জিহাদের পথে অবিচল থাকাই হলো মুমিনবান্দার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।
প্রিয় ভাই ও বোন !
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী চলতে গিয়ে কখনো তিরস্কার, কখনো বিদ্রুপ, কখনো বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় । মানুষ হাসিঠাট্টা করে, কটাক্ষমূলক কথা বলে । এসব অশুভ আচরণের দ্বারা অন্তরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, যে ব্যথা অনুভূত হয় , তা সকল কিছু আল্লাহর রাহে কুরবান করার শামিল । কেয়ামতের দিন বলা যাবে । হে আল্লাহ ! আমি যখন তোমার বিধান পবিত্র জিহাদ পালন করতে চেয়েছি । তখন আমার স্ত্রী, আমার মা-বাবা, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই বিদ্রূপ করেছে, । আমার বংশের লোকেরা আমাকে তিরস্কার করেছে । তোমার রাস্তায় জীবন কোরবান করতে তারা বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তারা নিজেরা জিহাদ করেনি বরং আমাকে করতে বাঁধা দিয়েছে । তারা যতই বাড়াবাড়ি করেছে । আমি তার ক্ষতকে অন্তরে ধারণ করেছি এবং সে ক্ষতকে আপনার মহব্বত দ্বারা পূর্ণ করার চেষ্টা করেছি । সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন জিহাদের দিন প্রভাতে যুদ্ধের পোশাক পরিধান করে, তলোয়ার খাপমুক্ত করে নিলেন তখন তার আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা বলাবলি করতে লাগল । তিনি না বড় বুজুর্গ ব্যক্তি ! উনি কেন এ কাজে যাচ্ছেন ? সমালোচিত হতেন? ওনাকে নিষেধ করেন । ওনাকে বাঁধা দেন । বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলতে লাগল । তিনি তাদের কারো কথার কোন কর্ণপাত করেননি । তাদের উপেক্ষা করে ইশরাকের নামাজে দাঁড়ালেন । শাহাদাতের তামান্নায় জিহাদের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন । প্রতিবেশীরা কেউ বাধা দিতে পারল না । তিনি তরবারি কোষমুক্ত করে সামনে রাখলেন । তারা কেউ আর ভয়ে সামনে আসেনি । তিনি বেরিয়ে পড়লেন ময়দানের উদ্দেশ্যে । ইতিমধ্যে লাহোর থেকে একজন মুসলমান সৈনিকের চিঠি এলো । তাতে লেখা ছিল আমি যদিও কাফেরদের নিমক খাচ্ছি । রাজা প্রজাদের গোলামী করছি । কিন্তু আপনি আমাদের ছেরেতাজ। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি । আমি আপনাকে অগ্রিম সংবাদ প্রদান করছি যে, শিখদের একটি বিশাল বাহিনী হামলার জন্য আসছে । আপনি কোথাও আত্মগোপন করুন । তাহলে আপনার জীবন রক্ষা পেয়ে যাবে । আপনার জীবন মুসলমানদের জন্য অত্যান্ত মহামূল্যবান । প্রতিউত্তরে সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এর জবাব ছিল । হে আমার ভাই ! এটাতো মুসলমানের শানের পরিপন্থী । জিহাদের ময়দানে অবতরণ করে, আল্লাহ তা'আলার রাহে বের হয়ে , জঙ্গী পোশাক পরিধান করে, তলোয়ারকে খাপমুক্ত করে, তার প্রেরনায় উজ্জীবিত হয়ে, জিহাদের ময়দান থেকে পিছু হটা শরীয়ত কোনভাবেই বৈধতা দান করেনা । তবে ভাই জিহাদের পথে অবিচল থাকাই হলো মুমিনবান্দার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য । তাই আমি তাদের কাতারে শামিল হতে চাই । সেই বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে চাই । আজ হয়তো আমি ইসলামের ঝান্ডাকে লাহোর পর্যন্ত উড্ডীন করব আর না হয় শাহাদাত বরণ করব । এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভে ধন্য হব । আল্লাহ তা'য়ালা তার এ প্রিয় বান্দার ডাকে সাড়া দিলেন আর তিনি শাহাদাত বরণ করলেন।
অনুবাদকৃত অংশঃ
তথ্যসূত্রঃ
বাচ্চু কা ইসলাম,
উর্দু মাগ্যাজিন সিরিজ ১ ম,
পৃষ্ঠা নং ২৭, পাকিস্তানি মাগ্যাজিন।
প্রিয় ভাই ও বোন !
