ভূমিকা শেষ পর্ব
পাকিস্তান কি ইসলামী রাষ্ট্র?
এই মাসআলা বর্তমান সময়ে অনেক সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে যে,পাক সরকার মূলত আমেরিকার ডলার খোর,দালাল,বিশ্বাসঘাতক,ও ইসলামের চূড়ান্ত শত্রুর সাথে একমত ও পথের বহুদিনের পরিক্ষীত সঙ্গী।যা যুগ যুগ ধরে প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্নভাবে।সে আলোচনা ও ইতিহাস অনেক দীর্ঘ, তবে কোন অনুসন্ধানী ভাই পাক সরকার ও সেনাবাহিনীর কুকর্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে gazwah.net এ পর্যাপ্ত রিসোর্স আপনার জন্য রয়েছে দেখে নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
আপনারা সকলে হয়তো নিশ্চয় পড়েছেন গত ১৬/১০/২৫ ইং তারিখে আল ফিরদাউস নিউজে একটি লেখা এসেছে
"পাকিস্তানের শাসকদের ব্যাপারে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর বক্তব্য ও উলামায়ে কেরামের ইজমা
পাকিস্তানের শাসকদের ব্যাপারে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. আজ থেকে ত্রিশবছর আগের বক্তব্য। যদি তিনি আজকের বর্তমান শাসকদের দেখতেন যারা নিজ দেশের নাগরিকদের উপর তথাকথিত ‘যরবে আযাব’ পরিচালনা কারী, যারা ইমারাতে ইসলামিয়্যাকে ধ্বংসের জন্য পূর্বেও আমেরিকাকে সাহায্য করেছে এখনও আমেরিকার সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, যারা ইসরাইলকে নগ্ন সমর্থন ও সহায়তাকরী ট্রাম্প যেন নোবেল পুরস্কার পায় সে জন্য নির্লজ্জ চাটুকারের মত লবিং করে যাচ্ছে, তাহলে কি বলতেন?
جس بنيادي مقصد كا باربار اعلان كيا جاتاتھا كه اسلامي حكومت قائم ہوگي اور يوں عالمٍ اسلامي سے اتحاد ہوگا، اس كے لۓ حكمرانوں اور حكومتو ں نے كيا كيا؟ اپنے وعدوں كو كهاں تك پورا كيا؟ يهاں كون كون سے اسلامي قوانين جاري هوۓ؟ كفر والحاد كو كهاں تك ختم كيا گيا؟ اسلامي معاشرت قائم كرنے كے لۓ كيا كيا اقدام كۓ گۓ؟ ان تمام سوالات كا جواب حسرت ناك نفي مں ملے گ، آخر امتحان كا يه عبوري دور تھا، كون سي نعمت تھي جو حق تعالى نے نه دي هو؟ كون سي فرصت تھي جو نه ملي هو؟ ليكن واحسرتاه! كه ربع صدي سے زياده عرصه گزر گيا، مگر پاكستان كے مقصدِ وجود كا خواب شرمندہ تعبير نه هوا، كون سا وعده پورا كيا گيا؟ كون سي اسلامي عدالت قائم هوئي؟ زاني اور شرابي كو كون سي سزادي گئي؟ بد اخلاقي كا كيا انسداد كيا گيا؟ ظلم، عدوان، رشوت ستاني، كنبه پروري، بے حيائي وعرياني، سودخوري وبدمعاشي كو ختم كرنے كے لۓ كون سا قدم اٹھايا گيا؟ بلكه اس كے برعكس يه هوا كه سودخوري، شراب نوشي، بد اخلاقي اور بے حيائي كي نه صرف حوصله افزائي كي گئي، بلكه سركاري ذرائع سے اس كي نشر واشاعت ميں كوئي كسر باقي نہيں اٹھا ركھي گئي، “بينات” كےصفحات ميں ان دردناك داستانوں كو باربار دهرايا گيا هے – (مجلة بينات، العدد : جمادى الأخرى 1437 ص 17)
“পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার যে মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বারবার ঘোষণা করা হতো যে, ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে আর এভাবেই ইসলামী বিশ্বের সাথে পাকিস্তানের ঐক্য হবে, এ লক্ষ্য পূরণে সরকার ও শাসকশ্রেণী কি কাজ করেছে? নিজেদের কৃত ওয়াদা কতটুকু পূর্ণ করেছে, এদেশে ইসলামের কোন কোন বিধান বাস্তবায়ন হয়েছে? কুফর ও ধর্মদ্রোহীতা কোন স্তর পর্যান্ত মেটানো হয়েছে? ইসলামী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত দুঃখজনক ও নেতিবাচক ভাবেই মিলবে। এটা তো পরীক্ষাস্বরুপ অন্তর্বর্তীকাল ছিল। আল্লাহ তায়ালা কোন নেয়ামত দিতে বাকী রেখেছিলেন? কোন সুযোগটা হাতছাড়া রয়ে গিয়েছিল?
