দাশত-ই-লাইলি গণহত্যাঃ কয়েক হাজার তালিবানের শাহাদাত।
খলনায়কঃ মার্শাল রশীদ দোস্তাম(ছবি কমেন্টে) , মার্কিন সেনাবাহিনী৷
সময়ঃ ডিসেম্বর, ২০০১
স্থানঃ দাশত-ই-লাইলি, উত্তর আফগানিস্তান(জাওযানের রাজধানী সেবেরগানের কাছে)।
হত্যার পদ্ধতিঃ অধিকাংশকে শিপিং কন্টেইনারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। যারা বেচেছিলেন তাদের গুলি করে৷
বিস্তারিতঃ ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে আমেরিকা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামে৷ বোমারু বিমানগুলোর বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ, গ্রাউন্ডস্ট্রাইক এর ফলে মুজাহিদীন বাধ্য হয়ে পিছু হটেন ৷ আমিরুল মুমিনীন মোল্লা উমার(রহ) ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মুজাহিদদের কৌশলগত পিছু হটার আদেশ দেন৷
উত্তর আফগানে মুজাহিদীন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন৷ একদিকে আকাশ থেকে অনবরত বোমাবর্ষন এবং অপরদিকে চতুর্দিক থেকে আমেরিকান ন্যাটো ও দোস্তামের মিলিশিয়ার গোলাবর্ষন৷
দোস্তাম তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। চতুর্দিক থেকে অবরুদ্ধ মুজাহিদগন এই শর্ত দেন যে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে এবং কোনো ক্ষতি করা হবে না। দোস্তাম তাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় মুজাহিদীন আত্মসমর্পন করেন৷
কিন্তু আত্মসমর্পনের পরপরই সে তার চোখ উল্টিয়ে ফেলে এবং প্রায় ৭৫০০ তালিবান ও আরব মুজাহিদকে শিপিং কন্টেইনারে ঢোকায় সেবারগানের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য৷ মোজাহিদদেরকে কন্টেইনারে ঢুকিয়ে এর দরজা বন্ধ করে দেয়(ইন্নালিল্লাহ)
প্রতিটি শিপিং কন্টেইনারে গড়ে ২৫০+ বেশি করে তালেবানকে ঢুকানো* হয়েছিল। এরকম ত্রিশটি কন্টেইনারে ঢোকানো* হয়েছিল৷
একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৫৫০ লিটার পিওর অক্সিজেন গ্রহণ করে সেখানে গড়ে ২৫০+* মানুষকে একেকটা কনটেইনারে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল দোস্তামের অভিশপ্ত সেনা ও মার্কিনিরা৷
এদিকে প্রচন্ড গরম ক্ষুধা-তৃষ্ণা এবং অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে করতে ভেতরের মুজাহিদগণ শাহাদাতের কোলে ঢলে পড়তে থাকেন। প্রচন্ড তৃষ্ণায় একজন মুজাহিদ আরেকজন শহীদ মুজাহিদের মুখের লালা, ঘাম চুষতে ছিলেন৷
একজন চালক বলেছিল, কনটেইনারের দরজা বন্ধ করার পর ভেতরে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েদিরা চিৎকার শুরু করলে একজন মার্কিন কমান্ডার গুলি করে কনটেইনার ছিদ্র করে দিতে বলে।*
আরেকজন ট্যাক্সি ড্রাইভার বর্ণনা করে যে, আমি কনটেইনারের এক দীর্ঘ সারি প্রত্যক্ষ করেছিলাম যেগুলো থেকে রক্ত চুয়ে চুয়ে পড়েছিল, এ দেখে আমার লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল।
সাংবাদিক রশিদ লিখেছেন, প্রতিটি কনটেইনার থেকে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন করে* মুমূর্ষু ছিলেন বাকি সবাই শহীদ হয়েছেন৷* একটি কনটেইনারে ২২০ জন মুজাহিদ ছিলেন এদের মধ্যে মাত্র ৬ জন জীবিত ছিলেন বাকি সবাই জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে ওড়ে গিয়েছেন৷
উইকিপিডিয়াতে যদিও বলা হয়েছে শহীদ হওয়া মুজাহিদদের সংখ্যা প্রায় ২০০০ কিন্তু হিসেব করলে দেখা যায় ৩০টি কনটেইনার থেকে যদি ৫০ জন করেও জীবিত থাকেন তারপরেও শহীদের সংখ্যা ৬০০০।* কিন্তু অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে ৫০ জন জীবিত পাওয়াটা একপ্রকার অসম্ভব৷* যারা জীবিত ছিলেন তাদের একাংশ কে গুলি করে হত্যা করেছিল দোস্তামের মিলিশিয়া ও মার্কিনিরা। মার্কিনিরা মুজাহিদদের গায়ে গরম পানি ঢেলে দিতো, কারো কারো হাত-পায়ের আঙ্গুল কেটে দেয়।
যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদেরকে উত্তর আফগানিস্তানের মরুভূমিতে বিশাল বিশাল গণকবর তৈরি করে বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আরো কিছু সংস্থার ইনভেস্টিগেশনে এরকম গণকবর আবিষ্কৃত হয়।
