ইসলামেগুপ্তহত্যা (২য়পর্ব)⚔️শাতিম কা'ব বিন আশরাফ হত্যা ও আমাদের শিক্ষা
কাব বিন আশরাফ এক জাহান্নামের কিটের নাম। সে ছিল ইহুদী কবি। রসুলের শানে বেয়াদবি পুর্ণ কবিতা আবৃত্তি করা ছিল তার নিত্যদিনের রুটিন। জাহান্নামের এই কিট কে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিল। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে বললেনঃকাব বিন আশরাফের জন্য কে প্রস্তুত আছো? দাঁড়িয়ে গেলেন মুহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। বললেনঃইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি চাইলে আমি বদমাইশ কে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতে চাই। রাসুল বললেনঃ হ্যাঁ তুমি পারবে। অতঃপর মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেনঃ আপনি আমাকে আপনার বিরুদ্ধে বলার অনুমতি দিন যাতে করে আমি প্রথমে তাদের আস্থা অর্জন করতে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন।
মোহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু রওনা দিলেন বনু কুরাইজা অভিমুখে। সোজা চলে গেলেন কাব বিন আশরাফের দরবারে। তার সামনে রাসুলের বিরুদ্ধে বলে তার আস্থা অর্জন করা শুরু করলেন। তিনি কা'ব বিন আশরাফ কে বললেনঃ মুহাম্মাদ সাঃ আমাদের কাছে খালি সাদাকা চায়।অথচ আমাদের কাছে সাদাকা করার মতো অর্থ নাই। সে আমাদের কে অনেক কষ্ট দেয়, আমাদের কে আরো বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।আর আমি তোমার কাছে এসেছি বিপদে পড়ে। তো কিছু ধার দাও আমাকে,,,,,। আর শোনো আমরা তার আনুগত্য দেখাই বাস্তবে তাকে ভালোবাসি না বরং তাকে আরো ঘৃণা করি।মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর সাথে ছিল আবু নায়েলা রাজিঃ(যে কা'ব বিন আশরাফ এর দুধ ভাই)।রাসুলের দুশমন কা'ব বিন আশরাফ তার দুধ ভাই আবু নায়েলা কে জিজ্ঞেস করলঃ বলতো সত্যি করে তোমারা মুহাম্মাদ এর ব্যপারে কেমন ধারণা পোষণ করো? তিনি বললেনঃ আমরা তাকে অপমানিত –লাঞ্চিত করতে চাই। এবং তার থেকে মুক্তি চাই। কা'ব বিন আশরাফ (হাসি দিয়ে)বললঃ আজকে তুমি আমাকে খুব আনন্দিত করেছো।
এবার কা'ব বিন আশরাফ মুহাম্মাদ বিন মাসলামা কে বললঃ ঋণ নিবা ঠিক আছে তো কিছু বন্ধক রাখো,,,,!!জাতে আমি তোমার ব্যপারে আশ্বস্ত হতে পারি। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিঃ বললেনঃ আমরা তো তোমার ই লোক, মুহাম্মাদ সাঃ কে পুরো পুরি বর্জন করেছি। সে আমাদেরকে নির্জাতন করে আর তুমি খুব দয়ালু, আচ্ছা তুমি কি চাও বলো?? সে বলল তোমাদের স্ত্রীদেরকে বন্ধক রাখো কাব দ্বীন আশরাফ কখনো বিয়ে করেনি তখন সাহাবী মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন আমাদের স্ত্রীদেরকে আপনার কাছে কেমনে বন্ধক রাখি! অথচ আপনি আরবের সুদর্শন ও স্মার্ট যুবক অতঃপর সে বলল তাহলে ছেলেদেরকে রাখো? তখন সাহাবীয়ে