এখানে আমার সংগ্রহে থাকা কিছু বই থেকে উদ্ধৃতি পেশ করে বুঝার সুবিধার্থে নিজ থেকে কিছু কথা বলা হয়েছে বিষয়টি খোলাসা করতে।নিজ থেকে বলা কথাগুলো"মন্তব্য" শব্দের মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।আর এতে যেকোন রূপ অর্থগত তথ্যগত ভুল থাকলে তা কেবলমাত্র আমার উপরই বর্তাবে।
লাল মসজিদ পরিচিতি
"লাল মসজিদ অবরোধ: যে ঘটনা ঘুরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানের ভাগ্যের চাকা" এই প্রবন্ধকার লেখে:
মন্তব্য:এটা অতি স্বাভাবিক একটি বিষয় যে,একটি হক্বের মারকায মুজাহিদদের পক্ষে তাগুত পাকি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে।
মন্তব্য:যতদিন না তাদের প্রভু আমেরিকা অসন্তুষ্ট হয়।
মন্তব্য:বাতিল পন্থীরা হক্বকে ভয় পেয়ে আসছে, পাচ্ছে এবং পাবে এটাই চিরন্তন সত্য বিষয়।
মন্তব্য:সেভাবে প্রভাব বিস্তার তো কখনোই করত পারেনি তবে তাদের মাঝে এক প্রকার সখ্যতা হয়তো ঐসময় পর্যন্ত ছিল যতদিন পাকিস্তান সরকার আফগানিস্তানের সাহায্য করতো এবং তাদের প্রভু আমেরিকার সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের নোংরা চেহারার বহিঃপ্রকাশ তখনো ঘটায়নি। যখন মূলত সত্যি প্রকাশ পেয়েছে তখন এই দ্বীনের নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিগন তাদের নিয়ন্ত্রণ তো দূর কি বাত, তাদের মানবে কেন?
(সংক্ষেপে মাওলানা গাজী আব্দুল্লাহ শহীদ রহঃ এর পরিচয় ও শাহাদাত)
মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহেবের পরিচয়:
১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের রাজধানী যখন করাচি থেকে ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়, তখন ইসলামাবাদে স্থাপিত প্রথম মসজিদ ছিল লাল মসজিদ। ইসলামাবাদের সিনিয়র জেনারেল ও রাজনীতিবিদরা প্রায় এই মসজিদে যাতায়াত করতেন।
উম্মে হাসান পরিচিতি এবং উনাদের কুরবানীর সংক্ষিপ্ত দাস্তান
(হাম পর কিয়া গুজরি কিতাবের শুরুর অংশ)
চলবে ইনশাআল্লাহ......
লাল মসজিদ পরিচিতি
- "১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের রাজধানী যখন করাচি থেকে ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়, তখন ইসলামাবাদে স্থাপিত প্রথম মসজিদ ছিল লাল মসজিদ। ইসলামাবাদের সিনিয়র জেনারেল ও রাজনীতিবিদরা প্রায় এই মসজিদে যাতায়াত করতেন।"
- "ধর্মভিত্তিক মিলিট্যান্টদের(তথা মুজাহিদদের) সঙ্গে লাল মসজিদের সম্পর্ক ছিল বেশ পুরনো, কিন্তু অতীতে এই সম্পর্ক ছিল মূলত রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট। ১৯৮০–এর দশকে এই মসজিদটি আফগানিস্তানে চলমান সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য যোদ্ধা নিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। আফগানিস্তান ও ভারতীয়–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পাকিস্তানি–সমর্থিত ‘জিহাদে’ অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য এটি ছিল একটি ট্রানজিট পয়েন্ট।"
মন্তব্য:ইসলামী দিক থেকে তো এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগী কাজ যে,এই মসজিদ আফগান ও কাশ্মীর মুজাহিদদের সঙ্গদাতা ও সাহায্যকারী। এছাড়া তৎকালীন সময়ে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের কাছে ও এটি ছিল অত্যন্ত সাধারণ বিষয়, কেননা তখন স্বয়ং পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীর মুজাহিদদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।যা এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা এজেন্সি কাশ্মীর জিহাদ কে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মহা কুরবানীর অধিকারী এই পূণ্যময় কাশ্মীর জিহাদ কে কলংকিত করে ছাড়ে।আর পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের সাহায্য তো ছিল আরো সাধারণ বিষয় যা পাকিস্তান সরকার মূলত করেছিল তার প্রভু আমেরিকার খুশির জন্য। তাইতো ৯/১১ এর পাকিস্তান সরকার তার প্রভুর নির্দেশনা অনুযায়ী নিজের প্রকৃত নোংরা চেহারার প্রকাশ ঘটায়। এখানে প্রবন্ধটারের লেখাটি একান্তই তার রুচি অনুযায়ী লেখা।