খলনায়কঃ মার্শাল রশীদ দোস্তাম(ছবি কমেন্টে) , মার্কিন সেনাবাহিনী৷
সময়ঃ ডিসেম্বর, ২০০১
স্থানঃ দাশত-ই-লাইলি, উত্তর আফগানিস্তান(জাওযানের রাজধানী সেবেরগানের কাছে)।
হত্যার পদ্ধতিঃ অধিকাংশকে শিপিং কন্টেইনারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। যারা বেচেছিলেন তাদের গুলি করে৷
বিস্তারিতঃ ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে আমেরিকা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামে৷ বোমারু বিমানগুলোর বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ, গ্রাউন্ডস্ট্রাইক এর ফলে মুজাহিদীন বাধ্য হয়ে পিছু হটেন ৷ আমিরুল মুমিনীন মোল্লা উমার(রহ) ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মুজাহিদদের কৌশলগত পিছু হটার আদেশ দেন৷
উত্তর আফগানে মুজাহিদীন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন৷ একদিকে আকাশ থেকে অনবরত বোমাবর্ষন এবং অপরদিকে চতুর্দিক থেকে আমেরিকান ন্যাটো ও দোস্তামের মিলিশিয়ার গোলাবর্ষন৷
দোস্তাম তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। চতুর্দিক থেকে অবরুদ্ধ মুজাহিদগন এই শর্ত দেন যে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে এবং কোনো ক্ষতি করা হবে না। দোস্তাম তাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় মুজাহিদীন আত্মসমর্পন করেন৷
কিন্তু আত্মসমর্পনের পরপরই সে তার চোখ উল্টিয়ে ফেলে এবং প্রায় ৭৫০০ তালিবান ও আরব মুজাহিদকে শিপিং কন্টেইনারে ঢোকায় সেবারগানের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য৷ মোজাহিদদেরকে কন্টেইনারে ঢুকিয়ে এর দরজা বন্ধ করে দেয়(ইন্নালিল্লাহ)
প্রতিটি শিপিং কন্টেইনারে গড়ে ২৫০+ বেশি করে তালেবানকে ঢুকানো* হয়েছিল। এরকম ত্রিশটি কন্টেইনারে ঢোকানো* হয়েছিল৷
একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৫৫০ লিটার পিওর অক্সিজেন গ্রহণ করে সেখানে গড়ে ২৫০+* মানুষকে একেকটা কনটেইনারে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল দোস্তামের অভিশপ্ত সেনা ও মার্কিনিরা৷
এদিকে প্রচন্ড গরম ক্ষুধা-তৃষ্ণা এবং অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে করতে ভেতরের মুজাহিদগণ শাহাদাতের কোলে ঢলে পড়তে থাকেন। প্রচন্ড তৃষ্ণায় একজন মুজাহিদ আরেকজন শহীদ মুজাহিদের মুখের লালা, ঘাম চুষতে ছিলেন৷
একজন চালক বলেছিল, কনটেইনারের দরজা বন্ধ করার পর ভেতরে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েদিরা চিৎকার শুরু করলে একজন মার্কিন কমান্ডার গুলি করে কনটেইনার ছিদ্র করে দিতে বলে।*
আরেকজন ট্যাক্সি ড্রাইভার বর্ণনা করে যে, আমি কনটেইনারের এক দীর্ঘ সারি প্রত্যক্ষ করেছিলাম যেগুলো থেকে রক্ত চুয়ে চুয়ে পড়েছিল, এ দেখে আমার লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল।
সাংবাদিক রশিদ লিখেছেন, প্রতিটি কনটেইনার থেকে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন করে* মুমূর্ষু ছিলেন বাকি সবাই শহীদ হয়েছেন৷* একটি কনটেইনারে ২২০ জন মুজাহিদ ছিলেন এদের মধ্যে মাত্র ৬ জন জীবিত ছিলেন বাকি সবাই জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে ওড়ে গিয়েছেন৷
উইকিপিডিয়াতে যদিও বলা হয়েছে শহীদ হওয়া মুজাহিদদের সংখ্যা প্রায় ২০০০ কিন্তু হিসেব করলে দেখা যায় ৩০টি কনটেইনার থেকে যদি ৫০ জন করেও জীবিত থাকেন তারপরেও শহীদের সংখ্যা ৬০০০।* কিন্তু অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে ৫০ জন জীবিত পাওয়াটা একপ্রকার অসম্ভব৷* যারা জীবিত ছিলেন তাদের একাংশ কে গুলি করে হত্যা করেছিল দোস্তামের মিলিশিয়া ও মার্কিনিরা। মার্কিনিরা মুজাহিদদের গায়ে গরম পানি ঢেলে দিতো, কারো কারো হাত-পায়ের আঙ্গুল কেটে দেয়।
যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদেরকে উত্তর আফগানিস্তানের মরুভূমিতে বিশাল বিশাল গণকবর তৈরি করে বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আরো কিছু সংস্থার ইনভেস্টিগেশনে এরকম গণকবর আবিষ্কৃত হয়।
Comment