সাবরাওয়া শাতিলার ছোট্ট শিশুর অভিশাপ
প্রিয় ভাই ও বোন!
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পশ্চিমে ভূমিহারা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় শিবির সাবরা ওয়া শাতিলা। লেবাননে ইরগুন সন্ত্রাস বাহিনীর দখলদারিত্ব কালে এখানেই সংঘটিত হয়েছিল ফিলিস্তিনের উপর তাদের চালানো নৃশংসতম এক কালোথাবা । ফিলিস্তিনি মুক্তিসংস্থা p.l.o এর সশস্ত্র সদস্যরা শিবিরে অবস্থান করছে এই অজুহাতে লেবানিজ খ্রিস্টান সন্ত্রাসী দল ফ্যালাঞ্জিষ্ট এর সহায়তায় আচমকা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এ আশ্রয়শিবিরটি । অথচ এর বহু আগেই ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী p.l.o এর সদস্যরা এ শিবির ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গিয়েছিলো । কিন্তু ফিলিস্তিনীদের সব মনোবল ও প্রতিরোধ শক্তি খতম করে দেয়ার উদ্দেশ্যে এ ছক আঁকা হয় । এই নৃশংস হত্যায় প্রথমেই শিবির থেকে বের হওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ করে দেয়া হয় । তারপর গভীর রাতে ভিতরে ঢুকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত তিনটি দল শুরু করে অকল্পনীয় এক নৃসংসতা । তিনদিন যাবৎ সমগ্র বিশ্বের চোখের সামনে চলতে থাকে এ বীভৎস হত্যা গণহত্যা । যারাই শিবির থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছে খুন হয়েছে ঘিরে থাকা সেনাদের গুলিতে । শহীদ করেছে ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদেরও । চারদিন পর্যন্ত কোন ধরনের সাহায্য ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি । হত্যাযজ্ঞের শেষে বুলডোজার দিয়ে ধ্বসিয়ে দেয়া হয় আশ্রয় শিবিরের বিশাল এক অংশ । বড় বড় গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয় বহু মৃতদেহ । তারপরও রেডক্রসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আশ্রয় শিবির এর বিভিন্ন স্থানে পড়েছিল চরমভাবে বিকৃত কয়েক হাজার গলিত লাশ । ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে সাড়ে ৫০০০ থেকে ৮০০০ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করা হয়েছিল। সেদিন এই হত্যা চলাকালীন সময়ে এক সেনা অফিসার শিবিরের ছোট্ট একটি কুটিরে ঢুকলো এবংঐ শিবিরের সবাইকে হত্যা করলো । শিবিরের শেষ মাথায় সাত বছরের এক শিশু কান্না করছে । তাদের দেখা মাত্রই ছেলেটা দৌঁড়ে আসলো এবং বলতে লাগল- হে এই নরপিশাচরা ! তোরা কি একবারও ভেবে দেখলি না আমার আম্মুকে শহীদ করার আগে তার সাত বছরের এই ছেলেটার কথা ? আমার আম্মু তো আমাকে জান্নাতে গিয়ে খুঁজতেছে সুতরাং আমার আম্মুর ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য আমার ব্যাপারেও উত্তম ফায়সালা করে দে । তবে মনে রাখিস আমি আমার আম্মুর কাছে আবদার জানাব। তিনি যেন আমার প্রভুকে বলে দেন তোদের বিচার যেন তিনি আমার নিজ হাতে করার ব্যবস্থা করে দেন । এই বলে ছেলেটিও শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করল । অর্থাৎ সেনা অফিসার তার ছোট্ট মুখে ধারালো কথাগুলো শুনে আর সহ্য করতে পারলো না । তাই অস্ত্রের বাট দিয়ে আঘাত করে তাকে শহীদ করে দেয় ।
তবে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো । কাফের সেনারা এ স্থান ত্যাগ করার দু' এক মিনিট পর কোথা থেকে তেড়ে এসে যেন এক রকেট লঞ্চার তাদের উপর আছড়ে পড়লো আর সাথে সাথে তারা সবাই পুড়ে ছাই হয়ে গেল । অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোন তথ্য মিলল না ।
তথ্যসূত্রঃ
শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
পৃষ্ঠা নং৫৭
প্রিয় ভাই ও বোন!