রাসুল মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন আমাদের ছেলেদেরও বা কেমনে বন্ধক!! রাখি অথচ তাদেরকে এই বলে গালি দেওয়া হবে ও তিরস্কার করা হবে যে তোমাদের বাবা ঋণ নিয়ে তোমাদেরকে বন্ধক রেখেছিল। সাহাবী আরো বললেন আর এক দুই ওয়াসাক বন্ধক রাখা এটা আমাদের জন্য লাঞ্চনা কর কিন্তু আমি তোমার কাছে আমার লৌহবর্ম ও অস্ত্রশস্ত্র বন্ধক রাখি,,,,! (যাতে করে সে আরো আস্থাভাজন হয়) অতঃপর সে খুশি হয়ে বলল হ্যাঁ তাই কর। তো যাইহোক ঋণ পরিশোধ করবা কবে? অতপর সাহাবি কোন এক দিন নির্দিষ্ট করে বললেন অমুক তারিখে তোমাকে ঋণ পরিশোধ করে দিব। অতঃপর সেই প্রতিশ্রুত দিনের রাতের বেলায় গেলেন কাব বিন আশরাফের কাছে। ঘটনাক্রমে ওই রাত ছিল কাব বিন আশরাফের বাসর রাত। যাইহোক সে তাদের দুর্গের কাছে আসার কথা বলে উপর থেকে নেমে তাদের কাছে আসতে যাচ্ছিল তখন বউ তাকে বাধা দিচ্ছিল এই বলে যে, তুমি যেও না!!! সে বলল আরে কি হয়েছে। এইতো মুহাম্মদ বিন মাসলামা ও আমার ভাই আবু লায়লা। স্ত্রী আবার বলল আমি এমন আওয়াজ শুনছি যাতে রক্ত টপকাচ্ছে। সুতরাং তুমি যেও না,,,,, প্লিজ!!! সে বউয়ের কথা না শুনে চলে আসলো। দূর্গের মধ্যে ঢুকেছিলেন মোহাম্মদ বিন মাসলমার সাথে আবু নায়েলা, আবু আবস বিন জাবর,হারেস বিন আউস,ও আব্বাদ বিন বিশর রাদিয়াল্লাহু তা'আলাআনহুম। মোহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আগেই প্লান করেছেন এভাবে যে আমি প্রথমে ঘ্রাণ শুকবো। আবার দ্বিতীয়বার যখন শুকতে যাব তখন তোমরা কল্লা উড়িয়ে দিবে। বদমাইসটা আসলো।যেহেতু বাসর রাত তাই আরবের দামি খুশবু ছিল তার মাথায়। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেনঃখুব চমৎকার ঘ্রাণ, এরকম ঘ্রাণ তো ইতিপূর্বে কখনো পাইনি!!অহংকারী শাতিম মাথা নুইয়ে দিয়ে বল্লোঃশুকে দেখো কতো ঘ্রাণ,,,,।
মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ঘ্রাণ শুকে বললেন আহ!! কি চমৎকার ঘ্রাণ। অতপর খোশ গল্পে মত্ত হয়ে গেলো।প্লান মোতাবেক কিছুক্ষণ পর রাসুলের সাহাবারা বললেন আমরা কি আরেক বার ঘ্রাণ শুকতে পারি??? শয়তান টা বল্লোঃ আরে,,, একবার নয় বারবার শুকো, কোন সমস্যা নাই। এই বলে মাথা নুইয়ে দিল রাসুলের দুশমন। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শাতিমের চুল গুলো শক্ত করে ধরে নির্দেশ দিলেন সাথী দেরঃ⚔️⚔️কল্লা উড়িয়ে দাও শাতিমের।মুহুর্তের মধ্যে শাতিমের মাথা দ্বিখন্ডিত হয়ে গেলো।
অত:পর সাহাবারা ভিন্ন পথ ব্যবহার করে দুর্গ ত্যাগ করলেন।আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফিরছেন মদিনা র পথে। বা'কীয়ে গারকাদ নামক স্থানে এসে জোরে বিজয়ের তাকবির ধ্বনি দিলেন 🎙️🎙️লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবর।
লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবর ।