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী চলতে গিয়ে কখনো তিরস্কার, কখনো বিদ্রুপ, কখনো বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় । মানুষ হাসিঠাট্টা করে, কটাক্ষমূলক কথা বলে । এসব অশুভ আচরণের দ্বারা অন্তরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, যে ব্যথা অনুভূত হয় , তা সকল কিছু আল্লাহর রাহে কুরবান করার শামিল । কেয়ামতের দিন বলা যাবে । হে আল্লাহ ! আমি যখন তোমার বিধান পবিত্র জিহাদ পালন করতে চেয়েছি । তখন আমার স্ত্রী, আমার মা-বাবা, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই বিদ্রূপ করেছে, । আমার বংশের লোকেরা আমাকে তিরস্কার করেছে । তোমার রাস্তায় জীবন কোরবান করতে তারা বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তারা নিজেরা জিহাদ করেনি বরং আমাকে করতে বাঁধা দিয়েছে । তারা যতই বাড়াবাড়ি করেছে । আমি তার ক্ষতকে অন্তরে ধারণ করেছি এবং সে ক্ষতকে আপনার মহব্বত দ্বারা পূর্ণ করার চেষ্টা করেছি । সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন জিহাদের দিন প্রভাতে যুদ্ধের পোশাক পরিধান করে, তলোয়ার খাপমুক্ত করে নিলেন তখন তার আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা বলাবলি করতে লাগল । তিনি না বড় বুজুর্গ ব্যক্তি ! উনি কেন এ কাজে যাচ্ছেন ? সমালোচিত হতেন? ওনাকে নিষেধ করেন । ওনাকে বাঁধা দেন । বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলতে লাগল । তিনি তাদের কারো কথার কোন কর্ণপাত করেননি । তাদের উপেক্ষা করে ইশরাকের নামাজে দাঁড়ালেন । শাহাদাতের তামান্নায় জিহাদের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন । প্রতিবেশীরা কেউ বাধা দিতে পারল না । তিনি তরবারি কোষমুক্ত করে সামনে রাখলেন । তারা কেউ আর ভয়ে সামনে আসেনি । তিনি বেরিয়ে পড়লেন ময়দানের উদ্দেশ্যে । ইতিমধ্যে লাহোর থেকে একজন মুসলমান সৈনিকের চিঠি এলো । তাতে লেখা ছিল আমি যদিও কাফেরদের নিমক খাচ্ছি । রাজা প্রজাদের গোলামী করছি । কিন্তু আপনি আমাদের ছেরেতাজ। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি । আমি আপনাকে অগ্রিম সংবাদ প্রদান করছি যে, শিখদের একটি বিশাল বাহিনী হামলার জন্য আসছে । আপনি কোথাও আত্মগোপন করুন । তাহলে আপনার জীবন রক্ষা পেয়ে যাবে । আপনার জীবন মুসলমানদের জন্য অত্যান্ত মহামূল্যবান । প্রতিউত্তরে সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এর জবাব ছিল । হে আমার ভাই ! এটাতো মুসলমানের শানের পরিপন্থী । জিহাদের ময়দানে অবতরণ করে, আল্লাহ তা'আলার রাহে বের হয়ে , জঙ্গী পোশাক পরিধান করে, তলোয়ারকে খাপমুক্ত করে, তার প্রেরনায় উজ্জীবিত হয়ে, জিহাদের ময়দান থেকে পিছু হটা শরীয়ত কোনভাবেই বৈধতা দান করেনা । তবে ভাই জিহাদের পথে অবিচল থাকাই হলো মুমিনবান্দার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য । তাই আমি তাদের কাতারে শামিল হতে চাই । সেই বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে চাই । আজ হয়তো আমি ইসলামের ঝান্ডাকে লাহোর পর্যন্ত উড্ডীন করব আর না হয় শাহাদাত বরণ করব । এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভে ধন্য হব । আল্লাহ তা'য়ালা তার এ প্রিয় বান্দার ডাকে সাড়া দিলেন আর তিনি শাহাদাত বরণ করলেন।
অনুবাদকৃত অংশঃ
তথ্যসূত্রঃ
বাচ্চু কা ইসলাম,
উর্দু মাগ্যাজিন সিরিজ ১ ম,
পৃষ্ঠা নং ২৭, পাকিস্তানি মাগ্যাজিন।
Comment