যে কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করায় সেটা হল প্রকৃত নেয়ামত
একজন মা তার আদরের দুলাল প্রিয় সন্তানকে জিহাদের ময়দানে পাঠিয়ে দিলেন । আল্লাহর রাস্তায় জীবন কুরবান করার জন্য । আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দির জন্য । মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলে ময়দানে চলে গেলো এবং বীরত্বের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাগলো। কিন্তু সে প্রতিদিন সন্ধ্যায় যুদ্ধ শেষে মায়ের সাথে দেখা করার উদ্দেশে বাড়িতে ফিরে আসতো ।
মা শুধু বলেন- বাবা ! তুমি একেবারে ঐখানকার যুদ্ধ শেষ করে বাড়িতে এসো, তার আগে আর বাড়িতে এসো না । ছেলে মায়ের সাথে প্রতিদিন ওয়াদা করে সে আর বাড়িতে আসবে না; তারপরও সে পরেরদিন বাড়িতে চলে আসে । মায়ের কথা শুনে না । তাই মা বাধ্য হয়ে কমান্ডারের কাছে চিঠি লিখলেন আর বললেন,বাবা!
আপনার কাছে আমার একটা আবদার- আপনি কষ্ট করে হলেও পূরণ করবেন । আশা করি ফিরিয়ে দেবেন না । আমার আবদার হলো, আমার ছেলেকে যুদ্ধ শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত আর বাড়িতে আসতে দিবেন না । কিন্তু দেখা গেল তারপরও সে প্রতিদিনই বাড়িতে চলে আসছে । এদিকে মাও প্রতিদিন কমান্ডার সাহেবকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখেন । তার ছেলেকে ছাড়তে মানা করেন । কিন্তু পরের দিন আবার একই কাজ ।
অবশেষে মা বাধ্য হয়ে নিজেই কমান্ডার সাহেবের কাছে চলে গেলেন তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে । তার মা রাগে কথা বলতে পারছেন না। কমান্ডার সাহেবকে দেখা মাত্রই বলে উঠলেন,
কি ব্যাপার কমান্ডার সাহেব?
কেমন কমান্ডার আপনি?কিভাবে আপনি কমান্ডার হলেন? আর কেইবা আপনাকে কমান্ডার বানিয়েছেন?
যেখানে আপনি একজন সাধারণ সৈনিককে কন্ট্রোল করতে পারেন না সেখানে একটা কাফেলাকে কিভাবে কন্ট্রোল করবেন? এটা আমার মাথায় কোনভাবেই বুঝে আসেনা ।
★★এই কথাগুলো শুনে কমান্ডার সাহেব সাথে সাথে চোঁখের পানি ছেড়ে দিলেন আর বললেন- মাগো! আপনার সন্তান তো আজ থেকে নিয়ে ১৩ দিন আগেই শহীদ হয়ে গেছেন । কিন্তু আপনি আপনার একমাত্র সন্তানের বিরহ ব্যথা সহ্য করতে পারবেন না বিধায় আপনাকে জানাইনি ।
আর আপনি যে আপনার ছেলেকে প্রতিদিন দেখতে পান, আল্লাহ তাআলা আপনার ছেলের চেহারাকে আপনার সামনে ভাসিয়ে তুলেন, যেন আপনি আপনার আদরের একমাত্র সন্তানকে দেখে দেখে সান্তনা পান ।
তার মা একথা শুনে আলহামদুলিল্লাহ বলে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন । পরবর্তীতে ছেলে আর কোনদিন মায়ের সাথে দেখা করতে আসেনি । কমান্ডার সাহেব বললেন, মাগো! আল্লাহ আপনাকে শহীদের মা হিসেবে কবুল করেছেন । আপনি কত বড় সৌভাগ্যবান ! তবে মা আপনি মনে রাখবেন, যে কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করায় সেটা হল প্রকৃত নেয়ামত ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
এই মায়ের চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে ? তিনি দুনিয়াতে থেকেই জান্নাতের টিকেট আল্লাহর দরবারে জমা দিয়ে দিয়েছেন । জান্নাতকে সুনিশ্চিত করে ফেলেছেন ।
আল্লাহু আকবার !
আল্লাহু আকবার !!