- "১৯৯০–এর দশকে মসজিদটির সঙ্গে তালিবান ও আল–কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়।"
মন্তব্য:হ্যাঁ হতেই পারে আল কায়েদা যেহেতু একটি ইসলামী জিহাদি সংগঠন তো তার সাথে একটি ইসলামী কেন্দ্রের আত্মিক সম্পর্ক তো চির অটুট এক বন্ধন, ইতিহাস এর অসংখ্য প্রমানে ভরপুর। সেটা ঐসময় অন্তর থেকে মুখে এসেছে এতটুকুই পার্থক্য।
- " প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ গাজী ১৯৯৮ সালে তালিবান নেতা মোল্লা ওমরকে ‘সম্মান জ্ঞাপনে’র উদ্দেশ্যে কান্দাহার সফর করেন এবং সেখানে আল–কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। তিনি লাদেনকে তার আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।"
মন্তব্য:দীর্ঘ সময় পর একজন আমিরুল মুমিনীন আমরা পেলাম তো একজন সত্যিকারের ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী, প্রভাবশালী, দ্বীনের জন্য আপোষহীন লড়াকু সৈনিক আলেম গাজী আব্দুল্লাহ রহঃ সেই আমিরুল মুমিনীন কে সম্মান জ্ঞাপনের জন্য যাবেন না এটাই অস্বাভাবিক। বরং তার যাওয়াটাই হচ্ছে অতি স্বাভাবিক।আর সেখানে গিয়ে যদি ইসলামি আরো একজনের প্রান পুরুষ দ্বীনের জন্য নিকট অতীতে যার অবদান শুধু ঈর্ষণীয় নয় মহা ঈর্ষণীয় সেই মহা ব্যক্তি যার নেতৃত্বের যাবতীয় গুনাবলীর অধিকারী হয়েও বিনয়ের সাথে উম্মাহর ঐক্যের স্বার্থে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন একজন ওলীয়ে কামেল আমীরুল মুমিনিনের হাতে সেই মহান ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করা ও আদর্শ মনে করা অবশ্যই অতি প্রশংসনীয় কাজেরই একটি। বর্তমান অবস্থায় মারা গেলে যামানার শ্রেষ্ঠ বিনোদন দাতা ফুটবল খেলোয়াড় মেসি নেইমার রা হবে নিশ্চিত জাহান্নামি তাদের এই বিনোদনের কারণে তারা কতজনের কাছে আদর্শ! সেটা দোষ মনে করা হয় না, অথচ এরা এই বিনোদন শুধুমাত্র নিজেদের উপকার আছে বলেই করে বেড়ায়।আর এই মহান বীর পুরুষগন নিজেকে ভুলে উম্মাহর জন্য নিজেকে কুরবান করেছেন উনারা কারো আদর্শ সেটা তাদের আর বুঝে আসতে চায় না।
- "ইসলামাবাদের লাল মসজিদ কমপ্লেক্স ও সংলগ্ন মাদরাসার প্রধান ছিলেন আফগান জিহাদের একজন বলিষ্ঠ সমর্থক।মোল্লা ওমর ও শায়েখ উসামা রহঃ এর সাক্ষাত করে আসার"এর কয়েক মাসের মধ্যেই নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে আততায়ীরা তাকে হত্যা করলে এরপর তার দুই আলেম ছেলে আব্দুল আজিজ ও আব্দুল রাশিদ লাল মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে এ কমপ্লেক্স পরিচালনা করে এসেছেন।
"....এমসজিদ সর্বদা দ্বীনি আন্দোলনের মারকায হিসেবে ভূমিকা পালন করে এসেছে।তেহরিকে নেজামে মুস্তফা, তেহরিকে খতমে নবুওয়ত,তেহরিকে তাহাফফুজে নামুসে রিসালত, থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের উপর সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার আগ্রাসী আক্রমনের প্রতিবাদ সবক্ষেত্রেই এই মসজিদ থেকে তাওহীদের ধ্বনি উচ্চকিত হয়েছে এবং এর মিম্বার থেকে যথাযথ নির্দেশনা পেয়ে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিপাহিরা নতুন বলে বলিয়ান হয়েছে।
(রক্তাক্ত লাল মসজিদ, মুফতি আলী হাসান উসামা)"লাল মসজিদ অবরোধ: যে ঘটনা ঘুরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানের ভাগ্যের চাকা" এই প্রবন্ধকার লেখে:
- "কিন্তু ২০০৭ সালের পূর্ববর্তী বছরগুলোতে এই মসজিদটি পাকিস্তানি সরকারের সঙ্গে মিলিট্যান্টদের (মুজাহিদদের মধ্যকার)দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।"