হায় আফসোস! পচিশ বছরেরও বেশি পেরিয়ে গেল, কিন্তু পাকিস্তান গঠনের স্বপ্ন পূরণ হল না।কোন ওয়াদাটা রক্ষা করা হয়েছে? কোথায় ইসলামী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? ব্যাভিচারী ও মদ্যপকে কি শাস্তি দেওয়া হয়েছে? অনৈতিকতা ও বদআখলাকী কতটুকু মেটানো হয়েছে? জুলুম-অত্যাচার, ঘুষখোরী-সুদখোরী, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা ও জাতিয়তাবাদ দমন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? বরং এর বিপরীত সুদখোরী, মদপান, অনৈতিকতা ও বেহায়াপনার প্রতি শুধু উৎসাহিত করাই হয়নি, এরচেয়েও আগে বেড়ে সরকারী মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে এগুলোর প্রচার-প্রসার করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে!!! -বাইয়িনাত, সংখ্যা: জুমাদাল উখরা ১৪৩৭ পৃ: ১৭
এবার ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর বিবরণ অনুযায়ী পাকিস্তানের হালত জানার পর এ ধরণের রাষ্ট্রের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের ইজমায়ী সিদ্ধান্তও জেনে নিন। মুহাদ্দিস আবুল আব্বাস কুরতুবী মালেকী রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ৬৫৬ হি.) বলেন,
قوله على المرء المسلم السَّمع والطاعة ظاهر في وجوب السمع والطّاعة للأئمة والأمراء والقضاة، ولا خلاف فيه إذا لم يأمر بمعصية، فإن أمر بمعصية فلا تجوز طاعته في تلك المعصية قولًا واحدًا، ثم إن كانت تلك المعصية كفرًا وَجَبَ خَلعُه على المسلمين كلهم، وكذلك لو ترك إقامة قاعدة من قواعد الدين كإقام الصلاة وصوم رمضان وإقامة الحدود ومَنَع من ذلك، وكذلك لو أباح شرب الخمر والزنا ولم يمنع منها لا يختلف في وجوب خَلعِهِ. (المفهم لما أشكل من تلخيص صحيح مسلم: 4/39 ط. دار ابن كثير: 1497)
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “মুসলিমের উপর শ্রবণ ও আনুগত্য ওয়াজিব”, প্রমাণ করে, মুসলমানদের জন্য ইমাম, আমির ও কাযীর আনুগত্য করা ওয়াজিব, আর এ ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে কোন দ্বিমতও নেই, যতক্ষণ না শাসক গুনাহের আদেশ করে। যদি শাসক গুনাহের আদেশ করে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে সে গুনাহের কাজে তার আনুগত্য করা জায়েয হবে না। এখন সেই গুনাহটা যদি কুফর হয়, তাহলে সকল মুসলমানের উপর ফরজ হলো, তাকে অপসারণ করা। এমনিভাবে সে যদি নামায, রমযানের রোযা, হুদুদ তথা দণ্ডবিধির মতো দ্বীনের মৌলিক কোন বিধান প্রতিষ্ঠা করা ছেড়ে দেয় এবং সেগুলো পালনে বাধা দেয়, তদ্রুপ সে যদি মদপান ও যিনাকে বৈধতা দান করে এবং সেগুলো থেকে বারণ না করে, তখনও তার অপসারণ ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।” –আল-মুফহিম: ৪/৩৯
(নিউজ সমাপ্ত)
