Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমামে আযম: কারাগারে শহীদ ইতিহাসের অমর মনীষী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমামে আযম: কারাগারে শহীদ ইতিহাসের অমর মনীষী

    ইমামে আযম: কারাগারে শহীদ ইতিহাসের অমর মনীষী


    ইমাম আবু হানিফা রহ.। ইলমি আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ইতিহাসের কিতাবগুলোতে বিখ্যাত এ মনীষীর রয়েছে বহুমাত্রিক পরিচিতি। ইলমের সাগরে নিমগ্ন এ জ্ঞানসাধক বাতিলের বিরুদ্ধেও ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। জালিম শাসকের রোষানলে পড়ে ১৫০ হিজরীতে তিনি কারাগারে শাহাদাত বরণ করেন।
    তখন আব্বাসী শাসনামল। খলীফা মনসুর ক্ষমতায়। মদিনায় খলীফা মনসুরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন নবী দৌহিত্র হাসান রাযি.-এর বংশধর মোহাম্মদ রহ.। ১৪৫ হিজরীতে তিনি কুফায় সফর করেন।
    তখন নিজ মাতৃভূমি কুফাতেই অবস্থান করছিলেন ফিকহ শাস্ত্রের বরিত পুরুষ ইমাম আবু হানিফা রহ.। মদিনা থেকে আগত মোহাম্মদ রহ. তার সাক্ষাতপ্রার্থী হন। স্বাভাবিকভাবেই নবী পরিবারের সদস্য হওয়ায় আবু হানিফা রহ. তাঁকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদর্শন করেন।
    গুজব রটে যে, আবু হানিফা রহ. মদিনার বিদ্রোহের স্বপক্ষে মত দিয়েছেন ও সাহায্য করেছেন।
    ততদিনে ইমাম আবু হানিফার রহ.-এর পরিচিতি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। খলীফা মনসুর শঙ্কিত বোধ করলেন। আবু হানিফা রহ. কে কুফা থেকে বাগদাদে নিয়ে আসেন।
    খলীফা মনসুর নিজের শাসন নিঃশঙ্ক করতে ইমাম আবু হানিফা রহ.কে এই মর্মে অনুরোধ করেন যেন তিনি এই ফতোয়া প্রদান করেন যে, খলীফা মনসুর ‘আলা মিনহাজিন নবুওয়্যাহ’ তথা নববী পথ ও পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিনিময়ে মানসূর আবু হানিফাকে কাযী-উল-কুযাত পদ গ্রহণের প্রস্তাব করেন। এর মানে এই দাঁড়ায় যে, খলীফা মনসুরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হারাম। যা ছিল প্রকারান্তরে খলীফা মানসূরের যাবতীয় জুলুমকে একবাক্যে বৈধ বলে ফতোয়া দেওয়ার নামান্তর।
    আবু হানীফা রহ. দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখান করেন। মনসুর ইমাম আবু হানিফার পায়ে ত্রিশটা বেত্রঘাত করে, তাঁর পা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে এবং তাঁকে কারান্তরীণ করার নির্দেশ দেওয়া হয। কয়েকদিন পর মনসুর পুনরায় ইমাম আবু হানিফাকে ডেকে এনে ক্ষমা চান এবং তাঁর সামনে হাদিয়াস্বরূপ ৩০ হাজার দিরহাম উপস্থাপন করেন। এবারেও আবু হানিফা রহ. মনসুরের যাবতীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
    ঐতিহাসিক বর্ণনামতে, এবার মনসুর এই নির্দেশ প্রদান করেন যে, তার মতে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক পরবর্তী দিন ১০ বেত্রাঘাত করে বাড়িয়ে আবু হানিফাকে বেত্রাঘাত করা হবে। একাদশতম দিনে অর্থাৎ ১১০ বেত্রাঘাত প্রদানের দিন তাঁকে বিষমিশ্রিত শরবত পান করানো হয়। সেজদারত অবস্থায় আবু হানীফা রহ. শাহাদাত বরণ করেন।
    এই ছিল আমাদের পূর্বপুরুষের আদর্শ। ত্যাগ ও কুরবানী। নিজের মৃত্যুর বিনিময়েও অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। পূর্বসূরীর পদাঙ্গ অনুসরণ করেন ইমাম আহমদ, কাযী ইয়ায, ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.। যুগ যুগ ধরেই এ ধারা অনুসৃত।
    ইলমের পথে সমুচ্চ খেদমতের পাশাপাশি তাঁদের জীবন ছিল কুরবানীময়। কুরবানীর এই মিছিলে যুক্ত ছিলেন আমাদের নিকট অতীতের শামেলীর ময়দানের মহান বীরেরাও। আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করুন।
    (আল্লাহুম্মা আমীন)
    -সংগ্রহীত পোস্ট
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,,।
    অনেক সুন্দর ও উপকারী পোষ্ট করেছেন।
    আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন,আমীন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ! খুব উপকারী পোস্ট।
      মুহতারাম ভাই, আমি শুনেছিলাম যে, আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ নাকি আসলেই মুহাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহকে কত দিনার দিয়ে বিদ্রোহের জন্য সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু উপরের পোস্টে তা গুজব বলা হয়েছে।
      আসলে সঠিক কোনটা হবে? জানতে চাচ্ছিলাম।
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ্ আমাদের আলিম গণ কে ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহর মত কবুল করুন আমীন।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা মহান ইমামকে ক্ষমা করে দিন, তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করুন, আমীন।

