★★★
শাহী এলান! শাহী এলান! শাহী এলান!
❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️
আওয়াজটা শুনতেই আম-জনতা,বৃদ্ধ,বনিতা সকলেই সংকুচিত হয়ে উঠল। তারা কান পেতে শুনতে চেষ্টা করল। তারা দেখতে পেল, জনৈক ঘোষককে। তার হাতে একটি শিঙা।
শিঙায় মুখ লাগিয়ে সে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করে চলছে।
রাস্তা, ঘাট, অলিগলি ও শহর, নগর-বন্দরে তার ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ছে। খলিফার এলান প্রজাদের শুনিয়ে দিচ্ছে!
সে এলান করছে-ঃ
♤যে ব্যক্তি বিয়ে করতে চায়, তাকে আমরা বিয়ে করিয়ে দেব।
♤যে ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করতে চায়, তাকে আমরা ঘর নির্মাণ করে দেব।
♤যে ঋণগ্রস্থ, ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না; তার ঋণ আমরা পরিশোধ করে দেব।
♤যে ব্যক্তি হজ্জ বা উমরা করতে চায়, তাকে আমাদের খরচে হজ্জ বা উমরা করাব।
দুঃখিত, এলানটা এ যুগের নয়। এলানটা এ যুগের এমন কারও নয়! যে যুগে মুসলিম দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, তেল, পেট্রল ইত্যাদি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়।
এলানটা এমন যুগের কারও নয়! যে যুগে মুসলিম বিত্তশালীরা বিলাসবহুল গগনচুম্বী অট্রালিকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আয়েশ করে। যে যুগের ধনীরা শুধু ধনী হতে থাকে, আর দরিদ্ররা আরও দরিদ্র।
বরং এলানটা আজ থেকে প্রায় সাড়ে তেরশত বছর আগে খলিফাতুল মুসলিমিন উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ.-এর!
উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ. -এর কাছে যখন লোকেরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জাকাত এর মাল নিয়ে আসলো, তখন তিনি এই এলান করিয়েছিলেন। তিনি লোকদের সম্বোধন করে বলেছিলেন- এই মাল ফকিরদের মধ্যে বিতরন করে দাও।
তারা উত্তর দিয়েছিল-
- মুসলিম উম্মাহর মাঝে কোনো ফকির নেই!
-তাহলে এই মাল দিয়ে মুজাহিদ বাহিনীদের রণসাজে সজ্জিত করে দাও।
-মুজাহিদ বাহিনীগুলো তো সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছে!
-তাহলে এই মাল দিয়ে যুবকদের বিয়ে করিয়ে দাও।
-বিবাহেচ্ছুকদের বিয়ে করিয়ে দিয়েছি, এরপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে এই মাল দিয়ে ঋণগ্রস্তদের ঋণ আদায় করে দাও।
-আদায় করে নিয়েছি, কিন্তু এরপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে দেখো কোনো ঋণগ্রস্থ ইয়াহুদি/খ্রিস্টান পাও কি না, পেলে ঋণ আদায় করে দাও।
-করে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে এই মাল আহলে ইলমদের দিয়ে দাও।
-দিয়ে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে!
এবার উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ. বললেন- তাহলে এই মাল দিয়ে গম কিনে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় ছিটিয়ে দাও, যাতে এই কথা বলা না হয় যে, মুসলমানদের দেশে পাখ-পাখালিরা উপোষ রয়েছে!!!
কিন্তু আপসোস। যেদিন থেকে এ জাতি। কুরআন থেকে দূরে সরে গেলে।জিহাদকে অপছন্দ করতে শুরু করে দিল।গরুর লেজ কামড়ে ধরল,দুনিয়ায়র প্রতি ভালবাসা বেড়ে গেল,ঠিক তখনি জুলুম চেপে ধরল,গনতন্ত্র ধর্ম হল,মুজিব জাতির পিতা থেকে আজ খোদার আসন দখল করল,বর্ষব্যাপী সে খোদা পূজা হতে লাগলো, মুসলমান তাদের ভাষায় দানব হয়ে গেল,মুসলমানের বাচ্চা ধোলাই পাড়ে শীতে বস্ত্রহীন অবস্থায় কাপছে, তারা খাবারের ব্যাবস্থা হচ্ছে না,কিন্তু ভগবানের পূজা করতে হবে তা না হলে হবে না,তাকে সারা বছর পূজা করা হয়েছে, তার মূর্তি তৈরি করতে শত শত কোটি টাকার বাজেট পাশ করা হয়েছে,কে খেয়ে মরলো আর না খেয়ে মরলো তাতে কিছু আসে যায় না,পূজা কিন্তু করতে হবে,তাদের বাঁধা দানকারী কেউ নেই,কয়েক জন রাগ ঢাক পিটিয়ে পরের দিন চুপচাপ বসে পড়ে,সে জাতির কপালে কি আর হবে।
আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, তওবা করি, কিন্তু ভয় হয় রবের সামনে কি জবাব দিব,হে আল্লাহ তুমি এদের আলেমদের আফগানিস্তানের ইসলামি ইমারাহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করারও,আমিন।
শাহী এলান! শাহী এলান! শাহী এলান!
❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️
আওয়াজটা শুনতেই আম-জনতা,বৃদ্ধ,বনিতা সকলেই সংকুচিত হয়ে উঠল। তারা কান পেতে শুনতে চেষ্টা করল। তারা দেখতে পেল, জনৈক ঘোষককে। তার হাতে একটি শিঙা।
শিঙায় মুখ লাগিয়ে সে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করে চলছে।
রাস্তা, ঘাট, অলিগলি ও শহর, নগর-বন্দরে তার ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ছে। খলিফার এলান প্রজাদের শুনিয়ে দিচ্ছে!
সে এলান করছে-ঃ
♤যে ব্যক্তি বিয়ে করতে চায়, তাকে আমরা বিয়ে করিয়ে দেব।
♤যে ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করতে চায়, তাকে আমরা ঘর নির্মাণ করে দেব।
♤যে ঋণগ্রস্থ, ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না; তার ঋণ আমরা পরিশোধ করে দেব।
♤যে ব্যক্তি হজ্জ বা উমরা করতে চায়, তাকে আমাদের খরচে হজ্জ বা উমরা করাব।
দুঃখিত, এলানটা এ যুগের নয়। এলানটা এ যুগের এমন কারও নয়! যে যুগে মুসলিম দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, তেল, পেট্রল ইত্যাদি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়।
এলানটা এমন যুগের কারও নয়! যে যুগে মুসলিম বিত্তশালীরা বিলাসবহুল গগনচুম্বী অট্রালিকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আয়েশ করে। যে যুগের ধনীরা শুধু ধনী হতে থাকে, আর দরিদ্ররা আরও দরিদ্র।
বরং এলানটা আজ থেকে প্রায় সাড়ে তেরশত বছর আগে খলিফাতুল মুসলিমিন উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ.-এর!
উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ. -এর কাছে যখন লোকেরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জাকাত এর মাল নিয়ে আসলো, তখন তিনি এই এলান করিয়েছিলেন। তিনি লোকদের সম্বোধন করে বলেছিলেন- এই মাল ফকিরদের মধ্যে বিতরন করে দাও।
তারা উত্তর দিয়েছিল-
- মুসলিম উম্মাহর মাঝে কোনো ফকির নেই!
-তাহলে এই মাল দিয়ে মুজাহিদ বাহিনীদের রণসাজে সজ্জিত করে দাও।
-মুজাহিদ বাহিনীগুলো তো সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছে!
-তাহলে এই মাল দিয়ে যুবকদের বিয়ে করিয়ে দাও।
-বিবাহেচ্ছুকদের বিয়ে করিয়ে দিয়েছি, এরপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে এই মাল দিয়ে ঋণগ্রস্তদের ঋণ আদায় করে দাও।
-আদায় করে নিয়েছি, কিন্তু এরপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে দেখো কোনো ঋণগ্রস্থ ইয়াহুদি/খ্রিস্টান পাও কি না, পেলে ঋণ আদায় করে দাও।
-করে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে!
-তাহলে এই মাল আহলে ইলমদের দিয়ে দাও।
-দিয়ে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও মাল রয়ে গেছে!
এবার উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ. বললেন- তাহলে এই মাল দিয়ে গম কিনে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় ছিটিয়ে দাও, যাতে এই কথা বলা না হয় যে, মুসলমানদের দেশে পাখ-পাখালিরা উপোষ রয়েছে!!!
কিন্তু আপসোস। যেদিন থেকে এ জাতি। কুরআন থেকে দূরে সরে গেলে।জিহাদকে অপছন্দ করতে শুরু করে দিল।গরুর লেজ কামড়ে ধরল,দুনিয়ায়র প্রতি ভালবাসা বেড়ে গেল,ঠিক তখনি জুলুম চেপে ধরল,গনতন্ত্র ধর্ম হল,মুজিব জাতির পিতা থেকে আজ খোদার আসন দখল করল,বর্ষব্যাপী সে খোদা পূজা হতে লাগলো, মুসলমান তাদের ভাষায় দানব হয়ে গেল,মুসলমানের বাচ্চা ধোলাই পাড়ে শীতে বস্ত্রহীন অবস্থায় কাপছে, তারা খাবারের ব্যাবস্থা হচ্ছে না,কিন্তু ভগবানের পূজা করতে হবে তা না হলে হবে না,তাকে সারা বছর পূজা করা হয়েছে, তার মূর্তি তৈরি করতে শত শত কোটি টাকার বাজেট পাশ করা হয়েছে,কে খেয়ে মরলো আর না খেয়ে মরলো তাতে কিছু আসে যায় না,পূজা কিন্তু করতে হবে,তাদের বাঁধা দানকারী কেউ নেই,কয়েক জন রাগ ঢাক পিটিয়ে পরের দিন চুপচাপ বসে পড়ে,সে জাতির কপালে কি আর হবে।
আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, তওবা করি, কিন্তু ভয় হয় রবের সামনে কি জবাব দিব,হে আল্লাহ তুমি এদের আলেমদের আফগানিস্তানের ইসলামি ইমারাহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করারও,আমিন।
Comment