২০ বছর পর আবারো ক্ষমতায় তালেবান
২০০১ সালের পর আবারো ক্ষমতায় তালেবান। আফগানিস্তানের পটপরিবর্তন ঘটল রক্তপাতহীনভাবেই। আজ পদত্যাগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। কাবুল দখলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর তালেবানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ ২০ টি বছর এজন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।
আফগানিস্তানের প্রথম প্রদেশটি তালেবানের হস্তগত হয় চলতি মাসের ৩ আগস্ট। সেটি ছিলো আফগানিস্তানের নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারঞ্জ। এটি ইরান সীমান্তের কাছে অবস্থিত আফগানিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এর সূত্র ধরেই তালেবান যোদ্ধারা ঘাঁটি গড়তে থাকে আফগানিস্তানে।
এরপর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহ দখল করেন তারা। তারপর দখল করেন দেশটির জাওজাজান প্রদেশের রাজধানী শেবেরগান। এর মধ্যেই কয়েকটি প্রদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন তারা। এসব প্রদেশের রাজধানী দখলের পর সেখানের কারাগারে থাকা বন্দিদের মুক্ত করে দেন তারা।
এরপর গত ৯ আগস্ট মাত্র ৯০ ঘন্টার ব্যবধানে ছয়টি প্রদেশের রাজধানী দখলে নিলে তালেবানকে আর পিছু হটতে হয়নি। তারা এক এক করে আফগানিস্তানের প্রধান প্রধান প্রদেশের রাজধানী দখল করতে থাকে। এর মাঝে কান্দাহার, গজনি, হেরাত, কুন্দুজ, সার-ই-পল ও তাকহার প্রদেশের রাজধানী অন্যতম ছিলো। এর মাঝে দখল হয়ে গিয়েছে দেশের প্রায় ২৭ টি প্রদেশ। অবশেষে আজ ২৮ তম প্রদেশের রাজধানী হিসেবে কাবুল দখল করে তালেবান।
কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবান চতুর্দিক থেকে কাবুলে প্রবেশ করে নিযন্ত্রণে নেয় রাজধানীর। তবে এ সময় তাদের কোনো ধরনের সহিংসতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। এমনকি তালেবানের এক যোদ্ধা আল জাজিরাকে বলেছেন, জ্যেষ্ঠ নেতারা আমাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কাবুলে আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি।
তালেবানের এই সদস্য আল-জাজিরাকে আরও জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা নেই। সরকারি ভবনগুলো তারা নিশানা করবে না। তবে কেউ যদি রাজধানী ছেড়ে যেতে চায়, তাহলে তাদের নিরাপদে যেতে দেওয়া হবে।
এদিকে, তালেবান যোদ্ধাদের কাবুলে প্রবেশ নিয়ে তালেবান একটি বিবৃতিতে দিয়েছে। এতে তাদের যোদ্ধাদের কাবুলের ফটক ক্রস না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে জোরপূর্বক কাবুল দখল না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া যাতে নিরাপদ এবং নিশ্চিতভাবে হয় তার জন্য আলোচনা চলমান রয়েছে। কাবুলে প্রাণহানি এবং সম্পদের ক্ষতি এড়াতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার তাদের খবরে বলেছে, টানটান উত্তেজনায় কেটেছে গত রাত। রোববার সকাল হতেই বিনাযুদ্ধে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়ে গেল আফগানিস্তানে। তালেবান নেতাদের সঙ্গে মাত্র ৪৫ মিনিট বৈঠকের পরেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি।
সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত
২০০১ সালের পর আবারো ক্ষমতায় তালেবান। আফগানিস্তানের পটপরিবর্তন ঘটল রক্তপাতহীনভাবেই। আজ পদত্যাগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। কাবুল দখলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর তালেবানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ ২০ টি বছর এজন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।
আফগানিস্তানের প্রথম প্রদেশটি তালেবানের হস্তগত হয় চলতি মাসের ৩ আগস্ট। সেটি ছিলো আফগানিস্তানের নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারঞ্জ। এটি ইরান সীমান্তের কাছে অবস্থিত আফগানিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এর সূত্র ধরেই তালেবান যোদ্ধারা ঘাঁটি গড়তে থাকে আফগানিস্তানে।
এরপর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহ দখল করেন তারা। তারপর দখল করেন দেশটির জাওজাজান প্রদেশের রাজধানী শেবেরগান। এর মধ্যেই কয়েকটি প্রদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন তারা। এসব প্রদেশের রাজধানী দখলের পর সেখানের কারাগারে থাকা বন্দিদের মুক্ত করে দেন তারা।
এরপর গত ৯ আগস্ট মাত্র ৯০ ঘন্টার ব্যবধানে ছয়টি প্রদেশের রাজধানী দখলে নিলে তালেবানকে আর পিছু হটতে হয়নি। তারা এক এক করে আফগানিস্তানের প্রধান প্রধান প্রদেশের রাজধানী দখল করতে থাকে। এর মাঝে কান্দাহার, গজনি, হেরাত, কুন্দুজ, সার-ই-পল ও তাকহার প্রদেশের রাজধানী অন্যতম ছিলো। এর মাঝে দখল হয়ে গিয়েছে দেশের প্রায় ২৭ টি প্রদেশ। অবশেষে আজ ২৮ তম প্রদেশের রাজধানী হিসেবে কাবুল দখল করে তালেবান।
কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবান চতুর্দিক থেকে কাবুলে প্রবেশ করে নিযন্ত্রণে নেয় রাজধানীর। তবে এ সময় তাদের কোনো ধরনের সহিংসতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। এমনকি তালেবানের এক যোদ্ধা আল জাজিরাকে বলেছেন, জ্যেষ্ঠ নেতারা আমাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কাবুলে আমরা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি।
তালেবানের এই সদস্য আল-জাজিরাকে আরও জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা নেই। সরকারি ভবনগুলো তারা নিশানা করবে না। তবে কেউ যদি রাজধানী ছেড়ে যেতে চায়, তাহলে তাদের নিরাপদে যেতে দেওয়া হবে।
এদিকে, তালেবান যোদ্ধাদের কাবুলে প্রবেশ নিয়ে তালেবান একটি বিবৃতিতে দিয়েছে। এতে তাদের যোদ্ধাদের কাবুলের ফটক ক্রস না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে জোরপূর্বক কাবুল দখল না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া যাতে নিরাপদ এবং নিশ্চিতভাবে হয় তার জন্য আলোচনা চলমান রয়েছে। কাবুলে প্রাণহানি এবং সম্পদের ক্ষতি এড়াতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার তাদের খবরে বলেছে, টানটান উত্তেজনায় কেটেছে গত রাত। রোববার সকাল হতেই বিনাযুদ্ধে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়ে গেল আফগানিস্তানে। তালেবান নেতাদের সঙ্গে মাত্র ৪৫ মিনিট বৈঠকের পরেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি।
সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত
Comment