রাসুল সাঃ রাতের নফল নামাজে ছিলেন। সালাম ফিরিয়ে তাকবির দিলেন।সাহাবারা এসে সুসংবাদ দিলে রাসুল শুকরিয়া আদায় করেন।
এভাবেই রাসুল শাতিমদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। আর সাহাবারা রাতের আধারেই গুপ্ত হত্যা করে গেরিলা কৌশলে সটকে পড়েছিলেন। অতএব শাতিমদের একমাত্র বিধানঃ শাতিম কে যে যেখানে পায় সে সেখানেই হত্যা করে দিবে এজন্য আমিরের অনুমতি র ও কোন দরকার নেই।
আলহামদুলিল্লাহ হে উম্মাহ সুসংবাদ গ্রহণ করুন মুহাম্মাদ বিন মাসলামা ও আব্দুল্লাহ বিন আতিক রাজিঃ এর উত্তরসুরীরাও শাতিমদের জাহান্নামে পাঠানোর ধারা অব্যাহত রেখেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের দুই শাতিমকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কয়েকজন যুবক। আল্লাহ তাদের মুক্তি কে তরান্নিত করুন আমিন।
এমনকি আমেরিকার মতো দেশে নবিপ্রেমিক যুবকেরা শাতিমদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ। এই তো কিছুদিন আগে সালমান রুশদী নামের কুলাংগার বেয়াদব শাতিমে রাসুল কে প্রকাশ্য দিবালোকে অনুস্টানের স্টেজে ই কুপিয়ে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন এক নবিপ্রেমিক যুবক। তার এই হৃদয় প্রশান্ত কারি বরকতময় সারা পৃথিবীর শাতিমে রাসুলরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ভাইকে কুফফারদের হাত থেকে রক্ষা করুন ও তার মুক্তি কে তরান্নিত করুন আমিন
সিংহের মতো এক দিন বাচা
✍️ইবনে মুহাম্মাদ আল হিন্দি
কাব বিন আশরাফ এক জাহান্নামের কিটের নাম। সে ছিল ইহুদী কবি। রসুলের শানে বেয়াদবি পুর্ণ কবিতা আবৃত্তি করা ছিল তার নিত্যদিনের রুটিন। জাহান্নামের এই কিট কে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিল। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে বললেনঃকাব বিন আশরাফের জন্য কে প্রস্তুত আছো? দাঁড়িয়ে গেলেন মুহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। বললেনঃইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি চাইলে আমি বদমাইশ কে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতে চাই। রাসুল বললেনঃ হ্যাঁ তুমি পারবে। অতঃপর মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেনঃ আপনি আমাকে আপনার বিরুদ্ধে বলার অনুমতি দিন যাতে করে আমি প্রথমে তাদের আস্থা অর্জন করতে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন।
মোহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু রওনা দিলেন বনু কুরাইজা অভিমুখে। সোজা চলে গেলেন কাব বিন আশরাফের দরবারে। তার সামনে রাসুলের বিরুদ্ধে বলে তার আস্থা অর্জন করা শুরু করলেন। তিনি কা'ব বিন আশরাফ কে বললেনঃ মুহাম্মাদ সাঃ আমাদের কাছে খালি সাদাকা চায়।অথচ আমাদের কাছে সাদাকা করার মতো অর্থ নাই। সে আমাদের কে অনেক কষ্ট দেয়, আমাদের কে আরো বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।