সিরিয়া সম্পর্কে শায়খ আরিফীর জ্বালাময়ী ভাষণ …
=========================
(শায়খ আরিফী, নাম মুহাম্মদ বিন আব্দুর
রাহমান আল-আরিফী , তিনি বংশের দিক দিয়ে হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদের বংশধর । ১৯৭০ সালে সৌদী আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন ।
তিনি একজন বিজ্ঞ আলেম , বাগ্মিময় বক্তা সুলেখক । এই বক্তব্যটি তিনি মুরসির শেষ সময়ে মিসরের আমর বিন আস রাযি. মসজিদে জুমআর পুর্বে দেন …দীর্ঘ বক্তব্যের চুম্বকাংশের অনুবাদ তুলে ধরা হল)
শাম হচ্ছে ওই পবিত্রভুমি , যার সম্পর্কে এই
উম্মতের সব আলেমগণ একমত , যে মক্কা-মদীনার পর যে ভুমির সবচেয়ে ফজীলত বর্ণিত হয়েছে সেটি শাম দেশ। শাম হচ্ছে ওই ভুমি যেখানে হাশরের মানুষকে একট্টা করা হবে। শাম হচ্ছে ওই দেশ যেখানে মুসলিম বনাম
কাফিরদের মধ্যখানে প্রলয়ংকারী "মালহামা"( শেষ যুগের ভয়াবহ যুদ্ধ ) অনুষ্ঠিত হবে !
নবীজী সা. বলেছেন , ভয়াবহ মালহামার সময় গুতা শহরে মুসলমানদের একটি ঘাটি হবে সেখানে একটি শহর আছে যার নাম দামেস্ক !!
হে শাম, তোমার জন্যে কতই কল্যাণ ! হে শাম,তোমার জন্যে কতই কল্যাণ !! হে শাম, তোমার জন্যে কতই কল্যাণ !!! এভাবে আমাদের নবী সা. বলেছেন , তখন সাহাবী রাযি. জিজ্ঞেস করলেন , কেনো ? তখন নবীজী সা. বলেন , শামের ভুমিতে রাহমানের ফেরেস্তারা ডানা মেলিয়ে আছেন !
শামকে জিজ্ঞেস করো, ইসলামের মহান বীর খালিদ বিন ওয়ালিদ রাযি. সম্পর্কে। হিমসের মাটিকে জিজ্ঞেস করো খালিদের বড়ত্ব সম্পর্কে। জিজ্ঞেস করো , খালিদকে যখন তিনি কবরে শায়িত অবস্থায় দেখছেন ,তার সন্তানদের উপর যে বর্বরতা চলছে , তা সম্পর্কে ?জিজ্ঞেস করো, তার কন্যাদের উপর যা ঘটছে তা সম্পর্কে ।দেখবে, তিনি কবরে ক্রোধান্বিত হয়ে কম্পন শুরু করেছেন ।
শামকে জিজ্ঞেস করো উবাদা বিন সামিত রাযি. সম্পর্কে ! যিনি সাহাবাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন ! শামকে জিজ্ঞেস করো ইসলামের মুআয বিন বিলাল রাযি. সম্পর্কে ! বরং শামকে জিজ্ঞেস করো তিন শতাধিক সাহাবী সম্পর্কে , যারা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন , অথবা বসতি গেড়েছেন , অথবা জিহাদের জন্যে গিয়েছেন । অথবা কখনো সেখানে দাফন হয়েছেন ।
হে লোক সকল ! যে সব শিশুরা আজ সিরিয়ায় জবাই হচ্ছে, তারা হচ্ছে এদের সন্তান , যেসব নারীরা সেখানে ধর্ষিতা হচ্ছে, তারা হচ্ছে খালিদের সন্তান , উবাদার সন্তান , তারা হচ্ছে এইসব সাহাবাদের সন্তানাদি ।আর যেসব যুবকরা সেখানে অস্ত্র হাতে নিয়েছে, তারা হচ্ছে এইসব বীরপুরুষদের সন্তানাদি ।এই হচ্ছে শামদেশ।
হে লোক সকল আমি দেখতে পাচ্ছি যে সানাআ (ইয়ামেনের) তুফান দামেস্কের দরজায় করাঘাত করছে । হে মুসলমানগণ , আমি আজ , বরং বিগত তিন বছর ধরে এমন দৃশ্য দেখছি , যা বলতে জিহ্বা অক্ষম ,চক্ষু যার দিকে দৃষ্টি স্থির রাখতে অপারগ !!
