তবায়নের মাধ্যমেই পুর্বাপর সকল পথ-পদ্ধতি রীতিনীতি বন্ধকরে দেওয়া হয়েছে। এক চুল পরিমাণ ও সুযোগ রাখেন নি তাঁর শরিয়তে কলম ধারার। স্বত্বাধিকারী সংরক্ষণের দ্বায়ীত্ব নিয়েছেন মহান আল্লাহ সুবাহানাহুতা’লা নিজেই। কালামে পাকে তিনি বলেছেনঃ
إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَـٰفِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। [Surat Al-Hijr 9]
সুতরং দ্বীন-শরিয়ত প্রতিষ্ঠার পথ-পদ্ধতি ১৪৪০ বছর পুর্বে যেটা যেমন ছিল; সেটা এখন ও ঠিক তেমন আছ এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।
শরিয়ত যতদূর প্রসারিত হয়েছে
উম্মাহ... জাজিরাতুল আরব হয়ে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরেছিল। অঞ্চল ভিত্তিক নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ وَمَاۤ أَرۡسَلۡنَـٰكَ إِلَّا رَحۡمَةࣰ لِّلۡعَـٰلَمِینَ
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।[Surat Al-Anbiya' 107]
তিনি আরকেহ নন নবীকুলের শিরোমণি ,নবুও্যাতের দরজায় তালা যিনি আমাদের কাণ্ডারি মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তিনি বলেছেন “আমি আদিষ্ট হয়েছি যে যতদিন মানুষ আল্লাহ কে এক বলে সিকার না করবে ততদিন পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করতে”।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর চেয়ে উত্তম মানব পৃথিবী দ্বিতীয় জনকে দেখেনি আর দেখবে ও না। কারন তিনি ছিলেন শরিয়ত প্রণেতা । দ্বীন-শরিয়ত প্রতিষ্ঠার সকল পথ-পদ্ধতি তাকে ওহির ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তিনি শিখেছেন এবং বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছেন। এবং তাঁর এই বাস্তবায়নের মাধ্যমেই পুর্বাপর সকল পথ-পদ্ধতি রীতিনীতি বন্ধকরে দেওয়া হয়েছে। এক চুল পরিমাণ ও সুযোগ রাখেন নি তাঁর শরিয়তে কলম ধারার। স্বত্বাধিকারী সংরক্ষণের দ্বায়ীত্ব নিয়েছেন মহান আল্লাহ সুবাহানাহুতা’লা নিজেই। কালামে পাকে তিনি বলেছেনঃ
إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَـٰفِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। [Surat Al-Hijr 9]
সুতরং দ্বীন-শরিয়ত প্রতিষ্ঠার পথ-পদ্ধতি ১৪৪০ বছর পুর্বে যেটা যেমন ছিল; সেটা এখন ও ঠিক তেমন আছ এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।
শরিয়ত যতদূর প্রসারিত হয়েছে
- ফিলিস্তিন।
- পারস্য ও ককেশাস।
- তুরস্ক।
- দক্ষিণ এশিয়া।
- দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া। ( পূর্ব ভারতীয় দীপপুঞ্জ বা হিন্দুস্তান )
- মধ্য এশিয়া ও ইউরো।
- আফ্রিকা।
- উত্তর আফ্রিকা।
- দক্ষিণ আফ্রিকা।
- পূর্ব আফ্রিকা।
- পশ্চিম আফ্রিকা।
- ইউরোপ।
খিলাফতের সম্প্রসারণ, ৬২২-৭৫০
মুহাম্মদ সাঃ এর অধীনে সম্প্রসারণ ৬২২–৬৩২/১-১১ হিজরী
রাশিদুন খিলাফতের অধীনে সম্প্রসারণ ৬৩২–৬৬১/১১-৪০ হিজরী
উমাইয়া খিলাফতের অধীনে সম্প্রসারণ ৬৬১–৭৫০/৪০-১২৯ হিজরী
উম্মাহর পরাজয় ও দূর্দিন
৬২২ থেকে ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ সাল পর্যন্ত ছিল উম্মাহর একটি উজ্জ্বল দিন। তবে দুঃখজক হলেও সত্যি; এর পর থেকেই উম্মাহ মানস্তাত্তিক ও আত্মিক ভাবে হেরে যায় চক্রান্ত কারিদের চক্রান্তের কাছে। ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গলীয়রা আক্রমণ করে খেলাফতে ইসলামিয়ার মূল কেন্দ্রস্থল রাজধানী বাগদাদে। এভবাবেই ইসলামের রাষ্ট্রপরিচালনা খিলাফার বিলুপ্তি ঘটে।
