আজ ৫ই মে। ২০১৩ সালের ৫ই মে দিবাগত রাতে নবিপ্রেমী মুসলিমদের উপর এক নৃশংস গণহত্যা চালায় দেশের তাগুত সরকার। বাংলায় ইসলামের ইতিহাসে এমন বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিরল। আজও সেই গণহত্যার বেদনা বয়ে বেড়ায় এ জনপদ। সুস্পষ্ট প্রমাণাদি থাকার পরও এমন একটি হত্যাকাণ্ডকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে তাগুত সরকার মুমিনদের বেদনা আরো বাড়িয়েছে, হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়েছে। সেই আগুনে শাপলার খুনিদের না পুড়াতে পারলে এ মুসলিম জাতির হৃদয় প্রশান্ত হবে না।
সকালে ফোরামে একজন ভাইয়ের দেওয়া শাপলার মর্মান্তিক দৃশ্যাবলি সম্বলিত একটি ভিডিও দেখছিলাম। আগে এ ভিডিওগুলো দেখে চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়তো, আজও চোখের কোণে পানি জমলেও আটকে রেখেছি। চোখ থেকে এখন আর অশ্রু ঝরে পড়তে দেই না। কেননা, শাপলা চত্বরের সেই গণহত্যা নতুন করে স্মৃতিচারণ করে আসলে কোনো লাভ নেই, যদি না ঐ ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। যদি আজও আমরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সেই শাপলা চত্বরে নিরীহভাবে জড়ো হওয়ার কথা বলি, তাহলে আসলে আমাদের জন্য শাপলা চত্বর অভিশাপ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না; এটা অবশ্যই আদর্শিক পরাজয়। অন্যদিকে, শাপলা থেকে শিক্ষা নিয়ে যারা অধিকার আদায়ের পথ চিনে নিতে পেরেছে, অবশ্যই শাপলার ঘটনা তাদের জন্য কল্যাণকর।
শাপলার ঘটনা আজ ইতিহাস হয়ে গেছে, কিন্তু সেই করুণ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আমরা জমিনে রয়ে গেছি। আমাদের ভাইদের খুনে রঞ্জিত মাটিতে আজও আমরা উদাসীন হয়ে ঘুরে ফিরছি। অবশ্য একদিন আমরাও ইতিহাস হয়ে যাবো। পরবর্তী প্রজন্ম তখন ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখবে− কারা সঠিক ছিলো আর কারা ভুল; কারা বিজয়ী ছিলো আর কারা পরাজিত। এই জয়-পরাজয়ের ইতিহাস কিন্তু আমরাই লিখবো। ইতিহাসের পাতায় কি আমরা বিজয়ীর তালিকায় থাকবো নাকি পরাজিতের−এটা কিন্তু আমাদেরকেই ঠিক করে নিতে হবে। হ্যাঁ, আমরা চাইলেই আল্লাহর অনুগ্রহে বিজয়ী হতে পারি, আবার পরাজয়ের স্বাদও আস্বাদন করতে পারি। কীভাবে? এটা বুঝতে হলে আপনাকে জানতে হবে, একজন মুসলিমের বিজয় মানে হলো আদর্শের উপর টিকে থাকা। ইসলামের আদর্শের উপর টিকে থেকে যদি সে নিহতও হয়, তবুও সে বিজয়ী; সে শহিদ, জান্নাত তার আবাসস্থল। আর দুনিয়ায় বাহ্যিক বিজয় এলে তো সেটা আল্লাহর নিয়ামতসমূহের মধ্যে একটি নিয়ামত। পক্ষান্তরে কেউ যদি তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে সে পরাজিত। এ অবস্থায় সে জীবিত থাকুক বা মৃত−উভয়ই বরাবর; সে পরাজিত।
শাপলায় বাহ্যিকভাবে মুসলিমরা কেবল মারই খেয়েছেন। অথচ, কেবল মার খাওয়া বা রক্ত দেওয়াই ইসলামের আদর্শ নয়; পাশাপাশি মার দেওয়া বা রক্ত নেওয়াও ইসলামের আদর্শ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেন,
وَيُقْتَلُونَ فَيَقْتُلُونَ اللَّـهِ سَبِيلِ فِي يُقَاتِلُونَ
‘তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে।’ [সুরা তাওবা, আয়াত: ১১১]