          তাঁরাই মোদের পূর্বসুরী, যাঁদের নিয়ে গর্ব করি...
          نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

          Comment


          • #6
            আমাদের প্রকৃত আকাবির। আমাদের প্রকৃত আসলাফ।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              Originally posted by কালো পতাকাবাহী View Post

              মুহতারাম ভাই, আমি শুনেছিলাম যে, আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ নাকি আসলেই মুহাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহকে কত দিনার দিয়ে বিদ্রোহের জন্য সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু উপরের পোস্টে তা গুজব বলা হয়েছে।
              আসলে সঠিক কোনটা হবে? জানতে চাচ্ছিলাম।
              প্রিয় ভাই- আপনি কোথা থেকে শুনেছেন? কোন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির বা কিতাবের হাওয়ালা দিতে পারবেন? তাহলে আমি আপনার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামের শরণাপন্ন হতাম, ইনশা আল্লাহ।
              আশা করি তখন কোনটা সঠিক, তা আমরা জানতে পারব।
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                Originally posted by abu ahmad View Post
                প্রিয় ভাই- আপনি কোথা থেকে শুনেছেন? কোন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির বা কিতাবের হাওয়ালা দিতে পারবেন? তাহলে আমি আপনার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামের শরণাপন্ন হতাম, ইনশা আল্লাহ।
                আশা করি তখন কোনটা সঠিক, তা আমরা জানতে পারব।
                সম্মানিত ভাই, ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের "জিহাদ ও মুজাহিদিন নিয়ে হযরতওয়ালাদের বিভ্রান্তি-৩" এর মধ্যে আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ'র জিহাদ নিয়ে আলোচনা আছে। সেখানে হাওয়ালা-ও দেয়া আছে। নিচের লিংকে লেখাটা পাবেন ইনশাআল্লাহ।

                লিংক: https://dawahilallah.com/showthread.php?13697
                বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by কালো পতাকাবাহী View Post
                  সম্মানিত ভাই, ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের "জিহাদ ও মুজাহিদিন নিয়ে হযরতওয়ালাদের বিভ্রান্তি-৩" এর মধ্যে আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ'র জিহাদ নিয়ে আলোচনা আছে। সেখানে হাওয়ালা-ও দেয়া আছে। নিচের লিংকে লেখাটা পাবেন ইনশাআল্লাহ।

                  লিংক: https://dawahilallah.com/showthread.php?13697
                  প্রিয় ভাই-
                  আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ নাকি আসলেই মুহাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহকে কত দিনার দিয়ে বিদ্রোহের জন্য সহযোগিতা করেছিলেন।
                  এই মর্মে কোন সুস্পষ্ট কথা পাইনি। যা পেয়েছি, তা হলো:
                  যায়দ বিন আলী রহ. এর সাথে তার ঘটনা প্রসিদ্ধ। তিনি গোপনে তার কাছে আর্থিক সাহায্য প্রেরণ করেছিলেন এবং ফতোয়া দিয়েছিলেন যে, তাকে নুসরত করা এবং তার পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করা আবশ্যক। তদ্রূপ, আব্দুল্লাহ বিন হাসান তনয় মুহাম্মাদ ও ইব্রাহিমের সাথেও তার ঘটনা প্রসিদ্ধ।”- আহাকমুল কুরআন ১/৮৭
                  তো এখানে যায়দ বিন আলী রহ,কে গোপনে আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে বলা হয়েছে। কিন্তু মুহাম্মাদ রহ.কে সাহায্য করেছেন বলে কোন কথা বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে,তাদের সাথে উনার ঘটনা প্রসিদ্ধ। আর সে ঘটনার আলোচনা ইলম ও জিহাদ ভাই আব্বাসীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আলোচনায় আলোকপাত করেছেন। কিন্তু সেখানে এমন কোন কথা বলা হয়নি।
                  আশা করি প্রিয় ভাই আপনার প্রদত্ত লিংক-এর পোস্টটি ভালো করে পড়ে নিবেন। আর আপনার প্রদত্ত কথার কোন দলীল সেখানে থাকলে এখানে কমেন্ট করে জানাবেন।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X