"সরকারি জায়গায় মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গ" এধরনের মসজিদ গুলো মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা।এই মাসআলা একসময়ের পাকিস্তানের সাড়া জাগানিয়া মাসআলা ছিল এবং এই মাসআলার সাথে এই ঘটনার রয়েছে অনেক অনেক সপৃক্ততা। যে মাসআলার বিষয়ে তৎকালীন সময়ে হক্বের ঝান্ডা নিয়ে বিননুরী টাউন থেকে গর্জে উঠেছিলেন মুফতী ওয়ালি হাসান টুংকী রহঃ।
কোন হুমকি ধামকি দিয়ে হক্বের এই সিংহ পুরুষকে সেদিন দমানো সম্ভব হয়নি।এক পর্যায়ে পাকিস্তানের নাপাক সরকার হক্বের কাছে মাথানত করে মুফতী আযম মুফতী ওয়ালি হাসান টুংকী রহঃ এর কাছে পরাজিত হতে বাধ্য হয়।
সে ঐতিহাসিক সময়ে মুফতী আযম মুফতী ওয়ালি হাসান টুংকি রহঃ বর্তমান সময়ের শাইখুল ইসলাম খ্যাত তাকি উসমানী সাহেব কে বলেছিলেন:
" মুফতি সাহেব (মুফতী আযম মুফতী ওয়ালি হাসান টুংকী রহঃ )তাঁকে (মুফতী তাকী উসমানি সাহেবকে)বুঝালেন,দেখুন,এই দেশ এখনো ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেনি। শুধু ঘোষণা দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র তৈরি হয় না।অন্তত আইনকানুনে এর সামান্য হলেও প্রয়োগ থাকতে হয়। আমার মতে,এই দেশ এখনো শরয়িভাবে ইসলামী হতে পারেনি। যদি ইসলামী হতো তাহলে খাস জমিতে বিনা অনুমতিতে মসজিদ তৈরি জায়েজ হতো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি একটি মুসলিম রাষ্ট্র।
(মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামি রহঃ এর "আত্মজীবনী" পৃষ্ঠা নং:১৪৬,ইত্তিহাদ পাবলিকেশন)
বিঃদ্রঃ মুফতীয়ে আযম আল্লামা ওয়ালী হাসান টুংকী রহঃ মুফতী তাকী উসমানী সাহেবের উস্তাদ ছিলেন।
এখানে মুফতী আযম মুফতী ওয়ালি হাসান টুংকি রহঃ এর সুস্পষ্ট মতামত হল পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র ইসলামী নয়।
২০২২ সালে দীর্ঘদিন ধরে ইমারাতে ইসলামিয়ার মধ্যস্থতায় কাবুলে পাক-সরকার ও টিটিপি’র প্রতিনিধি দলের মাঝে আলোচনা চলছিল যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে। আলোচনায় টিটিপিকে তখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি কারানো গেলেও অন্যান্য বিষয়গুলোতে নমনীয় করাতে পারেনি সরকার দলীয় প্রতিনিধিরা। আর সেই লক্ষ্যে অর্জনের জন্য পাক সরকার বেছে নেয় ভিন্ন পন্থা।সেসময় পাকিস্তান সরকারের পরামর্শে শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী ওসমানী হাফিজাহুল্লাহ্ এর নেতৃত্বে পাক-আলেমদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সফরে যান।
যা গত ৩০/৬/২২ ইংরেজি তারিখে
" কাবুল সফরে তাকী ওসমানী (হাফি.)’র নেতৃত্বে উলামাদের দল: টিটিপির ৮ পৃষ্ঠার নথি প্রেরণ"শিরোনামে alfirdaws.org তে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
সফর থেকে আসার পর হযরত শাইখুল ইসলাম হাফিজাহুল্লাহ এক ভিডিও কনফারেন্সে সেই সফর সম্পর্কে আলোচনা ব্যক্ত করেন।সেই আলোচনায় তিনি পাকিস্তানের সরকারকে ইসলামী সরকার বলেন।মুফতি সাহেব বলেছেন যে,"পাকিস্তান একটি ইসলামী রাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ বাগাওয়াত"(বিদ্রোহ)। এই বিষয়টি সুস্পষ্ট করতে টিটিপির আমীর আবু আসেম মানসুর মুফতী নুর ওয়ালি মেহসুদ হাফিজাহুল্লাহ তখন তেনার ওজাহাতি আলোচানায় বলেছিলেন :