একজন মা তার কত বড় উঁচু আকাঙ্ক্ষা, তার সন্তান শহীদ হবেন আর তিনি হবেন শহীদের মা । এমন মায়ের প্রতিটা সন্তানই আল্লাহর দ্বীনের জন্য অতন্দ্রপ্রহরী এবং উম্মাহর জন্য চক্ষুশীতলকারী।
তথ্যসূত্রঃ
শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
পৃষ্ঠা নং৬৬,,
একজন মা তার আদরের দুলাল প্রিয় সন্তানকে জিহাদের ময়দানে পাঠিয়ে দিলেন । আল্লাহর রাস্তায় জীবন কুরবান করার জন্য । আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দির জন্য । মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলে ময়দানে চলে গেলো এবং বীরত্বের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাগলো। কিন্তু সে প্রতিদিন সন্ধ্যায় যুদ্ধ শেষে মায়ের সাথে দেখা করার উদ্দেশে বাড়িতে ফিরে আসতো ।
মা শুধু বলেন- বাবা ! তুমি একেবারে ঐখানকার যুদ্ধ শেষ করে বাড়িতে এসো, তার আগে আর বাড়িতে এসো না । ছেলে মায়ের সাথে প্রতিদিন ওয়াদা করে সে আর বাড়িতে আসবে না; তারপরও সে পরেরদিন বাড়িতে চলে আসে । মায়ের কথা শুনে না । তাই মা বাধ্য হয়ে কমান্ডারের কাছে চিঠি লিখলেন আর বললেন,বাবা!
আপনার কাছে আমার একটা আবদার- আপনি কষ্ট করে হলেও পূরণ করবেন । আশা করি ফিরিয়ে দেবেন না । আমার আবদার হলো, আমার ছেলেকে যুদ্ধ শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত আর বাড়িতে আসতে দিবেন না । কিন্তু দেখা গেল তারপরও সে প্রতিদিনই বাড়িতে চলে আসছে । এদিকে মাও প্রতিদিন কমান্ডার সাহেবকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখেন । তার ছেলেকে ছাড়তে মানা করেন । কিন্তু পরের দিন আবার একই কাজ ।
অবশেষে মা বাধ্য হয়ে নিজেই কমান্ডার সাহেবের কাছে চলে গেলেন তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে । তার মা রাগে কথা বলতে পারছেন না। কমান্ডার সাহেবকে দেখা মাত্রই বলে উঠলেন,
কি ব্যাপার কমান্ডার সাহেব?
কেমন কমান্ডার আপনি?কিভাবে আপনি কমান্ডার হলেন? আর কেইবা আপনাকে কমান্ডার বানিয়েছেন?
যেখানে আপনি একজন সাধারণ সৈনিককে কন্ট্রোল করতে পারেন না সেখানে একটা কাফেলাকে কিভাবে কন্ট্রোল করবেন? এটা আমার মাথায় কোনভাবেই বুঝে আসেনা ।
★★এই কথাগুলো শুনে কমান্ডার সাহেব সাথে সাথে চোঁখের পানি ছেড়ে দিলেন আর বললেন- মাগো! আপনার সন্তান তো আজ থেকে নিয়ে ১৩ দিন আগেই শহীদ হয়ে গেছেন । কিন্তু আপনি আপনার একমাত্র সন্তানের বিরহ ব্যথা সহ্য করতে পারবেন না বিধায় আপনাকে জানাইনি ।
আর আপনি যে আপনার ছেলেকে প্রতিদিন দেখতে পান, আল্লাহ তাআলা আপনার ছেলের চেহারাকে আপনার সামনে ভাসিয়ে তুলেন, যেন আপনি আপনার আদরের একমাত্র সন্তানকে দেখে দেখে সান্তনা পান ।
তার মা একথা শুনে আলহামদুলিল্লাহ বলে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন । পরবর্তীতে ছেলে আর কোনদিন মায়ের সাথে দেখা করতে আসেনি । কমান্ডার সাহেব বললেন, মাগো! আল্লাহ আপনাকে শহীদের মা হিসেবে কবুল করেছেন । আপনি কত বড় সৌভাগ্যবান ! তবে মা আপনি মনে রাখবেন, যে কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করায় সেটা হল প্রকৃত নেয়ামত ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
এই মায়ের চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে ? তিনি দুনিয়াতে থেকেই জান্নাতের টিকেট আল্লাহর দরবারে জমা দিয়ে দিয়েছেন । জান্নাতকে সুনিশ্চিত করে ফেলেছেন ।
আল্লাহু আকবার !
আল্লাহু আকবার !!
একজন মা তার কত বড় উঁচু আকাঙ্ক্ষা, তার সন্তান শহীদ হবেন আর তিনি হবেন শহীদের মা । এমন মায়ের প্রতিটা সন্তানই আল্লাহর দ্বীনের জন্য অতন্দ্রপ্রহরী এবং উম্মাহর জন্য চক্ষুশীতলকারী।
তথ্যসূত্রঃ
শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
পৃষ্ঠা নং৬৬,,
Comment