১. সেন্ট পৌল
হযরত ইসা আলাইহিসসালাম যখন বনি ঈসরাইলে আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিচ্ছিলেন তখন অল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত বাকি সবাই তার বিরোধিতা করে। তাকে অমান্য করে। এই বিরোধিতার জের ধরে তারা এক পর্যায়ে আল্লাহর পয়গম্বরকে হত্যা করার স্পর্ধা দেখায়।
এই বিরুদ্ধবাদীদেরই একজন ছিল সাউল। যে ছিল ইয়াহুদি আলেম এবং তাদের সবচেয়ে কট্টর দল ফারিসিদের অন্তর্ভুক্ত। আর এ কারণে সে ইসা আ. এর জীবদ্দশায় তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদেরকে চরম কষ্ট দিত। কিন্তু নবির অফাতের (তাদের দাবী অনুযায়ী) কিছুদিন পর সে কাকতালীয়ভাবে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে। অতঃপর নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখে পৌল, যা ইতিহাসে সেন্ট পৌল নামে প্রসিদ্ধ।
সে ইসা নবির হাওয়ারিদের সাথে মিলে মুশরিকদের মধ্যে তাবলিগ শুরু করে। তার দাওয়াতে অনেক মুশরিক খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে। এভাবেই সে খ্রিস্টানদের মাঝে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়। অতঃপর শুরু হয় তার আসল মিশন।
সেন্ট পৌল নানা আজগুবি কিচ্ছা কাহিনী খ্রিস্টানদের কাছে বলে বেড়াত। আস্তে আস্তে বিভিন্ন শিরিক, বিদআত ও ভ্রান্ত মতবাদ খ্রিস্টধর্মে ঢুকিয়ে ফেলে। জনগণও তাকে বিশ্বাস করে তার অন্ধ অনুসরণ করতে থাকে। অবশেষে বহুল আলোচিত সেই ভ্রান্ত আকিদা খ্রিস্টানদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ‘ত্রিত্ববাদ’ বা ‘ট্রিনিটি’− এটি মূলত সেন্ট পৌলেরই আবিষ্কার। যা আজও খ্রিস্টানবিশ্ব বয়ে চলছে দিগভ্রান্তের মতো। পরিশেষে ইসা আ. এর উম্মতদের মধ্য থেকে যে কয়েকজন সঠিক দ্বীন পালন করত তারাও পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। লিপ্ত হয় বিভিন্ন কুফর শিরিকে।
ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র এমনই। ছলে বলে কৌশলে প্রথমে তারা তাওহিদবাদীদের ভিতরে ঢুকে পড়ে। অতঃপর সুযোগ বুঝে ঢেলে দেয় তাদের বিষাক্ত বিষ। বিষক্রিয়ায় অচল হয়ে পড়ে সমাজের স্বাভাবিক গতি। সভ্যতার স্থানে ঝেঁকে বসে অজ্ঞতা।
২. আব্দুল্লাহ বিন সাবা
ইসলাম ধর্ম তার সূচনা লগ্ন থেকেই ইয়াহুদ-নাসারাদের ষড়যন্ত্র মুকাবিলা করে আসছে। প্রথমে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতঃপর তাঁর সাহাবীগণ বারবার কুফফারদের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তৎকালীন সময়ে ইসলামের বিরুদ্ধে করা কাফেরদের কোনো চক্রান্তই তেমন সফল হয় নি একটি ছাড়া। কী সেটি?
তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর খেলাফতকালে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ফিতনাহ ছড়িয়ে পড়ে। যার সূচনা হয়েছিল আরেক ইয়াহুদি শয়তানের হাত ধরে। নাম তার আব্দুল্লাহ বিন সাবা। প্রথমে সে একজন ইয়াহুদিই ছিল। একটা সময় প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। অতঃপর হযরত উসমান রাᱹ এর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বস্তুতঃ সে মুসলমান হওয়ার জন্য ইসলামে আসে নি। এসেছিল তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য। সে খলিফা উসমান রা. এর বিভিন্ন দোষ-ত্রুটি আলোচনা করত ও হযরত আলী রাᱹ এর ব্যাপারে হরেক রকম কথা প্রচার করত। বলতো আলী রাᱹ খেলাফতের অধিক হকদার। উসমান রাযি. অন্যায়ভাবে খালিফা হয়েছেন... ইত্যাদি ইত্যাদি। তার এইসব প্রোপাগান্ডা কিছু মুসলমান বিশ্বাস করে নেয়। ফলে মুসলিম বিশ্বে অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা ও কলহের জন্ম নেয়। ফলশ্রুতিতে উসমান রাᱹ শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর শাহাদাতের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব টুকরো টুকরো হয়ে যায়। শিয়া, রাফিজিসহ আরো নানান ফিতনার আবির্ভাব ঘটে। আমরা জানি না, খালিফাতুল্লাহ মাহদির আগমনের আগে আর কখনো ইসলামি বিশ্ব ফিতনাহ মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে কি না।
ইসলাম হচ্ছে মহান রবের মনোনীত একমাত্র দ্বীন যার হেফাযত স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই করেন। তাই এটি এখনো টিকে আছে। নতুবা কুফফার ও মুশরিকিনদের অনবরত ষড়যন্ত্রের ফলে কবেই তা বিলীন হয়ে যেত।
