আমাদের আকাবির হবে একমাত্র সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম
শাইখ আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ
আমাদের আমলগুলো সাহাবায়ে কেরামের আমালের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। কেয়ামতের দিন আমাদের আমলগুলো সাহাবায়ে কিরামের আমলের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। যারদেরটা মিলবে তারাই সফল।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
امنوا كما امن الناس
সাহাবায়ে কিরাম যেভাবে ইমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ইমান আনো।
ধরুন, আপনি একটা দড়ির বান্ডিল নিয়েছেন। এই দড়ির বান্ডিলটা আপনি একশত টুকরা করবেন। প্রত্যেকটা টুকরা সমান হবে। আপনি এক টুকরা করলেন। এটার মাপে এখন আপনি বাকি টুকরা গুলো করবেন। এখন আপনি এটার মাপে আরেকটা টুকরা করলেন। আপনি চিন্তা করলেন প্রথম টুকরা আর দ্বীতিয় টুকরা তো সমান তাই দ্বিতীয় টুকরা দিয়ে তৃতীয় টুকরা করলেন, তৃতীয় টুকরা দিয়ে চর্তুথ টুকরা করলেন। আপনার উদ্দেশ্য ছিল আপনি প্রথম টুকরার সমান বাকি টুকরা গুলো করবেন। কিন্তু মাপ নিয়েছেন প্রত্যেক টুকরার আগের টুকরার। এখন আপনিই বলুন কারো মধ্যে যদি বাড়ানোর প্রবনতা থাকে তাহলে প্রথম টুকরা আর শততম টুকরা এক হবে? নাকি ভিন্ন হবে? বরং প্রথম টুকরার চেয়ে শততম টুকরাটা অনেক বড় হবে। আর যদি কারো মধ্যে কমানোর প্রবনতা থাকে। তাহলে প্রথম টুকরা আর শততম টুকরা সমান হবে না। বরং শততম টুকরা অনেক ছোট হবে। তাই আমাদের আমলগুলোও মাঝখানে কোন ধরনের মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সাহাবায়ে কিরামের আমলের সাথে মিলাতে হবে।
এখন আসুন, সাহাবায়ে কিরামের জামানায় এমন কোন একজন ওজরহীন সাহাবা পাওয়া যাবে না, যিনি কিতাল করেন নাই। সাহাবায়ে কিরামের জামানায় মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুফাসসির, মুফতি ছিলেন। হাতে গনা কয়েকজন। যেমন ইবনে আব্বাস, ইবনে ওমর, আবু হুরায়রা, ইবনে মাসউদ। এরা প্রত্যেকেই জিহাদ করেছেন। সাহাবাদের মধ্যে মুজাহিদ ছিলেন সবাই। কিন্তু কোন সাহাবি কখনো মুহাদ্দিসের নাম দিয়ে, মুফাসসিরের নাম দিয়ে বা ফিক্বাহের কথা বলে জিহাদ থেকে বিরত থাকেন নাই। কিন্তু আমাদের সমাজে মুফতির, মুহাদ্দিস, আলিম, ফক্বিহ অভাব নেই। তারপরও আমাদের সমাজে দ্বীন কায়েম নেই। সাহাবাদের সময়তো এত মুহাদ্দিস ছিলনা। তারপরও তারা পুরো পৃথিবীর অর্ধেক জয় করে দ্বীন কায়েম করেছেন। এর কারণ একটাই, তা হল আমাদের সমাজে আজ মুজাহিদের অভাব।
একটা উদাহরণ দিলে বুঝে আসবে। ধরেন এক কেজি ময়দা এর মধ্যে এক চামচ লবণ দিলে পরিমাণ মত হবে। যদি দুই চামচ দেওয়া হয়, তিন চামচ দেওয়া হয়। তাহলে ময়দার স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি ময়দা কমিয়ে এক চামচে আনা হয়, আর লবন এক কেজিতে নেওয়া হয়। তাহলে বিষয়টা কেমন হবে আপনারাই চিন্তা করেন। ঠিক আমাদের সমাজে ময়দা কমিয়ে লবন বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ মুজাহিদ কমিয়ে মুফতি, মুহাদ্দিস ইত্যাদি বাড়ানো হচ্ছে। তাই আমাদের আজ এই অবস্থা। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সাহাবারা যেভাবে ইমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ইমান আনো। কারণ তারা সফল।
তাই আমাদের প্রত্যেকটা আমল সাহাবাদের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। আপনি চিন্তা করুন, এখন যদি সাহাবীরা থাকতেন তাহলে কি করতেন? একমাত্র কিতালের ক্ষেত্রেই তারা সময় ব্যয় করতেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় ওসমান রাঃ কে বন্দি করে রাখা হয়। কিন্তু গুজব রটানো হয় যে, ওসমানকে হত্যা করা হয়েছে। তখন আল্লাহর নবী এবং চৌদ্দশত সাহাবি সবাই নবীর হাতে বায়াত নিলেন ওসমান হত্যার প্রতিশোধ না নিয়া মদিনায় যাবে না। মাত্র একজন মুসলমান। এর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং চৌদ্দশত সাহাবি জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন। আর আজকে কত শত শত মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে?!!!
