হায়! আমাদেরসোনালীঅতিত?
কোথায় সেই দুনিয়া কাঁপানো বীর সেনানী।
আমাদের একটা সময় ছিল মুসলিম বন্দীদের জন্য স্বয়ং খলিফা তার মসনদ থেকে দাড়িয়ে চিৎকার করে বলতেন লাব্বাঈক ইয়া উখতা।
পুরো সেনাবাহিনী, সবথেকে দামি ঘোড়া শত্রুর দুর্গের দিকে মুভ করত।
যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা খলিফা ক্লান্তপরিশ্রান্ত দেহ নিয়ে যখন বাড়িতে যাবেন তখন শুনতে পেলেন একজন বন্দী শত্রুর হাতে মৃত্যুর প্রহর গোজরান করছেন। কোন কিছু চিন্তা না করে পুরো সেনাবাহিনী নিয়ে আবার ছোটে চললেন।
আজকে আমাদের এমন একজন আমীর নেই, আমরা এখন হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মুসলিম বন্দীদের রেখে আনন্দে ঈদ উদযাপন করি। হায়! আফসোস
এমনই একটি হৃদয়কাড়া ঘটনা বর্ণিত হয়েছে সিয়ারু আলামিন নুবালা, তারিখে ইবনে খালদুনে।
আন্দালুসের ( স্পেন) ঈদ
ধীর গতিতে সতেজ প্রভাতি হওয়া বইছিল, আত্মবিশ্বাসের সাথে তৃপ্তিরা তাদের ডানা মেলেছিল পুরো শহর জুড়ে, কর্ডোবার সুন্দর প্রাসাদগুলিতে সোনালী সূর্যের রশ্মি পড়ছিল আর যেন শহরের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছিল। মসজিদের মিনারগুলো থেকে খতিব সাহেবদের খুতবা ও তাকবিরের ধ্বনি ভেসে আসছিল। কর্ডোবার বড় মসজিদের দিকে দলে দলে লোকজন জড়ো হতে শুরু করছিল এবং মুসলিমদের দেহ থেকে আসা আন্দালুসি সুগন্ধীর সুঘ্রাণ বাতাসকেও বিমোহিত করে তুলছিল, অতঃপর পরিতৃপ্ত হৃদয়গুলো শান্তির সাথে সালাত সম্পন্ন করল।
খতিবগণ তাঁদের শক্তিশালী ইসলামি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারিগর ও খলিফা হাজিব মানসূর রহিমাহুল্লাহর জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করছিলেন এমন এক সময়ে—যখন খলিফা যুদ্ধের কারণে তাঁর সৈন্যদল নিয়ে দূরে অবস্থান করছিলেন এবং দুআয় মুসল্লীদের ‘আমীন! আমীন!’ উচ্চারণের শব্দে মসজিদের মিম্বারগুলো প্রকম্পিত হচ্ছিল।
লোকেরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে হঠাৎ দেখতে পেল ঘোড়ার খুর থেকে জন্ম নেয়া বালুর ঝড়, টগবগ টগবগ সেই শব্দও তাদের কানে বাজল। ঘোড়াগুলো এসে যখন পৌঁছল, খলিফা মানসূর ও তাঁর সাথে থাকা ইসলামি সৈন্যবাহিনীদের যুদ্ধের ফলে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত দেখাচ্ছিল। মানসূর ঘোড়া থেকে নামতে চাইলে হঠাৎ একজন বয়স্ক মহিলা এগিয়ে এসে মানসূরকে বললেন:
আয় মানসূর! সবাই ঈদ আনন্দ উদযাপন করছে, কিন্তু আমি খুশি নই, আমি কাঁদছি।
মনসুর জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি?