তাই, শাপলার ঘটনা আমাদের অনুসরণীয় আদর্শ নয়, বরং সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের শুধরানো আমাদের জন্য কল্যাণকর। সুতরাং, যারা এখনো শাপলার সেই মার খাওয়ার এবং রক্ত দেওয়ার আদর্শকেই কেবল আঁকড়ে ধরে আছেন, তারা আদর্শিকভাবে পরাজিত। আর শাপলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যারা নিজেদের আদর্শকে শুধরে নিয়েছেন, যারা মার খাওয়ার পাশাপাশি মার দিতেও শিখছেন− তারা বিজয়ের পথে আছেন। শাপলার ঘটনায় জয়-পরাজয়ের হিসাব হয়নি, বরং শাপলা থেকে শিক্ষা নেওয়ার মাঝে নিহীত আছে জয়-পরাজয়ের সূত্র। এই সাদামাটা কথাগুলো বুঝতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে,
আমরা ফতোয়া বিরোধী রায়ের প্রতিবাদ করে মার খেয়েছি...
শাপলা চত্বরে আমাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে...
আমরা বি.বাড়িয়ায় কাদিয়ানিদের হাতে মার খেয়েছি...
ভোলার মাটি আমাদের খুনে রঞ্জিত হয়েছে...
এগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কেননা, সামনে আমাদের জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। মালাউন হিন্দুদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশ্রুত যুদ্ধ আসন্ন। আমরা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেই, আজও যদি আদর্শিক অবস্থান না শুধরাই, তাহলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে তীব্র সেই যুদ্ধে আমাদেরকে আবারো মার খেতে হবে, লাঞ্ছিত হতে হবে। আবারো আমাদেরকে রাজপথে নিরীহ প্রাণীর ন্যায় জবাই দিবে, আমাদের রক্ত দিয়ে গোসল করবে মালাউনরা।
আল্লাহ মুসলিম জাতিকে দুশমনদের থেকে হেফাজতে রাখুন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে লাঞ্ছনার জীবন ছেড়ে সম্মানের পথে পা বাড়ানোর তৌফিক দান করুন, আর সফলতা দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
সকালে ফোরামে একজন ভাইয়ের দেওয়া শাপলার মর্মান্তিক দৃশ্যাবলি সম্বলিত একটি ভিডিও দেখছিলাম। আগে এ ভিডিওগুলো দেখে চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়তো, আজও চোখের কোণে পানি জমলেও আটকে রেখেছি। চোখ থেকে এখন আর অশ্রু ঝরে পড়তে দেই না। কেননা, শাপলা চত্বরের সেই গণহত্যা নতুন করে স্মৃতিচারণ করে আসলে কোনো লাভ নেই, যদি না ঐ ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। যদি আজও আমরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সেই শাপলা চত্বরে নিরীহভাবে জড়ো হওয়ার কথা বলি, তাহলে আসলে আমাদের জন্য শাপলা চত্বর অভিশাপ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না; এটা অবশ্যই আদর্শিক পরাজয়। অন্যদিকে, শাপলা থেকে শিক্ষা নিয়ে যারা অধিকার আদায়ের পথ চিনে নিতে পেরেছে, অবশ্যই শাপলার ঘটনা তাদের জন্য কল্যাণকর।