"যখন আমাদের নিকট পাকিস্তানের শাসকদের ইমামে আদেল সাব্যস্ত করা কখনো সম্ভব নয়! কেননা তারা বর্তমান ইসলামী বিশ্ব কুফরের সাথে বিশ্বব্যাপী চলমান লড়াইয়ে সন্ত্রাসবাদের নামে বিশ্ব সন্ত্রাসী।তারা আমেরিকা ও ন্যাটোকে সঙ্গদাতা,আফগান জাতি ও ইরাকের সাধারণ জনগনের বিরুদ্ধে আমেরিকার বর্বরতার সঙ্গদাতা, আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মানসুর রহঃ আলাইকে আমেরিকার বাহিনীর জন্য শহীদ করেছে, ইসলামের দূত/বার্তাবাহক নীতি পদদলিত করে তালেবান বার্তাবাহক মোল্লা আব্দুস সালাম জাইফ সাহেব কে অত্যন্ত লাঞ্ছনার সাথে আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করে, আমেরিকার সন্তুষ্টির জন্য তালেবান সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ওবায়দুল্লাহ আখন্দজাদাহ কে গ্রেফতার করে হত্যা করে, সম্মানিত ব্যক্তিত্ব, আফগান জিহাদের অন্যতম প্রাণপুরুষ উস্তাদ ইয়াসির সাহেব গ্রেফতার করে বছরকে বছর গুম করে রাখা হয়েছে,
আফগান তালেবানের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে আকাশ, ভূমি,ও সমূদ্রপথ সহ আরো অনেক কিছু দিয়েছে, তারা লজিস্টিক সাপোর্ট প্রস্তুত করে দিয়েছে, পাকিস্তানের ভূমি আফগান থেকে মুসলমানদের উপর ৫৭,০০০ বার হামলা করেছে।যার ফলশ্রুতিতে একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র নিশ্চন্হ হয়,লক্ষ মুসলমান শহীদ হন,৬০০ এরও বেশি আরব মুহাজির মুজাহিদের ডলারের বিনিময়ে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়, তাদের কন্যা ডঃ আফিয়া সিদ্দিকী কে আমেরিকার হাতে বিক্রি করে দেয়, উভয় দিক থেকে মুজাহিদের রাস্তা বন্ধ করার জন্য আমেরিকার নির্দেশে পূর্ব থেকে পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত ১,৫০,০০০ (দেড়লাখ) নিয়ে আসে, আমেরিকার নির্দেশে নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে"আল মিজান" রদ্দুল ফাসাদ" (নামের অপারেশন) পর্যন্ত অসংখ্য অপারেশন পরিচালনা করেন। পাকিস্তানের এই অত্যাচারি শাসনব্যবস্থার বিরুধীতা কারী জামিয়া ফরিদিয়ার মুহতামিম এবং (পাকিস্তানের ঐতিহাসিক) লাল মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল্লাহ সাহেব, মুফতী নিজামুদ্দীন শামযাই সাহেব,শহীদে ইসলাম মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানবি সাহেব,শাইখ...... ভাই আব্দুর রশীদ (গাজী) সাহেব, শাইখ নাসিব খান সাহেব, মাওলানা সামিউল হক সাহেব, এবং ডাক্তার আদিল খান সাহেব রহিমাহুমুল্লাহ গণ সহ এমন হক্কানী উলামায়ে কেরামদের শহীদ করে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের লজ্জাশীল জামিয়া হাফসার ছাত্রীদের আই ডি টিস হওয়ার উপর বাধ্য করেছে।হুদুদে শরীয়াহর আইনগুলোকে রহিত করে তার স্থানে এমন নিয়ম জারি করেছে যে,যার কারণে এই প্রিয় দেশে বেহায়াপনা ও উলঙ্গপনা ছড়িয়ে পড়েছে, যেমন: ট্রান্সজেন্ডার,লিভ টুগেদার, এবং পরস্পরের সম্মতিতে যেনা বৈধ হওয়ার মতো বিষয়গুলো যার সুস্পষ্ট উদাহরণ। সুতরাং কীভাবে আমরা পাকিস্তানের শাসকদের ইমামে আদেল সাব্যস্ত করতে পারি! তাদের উপর মুফতী আজম হিন্দ কেয়াফাতুল্লাহ রহঃ এর ফতোয়া পরিপূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ পাওয়া যায়।
