বালাদুশ শায়খের মায়েদের ধৈর্য্য।
প্রিয় ভাই ও বোন !
বালাদুশ শায়খ- যা ফিলিস্তিনের হাইফা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি গ্রাম । এ গ্রামটিকে ইহুদীরা জল্লাদখানা বলে অভিহিত করতো । নিরাপদ তল্লাশীর নাম দিয়ে গভীর রাতে কয়েক হাজার মা ও বোনের ইজ্জত হরণ করেছে । এ গ্রামে সুস্থ কোন মুসলমান বসবাস করতে পারত না । সবারই হাত, পা-চোখ, কারো নখ উপড়িয়ে ফেলেছে, কারো দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে, কারো পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে, কাউকে জীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। একবার ১৯৪৭ সালে গভীর রাতে ঘুমন্ত গ্রামটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইহুদী সন্ত্রাসী সংগঠন হাগানার দু'শজনের একটি সশস্ত্র দল। গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমে চলে এলোপাতাড়ি গুলি আর বোমাবর্ষণ । তারপর তারা ঘরে ঘরে হানা দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করতে থাকে নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে । এ নৃশংসতায় শাহাদাত বরণ করেন ষাটজন ফিলিস্তিনি। গ্রামের নাম নিশানা সব মুছে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে গ্রামটির নাম রাখা হয়েছে তেল হানান কিন্তু সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো- এ পরিমাণ গণহত্যার পরও কোন মা তার সন্তান নিয়ে গ্রামছাড়া হননি । তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে । তারা বলল- কেন আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাব ? এটাও তো আল্লাহর ভূমি। হয়তো অন্য ভূমিতে আমাদের জন্য লাঞ্ছনা আরো বেশি অপেক্ষা করছে । আমরা হলাম যোদ্ধা জাতি । আমরা এই ভূমি ছেড়ে দিলে আমাদের সন্তানেরা যুদ্ধ/ জিহাদ ভুলে যাবে । কাপুরুষে পরিণত হবে । আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সাহায্য হতে বঞ্চিত হবে। নাফরমান বান্দায় পরিগণিত হবে। সুতরাং আমরা কখনই এ ভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও যাবো না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
হাইফা শহরের মায়েদের ধৈর্যের প্রতিশ্রুতিতেই আজ আল্লাহ তা'আলা ফিলিস্তিনের প্রতিটি ঘরে ঘরে দান করেছেন এক একজন বীর মুজাহিদ। যাদের হুংকারে, যাদের গর্জনে, আঁতকে ওঠে প্রতিটি কাপুরুষের অন্তর। থরথর করে কেঁপে উঠে তাগুতি শক্তির প্রতিটি মসনদ।
তথ্যসূত্রঃ
আল-কলম ম্যাগাজিন ২খন্ড,
পুষ্প সমাহার ১খন্ড
প্রিয় ভাই ও বোন !
বালাদুশ শায়খ- যা ফিলিস্তিনের হাইফা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি গ্রাম । এ গ্রামটিকে ইহুদীরা জল্লাদখানা বলে অভিহিত করতো । নিরাপদ তল্লাশীর নাম দিয়ে গভীর রাতে কয়েক হাজার মা ও বোনের ইজ্জত হরণ করেছে । এ গ্রামে সুস্থ কোন মুসলমান বসবাস করতে পারত না । সবারই হাত, পা-চোখ, কারো নখ উপড়িয়ে ফেলেছে, কারো দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে, কারো পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে, কাউকে জীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। একবার ১৯৪৭ সালে গভীর রাতে ঘুমন্ত গ্রামটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইহুদী সন্ত্রাসী সংগঠন হাগানার দু'শজনের একটি সশস্ত্র দল। গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমে চলে এলোপাতাড়ি গুলি আর বোমাবর্ষণ । তারপর তারা ঘরে ঘরে হানা দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করতে থাকে নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে । এ নৃশংসতায় শাহাদাত বরণ করেন ষাটজন ফিলিস্তিনি। গ্রামের নাম নিশানা সব মুছে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে গ্রামটির নাম রাখা হয়েছে তেল হানান কিন্তু সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো- এ পরিমাণ গণহত্যার পরও কোন মা তার সন্তান নিয়ে গ্রামছাড়া হননি । তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে । তারা বলল- কেন আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাব ? এটাও তো আল্লাহর ভূমি। হয়তো অন্য ভূমিতে আমাদের জন্য লাঞ্ছনা আরো বেশি অপেক্ষা করছে । আমরা হলাম যোদ্ধা জাতি । আমরা এই ভূমি ছেড়ে দিলে আমাদের সন্তানেরা যুদ্ধ/ জিহাদ ভুলে যাবে । কাপুরুষে পরিণত হবে । আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সাহায্য হতে বঞ্চিত হবে। নাফরমান বান্দায় পরিগণিত হবে। সুতরাং আমরা কখনই এ ভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও যাবো না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
হাইফা শহরের মায়েদের ধৈর্যের প্রতিশ্রুতিতেই আজ আল্লাহ তা'আলা ফিলিস্তিনের প্রতিটি ঘরে ঘরে দান করেছেন এক একজন বীর মুজাহিদ। যাদের হুংকারে, যাদের গর্জনে, আঁতকে ওঠে প্রতিটি কাপুরুষের অন্তর। থরথর করে কেঁপে উঠে তাগুতি শক্তির প্রতিটি মসনদ।
তথ্যসূত্রঃ
আল-কলম ম্যাগাজিন ২খন্ড,
পুষ্প সমাহার ১খন্ড
Comment