এক যুবতী, তাকে রাস্তার মধ্যখানে ফেলে রাখা হয়েছে , অতঃপর তার শরীর থেকে সব ধরনের কাপড় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে , অথচ সে হচ্ছে মুসলিম সচ্চরিত্রবান পর্দানিশীন। এরপর প্রায় একশ (কসাই) বাশারের কুলাঙ্গার তার সম্ভ্রম লুন্ঠনে ধেয়ে আসছে । মানুষ তখন আতঙ্কে দেয়ালের পিছনে লুকায়িত , কিন্তু যখুনি কোনো লোক আড়াল থেকে বের হয়ে এই যুবতীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। তাকে উঠিয়ে কিছুদুর নিয়ে যায় , তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এভাবে একের পর এক কয়েক যুবক এই যুবতীকে উদ্ধারে শহীদ হয়েছে !!!
আরেক ব্যক্তি , তাকে বলা হয়েছে , বল , বাশশার ছাড়া কোনো ইলাহ নেই ! কিন্তু সে এই ঘৃণিত ঈমানবিধ্বংসী কথা বলেনি,সে বলেছে , আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই ।অতএব তাকে জীবন্তাবস্থায় মাটিতে গর্ত খুড়ে দাফন দিয়েছে !!! সে জানে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাওলা নেই। আল্লাহই আমাদের মাওলা , তিনিই আমাদের রব !তিনিই এর বদলা নিবেন। এভাবে তারা (কসাই বাশশারের বাহিনী ) নির্যাতন চালাচ্ছে ।
তারা শিশুদেরকে এক ঘরে একত্রিত করে , তারপর তাদেরকে ছুরি দ্বারা জবাই করে ফেলে ! অথচ এই শিশুদের বয়েস এক থেকে তিন বছর ! নারীরা তাদের সন্তানদের সামনে সম্ভ্রমহারা হচ্ছে ! পুরুষদেরকে জবাই করা হচ্ছে তাদের
সন্তান এবং স্ত্রীদের সামনে ! এমন কোনো ভাষা আছে কি যা এসব দৃশ্যকে চিত্রায়িত করবে ?
তারপরেও তুমি কি গর্জে ওঠবে না , গর্জে ওঠো ,গর্জে ওঠো ...! এইসব শিশুদের দেখে তুমি গর্জে ওঠো , এইসব মজলুমদের পক্ষে গর্জে ওঠো , হিমসের নারীদের জন্যে গর্জে ওঠো! অসহায় ক্ষুধার্তদের জন্যে গর্জে ওঠো ,কেননা গর্জনকারীদের সামনে মাটি নত হয়। পৃথিবীকে গর্জনই বেচে রেখেছে ...
জেনে রাখো , যেসব ছুরি দ্বারা সিরিয়ার শিশুদেরকে জবাই করা হচ্ছে , ওইসব ছুরিরা পথে আছে আমাদের গর্দন কাটার জন্যে !
সফবীরা (শীয়া রাফেজিরা ) মনে করে , আমাদেরকে হত্যা করা , আমাদেরকে জবাই করা আমাদের শরীরকে টুকরা টুকরা করা পুণ্যের কাজ। এর দ্বারা সওয়াব অর্জন করবে !আমরা এমন এক নিষ্ঠুর শত্রুদের সামনে অবস্থিত ,যারা পরস্পরে আমাদেরকে হত্যা করার জন্যে সহযোগিতা করছে !
তোমাদের ভায়েরা তোমাদের কাছে আর্তনাদ করছে , মসজিদসমুহ বিলাপ করছে , যেসব মিনার আল্লাহর নাম উচ্চারণের জন্যে নির্ধারিত ছিলো , সেগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে ।
তারপর এতে এমন এক পতাকা টানানো হচ্ছে ,যাতে লেখা 'ইয়া হোসাইন'…!
এগুলো দেখে কে সহ্য করতে পারে ? এরপরও কি আমরা নীরব থাকবো ? গর্জে উঠবো না ?