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পশ্চিমে ভূমিহারা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় শিবির সাবরা ওয়া শাতিলা। লেবাননে ইরগুন সন্ত্রাস বাহিনীর দখলদারিত্ব কালে এখানেই সংঘটিত হয়েছিল ফিলিস্তিনের উপর তাদের চালানো নৃশংসতম এক কালোথাবা । ফিলিস্তিনি মুক্তিসংস্থা p.l.o এর সশস্ত্র সদস্যরা শিবিরে অবস্থান করছে এই অজুহাতে লেবানিজ খ্রিস্টান সন্ত্রাসী দল ফ্যালাঞ্জিষ্ট এর সহায়তায় আচমকা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এ আশ্রয়শিবিরটি । অথচ এর বহু আগেই ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী p.l.o এর সদস্যরা এ শিবির ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গিয়েছিলো । কিন্তু ফিলিস্তিনীদের সব মনোবল ও প্রতিরোধ শক্তি খতম করে দেয়ার উদ্দেশ্যে এ ছক আঁকা হয় । এই নৃশংস হত্যায় প্রথমেই শিবির থেকে বের হওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ করে দেয়া হয় । তারপর গভীর রাতে ভিতরে ঢুকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত তিনটি দল শুরু করে অকল্পনীয় এক নৃসংসতা । তিনদিন যাবৎ সমগ্র বিশ্বের চোখের সামনে চলতে থাকে এ বীভৎস হত্যা গণহত্যা । যারাই শিবির থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছে খুন হয়েছে ঘিরে থাকা সেনাদের গুলিতে । শহীদ করেছে ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদেরও । চারদিন পর্যন্ত কোন ধরনের সাহায্য ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি । হত্যাযজ্ঞের শেষে বুলডোজার দিয়ে ধ্বসিয়ে দেয়া হয় আশ্রয় শিবিরের বিশাল এক অংশ । বড় বড় গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয় বহু মৃতদেহ । তারপরও রেডক্রসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আশ্রয় শিবির এর বিভিন্ন স্থানে পড়েছিল চরমভাবে বিকৃত কয়েক হাজার গলিত লাশ । ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে সাড়ে ৫০০০ থেকে ৮০০০ ফিলিস্তিনিকে শহীদ করা হয়েছিল। সেদিন এই হত্যা চলাকালীন সময়ে এক সেনা অফিসার শিবিরের ছোট্ট একটি কুটিরে ঢুকলো এবংঐ শিবিরের সবাইকে হত্যা করলো । শিবিরের শেষ মাথায় সাত বছরের এক শিশু কান্না করছে । তাদের দেখা মাত্রই ছেলেটা দৌঁড়ে আসলো এবং বলতে লাগল- হে এই নরপিশাচরা ! তোরা কি একবারও ভেবে দেখলি না আমার আম্মুকে শহীদ করার আগে তার সাত বছরের এই ছেলেটার কথা ? আমার আম্মু তো আমাকে জান্নাতে গিয়ে খুঁজতেছে সুতরাং আমার আম্মুর ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য আমার ব্যাপারেও উত্তম ফায়সালা করে দে । তবে মনে রাখিস আমি আমার আম্মুর কাছে আবদার জানাব। তিনি যেন আমার প্রভুকে বলে দেন তোদের বিচার যেন তিনি আমার নিজ হাতে করার ব্যবস্থা করে দেন । এই বলে ছেলেটিও শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করল । অর্থাৎ সেনা অফিসার তার ছোট্ট মুখে ধারালো কথাগুলো শুনে আর সহ্য করতে পারলো না । তাই অস্ত্রের বাট দিয়ে আঘাত করে তাকে শহীদ করে দেয় ।
তবে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো । কাফের সেনারা এ স্থান ত্যাগ করার দু' এক মিনিট পর কোথা থেকে তেড়ে এসে যেন এক রকেট লঞ্চার তাদের উপর আছড়ে পড়লো আর সাথে সাথে তারা সবাই পুড়ে ছাই হয়ে গেল । অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোন তথ্য মিলল না ।
তথ্যসূত্রঃ
শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
পৃষ্ঠা নং৫৭
Comment