(جواب 144 ) "و اولی الامر منکم" سے علماء یا حکام مسلمین مراد ہیں۔ یعنی ایسے حکام جو مسلمان ہوں اور خدا و رسول صلی اللّہ علیہ و سلم کے حکم کے موافق احکام جاری کریں۔ ایسے مسلمان حاکم جو خدا اور رسول کے احکام کے خلاف حکم جاری کریں "من لم یحکم بما انزل اللّہ فاولئک ھم الکافرون" میں داخل ہیں اور خدا اور رسول کے خلاف حکم جاری کرنےوالوں کو قرآن پاک میں طاغوت فرمایا گیا ہے۔ اور طاغوت کی اطاعت حرام ہے۔ پس جو شخص ایسے حکام کو جو الہی شریعت اور آسمانی قانون کے خلاف حکم کرتے ہیں "اولی الامرمنکم" میں داخل قرار دے، وہ قرآن پاک کی نصوص صریحہ کی مخالفت کرتا ہے۔ انگریزی قانون کے ماتحت خلاف شرع حکم کرنے والے خواہ غیر مسلم ہوں،خواہ نام کے مسلمان طاغوت ہیں۔ اولی الامر میں کسی طرح داخل نہیں ہو سکتے۔ ان کو اولی الامر میں داخل کرنےوالا یا مجنون ہے یا جاہل یا فاسق۔ اور ایسی حالت میں اس کو مقتدا بنانا اور امام مقرر کرنا ناجائز ہے۔ فقط محمد کفایت اللّہ کان اللّہ لہ۔ كفاية المفتي: 1/139
(শিরোনাম)“শরীয়াহ পরিপন্থী বিধান আরোপকারী শাসক তাগুত। যে ব্যক্তি তাকে ‘উলুল আমর’ গণ্য করে, তার ইমামতি নাজায়েয।
উত্তর: ‘উলুল আমর’ দ্বারা উলামা বা মুসলিম শাসক উদ্দেশ্য। অর্থাৎ এমন মুসলিম শাসক, যে আল্লাহ ও রাসূলের বিধান অনুযায়ী আইন জারি করে। যে মুসলিম শাসক আল্লাহ ও রাসূলের বিধানের বিপরীত আইন জারি করে, সে ‘যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করে না তারা কাফের’ [সুরা মায়েদা: ৪৪], এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। এমন ব্যক্তিকে কুরআনে তাগুত বলা হয়েছে। আর তাগুতের আনুগত্য হারাম। সুতরাং যে ব্যক্তি এমন শাসকদের উলুল আমর মনে করে, সে কুরআনের সুস্পষ্ট বিধানের বিরুদ্ধাচারী। ইংরেজদের আইন অনুযায়ী শরীয়তের খেলাফ বিধান আরোপকারী; অমুসলিম হোক বা নামধারী মুসলিম হোক, সে তাগুত। কিছুতেই সে উলুল আমরের অন্তুর্ভুক্ত হতে পারে না। যে ব্যক্তি তাকে উলুল আমর গণ্য করবে, সে হয় পাগল, না হয় মুর্খ, না হয় ফাসেক। এমন ব্যক্তিকে অনুসৃত ও ইমাম বানানো জায়েয নেই।” -কেফায়াতুল মুফতি: ১/১৩৯
এখন রয়ে যায় একথা যে, পাকিস্তান কি ইসলামী রিয়াসাত? রিয়াসাত দ্বারা যদি রাষ্ট্র বা দেশ উদ্দেশ্য হয়। তাহলে এটাতো অবশ্যই যে পাকিস্তান একটি মুসলিমদের রাষ্ট্র এবং দেশ।
আর যদি রিয়াসাত দ্বারা উদ্দেশ্য হয় হুকুমত অর্থাৎ পাকিস্তান ইসলামী হুকুমত (এটা উদ্দেশ্য হয়) । তাহলে এটা স্বাধীন নয় বরং পাকিস্তান হুকুমত গায়রে শরয়ী, জালেম, আমেরিকা এবং পশ্চিমা শক্তির পুতুল এবং গোলাম। পাকিস্তানের বাহিনী ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠিত বাহিনীর ধারাবাহিকতার অংশ যা সর্বদা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণকারী বাহিনী হিসেবে ব্যবহারিত হয়েছে।
