যে কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করায় সেটাই হলো প্রকৃত নেয়ামত
প্রিয় যুবক ভাই!
যে সৃষ্টিকর্তা আমাদের অন্তরে রুহ ফুঁকে দিয়েছেন তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ভুলে যাওয়ার গুণ দান করেছেন আবার স্বরণ রাখার গুণও দান করেছেন। সুখ-দুঃখ, পরীক্ষা সবকিছুরই সমন্বয় ঘটিয়েছেন। সঠিক বাতিল যাঁচাই করার জন্য আকল দিয়েছেন। অনুধাবন করার জন্য পঞ্চইন্দ্রিয় তন্ত্রের যোগসূত্রের সংযোগ স্থাপন করেছেন।
এত কিছুর দান কেবল বান্দা যেন যে কোন সূত্রে তাঁর স্বরণের মুহতাজ হয়। হরেক রকমের রিযিকের আয়োজন কেবল গোলাম যেন এর উসিলায় মূল খাসিয়াতে ফিরে আসে। বালা-মুসিবতের বেষ্টনিতে ঘিরে রব তাকে নিজের কাছে টেনে আনে।
রবের সঙ্গায়(সংজ্ঞায়) রিযিক শুধুই খাবার না বরং দ্বীনের বিধান পালন করতে পারাটাও এক প্রকার রিযক। তিনি সবাইকে এ রিযিকের তাওফিক দেন না। আবার সবাইকে এ রিযিক থেকে মাহরুমও করেন না। অথচ পুনর্দিবসে তা দিয়েই সবার ইমানের মান যাঁচাই করা হবে।
প্রিয় যুবক ভাই!
যে জিনিসকে আমরা রিযিক হিসেবে চিনি সেটা হলো দৈনন্দিনের আহার। আর এ আহার নামক রিযিকটা রিযিকের তালিকায় মানের দিক থেকে সবার পরে ৷ তাহলে প্রথম সারির রিযিকগুলো কি কি একটু জানা দরকার না? অবশ্যই ভাই আমার!
খাদ্য নামক রিযিক আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সকলকেই দান করেন [ এমনকি মুশরিক ইহুদী নাছারাদেরও] কিন্তু ইমানের রিযিক সবার ভাগ্যে জুটে? আবার আমাদের ঘরনায় নামে মুসলমান সবাই কিন্তু কাজে কজন? তারপর মধ্যে আবার আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিলিয়ে দিতে পারে কজন? তাহলে ভালো ভাবেই বুঝা গেলো [ইমানের ধন পাওয়া+শাহাদাতের মৃত্যু বরণ করা+আল্লাহর দ্বীনের পতাকা তলে আশ্রয় নেওয়া রিযিকের তবকায় সবার উপরে।
প্রিয় ভাই! আজকে আপনাদেরকে এমনই একজন মায়ের গল্প শুনাবো যিনি মর্যাদাপূর্ণ রিযিকের তালাশে নিজ সন্তানকে ময়দানের জন্য বেঁছে নিয়েছেন।
মা সালেহা তার আদরের দুলাল প্রিয় সন্তানকে জিহাদের ময়দানে পাঠিয়ে দিলেন। আল্লাহর রাস্তায় জীবন কুরবান করার জন্য, আল্লাহর দ্বীন বুলন্দির জন্য, কালিমার পতাকা আকাশ উড়বে মনের এ উচ্ছাসকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য। উম্মাহর মায়েদের বোনদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে দিলের এ তামান্নাকে পূর্ণতায় রুপ দাঁড় করানোর জন্য।
মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলে ময়দানে চলে গেলো এবং বীরত্বের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাগলো। কিন্তু সে প্রতিদিন সন্ধ্যায় যুদ্ধ শেষে মায়ের সাথে দেখা করার জন্য বাড়িতে চলে আসতো। আর মা শুধু বলতেন- বাবা! তুমি একেবারে ঐখানকার যুদ্ধটা শেষ করে বাড়িতে আসবে। তার আগে যেন আর বাড়িতে না আসো। ছেলে প্রতিদিন মায়ের সাথে ওয়াদা করে সে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে আর আসবে না। কিন্তু পরের দিন আবার একই কাজ।
মায়ের কথা শুনে না। তাই মা বাধ্য হয়ে কমান্ডারের নিকট চিঠি লিখলেন- বাবা কমান্ডার সাহেব! আপনার কাছে আমার একটা আবদার আপনি একটু কষ্ট করে হলেও এটা পূরণ করবেন। আমি আপনার মায়ের মতই একজন মা। আশা করি ফিরিয়ে দেবেন না। তবে বাবা আমার আবদারটা কি শুনবে না?