আর আমি তোমার কাছে এসেছি বিপদে পড়ে। তো কিছু ধার দাও আমাকে,,,,,। আর শোনো আমরা তার আনুগত্য দেখাই বাস্তবে তাকে ভালোবাসি না বরং তাকে আরো ঘৃণা করি।মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর সাথে ছিল আবু নায়েলা রাজিঃ(যে কা'ব বিন আশরাফ এর দুধ ভাই)।রাসুলের দুশমন কা'ব বিন আশরাফ তার দুধ ভাই আবু নায়েলা কে জিজ্ঞেস করলঃ বলতো সত্যি করে তোমারা মুহাম্মাদ এর ব্যপারে কেমন ধারণা পোষণ করো? তিনি বললেনঃ আমরা তাকে অপমানিত –লাঞ্চিত করতে চাই। এবং তার থেকে মুক্তি চাই। কা'ব বিন আশরাফ (হাসি দিয়ে)বললঃ আজকে তুমি আমাকে খুব আনন্দিত করেছো।
এবার কা'ব বিন আশরাফ মুহাম্মাদ বিন মাসলামা কে বললঃ ঋণ নিবা ঠিক আছে তো কিছু বন্ধক রাখো,,,,!!জাতে আমি তোমার ব্যপারে আশ্বস্ত হতে পারি। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিঃ বললেনঃ আমরা তো তোমার ই লোক, মুহাম্মাদ সাঃ কে পুরো পুরি বর্জন করেছি। সে আমাদেরকে নির্জাতন করে আর তুমি খুব দয়ালু, আচ্ছা তুমি কি চাও বলো?? সে বলল তোমাদের স্ত্রীদেরকে বন্ধক রাখো কাব দ্বীন আশরাফ কখনো বিয়ে করেনি তখন সাহাবী মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন আমাদের স্ত্রীদেরকে আপনার কাছে কেমনে বন্ধক রাখি! অথচ আপনি আরবের সুদর্শন ও স্মার্ট যুবক অতঃপর সে বলল তাহলে ছেলেদেরকে রাখো? তখন সাহাবীয়ে রাসুল মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন আমাদের ছেলেদেরও বা কেমনে বন্ধক!! রাখি অথচ তাদেরকে এই বলে গালি দেওয়া হবে ও তিরস্কার করা হবে যে তোমাদের বাবা ঋণ নিয়ে তোমাদেরকে বন্ধক রেখেছিল। সাহাবী আরো বললেন আর এক দুই ওয়াসাক বন্ধক রাখা এটা আমাদের জন্য লাঞ্চনা কর কিন্তু আমি তোমার কাছে আমার লৌহবর্ম ও অস্ত্রশস্ত্র বন্ধক রাখি,,,,! (যাতে করে সে আরো আস্থাভাজন হয়) অতঃপর সে খুশি হয়ে বলল হ্যাঁ তাই কর। তো যাইহোক ঋণ পরিশোধ করবা কবে? অতপর সাহাবি কোন এক দিন নির্দিষ্ট করে বললেন অমুক তারিখে তোমাকে ঋণ পরিশোধ করে দিব। অতঃপর সেই প্রতিশ্রুত দিনের রাতের বেলায় গেলেন কাব বিন আশরাফের কাছে। ঘটনাক্রমে ওই রাত ছিল কাব বিন আশরাফের বাসর রাত। যাইহোক সে তাদের দুর্গের কাছে আসার কথা বলে উপর থেকে নেমে তাদের কাছে আসতে যাচ্ছিল তখন বউ তাকে বাধা দিচ্ছিল এই বলে যে, তুমি যেও না!!! সে বলল আরে কি হয়েছে। এইতো মুহাম্মদ বিন মাসলামা ও আমার ভাই আবু লায়লা। স্ত্রী আবার বলল আমি এমন আওয়াজ শুনছি যাতে রক্ত টপকাচ্ছে। সুতরাং তুমি যেও না,,,,, প্লিজ!!! সে বউয়ের কথা না শুনে চলে আসলো। দূর্গের মধ্যে ঢুকেছিলেন মোহাম্মদ বিন মাসলমার সাথে আবু নায়েলা, আবু আবস বিন জাবর,হারেস বিন আউস,ও আব্বাদ বিন বিশর রাদিয়াল্লাহু তা'আলাআনহুম। মোহাম্মদ বিন মাসলামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আগেই প্লান করেছেন এভাবে যে আমি প্রথমে ঘ্রাণ শুকবো। আবার দ্বিতীয়বার যখন শুকতে যাব তখন তোমরা কল্লা উড়িয়ে দিবে। বদমাইসটা আসলো।যেহেতু বাসর রাত তাই আরবের দামি খুশবু ছিল তার মাথায়। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেনঃখুব চমৎকার ঘ্রাণ, এরকম ঘ্রাণ তো ইতিপূর্বে কখনো পাইনি!!অহংকারী শাতিম মাথা নুইয়ে দিয়ে বল্লোঃশুকে দেখো কতো ঘ্রাণ,,,,।
মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ঘ্রাণ শুকে বললেন আহ!! কি চমৎকার ঘ্রাণ। অতপর খোশ গল্পে মত্ত হয়ে গেলো।প্লান মোতাবেক কিছুক্ষণ পর রাসুলের সাহাবারা বললেন আমরা কি আরেক বার ঘ্রাণ শুকতে পারি??? শয়তান টা বল্লোঃ আরে,,, একবার নয় বারবার শুকো, কোন সমস্যা নাই। এই বলে মাথা নুইয়ে দিল রাসুলের দুশমন। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শাতিমের চুল গুলো শক্ত করে ধরে নির্দেশ দিলেন সাথী দেরঃ⚔️⚔️কল্লা উড়িয়ে দাও শাতিমের।মুহুর্তের মধ্যে শাতিমের মাথা দ্বিখন্ডিত হয়ে গেলো।
অত:পর সাহাবারা ভিন্ন পথ ব্যবহার করে দুর্গ ত্যাগ করলেন।আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফিরছেন মদিনা র পথে। বা'কীয়ে গারকাদ নামক স্থানে এসে জোরে বিজয়ের তাকবির ধ্বনি দিলেন 🎙️🎙️লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবর।
লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবর ।
রাসুল সাঃ রাতের নফল নামাজে ছিলেন। সালাম ফিরিয়ে তাকবির দিলেন।সাহাবারা এসে সুসংবাদ দিলে রাসুল শুকরিয়া আদায় করেন।
এভাবেই রাসুল শাতিমদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। আর সাহাবারা রাতের আধারেই গুপ্ত হত্যা করে গেরিলা কৌশলে সটকে পড়েছিলেন। অতএব শাতিমদের একমাত্র বিধানঃ শাতিম কে যে যেখানে পায় সে সেখানেই হত্যা করে দিবে এজন্য আমিরের অনুমতি র ও কোন দরকার নেই।
আলহামদুলিল্লাহ হে উম্মাহ সুসংবাদ গ্রহণ করুন মুহাম্মাদ বিন মাসলামা ও আব্দুল্লাহ বিন আতিক রাজিঃ এর উত্তরসুরীরাও শাতিমদের জাহান্নামে পাঠানোর ধারা অব্যাহত রেখেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের দুই শাতিমকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কয়েকজন যুবক। আল্লাহ তাদের মুক্তি কে তরান্নিত করুন আমিন।
এমনকি আমেরিকার মতো দেশে নবিপ্রেমিক যুবকেরা শাতিমদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ। এই তো কিছুদিন আগে সালমান রুশদী নামের কুলাংগার বেয়াদব শাতিমে রাসুল কে প্রকাশ্য দিবালোকে অনুস্টানের স্টেজে ই কুপিয়ে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন এক নবিপ্রেমিক যুবক। তার এই হৃদয় প্রশান্ত কারি বরকতময় সারা পৃথিবীর শাতিমে রাসুলরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ভাইকে কুফফারদের হাত থেকে রক্ষা করুন ও তার মুক্তি কে তরান্নিত করুন আমিন
সিংহের মতো এক দিন বাচা
শিয়ালের মতো হাজার বছর বাচা থেকে উত্তম