হে বিত্তশালীরা , শামের সুপুরুষরা , খালিদ বিন ওয়ালিদের সন্তানেরা , তোমাদের কাছে সাহায্যের জন্যে চিতকার করছে ... আমি শপথ করে বলতে পারি ! আমি শপথ করে বলতে পারি !! আমি শপথ করে বলতে পারি !!!যদি সফবীরা (শীয়া রাফেজিরা) আজ সিরিয়া যুদ্ধে অর্জন করতে পারে , তাহলে অচিরেই তারা অন্য মুসলিম দেশসমুহে হাত বাড়াবে !
গতকাল ( জুলাই-২০১৩ মাসে) মিসরে একত্রিত হয়েছেন কয়েকশ আলেম এবং মুজাহিদ , তারা প্রায় পঞ্চাশটি দেশ থেকে সেখানে জড় হয়েছেন , তারা সিরিয়া নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন , তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন, যে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যে জিহাদ ওয়াজিব !!!
জিহাদ ছাড়া এই উম্মতের কোনো জীবন নাই ,জিহাদ ব্যতীত আমাদের কোনো জীবন নাই ,
আল্লাহর কসম ! জিহাদ ব্যতীত আমরা অপমানের শৃংখল চূর্ণ করে শান্তিতে রূপ দিতে পারবো না ,
যখুনি এই উম্মাহ জিহাদ ত্যাগ করেছে তখুনি লাঞ্ছনা তাদের উপর চেপে বসেছে এবং কাফির ও নিকৃষ্ট গোষ্ঠিরা আমাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে !!!!
বক্তব্য দেওয়ার পরের অবস্থা -
বক্তব্য শোনার পর নামাযের পর পরই মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরেই শ্লোগান দেওয়া শুরু করে, তাদের শ্লোগান ছিল - লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ -- বাশশার আদুউল্লাহ
(আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নাই , বাশার আল্লাহর শত্রু )
এরপর বাশার আল-আসাদ শায়খ আরিফীকে হত্যার হুমকি দেয় । ইরানের শীয়া মিডিয়া ও ধর্মযাজকরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ।কিছুদিন পর তিনি মিসরের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন । তখন সৌদী দালাল রাজপরিবার তাকে কারাগারে পাঠায় ।
কিছুদিন পর মিসরের রাজনৈতিক বিষয়ে কথা না বলার শর্তে মুক্তি দেয় ।
আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন ।
=========================
(শায়খ আরিফী, নাম মুহাম্মদ বিন আব্দুর
রাহমান আল-আরিফী , তিনি বংশের দিক দিয়ে হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদের বংশধর । ১৯৭০ সালে সৌদী আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন ।
তিনি একজন বিজ্ঞ আলেম , বাগ্মিময় বক্তা সুলেখক । এই বক্তব্যটি তিনি মুরসির শেষ সময়ে মিসরের আমর বিন আস রাযি. মসজিদে জুমআর পুর্বে দেন …দীর্ঘ বক্তব্যের চুম্বকাংশের অনুবাদ তুলে ধরা হল)
শাম হচ্ছে ওই পবিত্রভুমি , যার সম্পর্কে এই
উম্মতের সব আলেমগণ একমত , যে মক্কা-মদীনার পর যে ভুমির সবচেয়ে ফজীলত বর্ণিত হয়েছে সেটি শাম দেশ। শাম হচ্ছে ওই ভুমি যেখানে হাশরের মানুষকে একট্টা করা হবে। শাম হচ্ছে ওই দেশ যেখানে মুসলিম বনাম
কাফিরদের মধ্যখানে প্রলয়ংকারী "মালহামা"( শেষ যুগের ভয়াবহ যুদ্ধ ) অনুষ্ঠিত হবে !
নবীজী সা. বলেছেন , ভয়াবহ মালহামার সময় গুতা শহরে মুসলমানদের একটি ঘাটি হবে সেখানে একটি শহর আছে যার নাম দামেস্ক !!
হে শাম, তোমার জন্যে কতই কল্যাণ ! হে শাম,তোমার জন্যে কতই কল্যাণ !! হে শাম, তোমার জন্যে কতই কল্যাণ !!! এভাবে আমাদের নবী সা. বলেছেন , তখন সাহাবী রাযি. জিজ্ঞেস করলেন , কেনো ? তখন নবীজী সা. বলেন , শামের ভুমিতে রাহমানের ফেরেস্তারা ডানা মেলিয়ে আছেন !