মহিলাটি উত্তর দিলেন, আমার ছেলে ‘কিলা রাবাহ’–তে (তালিতলা ও কর্ডোবার মধ্যবর্তী এলাকা) শত্রুর হাতে বন্দী হয়েছে।
মানসূর অবিলম্বে ইসলামি সেনাপতিকে ঘোড়া থেকে না নেমে রাবাহের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন! মানসূর সেই এলাকায় পৌঁছে শত্রুদের সাথে যুদ্ধ শুরু করলেন। আল্লাহ তাঁকে বিজয়ের বরকত দান করলেন, মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করা হলো এবং বুড়ির ছেলেও নিরাপদে ফিরে আসল।
সূত্র:
সিয়ারু আলামিননুবালা
তারিখে ইবনে খালদুন
-সংগৃহীত
কোথায় সেই দুনিয়া কাঁপানো বীর সেনানী।
আমাদের একটা সময় ছিল মুসলিম বন্দীদের জন্য স্বয়ং খলিফা তার মসনদ থেকে দাড়িয়ে চিৎকার করে বলতেন লাব্বাঈক ইয়া উখতা।
পুরো সেনাবাহিনী, সবথেকে দামি ঘোড়া শত্রুর দুর্গের দিকে মুভ করত।
যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা খলিফা ক্লান্তপরিশ্রান্ত দেহ নিয়ে যখন বাড়িতে যাবেন তখন শুনতে পেলেন একজন বন্দী শত্রুর হাতে মৃত্যুর প্রহর গোজরান করছেন। কোন কিছু চিন্তা না করে পুরো সেনাবাহিনী নিয়ে আবার ছোটে চললেন।
আজকে আমাদের এমন একজন আমীর নেই, আমরা এখন হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মুসলিম বন্দীদের রেখে আনন্দে ঈদ উদযাপন করি। হায়! আফসোস
এমনই একটি হৃদয়কাড়া ঘটনা বর্ণিত হয়েছে সিয়ারু আলামিন নুবালা, তারিখে ইবনে খালদুনে।
আন্দালুসের ( স্পেন) ঈদ
ধীর গতিতে সতেজ প্রভাতি হওয়া বইছিল, আত্মবিশ্বাসের সাথে তৃপ্তিরা তাদের ডানা মেলেছিল পুরো শহর জুড়ে, কর্ডোবার সুন্দর প্রাসাদগুলিতে সোনালী সূর্যের রশ্মি পড়ছিল আর যেন শহরের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছিল। মসজিদের মিনারগুলো থেকে খতিব সাহেবদের খুতবা ও তাকবিরের ধ্বনি ভেসে আসছিল। কর্ডোবার বড় মসজিদের দিকে দলে দলে লোকজন জড়ো হতে শুরু করছিল এবং মুসলিমদের দেহ থেকে আসা আন্দালুসি সুগন্ধীর সুঘ্রাণ বাতাসকেও বিমোহিত করে তুলছিল, অতঃপর পরিতৃপ্ত হৃদয়গুলো শান্তির সাথে সালাত সম্পন্ন করল।
খতিবগণ তাঁদের শক্তিশালী ইসলামি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারিগর ও খলিফা হাজিব মানসূর রহিমাহুল্লাহর জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করছিলেন এমন এক সময়ে—যখন খলিফা যুদ্ধের কারণে তাঁর সৈন্যদল নিয়ে দূরে অবস্থান করছিলেন এবং দুআয় মুসল্লীদের ‘আমীন! আমীন!’ উচ্চারণের শব্দে মসজিদের মিম্বারগুলো প্রকম্পিত হচ্ছিল।
লোকেরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে হঠাৎ দেখতে পেল ঘোড়ার খুর থেকে জন্ম নেয়া বালুর ঝড়, টগবগ টগবগ সেই শব্দও তাদের কানে বাজল। ঘোড়াগুলো এসে যখন পৌঁছল, খলিফা মানসূর ও তাঁর সাথে থাকা ইসলামি সৈন্যবাহিনীদের যুদ্ধের ফলে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত দেখাচ্ছিল। মানসূর ঘোড়া থেকে নামতে চাইলে হঠাৎ একজন বয়স্ক মহিলা এগিয়ে এসে মানসূরকে বললেন:
আয় মানসূর! সবাই ঈদ আনন্দ উদযাপন করছে, কিন্তু আমি খুশি নই, আমি কাঁদছি।
মনসুর জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি?
মহিলাটি উত্তর দিলেন, আমার ছেলে ‘কিলা রাবাহ’–তে (তালিতলা ও কর্ডোবার মধ্যবর্তী এলাকা) শত্রুর হাতে বন্দী হয়েছে।
মানসূর অবিলম্বে ইসলামি সেনাপতিকে ঘোড়া থেকে না নেমে রাবাহের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন! মানসূর সেই এলাকায় পৌঁছে শত্রুদের সাথে যুদ্ধ শুরু করলেন। আল্লাহ তাঁকে বিজয়ের বরকত দান করলেন, মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করা হলো এবং বুড়ির ছেলেও নিরাপদে ফিরে আসল।
সূত্র:
সিয়ারু আলামিননুবালা
তারিখে ইবনে খালদুন
-সংগৃহীত
Comment