তখন মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দ্বিতীয় খালিফা হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু। বিভিন্ন ফ্রন্টে মুসলিম মুজাহিদদের কাছে কুফফাররা সূচনীয় পরাজয় বরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুসলিম ও পারস্যবাহিনীর মাঝে কাদেসিয়ার বিখ্যাত যুদ্ধ্ব সংগঠিত হলো। কাদেসিয়ার গর্ত ও খানাখন্দক হাজার হাজার সৈনিকের লাশে ভরে গেল। তবে সেগুলো মুসলিমদের লাশ ছিল না, ছিল পারস্যসম্রাটের বিশাল বাহিনীর সৈনিকদের লাশ। যুদ্ধে তাদের লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছে। কিন্তু কাদেসিয়ায় পরাজিত হয়ে পারস্যবাহিনী মনোবল হারালো না। উলটো প্রতিশোধের নেশায় নতুন করে সৈন্য সংগ্রহ করে তাদের ট্রেনিং ও নতুন অস্ত্রে সজ্জিত করে তুলল।
পারস্যসম্রাটের এই বিশাল বাহিনীর বিষয়ে যখন খালিফা উমর রা. জানতে পারলেন, তখন তিনি সিদ্ধ্বান্ত নিলেন, এই বিপজ্জনক তৎপরতার মুকাবিলায় মুসলিম সেনাদের নেতৃত্ব দিতে তিনি নিজেই ময়দানে নেমে পড়বেন। কিন্তু নেতৃস্থানীয় অনেকেই তাঁকে রাজধানী মদিনায় উপস্থিত থাকার আবশ্যকতা বুঝিয়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরিয়ে রাখলেন। অতঃপর তিনি নুমান ইবনে মুকাররিন আল-মুযানী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে এই যুদ্ধের সেনাপতি নিযুক্ত করলেন।
সেনাপতি নুমান ইবনে মুকাররিন রাযিয়াল্লাহু আনহু নাহাওয়ান্দা শহরে সেনাশিবির স্থাপন করে শত্রুবাহিনীর উপর অতর্কিতে হামলা চালানোর সিদ্ধ্বান্ত নিলেন। তিনি তিনবার তাকবীর দিয়ে শত্রুদের উপর সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লেন। একই সঙ্গে মুসলিম বাহিনীর সকল সৈনিক একযোগে শত্রুদের উপর বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল। বিবাদমান দুই দলের মাঝে এমন ভয়ংকর ও তুমুল যুদ্ধ শুরু হলো যে ইতিহাসের যার নজির মেলা ভার। এক পর্যায়ে সেনাপতি মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শহিদ হয়ে গেলেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধ্বান্তেই তাঁর ভাই সেনাপতির পতাকা নিজ হাতে সামলে নিয়ে নিজের চাদর দিয়ে তাঁর মৃতদেহ ঢেকে দিলেন। মুজাহিদবাহিনীর কাছে তাঁর শাহাদাতের খবর গোপন রাখলেন। যুদ্ধরত মুজাহিদগণ শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তাদের সেনাপতির ব্যাপারে কিছুই জানতে পারলেন না।
অবশেষে মুসলমানদের পক্ষে চূড়ান্ত বিজয় সূচিত হলো। বিজয়ী মুসলিম সৈনিকগণ এই চূড়ান্ত বিজয় লাভের খুশির মুহূর্তে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাদের বীর সেনাপতি নুমান ইবনে মুকাররিন রাযিয়াল্লাহু আনহুকে। তখন তাঁর ভাই চাদরটি শহীদ ভাইয়ের মৃতদেহ থেকে তুলে ধরে বললেন, এই যে আপনাদের আমির! এইখানে আপনাদের সেনাপতি! দেখুন, আল্লাহ তাআলা একই সঙ্গে তাঁকে বিজয় ও শাহাদাতের পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। যুদ্ধ্বের বিজয় দ্বারা তার চক্ষু শীতল করেছেন আর শাহাদাতের অমূল্য মর্যাদা দিয়ে ইহজীবনের সমাপ্তি টেনেছেন।
-সংগৃহীত
পারস্যসম্রাটের এই বিশাল বাহিনীর বিষয়ে যখন খালিফা উমর রা. জানতে পারলেন, তখন তিনি সিদ্ধ্বান্ত নিলেন, এই বিপজ্জনক তৎপরতার মুকাবিলায় মুসলিম সেনাদের নেতৃত্ব দিতে তিনি নিজেই ময়দানে নেমে পড়বেন। কিন্তু নেতৃস্থানীয় অনেকেই তাঁকে রাজধানী মদিনায় উপস্থিত থাকার আবশ্যকতা বুঝিয়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরিয়ে রাখলেন। অতঃপর তিনি নুমান ইবনে মুকাররিন আল-মুযানী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে এই যুদ্ধের সেনাপতি নিযুক্ত করলেন।
সেনাপতি নুমান ইবনে মুকাররিন রাযিয়াল্লাহু আনহু নাহাওয়ান্দা শহরে সেনাশিবির স্থাপন করে শত্রুবাহিনীর উপর অতর্কিতে হামলা চালানোর সিদ্ধ্বান্ত নিলেন। তিনি তিনবার তাকবীর দিয়ে শত্রুদের উপর সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লেন। একই সঙ্গে মুসলিম বাহিনীর সকল সৈনিক একযোগে শত্রুদের উপর বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল। বিবাদমান দুই দলের মাঝে এমন ভয়ংকর ও তুমুল যুদ্ধ শুরু হলো যে ইতিহাসের যার নজির মেলা ভার। এক পর্যায়ে সেনাপতি মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শহিদ হয়ে গেলেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধ্বান্তেই তাঁর ভাই সেনাপতির পতাকা নিজ হাতে সামলে নিয়ে নিজের চাদর দিয়ে তাঁর মৃতদেহ ঢেকে দিলেন। মুজাহিদবাহিনীর কাছে তাঁর শাহাদাতের খবর গোপন রাখলেন। যুদ্ধরত মুজাহিদগণ শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তাদের সেনাপতির ব্যাপারে কিছুই জানতে পারলেন না।
অবশেষে মুসলমানদের পক্ষে চূড়ান্ত বিজয় সূচিত হলো। বিজয়ী মুসলিম সৈনিকগণ এই চূড়ান্ত বিজয় লাভের খুশির মুহূর্তে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাদের বীর সেনাপতি নুমান ইবনে মুকাররিন রাযিয়াল্লাহু আনহুকে। তখন তাঁর ভাই চাদরটি শহীদ ভাইয়ের মৃতদেহ থেকে তুলে ধরে বললেন, এই যে আপনাদের আমির! এইখানে আপনাদের সেনাপতি! দেখুন, আল্লাহ তাআলা একই সঙ্গে তাঁকে বিজয় ও শাহাদাতের পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। যুদ্ধ্বের বিজয় দ্বারা তার চক্ষু শীতল করেছেন আর শাহাদাতের অমূল্য মর্যাদা দিয়ে ইহজীবনের সমাপ্তি টেনেছেন।
رضوان الله تعالى عليهم أجمعين
-সংগৃহীত
Comment