শামকে জিজ্ঞেস করো, ইসলামের মহান বীর খালিদ বিন ওয়ালিদ রাযি. সম্পর্কে। হিমসের মাটিকে জিজ্ঞেস করো খালিদের বড়ত্ব সম্পর্কে। জিজ্ঞেস করো , খালিদকে যখন তিনি কবরে শায়িত অবস্থায় দেখছেন ,তার সন্তানদের উপর যে বর্বরতা চলছে , তা সম্পর্কে ?জিজ্ঞেস করো, তার কন্যাদের উপর যা ঘটছে তা সম্পর্কে ।দেখবে, তিনি কবরে ক্রোধান্বিত হয়ে কম্পন শুরু করেছেন ।
শামকে জিজ্ঞেস করো উবাদা বিন সামিত রাযি. সম্পর্কে ! যিনি সাহাবাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন ! শামকে জিজ্ঞেস করো ইসলামের মুআয বিন বিলাল রাযি. সম্পর্কে ! বরং শামকে জিজ্ঞেস করো তিন শতাধিক সাহাবী সম্পর্কে , যারা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন , অথবা বসতি গেড়েছেন , অথবা জিহাদের জন্যে গিয়েছেন । অথবা কখনো সেখানে দাফন হয়েছেন ।
হে লোক সকল ! যে সব শিশুরা আজ সিরিয়ায় জবাই হচ্ছে, তারা হচ্ছে এদের সন্তান , যেসব নারীরা সেখানে ধর্ষিতা হচ্ছে, তারা হচ্ছে খালিদের সন্তান , উবাদার সন্তান , তারা হচ্ছে এইসব সাহাবাদের সন্তানাদি ।আর যেসব যুবকরা সেখানে অস্ত্র হাতে নিয়েছে, তারা হচ্ছে এইসব বীরপুরুষদের সন্তানাদি ।এই হচ্ছে শামদেশ।
হে লোক সকল আমি দেখতে পাচ্ছি যে সানাআ (ইয়ামেনের) তুফান দামেস্কের দরজায় করাঘাত করছে । হে মুসলমানগণ , আমি আজ , বরং বিগত তিন বছর ধরে এমন দৃশ্য দেখছি , যা বলতে জিহ্বা অক্ষম ,চক্ষু যার দিকে দৃষ্টি স্থির রাখতে অপারগ !!
এক যুবতী, তাকে রাস্তার মধ্যখানে ফেলে রাখা হয়েছে , অতঃপর তার শরীর থেকে সব ধরনের কাপড় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে , অথচ সে হচ্ছে মুসলিম সচ্চরিত্রবান পর্দানিশীন। এরপর প্রায় একশ (কসাই) বাশারের কুলাঙ্গার তার সম্ভ্রম লুন্ঠনে ধেয়ে আসছে । মানুষ তখন আতঙ্কে দেয়ালের পিছনে লুকায়িত , কিন্তু যখুনি কোনো লোক আড়াল থেকে বের হয়ে এই যুবতীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। তাকে উঠিয়ে কিছুদুর নিয়ে যায় , তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এভাবে একের পর এক কয়েক যুবক এই যুবতীকে উদ্ধারে শহীদ হয়েছে !!!
আরেক ব্যক্তি , তাকে বলা হয়েছে , বল , বাশশার ছাড়া কোনো ইলাহ নেই ! কিন্তু সে এই ঘৃণিত ঈমানবিধ্বংসী কথা বলেনি,সে বলেছে , আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই ।অতএব তাকে জীবন্তাবস্থায় মাটিতে গর্ত খুড়ে দাফন দিয়েছে !!! সে জানে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাওলা নেই। আল্লাহই আমাদের মাওলা , তিনিই আমাদের রব !তিনিই এর বদলা নিবেন। এভাবে তারা (কসাই বাশশারের বাহিনী ) নির্যাতন চালাচ্ছে ।
তারা শিশুদেরকে এক ঘরে একত্রিত করে , তারপর তাদেরকে ছুরি দ্বারা জবাই করে ফেলে ! অথচ এই শিশুদের বয়েস এক থেকে তিন বছর ! নারীরা তাদের সন্তানদের সামনে সম্ভ্রমহারা হচ্ছে ! পুরুষদেরকে জবাই করা হচ্ছে তাদের
সন্তান এবং স্ত্রীদের সামনে ! এমন কোনো ভাষা আছে কি যা এসব দৃশ্যকে চিত্রায়িত করবে ?
