নাইন ইলেভেনের ঘটনা কেন ঘটেছিল?
এমন ঘটনা কি আবারো ঘটতে যাচ্ছে?
এমন ঘটনা কি আবারো ঘটতে যাচ্ছে?
১৯৪৮ থেকে ফিলিস্তিনের ঘাঁটিতে যে যুদ্ধাপরাধ হয়ে আসছে তা নাইন ইলেভেনের ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এবং এই চলমান যুদ্ধাপরাধ আরও বহু নাইন ইলেভেনের জন্ম দিতে পারে।
১৯৯৮ এর ফেব্রুয়ারীতে শাইখ উসামা, শাইখ আইমান আজ জাওয়াহিরী এবং আরও কতিপয় মুজাহিদ ‘আলজাবহাতুল ইসলামিয়্যাহ আল আলমিয়্যাহ লিহারবিল ইয়াহুদ ওয়াসসালিবিয়্যিন’ (ইহুদী ও ক্রুসেডরদের যুদ্ধের বিশ্বব্যাপী ইসলামিক জোট) গঠন করে আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে যখন যুদ্ধ ঘোষণা করল তখন তা কেবল কয়েকজন ব্যক্তি বা জিহাদী সংগঠনের বিষয় ছিলনা, বরং তা ছিল মুসলিম উম্মাহর প্রাণের দাবি। কারণ, তারা তোমাদের এবং তোমাদের মিত্রদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দখলদারিত্ব ও জুলুমের বিষয়ে অজ্ঞ ছিল না। জিহাদের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিত প্রতিটি মুসলিমকে সাহায্য করার লক্ষ্যে। যারা কোনো না কোনোভাবে তোমার রাষ্ট্রের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। তাই তোমাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধ ছিল সেই লাখো মানুষের স্বার্থে, যারা ইরাক, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন ও চেচনিয়ায় নিজেদের স্বাধীনতা হারিয়েছিল এবং ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছিল। এই ঘোষণা ছিল সেই সকল লোকের স্বার্থে, যারা তোমাদের কূটকৌশলের ফাঁদে পড়ে বেকারত্বের অভিশাপে মরছিল। তোমরা নিজেদের অকেজো অস্ত্রসমূহ চড়া মূল্যে আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছে বিক্রি করে থাক, অপর দিকে নামে মাত্র মূল্যে আমাদের তেল-গ্যাস ছিনতাই কর। আমাদের টাকা দিয়ে তোমরা নিজেদের দেশে নতুন নতুন অস্ত্র কারখানা তৈরি কর। এভাবে তোমাদের দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়; করাচিতে হয় না, কায়রো ও জাকার্তায় হয় না। তোমদের হাতের পুতুল একনায়কদের দিয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে সব রকমের স্বার্থই তোমরা হাতিয়ে নিচ্ছ।
শাইখ উসামা এবং তাঁর সঙ্গীগণ যুদ্ধ ঘোষণার সময় তোমাদেরকে সতর্ক করেছিলেন। তারা নাইন ইলেভেনের পূর্বে বলেছিলেন, ইরাকের উপর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নিতে। এই অবরোধের ফলে কয়েক মিলিয়ন নারী ও শিশু নিহত হয়েছিল। তারা তোমাদেরকে আরও বলেছিলেন, আরবের একনায়কদেরকে সমর্থন না করতে এবং দখলদার ইহুদীদেরকে সাহায্য না করতে। জাজিরাতুল আরব থেকে সেনা প্রত্যাহার ও সেনাছাউনীগুলো গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আংকেল স্যাম (আমেরিকা) কর্ণপাত করল না। ঘাড়ে কুঠারাঘাত পড়ার পূর্বে তার ঘুম ভাঙ্গলো না।