মন্তব্য:এটা অতি স্বাভাবিক একটি বিষয় যে,একটি হক্বের মারকায মুজাহিদদের পক্ষে তাগুত পাকি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে।
- " পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একদিকে এই মিলিট্যান্টদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল,"
মন্তব্য:যতদিন না তাদের প্রভু আমেরিকা অসন্তুষ্ট হয়।
- " আবার অন্যদিকে তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে ভয়ও পেত।"
মন্তব্য:বাতিল পন্থীরা হক্বকে ভয় পেয়ে আসছে, পাচ্ছে এবং পাবে এটাই চিরন্তন সত্য বিষয়।
- "তারা অংশত এই মিলিট্যান্টদের নিয়ন্ত্রণ করত, কিন্তু ক্রমশ তাদের পক্ষে এই মিলিট্যান্টদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে উঠছিল।"
মন্তব্য:সেভাবে প্রভাব বিস্তার তো কখনোই করত পারেনি তবে তাদের মাঝে এক প্রকার সখ্যতা হয়তো ঐসময় পর্যন্ত ছিল যতদিন পাকিস্তান সরকার আফগানিস্তানের সাহায্য করতো এবং তাদের প্রভু আমেরিকার সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের নোংরা চেহারার বহিঃপ্রকাশ তখনো ঘটায়নি। যখন মূলত সত্যি প্রকাশ পেয়েছে তখন এই দ্বীনের নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিগন তাদের নিয়ন্ত্রণ তো দূর কি বাত, তাদের মানবে কেন?
(সংক্ষেপে মাওলানা গাজী আব্দুল্লাহ শহীদ রহঃ এর পরিচয় ও শাহাদাত)
- ইসলামাবাদের লাল মসজিদ কমপ্লেক্স ও সংলগ্ন মাদরাসার প্রধান মাওলানা গাজী আব্দুল্লাহ রহঃ ছিলেন আফগান জিহাদের একজন বলিষ্ঠ সমর্থক। তিনি ১৯৯৮ সালে তালিবান নেতা মোল্লা ওমরকে ‘সম্মান জ্ঞাপনে’র উদ্দেশ্যে কান্দাহার সফর করেন এবং সেখানে আল–কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। তিনি লাদেনকে তার আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এর কয়েক মাসের মধ্যেই নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকা যখন আফগানিস্তানের উপর ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিজেদের চরম ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে তখন হজরত মাওলানা আব্দুল্লাহ শহীদ রহঃ এর যবান আমেরিকার বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর গর্জে উঠে এবং শেষাবধি এই অপরাধেই (?) আততায়ীরা তাকে হত্যা করে শহীদ করে দেয়
মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহেবের পরিচয়:
১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের রাজধানী যখন করাচি থেকে ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়, তখন ইসলামাবাদে স্থাপিত প্রথম মসজিদ ছিল লাল মসজিদ। ইসলামাবাদের সিনিয়র জেনারেল ও রাজনীতিবিদরা প্রায় এই মসজিদে যাতায়াত করতেন।
- ইসলামাবাদের লাল মসজিদ কমপ্লেক্স ও সংলগ্ন মাদরাসার প্রধান ছিলেন আফগান জিহাদের একজন বলিষ্ঠ সমর্থক। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে আততায়ীরা তাকে হত্যা করলে তার সুযোগ্য জানেশীন দু আলেম ছেলে মাওলানা আব্দুল আজিজ রহঃ ও মাওলানা গাজী আব্দুর রশীদ রহঃ এ কমপ্লেক্স পরিচালনা করে এসেছেন। তাদের বড়জন ছিলেন মাওলানা আব্দুল আজিজ রহঃ।
মাওলানা আব্দুল আজিজ ছিলেন পাকিস্তানের সেন্ট্রাল মসজিদ (লাল মসজিদ) এর ইমাম ও খতিব। তিনি আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগান জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা এক মহান মানুষ ছিলেন। মাওলানা ছিলেন সরল, কিন্তু দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ একজন মানুষ। একজন দায়িত্বশীল আলিম,গভীর ধর্মীয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ,অতিসংবেদনশীল ব্যক্তি ছিলেন।২০০৪ সালে যখন পাক বাহিনী ওয়াজিরিস্তানে হামলা চালায় তখন পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ফতোয়া ফতোয়া প্রদান কারী, বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন, লড়াকু সৈনিক আলেম। যিনি তাগুত সরকারকে শরীয়া আইন বাস্তবায়ন করতে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় নেফাজে শরীয়া তথা শরীয়া আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