তারপরেও তুমি কি গর্জে ওঠবে না , গর্জে ওঠো ,গর্জে ওঠো ...! এইসব শিশুদের দেখে তুমি গর্জে ওঠো , এইসব মজলুমদের পক্ষে গর্জে ওঠো , হিমসের নারীদের জন্যে গর্জে ওঠো! অসহায় ক্ষুধার্তদের জন্যে গর্জে ওঠো ,কেননা গর্জনকারীদের সামনে মাটি নত হয়। পৃথিবীকে গর্জনই বেচে রেখেছে ...
জেনে রাখো , যেসব ছুরি দ্বারা সিরিয়ার শিশুদেরকে জবাই করা হচ্ছে , ওইসব ছুরিরা পথে আছে আমাদের গর্দন কাটার জন্যে !
সফবীরা (শীয়া রাফেজিরা ) মনে করে , আমাদেরকে হত্যা করা , আমাদেরকে জবাই করা আমাদের শরীরকে টুকরা টুকরা করা পুণ্যের কাজ। এর দ্বারা সওয়াব অর্জন করবে !আমরা এমন এক নিষ্ঠুর শত্রুদের সামনে অবস্থিত ,যারা পরস্পরে আমাদেরকে হত্যা করার জন্যে সহযোগিতা করছে !
তোমাদের ভায়েরা তোমাদের কাছে আর্তনাদ করছে , মসজিদসমুহ বিলাপ করছে , যেসব মিনার আল্লাহর নাম উচ্চারণের জন্যে নির্ধারিত ছিলো , সেগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে ।
তারপর এতে এমন এক পতাকা টানানো হচ্ছে ,যাতে লেখা 'ইয়া হোসাইন'…!
এগুলো দেখে কে সহ্য করতে পারে ? এরপরও কি আমরা নীরব থাকবো ? গর্জে উঠবো না ?
হে বিত্তশালীরা , শামের সুপুরুষরা , খালিদ বিন ওয়ালিদের সন্তানেরা , তোমাদের কাছে সাহায্যের জন্যে চিতকার করছে ... আমি শপথ করে বলতে পারি ! আমি শপথ করে বলতে পারি !! আমি শপথ করে বলতে পারি !!!যদি সফবীরা (শীয়া রাফেজিরা) আজ সিরিয়া যুদ্ধে অর্জন করতে পারে , তাহলে অচিরেই তারা অন্য মুসলিম দেশসমুহে হাত বাড়াবে !
গতকাল ( জুলাই-২০১৩ মাসে) মিসরে একত্রিত হয়েছেন কয়েকশ আলেম এবং মুজাহিদ , তারা প্রায় পঞ্চাশটি দেশ থেকে সেখানে জড় হয়েছেন , তারা সিরিয়া নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন , তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন, যে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যে জিহাদ ওয়াজিব !!!
জিহাদ ছাড়া এই উম্মতের কোনো জীবন নাই ,জিহাদ ব্যতীত আমাদের কোনো জীবন নাই ,
আল্লাহর কসম ! জিহাদ ব্যতীত আমরা অপমানের শৃংখল চূর্ণ করে শান্তিতে রূপ দিতে পারবো না ,
যখুনি এই উম্মাহ জিহাদ ত্যাগ করেছে তখুনি লাঞ্ছনা তাদের উপর চেপে বসেছে এবং কাফির ও নিকৃষ্ট গোষ্ঠিরা আমাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে !!!!
বক্তব্য দেওয়ার পরের অবস্থা -
বক্তব্য শোনার পর নামাযের পর পরই মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরেই শ্লোগান দেওয়া শুরু করে, তাদের শ্লোগান ছিল - লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ -- বাশশার আদুউল্লাহ
(আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নাই , বাশার আল্লাহর শত্রু )
এরপর বাশার আল-আসাদ শায়খ আরিফীকে হত্যার হুমকি দেয় । ইরানের শীয়া মিডিয়া ও ধর্মযাজকরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ।কিছুদিন পর তিনি মিসরের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন । তখন সৌদী দালাল রাজপরিবার তাকে কারাগারে পাঠায় ।
কিছুদিন পর মিসরের রাজনৈতিক বিষয়ে কথা না বলার শর্তে মুক্তি দেয় ।
আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন ।
Comment