সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ-র সময়ের উলামায়ে ছু' ও আজকের দরবারী আলেমরা
সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহঃ যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষের সীমান্ত এলাকায় মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে হিজরত করেন। তখন সীমান্ত এলাকার সর্বস্তরের জনতা মুজাহিদ বাহিনীকে স্বাগত জানায়। তারা বিনা দ্বিধায় সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহ-কে আমীরুল মুমিনীন হিসেবে নেয়। সবাই সানন্দে তাঁর হাতে বাইয়াহ দেয়। এতে করে সাইয়্যিদ সাহেবের মুজাহিদদের সংখ্যা লক্ষাধিক অতিক্রম করে। সীমান্ত এলাকায় তখন পায়েন্দা খানের তিনপুত্র সুলতান মুহাম্মদ খান ও তার ত্রাতৃদ্বয়ের শাসন চলছিল। তারা সবাই প্রথমে সায়্যিদ সাহেবকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়। এই ঐক্যের ফলেই মুজাহিদ বাহিনী শায়দূর-পাঞ্জেতারের যুদ্ধে শিখদেরকে চরম শিক্ষা দেন। কিন্তু কিছুদিন পরই সুলতান মুহাম্মদ খান ও তার ভ্রাতৃদ্বয় গাদ্দারী করে। তারাই প্রথমে মুজাহিদদের যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে মুহাম্মদ খানের ভায়েরা নিহত হয়। অবশেষে মুহাম্মদ খানের সাথে মায়ারে চূড়ান্ত যুদ্ধ হয়। এতে সে পরাজিত হয়। এবার সাইয়্যিদ সাহেবের আনুগত্য স্বীকার করে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে সাইয়্যিদ সাহেব যখন তার আগ্রহে রাজী হন তখন হাজারি খান ময়দানে সাক্ষাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তখন সাইয়িদ সাহেব সুলতান মুহাম্মদ খানের বাইয়াত করা, জিহাদ ও সাহচর্যের অঙ্গীকার ও চুক্তি, অতঃপর বারবার তা ভঙ্গ করা, অধিকন্তু উলটো আক্রমণ ও কাফিরদের সঙ্গে মিলিত হবার সকল বিষয় ও অবস্থা বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, এখনও পর্যন্ত জানতে পারলাম না তোমাদের ভাই-এর এবং তোমার বিদ্রোহের কারণটা কী?
সুলতান মুহাম্মদ খান অত্যন্ত ওজরখাহী করতে শুরু করে এবং নিজের ভুল-ভ্রান্তির কথা স্বীকার করে বলে, আমাদের অবাধ্যতা ও বিদ্রোহের কারণ, এই বলে সে জড়ানো মোচড়ানো একটি কাগজ নিজের চিঠির লেফাফা থেকে বের করে সাইয়্যিদ সাহেবের সামনে রেখে দেয়। তিনি তা খুলে একটি বড় আকারের শরী’য়তের হুকুমনামা দেখতে পান। তার উপর ভারতবর্ষের বহু উলামা ও পীরযাদাদের সীল মোহরাংকিত দস্তখত ছিল। চিঠির সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু ছিল এই যে,
‘তোমাদের খান ও সর্দারমণ্ডলীকে লিখিতভাবে জানানো যাচ্ছে যে, সায়্যিদ আহমদ নামক এক ব্যক্তি ভারতবর্ষের কতিপয় আলিমকে নিজের মতাবলম্বী করে বেশ কিছু লোকজনসহ তোমাদের দেশে গেছে। সে বাহ্যত জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ’র দাবী করে থাকে, অথচ এটা তার স্পষ্টতই ধোকা ও প্রতারণা। সে আমাদের এবং তোমাদের দীন ও মাযহাবের বিরোধী। তারা একটি নতুন দীন ও মাযহাবের উদ্ভব ঘটিয়েছে। সে কোন ওলী ও বুযুর্গকে মানে না। সবাইকে খারাপ ও মন্দ বলে। ইংরেজরা তাঁকে তোমাদের দেশের হাল-হকীকত জানার জন্যে পাঠিয়েছে। তোমরা কোনক্রমেই তার ওয়ায-নসীহতের জালে আটকা পড়বে না। আশ্চর্য নয়, একদিন সে তোমাদের দেশই হয়তো ছিনিয়ে নিতে চাইবে। যেভাবেই তোমাদের পক্ষে সম্ভব হোক তোমরা তাঁকে ধ্বংস করে দাও আর নিজেদের দেশে স্থান দিবে না। এ ব্যাপারে যদি অলসতা ও গাফলতির আশ্রয় নাও তবে ভবিষ্যতে পস্তাবে’। (ঈমান যখন জাগলো/সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদবি/ আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত/ পৃঃ ১৮৫-১৮৬)