তাই আমাদের আবস্থা কি ভেবে দেখা দরকার। আচ্ছা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এই চিন্তা করেন নাই, আমি মারা গেলে তো দ্বীন শেষ হয়ে যাবে তাই কিতাল করবো না। একজনের বদলা নিতে গেলে আরো শতশত মারা যাবে। তাই জিহাদ করবো না। আমাদের তো কোন রাষ্ট্র নাই। অস্ত্র নাই। শক্তি নেই। এমন কোন কিছুইতো চিন্তা করলেন না। ওসমান হত্যার খবর এসেছে। সাথে সাথে কিতালের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন। তাই আমাদের আমলগুলো সাহাবাদের আমলে সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা। এই সময় সাহাবারা থাকলে কি করতেন আর আমরা কি করছি?
তথ্যসূত্রঃ gazwah.net
শাইখ আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ
আমাদের আমলগুলো সাহাবায়ে কেরামের আমালের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। কেয়ামতের দিন আমাদের আমলগুলো সাহাবায়ে কিরামের আমলের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। যারদেরটা মিলবে তারাই সফল।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
امنوا كما امن الناس
সাহাবায়ে কিরাম যেভাবে ইমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ইমান আনো।
ধরুন, আপনি একটা দড়ির বান্ডিল নিয়েছেন। এই দড়ির বান্ডিলটা আপনি একশত টুকরা করবেন। প্রত্যেকটা টুকরা সমান হবে। আপনি এক টুকরা করলেন। এটার মাপে এখন আপনি বাকি টুকরা গুলো করবেন। এখন আপনি এটার মাপে আরেকটা টুকরা করলেন। আপনি চিন্তা করলেন প্রথম টুকরা আর দ্বীতিয় টুকরা তো সমান তাই দ্বিতীয় টুকরা দিয়ে তৃতীয় টুকরা করলেন, তৃতীয় টুকরা দিয়ে চর্তুথ টুকরা করলেন। আপনার উদ্দেশ্য ছিল আপনি প্রথম টুকরার সমান বাকি টুকরা গুলো করবেন। কিন্তু মাপ নিয়েছেন প্রত্যেক টুকরার আগের টুকরার। এখন আপনিই বলুন কারো মধ্যে যদি বাড়ানোর প্রবনতা থাকে তাহলে প্রথম টুকরা আর শততম টুকরা এক হবে? নাকি ভিন্ন হবে? বরং প্রথম টুকরার চেয়ে শততম টুকরাটা অনেক বড় হবে। আর যদি কারো মধ্যে কমানোর প্রবনতা থাকে। তাহলে প্রথম টুকরা আর শততম টুকরা সমান হবে না। বরং শততম টুকরা অনেক ছোট হবে। তাই আমাদের আমলগুলোও মাঝখানে কোন ধরনের মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সাহাবায়ে কিরামের আমলের সাথে মিলাতে হবে।
এখন আসুন, সাহাবায়ে কিরামের জামানায় এমন কোন একজন ওজরহীন সাহাবা পাওয়া যাবে না, যিনি কিতাল করেন নাই। সাহাবায়ে কিরামের জামানায় মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুফাসসির, মুফতি ছিলেন। হাতে গনা কয়েকজন। যেমন ইবনে আব্বাস, ইবনে ওমর, আবু হুরায়রা, ইবনে মাসউদ। এরা প্রত্যেকেই জিহাদ করেছেন। সাহাবাদের মধ্যে মুজাহিদ ছিলেন সবাই। কিন্তু