একবার এক ফেতনাবাজ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সাথে সাক্ষাত করে। সালাম বিনিময়ের পর সেই ফিতনাবাজ লোকটা জিজ্ঞাসা করল হুজুর!হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তো বদরের যুদ্ধে শরিক হননি। ঠিক না?  ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেনঃ কথা ঠিক  সে লোকটা আবার জিজ্ঞেস করল হুজুর! হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ওহুদের যুদ্ধে থেকেও পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিলেন।ঠিক না?  ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু বল্লেনঃ কথা ঠিক  এবার সে আবার জিজ্ঞেস করল হুজুর! হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তো বাইয়াতে রেজওয়ানে ও শরীক ছিলেন না। ঠিক না?  ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন কথা ঠিক।  অতঃপর লোকটা বলল "তাহলে হযরত ওসমানের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায়?" এই বলে লোকটি চলে যাচ্ছিল খুশি মনে। ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর কথা দিয়ে দলিল দিতে পারবে সেই আশায়।  তৎক্ষণাৎ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু লোকটার চক্রান্ত বা ধোকা বুঝে ফেলেছেন। "কথা সত্য মতলব খারাপ"   অতপর ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু লোকটাকে ডেকে বললেন কই যাও? শোনো! হযরত ওসমান বদরের যুদ্ধে গিয়েছিলেন কিন্তু রাসূল নিজে তারই মেয়ের সেবা শশ্রুষা করার জন্য ফেরত পাঠিয়েছিলেন।কথা ঠিক?  লোকটার মাথা নিচু হয়ে গেল। আর ওহুদের যুদ্ধে হযরত ওসমান একা নন অনেকেই পিছুটান দিয়েছিলেন তাদের সকলের ক্ষমার ঘোষণা স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা দিয়েছিলেন।কথা ঠিক?  এবার লোকটার মাথা আরো নিচু হয়ে গেল।  আর বাইয়াতে রেজওয়ান হয়েছিল তো হযরত ওসমানকে কেন্দ্র করেই যখন ওসমান হত্যার বা বন্দীর গুজব শোনা গেল তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুর থেকে বের হলেন। হাত টান করে ডাক দিলেন!!! يا اصحاب الشجره ওহে গাছের নিচে অবস্থানকারী সাহাবারা আমার ওসমানকে হত্যা করা হয়েছে। আসো,,,,, বাইয়াত গ্রহণ করো। হয়তো আমরা ওসমান হত্যার বদলা নিতে গিয়ে পুরা মক্কা বিজয় করে ছাড়বো অন্যথায় আমরা সকলে শহীদ হয়ে যাবো।  1400 সাহাবায়ে কেরাম একের পর এক বাইয়াত গ্রহণ  করলেন। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের অপর হাত রেখে বললেন এটা ওসমানের হাত। এই বাইয়াত থেকে যেন ওসমান বাদ না পড়ে সেজন্য রাসূল নিজের হাতকে উসমানের হাত বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অতঃপর ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু লোকটাকে জিজ্ঞেস করলেন এই ঘটনাও ঠিক। এবার যাও,,,,,,  অতঃপর সে লজ্জিত হয়ে চলে গেল আসলে লোকটা এসেছিল নবীর সাহাবী হযরত ওসমান এর ব্যাপারে বদনাম ছড়াতে। তাই কৌশলে ইবনে ওমরের সত্যায়ন/সমর্থন নিতে চাচ্ছিল। ইবনে ওমরের নামে প্রচার করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু ইবনে ওমর এর চতুরতার কাছে সে ধরা খেয়ে লজ্জিত হয়ে চলে  গেল।  কিন্তু আজ কুফফারা আমাদের কিছু সরলমনা মুরুব্বিদের থেকে আল্লাহর কিছু একনিষ্ঠ প্রিয় বান্দাদের নামে অপপ্রচার চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া লিখিয়ে নিচ্ছে ফলে জাতি যুগের মুজাহিদদের ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে।  মুরব্বিদের হওয়া উচিত ছিল ইবনে ওমর এর মত চৌকস। যখনই আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের ব্যাপারে অপপ্রচার চালানো হয় তখনই তাদের উচিত ছিল কুফফারদের চক্রান্তকে বুঝে মুজাহিদদের বিরোধিতা না করে বরং তাদের সফলতার জন্য দোয়া করা আল্লাহ তায়ালা মুরুব্বিদের বোঝার তৌফিক দান করুন আমিন।
							
						
					Announcement
				
					Collapse
				
			
		
	
		
			
				No announcement yet.
				
			
				
	
ইবনে উমর রাজিঃও এক ফেতনাবাজ খারেজী এর কথপোকথন
				
					Collapse
				
			
		
	X
- 
	
	
	
		
	
	
		
		
		
		
		
		
		
	
	
 বর্তমানে কিছু আলেম সমাজ রয়েছে যারা মুজাহিদদের ব্যাপারে কাফের ইহুদী খৃষ্টানদের নীতিমালা গ্রহণ করেছেন, তাঁরা মুজাহিদদের ব্যাপারে না জেনে না বুঝে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, খারেজি ইত্যাদি টেগ লাগিয়ে দেয় 😢, আর কিছু আছে বুঝে শুনে এসব নিকৃষ্টতম ষড়যন্ত্র করে থাকে,,
 আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুক, আমীন।Last edited by tahsin muhammad; 08-07-2022, 04:29 PM.
 - Likes 1
 Comment
 

 ইবনে উমর রাজিঃও এক ফেতনাবাজ খারেজী এর কথপোকথন
									
									
									ইবনে উমর রাজিঃও এক ফেতনাবাজ খারেজী এর কথপোকথন
								
Comment