Announcement

Collapse
No announcement yet.

সুলতান নুরুদ্দিন জিনকি রাহিমাহুল্লাহ এর উম্মাহ-দরদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সুলতান নুরুদ্দিন জিনকি রাহিমাহুল্লাহ এর উম্মাহ-দরদ

    ১১৬৯ খ্রিষ্টাব্দ। পুরো সাম্রাজ্য জুড়ে ক্রুসেডাররা তান্ডব চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাইতুল মাক্বদিস তাদের দখলে চলে গেছে। এক পর্যায়ে খ্রিষ্টান বাহিনী দিমইয়াত অবরোধ করে ফেলে। সুলতান নুরুদ্দিন জিনকি তখন পড়ে গেলেন মহা চিন্তায়। কীভাবে মুসলিম অধ্যুষিত এই ভূখন্ডকে নাপাক ক্রুসেডারদের রক্তাক্ত থাবা থেকে মুক্ত করা যায়। অবরোধ চলাকালীন সময়ে একবার এক হাদিসশিক্ষার্থী সুলতানের সামনে একটি হাদিস পাঠ করলেন যা ছিল ‘মৃদু হাসি পরম্পরা বিশিষ্ট হাদিস’। এধরণের হাদিস বর্ণনার সময় রাসূল (ﷺ) মৃদু হেসেছিলেন। তাই পরবর্তীতে যারাই হাদিসগুলো বর্ণনা করেছেন অথবা শুনেছেন তারা সবাই মৃদু হেসেছেন। কিন্তু সুলতান নুরুদ্দিন হাসলেন না। ছাত্র হাসার জন্য অনুরোধ করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন। কেন?

    সুলতান নুরুদ্দিন জিনকি রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন, এই মুহুর্তে দিমইয়াতের মুসলমানরা খ্রিষ্টান বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়ে আছে। উম্মাহর এই সংকটকালীন সময়ে মহান আল্লাহ তাআলা আমাকে হাসতে দেখবেন তা ভাবতেই আমার লজ্জা লাগছে।

    সুবহানাল্লাহ! আমাদের সালাফরা এমনই ছিলেন। তারা উম্মাহর দূর্দিনে হাসিটাও ভুলে যেতেন। অথচ আমরা দুনিয়ার মোহে পড়ে আমাদের ফরজ দায়িত্বগুলোও এড়িয়ে যাই।

    আজ একদিকে মুসলিম জনপদগুলো জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। বোনেরা সম্ভ্রম হারাচ্ছে। মায়েরা সন্তানদের টুকরো টুকরো লাশ কুঁড়িয়ে নিচ্ছে দাফন করার জন্য। অপরদিকে একই জাতির অন্যান্য সদস্যদের কেউ কেউ এসি রুমে বসে হাদিসের দারস দিচ্ছে। ফাযায়েল আর বরকতের বর্ণনা করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। কিন্তু মাজলুমানদের পক্ষে টুঁ শব্দটিও করে না। কাফেরদের কাছে নিজেকে অবলা, ইনোসেন্ট আর শান্তিপ্রিয় প্রমাণ করার জন্য বেমালুম ভুলে গেছে নিজ জাতির কথা ও ব্যথা। তাদের নাম মুখে আনাও পাপ। পাছে যদি কেউ জঙ্গি বলে ফেলে। আল ইয়াযু বিল্লাহ।

    আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিন।




    ২০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি​

  • #2
    নিজের অজান্তেই দু'গাল বেয়ে দু'ফোটা জল গড়িয়ে গেল।
    হায়! আমার হালত কতটা নীচু, কতটা উদাসী কতটা অমানুষী। আমিও নাকি উম্মাহ দরদী

    ইয়া রব্ব মা'আফ ফরমা! :'(
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      খুব শিগ্রই ইনশাল্লাহ পৌঁছানোর রুখয়োট দূর হয়ে যাবে। এ মুহূর্তে জরুরি আমাদের অনুপস্থিতে আমাদের পরিবারের ভরন পোষণের নিশ্চয়তার ব্যাবস্থা করার চেষ্টা করা। অস্ত্র চালনার দক্ষতা অর্জন আল্লাহর রহমতে আমাদের জাতির মুজাহিদ্গনের খুব অল্প সময়েই চলে আসে।আপাতত শারিরক ফিটনেসটা বাড়ানো দরকার। ৮/১০ কিমি দৌড়ানো, ১ থেকে ২ কিমি সাঁতরানো। গাছ বাওয়া / পাহাড়ে চড়া, প্রাথমিক চিকিৎসা- যত বেশি দক্ষতা অর্জন করা যায়। কুস্তির প্যাঁচ/ জুজিতসু / কুংফু-কারাতে যত টুকু সম্ভব গোপনে শিখা এবং চর্চা করা। তাহাজ্জুদের পাবন্দ করা। এলেমি এদাদ- বিস্তর অর্জন করার চেষ্টা করা। পাবলিক রিলেশন বাড়ানো - নিজের বিশ্বাস এবং বুঝ গোপন রেখে । ভাষা শিক্ষা করা।
      দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

      Comment

      Working...
      X