সেটাই এখন বলছি। আবদারটা হলো- আমার ছেলেকে যুদ্ধ শেষ না পর্যন্ত আর বাড়িতে আসতে দিবেন না। কিন্তু দেখা গেলো এর পরের প্রতিদিন আবার বাড়িতে চলে আসছে। এদিকে মাও প্রতিদিন কমান্ডার সাহেবকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখেন। তার ছেলেকে ছাড়তে মানা করেন। কিন্তু পরের দিন আবারও সেই একই কাজ।
অবশেষে মা বাধ্য হয়ে নিজেই কমান্ডার সাহেবের কাছে চলে গেলেন। মা সালেহা রাগে কথা বলতে পারছেন না। কমান্ডার সাহেবকে দেখা মাত্রই বলে উঠলেন- কি ব্যাপার কমান্ডার সাহেব?কেমন কমান্ডার আপনি? কিভাবে আপনি কমান্ডার হলেন? আর কেইবা আপনাকে বানিয়েছে কমান্ডার? যেখানে আপনি একজন সাধারণ মুজাহিদকে কন্ট্রোল করতে পারেন না সেখানে একটা কাফেলাকে কিভাবে কন্ট্রোল করবেন? এটা আমার মাথায় কোনভাবেই বুঝে আসেনা।
এই কথাগুলো শুনে কমান্ডার সাহেব সাথে সাথে চোঁখের পানি ছেঁড়ে দিলেন আর বললেন- মাগো! আপনার সন্তান তো আজ থেকে নিয়ে ১৩ দিন আগেই শহীদ হয়ে গেছেন। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আপনাকে ধন্য করেছেন। আপনি একমাত্র সন্তানের বিরহ ব্যথা সহ্য করতে পারবেন না বিধায় আপনাকে জানাইনি।
আর আপনি যে আপনার ছেলেকে প্রতিদিন দেখতে পান! আল্লাহ তা'আল্লাহ আপনার ছেলের চেহারাকে আপনার সামনে ভাসিয়ে তুলেন যেন আপনি আপনার আদরের একমাত্র সন্তানকে দেখে দেখে সান্তনা পান। তাঁর মা একথা শুনে আলহামদুলিল্লাহ বলে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন।
কমান্ডার সাহেব বললেন, মাগো! আল্লাহ তাআলা আপনাকে শহীদের মা হিসেবে কবুল করেছেন। আপনি কত বড় সৌভাগ্যবান একজন মা! তবে মা আপনি মনে রাখবেন যে কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করায় সেটাই হলো প্রকৃত নেয়ামত।
প্রিয় ভাই আমার!
এই মায়ের চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে? যিনি দুনিয়াতে থাকতেই জান্নাতের টিকেট আল্লাহর দরবারে জমা দিয়ে দিয়েছেন। জান্নাতকে সুনিশ্চিত করে ফেলেছেন। আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার কাবিরা! একজন মা তাঁর কত বড় উঁচু আকাঙ্ক্ষা তার সন্তান শহীদ হবেন আর তিনি হবেন শহীদের মা। এমন মায়ের প্রতিটা সন্তানই আল্লাহর দ্বীনের অতন্দ্রপ্রহরী এবং উম্মাহর চক্ষুশীতলকারী।
প্রিয় বোন!
