জানীন আশ্রয় শিবিরের মর্মান্তিক ইতিহাস
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
জানীন আশ্রয় শিবির, এটি জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদকৃত ফিলিস্তিনিদের বহু পুরনো আশ্রয় শিবির । যুদ্ধে তাদের এলাকা গুঁড়িয়ে দেয়া হলে পশ্চিম তীরে তৈরি করা হয় এ শিবিরটি । প্রতিরোধ মুজাহিদদের ঘাঁটি গেড়েছে এই অভিযোগে এপ্রিলের শুরুতে ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে শিবিরকে অবরোধ করে হাগান সন্ত্রাসী বাহিনী ।
কিন্তু অল্প'কজন মুজাহিদীনের প্রতিরোধেরমুখে বার বার পিছু হটতে বাধ্য হয় । তারা ভেবেছে কয়েক হাজার মুজাহিদ এখানে অবস্থান করছে । অথচ মাত্র ১২ বা ১৫ জন মুজাহিদ ছিলেন। আর হাগান বাহিনীর সংখ্যা হল চারহাজার। প্রায় দুই সপ্তাহের ভয়াবহ লড়াইয়ের পরও জয়ী হতে পারেনি । তাই পুরো শিবিরটি ধুলিস্যাৎ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইহুদী বাহিনী ।
হেলিকপ্টারের ছত্রছায়ায় ট্যাংক আর আর্মড বোলডোজার নিয়ে কাপুরুষের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে । অধিবাসীদের ভিতরে রেখেই ধ্বসিয়ে দিতে থাকে একের পর এক শিবির । কত হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছিলেন সেদিন । হয়তো কোনদিনই জানা যাবে না । তা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী হত্যাযজ্ঞের পর গভীর গভীর গর্ত করে বহু মৃতদেহ তাতে মাটিচাপা দেয়া হয় । তারপর আবার মাটি ফেলে সমান করে দেয়া হয় ।
এই ঘটনার পর জানীন পরিদর্শন শেষে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত টেরি রড লারসনের বক্তব্য ছিল, জানীনে আমি যা দেখেছি তা অবিশ্বাস্যরকম ভয়ঙ্কর । পুরো শিবিরে ছড়িয়ে আছে মৃত্যুর গন্ধ । প্রতিটি ধ্বংসস্তুপের কারণে মনে হচ্ছিল ছোট ছোট পাহাড় । পচা লাশের দুর্গন্ধে আশপাশের গ্রামবাসী দুই মাস যাবত অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিল ।
★★কিন্তু ওরা তো শুধু বলে যায় এবং ভুলে যায়।এর নাম ইহুদী ! ধ্বংস, হত্যা ও গণহত্যা এবং হিংস্রতা, পাশবিকতা, নৃসংসতা এটাই হলো তাদের আজন্ম কলঙ্কের ইতিহাস । ইহুদি মানে মানবতার বিরুদ্ধে মহাঅপরাধী । তাদের মুখের কথায় তাদের কাগজের পাতায় শুধু পাওয়া যায় হিটলারের ইহুদিনিধন কাহিনী । এ বিষফোঁড়া যতদিন না নির্মূল করা সম্ভব হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আগুনেরঅগ্নি শ্বিখায় জ্বলতে হবে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
অন্তত আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই, নাম নিশানা পর্যন্ত মুছে ফেলা মুসলিম জনপদগুলোর কথা। আমরা যেন ভুলে না যাই ঐ সমস্ত শহীদানের কথা যারা তাদের জীবনকে তিলে তিলে নিঃশ্বেষ করেছেন উম্মাহর দরদ ব্যথায়। তাই আজ এ মহাবিপর্যয়ের বেদনাদগ্ধ সময়ে এর নতুন রক্তকে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ।
তথ্যসূত্রঃ
শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৬৯।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
জানীন আশ্রয় শিবির, এটি জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদকৃত ফিলিস্তিনিদের বহু পুরনো আশ্রয় শিবির । যুদ্ধে তাদের এলাকা গুঁড়িয়ে দেয়া হলে পশ্চিম তীরে তৈরি করা হয় এ শিবিরটি । প্রতিরোধ মুজাহিদদের ঘাঁটি গেড়েছে এই অভিযোগে এপ্রিলের শুরুতে ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে শিবিরকে অবরোধ করে হাগান সন্ত্রাসী বাহিনী ।
কিন্তু অল্প'কজন মুজাহিদীনের প্রতিরোধেরমুখে বার বার পিছু হটতে বাধ্য হয় । তারা ভেবেছে কয়েক হাজার মুজাহিদ এখানে অবস্থান করছে । অথচ মাত্র ১২ বা ১৫ জন মুজাহিদ ছিলেন। আর হাগান বাহিনীর সংখ্যা হল চারহাজার। প্রায় দুই সপ্তাহের ভয়াবহ লড়াইয়ের পরও জয়ী হতে পারেনি । তাই পুরো শিবিরটি ধুলিস্যাৎ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইহুদী বাহিনী ।
হেলিকপ্টারের ছত্রছায়ায় ট্যাংক আর আর্মড বোলডোজার নিয়ে কাপুরুষের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে । অধিবাসীদের ভিতরে রেখেই ধ্বসিয়ে দিতে থাকে একের পর এক শিবির । কত হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছিলেন সেদিন । হয়তো কোনদিনই জানা যাবে না । তা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী হত্যাযজ্ঞের পর গভীর গভীর গর্ত করে বহু মৃতদেহ তাতে মাটিচাপা দেয়া হয় । তারপর আবার মাটি ফেলে সমান করে দেয়া হয় ।
এই ঘটনার পর জানীন পরিদর্শন শেষে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত টেরি রড লারসনের বক্তব্য ছিল, জানীনে আমি যা দেখেছি তা অবিশ্বাস্যরকম ভয়ঙ্কর । পুরো শিবিরে ছড়িয়ে আছে মৃত্যুর গন্ধ । প্রতিটি ধ্বংসস্তুপের কারণে মনে হচ্ছিল ছোট ছোট পাহাড় । পচা লাশের দুর্গন্ধে আশপাশের গ্রামবাসী দুই মাস যাবত অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিল ।
★★কিন্তু ওরা তো শুধু বলে যায় এবং ভুলে যায়।এর নাম ইহুদী ! ধ্বংস, হত্যা ও গণহত্যা এবং হিংস্রতা, পাশবিকতা, নৃসংসতা এটাই হলো তাদের আজন্ম কলঙ্কের ইতিহাস । ইহুদি মানে মানবতার বিরুদ্ধে মহাঅপরাধী । তাদের মুখের কথায় তাদের কাগজের পাতায় শুধু পাওয়া যায় হিটলারের ইহুদিনিধন কাহিনী । এ বিষফোঁড়া যতদিন না নির্মূল করা সম্ভব হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আগুনেরঅগ্নি শ্বিখায় জ্বলতে হবে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
অন্তত আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই, নাম নিশানা পর্যন্ত মুছে ফেলা মুসলিম জনপদগুলোর কথা। আমরা যেন ভুলে না যাই ঐ সমস্ত শহীদানের কথা যারা তাদের জীবনকে তিলে তিলে নিঃশ্বেষ করেছেন উম্মাহর দরদ ব্যথায়। তাই আজ এ মহাবিপর্যয়ের বেদনাদগ্ধ সময়ে এর নতুন রক্তকে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ।
তথ্যসূত্রঃ
শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৬৯।
Comment