দীর্ঘ ষাট বছর যাবৎ তোমরা ফিলিস্তিনীদেরকে হত্যা করেছ। চার মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনীকে তোমরা বাস্তচ্যূত করেছ; তাদের ঘরবাড়ি, হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছ। তোমরা এসব করেছ অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এসবের প্রতিশোধ নিতে আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন নাইন ইলেভেন। এর মাধ্যমে তোমাদের পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়। আমরা তোমাদের চরম ক্ষতির মুখোমুখি করতে সক্ষম হই। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রগলভ দাবিতে তোমরা যে কতটা মিথ্যুক, বিশ্ববাসীর সামনে তার মুখোশ উন্মোচন করতে সক্ষম হই।
আমাদের ভূখণ্ডে তোমাদের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি ও জুলুম-অত্যাচার থামানোর জন্য সর্বোত্তম পন্থা বেছে নেওয়া ছিল অপরিহার্য। যাই হোক, নাইন ইলেভেনের ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নই। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সফল হামলা ছিল মুসলিম বিশ্বে তোমাদের বিধ্বংসী রাজনীতি, ইসরায়েলকে সহায়তা প্রদান এবং তোমাদের স্বার্থে মুসলিম বিশ্বের স্বৈরশাসকদেরকে অন্ধের মতো সমর্থন করার স্বাভাবিক পার্শ-প্রতিক্রিয়া।
ইন্দোনেশিয়ায় লাখো ভূমিহীন কৃষকের হত্যায় সুহার্তোকে সাহায্য করার প্রায়শ্চিত্ত দিয়েছেন নাইন ইলেভেনে।
স্বাধীনতাকামী মিন্দানাউয়ের মুসলমানদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ফিলিপাইনের খ্রিস্টান সরকারকে সাহায্য প্রদানের শাস্তি ভোগ করেছেন নাইন ইলেভেনে। নাম মাত্র মূল্যে তেল-গ্যাস ছিনতাই, একনায়কদের সমর্থন, মুসলিম জাতিবর্গের সম্পদ লুণ্ঠন এবং সামরিক দূরভিসন্ধি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে তাবুক, যাহরান, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে তোমাদের সেনাশিবির প্রতিষ্ঠার কিছুটা শাস্তি ভোগ করেছেন নাইন ইলেভেনে। জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বলিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আনিত প্রস্তাবে পয়তাল্লিশ বারেরও বেশি ভেটু ক্ষমতা প্রয়োগ করেছ, যার আংশিক শাস্তি ভোগ করেছেন নাইন ইলেভেনে।
১৯৮২ সনে তোমাদের প্রশ্রয়ে ইসরায়েল সতের হাজার লেবানিজকে হত্যা করেছে। তেমনি ১৯৮৩, ১৯৯৬ এবং কানা গণহত্যায় তোমাদের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে লেবাননের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছে। নাইন ইলেভেন এসবেরই ফসল।
খ্রিস্টানরা অ্যাংলো স্যাক্সনদেরকে ইরাকের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা ইরাকীদের জন্য নরকের সাজা বয়ে এনেছিল। তারা অর্ধ মিলিয়ন ইরাকীকে হত্যা করেছিল। এসকল নির্যাতনের ফসল ছিল নাইন ইলেভেন। তোমাদের জাস্টিস মিনিস্টার র*্যামসি ক্লার্কের লেখাটি এবার মনযোগসহ পড়। প্রতিটি ক্রিয়ারই প্রতিক্রিয়া থাকে, যেমনটি বলেছেন নিউটন। হে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা! যদি তোমরা তাওরাত, ইনজিল ও কুরআনের আইন না মান, তাহলে বিকল্প স্বরূপ নিউটনের আইন তোমাদেরকে মানতেই হবে।