তুমি দশ মাস দশ দিন এ সন্তানটিকে বুকে ধারণ করেছো! কত কষ্টই না তোমাকে পোহাতে হয়েছে! কত রাত তোমাকে নির্ঘুম থাকতে হয়েছে! কত যন্ত্রণা তোমার শান্তি কেড়ে নিয়েছে! সুস্থ সবল দেহটা অসুস্থতায় মাসের পর মাসের ডুবে রয়েছে! এত কষ্ট যার জন্য, এত ত্যাগ যার জন্য, এত মায়া যে সন্তানটির জন্য তাকে কি করে তুমি আল্লাহর হাওলা ছাড়া অন্যত্র সপে(সঁপে) দিচ্ছো! একটিবারের জন্যও কি তুমি ভাবো না আমি যে অক্লান্ত কষ্ট করেছি এর মূল্য কি মানুষ দিতে পারবে?
অথচ রব তোমার এ কষ্টের মূল্য দেয়ার জন্য, তোমার চোখের পানির মর্যাদা দেয়ার জন্য, দহন যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য শাহাদাতের পথকে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। তোমার তিলে তিলে এ কষ্টকে পুরষ্কারে রুপ দেয়ার জন্য তীর তরবারি দান করেছেন। তোমার কথা ভেবেই রব কেয়ামতের ভয়াবহ মাঠ অতিক্রম করার সহজ মত বাতলিয়ে দিয়েছেন।
অথচ তুমিই তোমার সন্তানকে শাহাদাতের সে পথ থেকে পিছিয়ে রাখতে চাও। তোমার জন্য রেখে দেয়া মর্যাদাকে দূরে সরিয়ে দিতে চাও। বোন আমার! দশ মাস দশ দিনের কথা একবার ভাবো তাহলেই দেখবে ভাগফল বেরিয়ে আসবে। সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে সম্মানের রাস্তা সামনে হাজির হবে।
প্রিয় যুবক ভাই!
যে সৃষ্টিকর্তা আমাদের অন্তরে রুহ ফুঁকে দিয়েছেন তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ভুলে যাওয়ার গুণ দান করেছেন আবার স্বরণ রাখার গুণও দান করেছেন। সুখ-দুঃখ, পরীক্ষা সবকিছুরই সমন্বয় ঘটিয়েছেন। সঠিক বাতিল যাঁচাই করার জন্য আকল দিয়েছেন। অনুধাবন করার জন্য পঞ্চইন্দ্রিয় তন্ত্রের যোগসূত্রের সংযোগ স্থাপন করেছেন।
এত কিছুর দান কেবল বান্দা যেন যে কোন সূত্রে তাঁর স্বরণের মুহতাজ হয়। হরেক রকমের রিযিকের আয়োজন কেবল গোলাম যেন এর উসিলায় মূল খাসিয়াতে ফিরে আসে। বালা-মুসিবতের বেষ্টনিতে ঘিরে রব তাকে নিজের কাছে টেনে আনে।
রবের সঙ্গায়(সংজ্ঞায়) রিযিক শুধুই খাবার না বরং দ্বীনের বিধান পালন করতে পারাটাও এক প্রকার রিযক। তিনি সবাইকে এ রিযিকের তাওফিক দেন না। আবার সবাইকে এ রিযিক থেকে মাহরুমও করেন না। অথচ পুনর্দিবসে তা দিয়েই সবার ইমানের মান যাঁচাই করা হবে।
প্রিয় যুবক ভাই!
যে জিনিসকে আমরা রিযিক হিসেবে চিনি সেটা হলো দৈনন্দিনের আহার। আর এ আহার নামক রিযিকটা রিযিকের তালিকায় মানের দিক থেকে সবার পরে ৷ তাহলে প্রথম সারির রিযিকগুলো কি কি একটু জানা দরকার না? অবশ্যই ভাই আমার!