এইসব রেফারেন্স ছাড়াও পাকিস্তান বাহিনীর এক সুদীর্ঘ লাঞ্ছনার ইতিহাস রয়েছে যা ছাড়া তাদের বর্তমান অবস্থা হয়নি। কোন হুকুমত ইসলামী হওয়ার জন্য মুফতীয়ে আজম মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানবি রহঃ নিজ কিতাব আহসানুল ফতোয়ার ৬ নং খন্ড,২১ নং পৃষ্ঠায় বলেন:
"যতক্ষণ পর্যন্ত কোন হুকুমত ইসলামী বিধি বিধান বাস্তবায়ন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা ইসলামী হুকুমত নয়।"
উস্তাজুল আসাতেজা হযরত মাওলানা ইউসুফ বিন নুরী রহঃ লেখেন:" বাস্তবতা এই যে, কুরআন কারীম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে উলিল আমরের আনুগত্য এবং সম্মান মর্যাদা দিতে বলেছেন উহার দ্বারা ঐ সমস্ত উলিল আমর উদ্দেশ্য: যারা আল্লাহ্ পাকের হুদুদ সমূহ বাস্তবায়ন করে,সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে,নিজে আলেমেদ্বীন বা কমপক্ষে দ্বীনের শিক্ষা এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার ফরজ আদায়ে প্রতিষ্ঠিত। তাদের আনুগত্য শরীয়ত এবং দ্বীনের অংশ। যদি বর্তমানে কোন আমির বা হাকিম শরীয়তের বিপরীতে হুকুম দেয় তাহলে তার নিজের শরয়ী দিক শেষ হয়ে যায়। তার আনুগত্য তো কি! বর্তমান তার বিরোধিতা করতে হবে।(আল বায়্যিনাত,২ নং খন্ড,২৯১ নং পৃষ্ঠা)"
মুফতী নিজামুদ্দীন শামযাই সাহেব রহঃ নিজ ফতোয়ায় লেখেন: "ইসলামী রাষ্ট্র সমূহের যেসমস্ত শাসকেরা এই ক্রুসেড যুদ্ধে আমেরিকার সাথে থাকবে, নিজেদের ভূমি, আসবাব পত্র এবং তথ্য তাদের জানাতে থাকবে সে মুসলমানদের উপর শাসন পরিচালনা করা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সমস্ত মুসলমানদের উচিত যে, ঐ সমস্ত শাসকদের কে মান্য করা/আনুগত্য থেকে বঞ্চিত করবে।এর জন্য চাই যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হোক না কেন।"
এরকম ভাবে মুফতী নিজামুদ্দীন শামযাই সাহেব রহঃ নিজ বয়ানে বলেন:" এবং যে মুনাফেক আমাদের উপর চেপে বসে আছে, সকলকে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য জাগতে হবে। আমি কলমের জিহাদের কথা বলছিনা,আমি যবানের জিহাদের কথা বলছিনা, অনেক করা হয়েছে। অনেক করা হয়েছে কলমের জিহাদ, অনেক করা হয়েছে যবানের জিহাদ। এখন এই রোগ দূর করতে ইহা (জিহাদ) ছাড়া কিছু নেই। যদি মুসলমান যুবকদের শক্তি থাকে তাহলে উঠে তাদের গলা দাবিয়ে দাও, এই সব গুলোর ফসল পেকে গেছে (অর্থাৎ এরা জিহাদ করার এবং হত্যা করার উপযুক্ত)। এবং এগুলো পতিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।"
আমীরে TTP মুফতী নূর ওয়ালী মেহসুদ হাহিজাহুল্লাহ এর ওযাহাতি বয়ান থেকে সংগৃহীত)
এই যখন রাষ্ট্র আর তার বাহিনীর অবস্থা।তাহলে এমন রাষ্ট্র ও বাহিনী কেমন ইসলামী দেশ ওবাহিনী আর তাদের হুকুম কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
চলবে ইনশাআল্লাহ...
Comment