প্রকৃত বিচারে আমরা তোমাদেরকে হত্যা করিনি। নাইন ইলেভেনসহ এ ধরনের বাকি ঘটনাগুলোর জন্য আমরা দায়ী নই। ইহুদী, জায়নাবাদী, খ্রিস্টান ও তাদের সমমনা ব্যক্তি ও সংগঠন এর জন্য দায়ী। আমাদের থেকে প্রতিশোধ না নিয়ে বরং ডানপন্থী খ্রিস্টান, জেরী ফলওয়েল, জেরী রাওয়ার, প্যাট রবার্টসন ও জন হ্যাজির সাঙ্গ-পাঙ্গদের থেকে প্রতিশোধ নাও। আরও প্রতিশোধ নাও সি.আই. এ, এফ.বি.আই ব্রুকলিনের ইহুদীদের থেকে, আইপেকের (AIPAC) ব্যাপারী ও যুদ্ধাবাজদের থেকে, ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানকারী ও জায়নবাদী খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ থেকে।
বাইতুল মাকদিস নিয়ে তোমরা যে নোংরা রাজনীতি করে আসছ, তা নিয়ে শাইখ উসামা তোমাদেরকে সতর্ক করেছিলেন। ১৯৯৩ সনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাতকারী মুজাহিদগণের দাবীর কথা কি ভুলে গেছ? পরবর্তিতে তারাই নাইরোজি, দারুস সালামের মার্কিন কনস্যুলেটে আক্রমণ করেছিল। তারাই মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে আঘাত হেনেছিল। পূর্বোল্লেখিত কারণসমূহ আমাদেরকে হামলা করতে বাধ্য করেছে। সুতরাং তুমি কি আমাদেরকেই দোষারোপ করবে?
আমেরিকান হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, টোকিও, হিরোশিমা, নাগাসিকা, ড্রেসডেন ও ল্যাটিন আমেরিকার গণহত্যার শাস্তি থেকে তোমরা বেঁচে গেছ, চীনা একনায়ক চিয়াং কাইশেক ও মেক্সিকান স্বৈরশাসক সেন্টা অ্যানাকে সহায়তা করার শাস্তি থেকে বেঁচে গেছ, কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা মুসলিম দেশসমূহে তোমাদের অপকর্মের প্রতিশোধ নিয়েছি। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও তোমাদের সামরিক হেড কোয়ার্টার পেন্টাগনে আঘাত হেনেছি।
জাপান, জার্মান, ইতালিসহ আরও যেখানে মনে চায় তোমরা নিজেদের সামরিক ঘাঁটি গেঁড়ে রাখ, তবে মুসলমানদের ভূখণ্ডে তোমাদের কোনো ঘাঁটি সহ্য করা হবেনা।
নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে এবং বাস্তব সত্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তোমার এবং তোমাদের মিডিয়ার জুড়ি মেলা ভার। আব্রাহাম লিংকন বলেছে, “কিছু সময়ের জন্য তুমি সকলকে ধোঁকা দিতে পার এবং কিছু মানুষকে তুমি সর্বদাই ধোঁকা দিতে পার, কিন্তু গোটা মানবজাতিকে তুমি সবসময়ের জন্য ধোঁকায় ফেলে রাখতে পারবে না”। ৯/১১ এর যুদ্ধের সূচনা আমরা করিনি, বরং এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ভূখণ্ডে তোমাদের স্বার্থরক্ষাকারী সৈরশাসকরা।
বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র ও পেন্টাগনের মতো অনুরূপ বিপর্যয়ের তিক্ত স্বাদ তোমাদেরকে আবারো আস্বাদন করতে হবে। ওয়াজিরিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় ড্রোন হামলার খেসারত তোমাদেরকে দিতে হবে। ইরাক ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধানোর প্রতিশোধ তোমাদের থেকে গ্রহণ করা হবে।
তোমরা বহুবার বলেছ, ‘আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলীদের রয়েছে’। ফিলিস্তিনিদের কি আত্মরক্ষার অধিকার থাকতে নেই? একটি বারের জন্যও তোমরা কেন বলতে পারছ না “আত্মরক্ষার অধিকার ফিলিস্তিনিদের রয়েছে”? জানি, তুমি এমন কথা মুখেও নিতে পারবে না, কারণ এতে তোমার প্রভুরা নারাজ হবে।