খাদ্য নামক রিযিক আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সকলকেই দান করেন [ এমনকি মুশরিক ইহুদী নাছারাদেরও] কিন্তু ইমানের রিযিক সবার ভাগ্যে জুটে? আবার আমাদের ঘরনায় নামে মুসলমান সবাই কিন্তু কাজে কজন? তারপর মধ্যে আবার আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিলিয়ে দিতে পারে কজন? তাহলে ভালো ভাবেই বুঝা গেলো [ইমানের ধন পাওয়া+শাহাদাতের মৃত্যু বরণ করা+আল্লাহর দ্বীনের পতাকা তলে আশ্রয় নেওয়া রিযিকের তবকায় সবার উপরে।
প্রিয় ভাই! আজকে আপনাদেরকে এমনই একজন মায়ের গল্প শুনাবো যিনি মর্যাদাপূর্ণ রিযিকের তালাশে নিজ সন্তানকে ময়দানের জন্য বেঁছে নিয়েছেন।
মা সালেহা তার আদরের দুলাল প্রিয় সন্তানকে জিহাদের ময়দানে পাঠিয়ে দিলেন। আল্লাহর রাস্তায় জীবন কুরবান করার জন্য, আল্লাহর দ্বীন বুলন্দির জন্য, কালিমার পতাকা আকাশ উড়বে মনের এ উচ্ছাসকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য। উম্মাহর মায়েদের বোনদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে দিলের এ তামান্নাকে পূর্ণতায় রুপ দাঁড় করানোর জন্য।
মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলে ময়দানে চলে গেলো এবং বীরত্বের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাগলো। কিন্তু সে প্রতিদিন সন্ধ্যায় যুদ্ধ শেষে মায়ের সাথে দেখা করার জন্য বাড়িতে চলে আসতো। আর মা শুধু বলতেন- বাবা! তুমি একেবারে ঐখানকার যুদ্ধটা শেষ করে বাড়িতে আসবে। তার আগে যেন আর বাড়িতে না আসো। ছেলে প্রতিদিন মায়ের সাথে ওয়াদা করে সে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে আর আসবে না। কিন্তু পরের দিন আবার একই কাজ।
মায়ের কথা শুনে না। তাই মা বাধ্য হয়ে কমান্ডারের নিকট চিঠি লিখলেন- বাবা কমান্ডার সাহেব! আপনার কাছে আমার একটা আবদার আপনি একটু কষ্ট করে হলেও এটা পূরণ করবেন। আমি আপনার মায়ের মতই একজন মা। আশা করি ফিরিয়ে দেবেন না। তবে বাবা আমার আবদারটা কি শুনবে না?
সেটাই এখন বলছি। আবদারটা হলো- আমার ছেলেকে যুদ্ধ শেষ না পর্যন্ত আর বাড়িতে আসতে দিবেন না। কিন্তু দেখা গেলো এর পরের প্রতিদিন আবার বাড়িতে চলে আসছে। এদিকে মাও প্রতিদিন কমান্ডার সাহেবকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখেন। তার ছেলেকে ছাড়তে মানা করেন। কিন্তু পরের দিন আবারও সেই একই কাজ।
অবশেষে মা বাধ্য হয়ে নিজেই কমান্ডার সাহেবের কাছে চলে গেলেন। মা সালেহা রাগে কথা বলতে পারছেন না। কমান্ডার সাহেবকে দেখা মাত্রই বলে উঠলেন- কি ব্যাপার কমান্ডার সাহেব?কেমন কমান্ডার আপনি? কিভাবে আপনি কমান্ডার হলেন? আর কেইবা আপনাকে বানিয়েছে কমান্ডার? যেখানে আপনি একজন সাধারণ মুজাহিদকে কন্ট্রোল করতে পারেন না সেখানে একটা কাফেলাকে কিভাবে কন্ট্রোল করবেন? এটা আমার মাথায় কোনভাবেই বুঝে আসেনা।