অতঃপর মিশরের মামলুক শাসকদের মাধ্যমে উম্মাহ এক নতুন প্রাণের সঞ্চার পায়। পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয় আব্বাসীয় খেলাফত । এরপর ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সামাজ্যের সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে মিশরের আব্বাসীয় খলিফা কর্তৃক খেলাফত হস্তান্তরের মাধ্যমে উসমানী খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও প্রথম মুরাদ (১৩৬২-১৩৮৯) সালে মাম্লুক সালতানাতে বৈধ দাবিদার না থাকায় খিলাফতের দাবি করেন। ১৯০৯ সালে উম্মাহ আবার চক্রান্তে পরে যায়। ১৯০৯ সালে “তরুণ তুর্কি বিপ্লব” এর মাধ্যমে খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ অপসারণ এবং ১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মিত্র বাহিনী ও আরব বিদ্রোহ জাতীয়তাবাদীদের হাতে উসমানী খেলাফত বিলুপ্তির মুখে পরে যায়। ১৯২৪ সালে ব্রিটিশ দের মাধ্যমে লুজেন চুক্তির ভিত্তিতে সর্বশেষ খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল মাজিদ কে নির্বাসিত করে কামাল আতাতুর্ক আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যাবস্থা খিলাফত বিলুপ্তি করে।
৬২২ থেকে ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ সাল পর্যন্ত ছিল উম্মাহর একটি উজ্জ্বল দিন। তবে দুঃখজক হলেও সত্যি; এর পর থেকেই উম্মাহ মানস্তাত্তিক ও আত্মিক ভাবে হেরে যায় চক্রান্ত কারিদের চক্রান্তের কাছে। ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গলীয়রা আক্রমণ করে খেলাফতে ইসলামিয়ার মূল কেন্দ্রস্থল রাজধানী বাগদাদে। এভবাবেই ইসলামের রাষ্ট্রপরিচালনা খিলাফার বিলুপ্তি ঘটে।
অতঃপর মিশরের মামলুক শাসকদের মাধ্যমে উম্মাহ এক নতুন প্রাণের সঞ্চার পায়। পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয় আব্বাসীয় খেলাফত । এরপর ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সামাজ্যের সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে মিশরের আব্বাসীয় খলিফা কর্তৃক খেলাফত হস্তান্তরের মাধ্যমে উসমানী খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও প্রথম মুরাদ (১৩৬২-১৩৮৯) সালে মাম্লুক সালতানাতে বৈধ দাবিদার না থাকায় খিলাফতের দাবি করেন। ১৯০৯ সালে উম্মাহ আবার চক্রান্তে পরে যায়। ১৯০৯ সালে “তরুণ তুর্কি বিপ্লব” এর মাধ্যমে খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ অপসারণ এবং ১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মিত্র বাহিনী ও আরব বিদ্রোহ জাতীয়তাবাদীদের হাতে উসমানী খেলাফত বিলুপ্তির মুখে পরে যায়। ১৯২৪ সালে ব্রিটিশ দের মাধ্যমে লুজেন চুক্তির ভিত্তিতে সর্বশেষ খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল মাজিদ কে নির্বাসিত করে কামাল আতাতুর্ক আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যাবস্থা খিলাফত বিলুপ্তি করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
ইনশাআল্লাহ এই লেখাটি চলমান থাকবে। এবং এর পরবর্তী অংশের হেডলাইন হবে "খেলাফত বিলুপ্তির পরথেকে আজ পর্যন্ত"। এবং এই লেখায় উইকিপিডিয়া থেকে কিছু বিষয়ে সাহায্য নেওয়া হয়েছে। দোওয়া চাই সকলের নিকট। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এবং আমাদের সকলকে দ্বীনের ঝান্ডাবাহী হিসেবে কবুল করুন।
আল্লাহ তায়া’লা-ই এক মাত্র সাহায্যকারী...
Comment