কোন সাহাবি কখনো মুহাদ্দিসের নাম দিয়ে, মুফাসসিরের নাম দিয়ে বা ফিক্বাহের কথা বলে জিহাদ থেকে বিরত থাকেন নাই। কিন্তু আমাদের সমাজে মুফতির, মুহাদ্দিস, আলিম, ফক্বিহ অভাব নেই। তারপরও আমাদের সমাজে দ্বীন কায়েম নেই। সাহাবাদের সময়তো এত মুহাদ্দিস ছিলনা। তারপরও তারা পুরো পৃথিবীর অর্ধেক জয় করে দ্বীন কায়েম করেছেন। এর কারণ একটাই, তা হল আমাদের সমাজে আজ মুজাহিদের অভাব।
একটা উদাহরণ দিলে বুঝে আসবে। ধরেন এক কেজি ময়দা এর মধ্যে এক চামচ লবণ দিলে পরিমাণ মত হবে। যদি দুই চামচ দেওয়া হয়, তিন চামচ দেওয়া হয়। তাহলে ময়দার স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি ময়দা কমিয়ে এক চামচে আনা হয়, আর লবন এক কেজিতে নেওয়া হয়। তাহলে বিষয়টা কেমন হবে আপনারাই চিন্তা করেন। ঠিক আমাদের সমাজে ময়দা কমিয়ে লবন বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ মুজাহিদ কমিয়ে মুফতি, মুহাদ্দিস ইত্যাদি বাড়ানো হচ্ছে। তাই আমাদের আজ এই অবস্থা। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সাহাবারা যেভাবে ইমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ইমান আনো। কারণ তারা সফল।
তাই আমাদের প্রত্যেকটা আমল সাহাবাদের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। আপনি চিন্তা করুন, এখন যদি সাহাবীরা থাকতেন তাহলে কি করতেন? একমাত্র কিতালের ক্ষেত্রেই তারা সময় ব্যয় করতেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় ওসমান রাঃ কে বন্দি করে রাখা হয়। কিন্তু গুজব রটানো হয় যে, ওসমানকে হত্যা করা হয়েছে। তখন আল্লাহর নবী এবং চৌদ্দশত সাহাবি সবাই নবীর হাতে বায়াত নিলেন ওসমান হত্যার প্রতিশোধ না নিয়া মদিনায় যাবে না। মাত্র একজন মুসলমান। এর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং চৌদ্দশত সাহাবি জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন। আর আজকে কত শত শত মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে?!!!
তাই আমাদের আবস্থা কি ভেবে দেখা দরকার। আচ্ছা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এই চিন্তা করেন নাই, আমি মারা গেলে তো দ্বীন শেষ হয়ে যাবে তাই কিতাল করবো না। একজনের বদলা নিতে গেলে আরো শতশত মারা যাবে। তাই জিহাদ করবো না। আমাদের তো কোন রাষ্ট্র নাই। অস্ত্র নাই। শক্তি নেই। এমন কোন কিছুইতো চিন্তা করলেন না। ওসমান হত্যার খবর এসেছে। সাথে সাথে কিতালের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন। তাই আমাদের আমলগুলো সাহাবাদের আমলে সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা। এই সময় সাহাবারা থাকলে কি করতেন আর আমরা কি করছি?
তথ্যসূত্রঃ gazwah.net
Comment