এই কথাগুলো শুনে কমান্ডার সাহেব সাথে সাথে চোঁখের পানি ছেঁড়ে দিলেন আর বললেন- মাগো! আপনার সন্তান তো আজ থেকে নিয়ে ১৩ দিন আগেই শহীদ হয়ে গেছেন। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আপনাকে ধন্য করেছেন। আপনি একমাত্র সন্তানের বিরহ ব্যথা সহ্য করতে পারবেন না বিধায় আপনাকে জানাইনি।
আর আপনি যে আপনার ছেলেকে প্রতিদিন দেখতে পান! আল্লাহ তা'আল্লাহ আপনার ছেলের চেহারাকে আপনার সামনে ভাসিয়ে তুলেন যেন আপনি আপনার আদরের একমাত্র সন্তানকে দেখে দেখে সান্তনা পান। তাঁর মা একথা শুনে আলহামদুলিল্লাহ বলে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন।
কমান্ডার সাহেব বললেন, মাগো! আল্লাহ তাআলা আপনাকে শহীদের মা হিসেবে কবুল করেছেন। আপনি কত বড় সৌভাগ্যবান একজন মা! তবে মা আপনি মনে রাখবেন যে কষ্ট আল্লাহকে স্মরণ করায় সেটাই হলো প্রকৃত নেয়ামত।
প্রিয় ভাই আমার!
এই মায়ের চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে? যিনি দুনিয়াতে থাকতেই জান্নাতের টিকেট আল্লাহর দরবারে জমা দিয়ে দিয়েছেন। জান্নাতকে সুনিশ্চিত করে ফেলেছেন। আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার কাবিরা! একজন মা তাঁর কত বড় উঁচু আকাঙ্ক্ষা তার সন্তান শহীদ হবেন আর তিনি হবেন শহীদের মা। এমন মায়ের প্রতিটা সন্তানই আল্লাহর দ্বীনের অতন্দ্রপ্রহরী এবং উম্মাহর চক্ষুশীতলকারী।
প্রিয় বোন!
তুমি দশ মাস দশ দিন এ সন্তানটিকে বুকে ধারণ করেছো! কত কষ্টই না তোমাকে পোহাতে হয়েছে! কত রাত তোমাকে নির্ঘুম থাকতে হয়েছে! কত যন্ত্রণা তোমার শান্তি কেড়ে নিয়েছে! সুস্থ সবল দেহটা অসুস্থতায় মাসের পর মাসের ডুবে রয়েছে! এত কষ্ট যার জন্য, এত ত্যাগ যার জন্য, এত মায়া যে সন্তানটির জন্য তাকে কি করে তুমি আল্লাহর হাওলা ছাড়া অন্যত্র সপে(সঁপে) দিচ্ছো! একটিবারের জন্যও কি তুমি ভাবো না আমি যে অক্লান্ত কষ্ট করেছি এর মূল্য কি মানুষ দিতে পারবে?
অথচ রব তোমার এ কষ্টের মূল্য দেয়ার জন্য, তোমার চোখের পানির মর্যাদা দেয়ার জন্য, দহন যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য শাহাদাতের পথকে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। তোমার তিলে তিলে এ কষ্টকে পুরষ্কারে রুপ দেয়ার জন্য তীর তরবারি দান করেছেন। তোমার কথা ভেবেই রব কেয়ামতের ভয়াবহ মাঠ অতিক্রম করার সহজ মত বাতলিয়ে দিয়েছেন।
অথচ তুমিই তোমার সন্তানকে শাহাদাতের সে পথ থেকে পিছিয়ে রাখতে চাও। তোমার জন্য রেখে দেয়া মর্যাদাকে দূরে সরিয়ে দিতে চাও। বোন আমার! দশ মাস দশ দিনের কথা একবার ভাবো তাহলেই দেখবে ভাগফল বেরিয়ে আসবে। সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে সম্মানের রাস্তা সামনে হাজির হবে।
Comment