শাপলার ঘটনা আজ ইতিহাস হয়ে গেছে, কিন্তু সেই করুণ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আমরা জমিনে রয়ে গেছি। আমাদের ভাইদের খুনে রঞ্জিত মাটিতে আজও আমরা উদাসীন হয়ে ঘুরে ফিরছি। অবশ্য একদিন আমরাও ইতিহাস হয়ে যাবো। পরবর্তী প্রজন্ম তখন ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখবে− কারা সঠিক ছিলো আর কারা ভুল; কারা বিজয়ী ছিলো আর কারা পরাজিত। এই জয়-পরাজয়ের ইতিহাস কিন্তু আমরাই লিখবো। ইতিহাসের পাতায় কি আমরা বিজয়ীর তালিকায় থাকবো নাকি পরাজিতের−এটা কিন্তু আমাদেরকেই ঠিক করে নিতে হবে। হ্যাঁ, আমরা চাইলেই আল্লাহর অনুগ্রহে বিজয়ী হতে পারি, আবার পরাজয়ের স্বাদও আস্বাদন করতে পারি। কীভাবে? এটা বুঝতে হলে আপনাকে জানতে হবে, একজন মুসলিমের বিজয় মানে হলো আদর্শের উপর টিকে থাকা। ইসলামের আদর্শের উপর টিকে থেকে যদি সে নিহতও হয়, তবুও সে বিজয়ী; সে শহিদ, জান্নাত তার আবাসস্থল। আর দুনিয়ায় বাহ্যিক বিজয় এলে তো সেটা আল্লাহর নিয়ামতসমূহের মধ্যে একটি নিয়ামত। পক্ষান্তরে কেউ যদি তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে সে পরাজিত। এ অবস্থায় সে জীবিত থাকুক বা মৃত−উভয়ই বরাবর; সে পরাজিত।
শাপলায় বাহ্যিকভাবে মুসলিমরা কেবল মারই খেয়েছেন। অথচ, কেবল মার খাওয়া বা রক্ত দেওয়াই ইসলামের আদর্শ নয়; পাশাপাশি মার দেওয়া বা রক্ত নেওয়াও ইসলামের আদর্শ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেন,
وَيُقْتَلُونَ فَيَقْتُلُونَ اللَّـهِ سَبِيلِ فِي يُقَاتِلُونَ
‘তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে।’ [সুরা তাওবা, আয়াত: ১১১]
তাই, শাপলার ঘটনা আমাদের অনুসরণীয় আদর্শ নয়, বরং সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের শুধরানো আমাদের জন্য কল্যাণকর। সুতরাং, যারা এখনো শাপলার সেই মার খাওয়ার এবং রক্ত দেওয়ার আদর্শকেই কেবল আঁকড়ে ধরে আছেন, তারা আদর্শিকভাবে পরাজিত। আর শাপলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যারা নিজেদের আদর্শকে শুধরে নিয়েছেন, যারা মার খাওয়ার পাশাপাশি মার দিতেও শিখছেন− তারা বিজয়ের পথে আছেন। শাপলার ঘটনায় জয়-পরাজয়ের হিসাব হয়নি, বরং শাপলা থেকে শিক্ষা নেওয়ার মাঝে নিহীত আছে জয়-পরাজয়ের সূত্র। এই সাদামাটা কথাগুলো বুঝতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে,
আমরা ফতোয়া বিরোধী রায়ের প্রতিবাদ করে মার খেয়েছি...
শাপলা চত্বরে আমাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে...
আমরা বি.বাড়িয়ায় কাদিয়ানিদের হাতে মার খেয়েছি...
ভোলার মাটি আমাদের খুনে রঞ্জিত হয়েছে...
এগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কেননা, সামনে আমাদের জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। মালাউন হিন্দুদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশ্রুত যুদ্ধ আসন্ন। আমরা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেই, আজও যদি আদর্শিক অবস্থান না শুধরাই, তাহলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে তীব্র সেই যুদ্ধে আমাদেরকে আবারো মার খেতে হবে, লাঞ্ছিত হতে হবে। আবারো আমাদেরকে রাজপথে নিরীহ প্রাণীর ন্যায় জবাই দিবে, আমাদের রক্ত দিয়ে গোসল করবে মালাউনরা।
আল্লাহ মুসলিম জাতিকে দুশমনদের থেকে হেফাজতে রাখুন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে লাঞ্ছনার জীবন ছেড়ে সম্মানের পথে পা বাড়ানোর তৌফিক দান করুন, আর সফলতা দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Comment