আমেরিকা ও ইসরায়েল ব্যর্থ অন্তঃসারশূন্য একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে চায়। তাইতো তার কোনো বিমানবন্দর নেই; আন্তর্জাতিক সীমানা নেই; অস্ত্র, সেনাবাহিনী, ব্যক্তি স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব কিছুই নেই। তারা চায়, ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রপ্রধান তার প্রতিটি গতিবিধিতে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন গ্রহণ করুক।
আমেরিকার মনে রাখা উচিৎ যে, মুসলমানদের উপর সরকারের দমন-পিড়ন, গাজায় ইসরায়েলী সেনাদের বর্বরতা, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সৌদি, মিসর ও আরও বহু মুসলিম দেশে জুলুম-নির্যাতনের জন্য পুরোপুরি দায়ী আমেরিকা। ইতঃপূর্বে ফিলিস্তিনীদের উপর চালানো বর্বরতার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া গেলেও এখন আল-জাজিরা চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্ববাসী তা দেখতে পাচ্ছে। এসকল বর্বরতা ও গণহত্যা দেখে কোনো পাষাণ মনের মানুষের পক্ষেও স্থির থাকা সম্ভব নয়। যারা এ সকল নৃশংসতা চালাতে ইসরায়েল সরকারকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে মুজাহিদগণ চোখ বুজে থাকতে পারেন না।
মুজাহিদগণ আমেরিকাকে কেন এতটা ঘৃণা করেন? কোনো মার্কিনী যদি তার উত্তর জানতে চায় তাহলে তার উচিৎ গাজা উপত্যকায় একবার ঘুরে আসা অথবা এমন কোনো গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়া, যা পক্ষপাত দোষে দুষ্ট নয়। আমি তাকে বলব, সে যেন কিছুতেই সি.এন.এন, বি.বি.সি, নিউজ বা ইসরায়েলপন্থী মার্কিন গণমাধ্যম দিয়ে বাস্তবতা যাচাইয়ের ব্যর্থ চেষ্টা না করে, কারণ মগজ ধোলাই, নিজেদের স্বার্থে বাস্তবতা আড়াল করা, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো ও মুনিবদের স্বার্থ রক্ষা করাই এদের প্রধান কর্তব্য।
নাইন ইলেভেনে যা হয়েছে তা ছিল ইসলামি শরিয়ার সাথে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ ও সুবিচারমূলক।
ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননে তোমাদের রাষ্ট্র অতীতে যা করেছে এবং বর্তমানে গাজা, ইরাক, আফগানিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যা করে যাচ্ছে, মুসলিম উম্মাহ কস্মিনকালেও তা ভুলবেনা। তোমরা নিজের এবং ইহুদী কসাইদের বর্বরতার হৃদয় বিদারক দৃশ্য মুসলিম উম্মাহর মন থেকে কোনো দিনও মুছে যাবেনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
অর্থ: “আর লড়াই কর আল্লাহর পথে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না”। -সুরা বাকারাহ-১৯০আরও ইরশাদ হচ্ছে-
وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَا أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالْأَنْفَ بِالْأَنْفِ وَالْأُذُنَ بِالْأُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوحَ قِصَاصٌ
অর্থ: “আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখমসমূহের বিনিময়ে সমান যখম”। – সুরা মায়েদা-৪৫তাওরাতে এসেছে, নম্রতা অবলম্বন করো না; প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত, হাতের বিনিময়ে হাত, পায়ের বিনিময়ে পা। -তাওরাত, তাসনিয়া-১৯-২১
—
শায়খ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ’ এর পক্ষ থেকে || ওবামার প্রতি চিঠি: ৯/১১ অপারেশনের নেপথ্য কারণ নামক রিসালা থেকে সংগৃহীত।
Comment