হযরত ইসা আলাইহিসসালাম যখন বনি ঈসরাইলে আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিচ্ছিলেন তখন অল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত বাকি সবাই তার বিরোধিতা করে। তাকে অমান্য করে। এই বিরোধিতার জের ধরে তারা এক পর্যায়ে আল্লাহর পয়গম্বরকে হত্যা করার স্পর্ধা দেখায়।
এই বিরুদ্ধবাদীদেরই একজন ছিল সাউল। যে ছিল ইয়াহুদি আলেম এবং তাদের সবচেয়ে কট্টর দল ফারিসিদের অন্তর্ভুক্ত। আর এ কারণে সে ইসা আ. এর জীবদ্দশায় তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদেরকে চরম কষ্ট দিত। কিন্তু নবির অফাতের (তাদের দাবী অনুযায়ী) কিছুদিন পর সে কাকতালীয়ভাবে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে। অতঃপর নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখে পৌল, যা ইতিহাসে সেন্ট পৌল নামে প্রসিদ্ধ।
সে ইসা নবির হাওয়ারিদের সাথে মিলে মুশরিকদের মধ্যে তাবলিগ শুরু করে। তার দাওয়াতে অনেক মুশরিক খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে। এভাবেই সে খ্রিস্টানদের মাঝে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়। অতঃপর শুরু হয় তার আসল মিশন।
সেন্ট পৌল নানা আজগুবি কিচ্ছা কাহিনী খ্রিস্টানদের কাছে বলে বেড়াত। আস্তে আস্তে বিভিন্ন শিরিক, বিদআত ও ভ্রান্ত মতবাদ খ্রিস্টধর্মে ঢুকিয়ে ফেলে। জনগণও তাকে বিশ্বাস করে তার অন্ধ অনুসরণ করতে থাকে। অবশেষে বহুল আলোচিত সেই ভ্রান্ত আকিদা খ্রিস্টানদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ‘ত্রিত্ববাদ’ বা ‘ট্রিনিটি’− এটি মূলত সেন্ট পৌলেরই আবিষ্কার। যা আজও খ্রিস্টানবিশ্ব বয়ে চলছে দিগভ্রান্তের মতো। পরিশেষে ইসা আ. এর উম্মতদের মধ্য থেকে যে কয়েকজন সঠিক দ্বীন পালন করত তারাও পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। লিপ্ত হয় বিভিন্ন কুফর শিরিকে।
ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র এমনই। ছলে বলে কৌশলে প্রথমে তারা তাওহিদবাদীদের ভিতরে ঢুকে পড়ে। অতঃপর সুযোগ বুঝে ঢেলে দেয় তাদের বিষাক্ত বিষ। বিষক্রিয়ায় অচল হয়ে পড়ে সমাজের স্বাভাবিক গতি। সভ্যতার স্থানে ঝেঁকে বসে অজ্ঞতা।
২. আব্দুল্লাহ বিন সাবা
ইসলাম ধর্ম তার সূচনা লগ্ন থেকেই ইয়াহুদ-নাসারাদের ষড়যন্ত্র মুকাবিলা করে আসছে। প্রথমে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতঃপর তাঁর সাহাবীগণ বারবার কুফফারদের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তৎকালীন সময়ে ইসলামের বিরুদ্ধে করা কাফেরদের কোনো চক্রান্তই তেমন সফল হয় নি একটি ছাড়া। কী সেটি?
তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর খেলাফতকালে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ফিতনাহ ছড়িয়ে পড়ে। যার সূচনা হয়েছিল আরেক ইয়াহুদি শয়তানের হাত ধরে। নাম তার আব্দুল্লাহ বিন সাবা। প্রথমে সে একজন ইয়াহুদিই ছিল। একটা সময় প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। অতঃপর হযরত উসমান রাᱹ এর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বস্তুতঃ সে মুসলমান হওয়ার জন্য ইসলামে আসে নি। এসেছিল তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য। সে খলিফা উসমান রা. এর বিভিন্ন দোষ-ত্রুটি আলোচনা করত ও হযরত আলী রাᱹ এর ব্যাপারে হরেক রকম কথা প্রচার করত। বলতো আলী রাᱹ খেলাফতের অধিক হকদার। উসমান রাযি. অন্যায়ভাবে খালিফা হয়েছেন... ইত্যাদি ইত্যাদি। তার এইসব প্রোপাগান্ডা কিছু মুসলমান বিশ্বাস করে নেয়। ফলে মুসলিম বিশ্বে অভ্যন্তরীণ দাঙ্গা ও কলহের জন্ম নেয়। ফলশ্রুতিতে উসমান রাᱹ শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর শাহাদাতের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব টুকরো টুকরো হয়ে যায়। শিয়া, রাফিজিসহ আরো নানান ফিতনার আবির্ভাব ঘটে। আমরা জানি না, খালিফাতুল্লাহ মাহদির আগমনের আগে আর কখনো ইসলামি বিশ্ব ফিতনাহ মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে কি না।
ইসলাম হচ্ছে মহান রবের মনোনীত একমাত্র দ্বীন যার হেফাযত স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই করেন। তাই এটি এখনো টিকে আছে। নতুবা কুফফার ও মুশরিকিনদের অনবরত ষড়যন্ত্রের ফলে কবেই তা বিলীন হয়ে যেত।
Comment