সালিম শেহজাদের ভাষায়:- "(মাওলানা আব্দুল) আজিজ সাধারণ কোন ধর্মীয় নেতা বা সাধারণ আলেম ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাক সেনাবাহিনীর আস্থাভাজন সমন্বয়ক; কারণ: তিনি কাশ্মীর বিদ্রোহের জন্য শত শত তরুণ কে জাগিয়ে তুলেছিলেন। প্রতি বছর কাশ্মীরী সশস্ত্র সংগঠনের প্রধান হরকাতুল মুজাহিদীনের প্রধান কমান্ডার ফজলুর রহমান খলিল তার কাছে এসে বসে থাকতেন। আজিজের আহ্বানে কয়েকদিনের মধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শত যুবক কাশ্মীরী সংগ্রামে নামতে প্রস্তুত হন। ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত অনেক ধর্মপ্রাণ নাগরিক ও সামরিক আমলা তাদের মেয়েদের আজিজ কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাসা জামিয়া হাফসায় পড়তে পাঠাতেন।একই সঙ্গে এখানকার অধিকাংশ অভিভাবক তার ভাই আব্দুর রশীদ গাজীর সাথে ইসলামাবাদের একটি নাগরিক অধিকার কমিটির নেতৃত্ব দিতেন।
উম্মে হাসান পরিচিতি এবং উনাদের কুরবানীর সংক্ষিপ্ত দাস্তান
- হযরত খাওলা ও হযরত খানসা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমার মুজাহিদ সুলভ কৃর্তি জীবন্তকারি, বীরত্ব এবং স্বতন্ত্রতার বাহক,লজ্জাশীলতা ও পবিত্রতার আমানতদার, ইসলামী ইতিহাসের মাথার ঝুমুর,শুহাদাদের মা মুহতারামা উম্মে হাসান সাহেবা আমাদের ইতিহাসের এক অটল অবিচল, ভোলার অনুপযুক্ত নিদর্শনে পরিণত হয়েছেন। জামিয়া হাফসার বিরুদ্ধে অপরেশনের সময় তিনি যে, বাহাদুরি সাহসিকতা ও বীরত্বের সাথে কঠিন দিন অতিবাহিত করেছেন ইতিহাস কখনো তা ভুলতে পারবে না।
- তেনার পূর্ণ শরীর যেন স্নেহ ভালোবাসার কেন্দ্র। হাজার লা ওয়ারিশ ও আশ্রয়হীন বাচ্চাদের জন্য আশ্রয়স্থল এবং তাদের জন্য শীতল ছায়ার মতো। ছাত্রীরা তেনাকে আপন মনে করে মুহাব্বতের সাথে আপাজান বলে ডাকতো। মাওলানা আব্দুল্লাহ্ শহীদ রহঃ এর দৃঢ়তা সমৃদ্ধ পরিবারের একজন সদস্য হওয়ার সুবাদে মুহরামা উম্মে হাসান সাহেবা মুজাহাদা এবং কুরবানীর অংশীদার হয়ে গেছেন। মাওলানা আব্দুল আজিজের সঙ্গ তেনার ব্যক্তিত্বকে ইখলাস,লিল্লাহিয়াত এবং তাকওয়া তাওয়াক্কুলের গুনে সুসজ্জিত করে দিয়েছে। তিনি মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহেবের সাথে মিলে ইসলামের মহিলা এবং কওমের বাচ্চাদের জন্য পর্দানশীন দ্বীনি পরিবেশে দ্বীনের প্রসার ইসলামের পুনর্জীবিত করতে জামিয়া সাইয়েদা হাফসার ভিত্তি রাখেন। মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং মুহতারামা উম্মে হাসান সাহেবার ইখলাস, দোয়া এবং রাত দিনের মেহনতের বদৌলতে দেখতে দেখতে এক ছোট মাদ্রাসা ইসলামী বিশ্বের মহিলাদের দ্বীনি তালিম তরবিয়তের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো। অল্প অল্প করে জুড়ে জুড়ে এই লোকেরা কওমের আশ্রয়হীন বাচ্চাদের জন্য এক ছোট আশ্রয়কেন্দ্র বানালেন। কয়েক বছরের চেষ্টা সাধনার পর যখন শান্তি ও সাহায্যের দরজা খুলে গেল তখন ঐ লোকেরা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ, দ্বীনের স্থায়িত্ব,হকের মাথা উঁচু করা এবং শরীয়ত বাস্তবায়নের খাতিরে শান্তি এবং আরাম পিছনে ফেলে নিজ বংশকে জবেহ করে দিয়ে এবং মাদ্রাসা সমূহের কুরবানী পেশ করার মাধ্যমে এক বিরল উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত করেন।
(হাম পর কিয়া গুজরি কিতাবের শুরুর অংশ)
চলবে ইনশাআল্লাহ......
Comment