উলামায়ে ছু’দের হীন চক্রান্ত-প্রোপাগান্ডা এবং বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল যে, প্রায় সমস্ত সীমান্তবাসীদের মন পালটে যায়। তারা ধীরে ধীরে সাইয়্যিদ সাহেবের সঙ্গ ছেড়ে গাদ্দারী করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা শরীয়তের ঝান্ডাবাহী মুজাহিদদের পাইকারীভাবে হত্যা করে। এ গণহত্যা কী পরিমাণ বিভীষিকাময় ও নির্মম ছিল তা জানতে উক্ত গ্রন্থ পড়ে দেখতে পারেন। যদি একবার পড়ে ফেলেন তাহলে চোখের পানি কোনোভাবে আটকে রাখতে পারবেন না। অবশেষে সাইয়্যিদ সাহেব সীমান্তবাসীর গাদ্দারীর কারণে কাশ্মীর অভিমূখে রওয়ান হন। সেখানেই তিনি তিনশতের বেশী মুজাহিদ যাদেরকে নিজ নিজ এলাকার সার-নির্যাস ও মগজসাদৃশ্য বলা যেতে পারে তাদেরকে সাথে নিয়ে শাহাদত লাভে ধন্য হন। এ যুদ্ধে মুজাহিদদের সংখ্যা ছিল মাত্র সাতশ’। এক সময় যাদের সংখ্যা লক্ষাধিক ছিল একমাত্র উলামায়ে ছু’ ও সীমান্তের গাদ্দারদের কারণেই তাদের সংখ্যা সাতশতে এসে টেকে। এভাবে অস্তিমিত হয় উম্মাহের এক সম্ভাবনাময় সূর্যের।
এবার যদি আপনি সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহ’র আমলের উলামায়ে ছু’ ও বর্তমান সময়ের দরবারী আলেমদের সাথে তুলনা করেন তাহলে অনেক কিছুর মিল খুঁজে পাবেন। তখন যেভাবে উলামায়ে ছু’রা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল বর্তমানে তাদের উত্তরসূরীরা ঠিক তাই করছে। তখন যেভাবে এদের পুর্বসূরীরা জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফতোয়া সংগ্রহ করেছিল বর্তমানেও তারা তাই করছে। তখন যেভাবে তারা নিজেরা ইংরেজদের স্বার্থ রক্ষা করার পরও মুজাহিদদেরকে ইংরেজদের দোসর বলেছিল বর্তমানে দরবারী মোল্লারা তাদের পুর্বসূরীদের অনুসররণ করে ঠিক একই কাজ করছে।
সুতরাং এসব শাহবাগি-আমেরিকান আলেমদেরকে বর্জন করুন।
সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহঃ যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষের সীমান্ত এলাকায় মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে হিজরত করেন। তখন সীমান্ত এলাকার সর্বস্তরের জনতা মুজাহিদ বাহিনীকে স্বাগত জানায়। তারা বিনা দ্বিধায় সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহ-কে আমীরুল মুমিনীন হিসেবে নেয়। সবাই সানন্দে তাঁর হাতে বাইয়াহ দেয়। এতে করে সাইয়্যিদ সাহেবের মুজাহিদদের সংখ্যা লক্ষাধিক অতিক্রম করে। সীমান্ত এলাকায় তখন পায়েন্দা খানের তিনপুত্র সুলতান মুহাম্মদ খান ও তার ত্রাতৃদ্বয়ের শাসন চলছিল। তারা সবাই প্রথমে সায়্যিদ সাহেবকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়। এই ঐক্যের ফলেই মুজাহিদ বাহিনী শায়দূর-পাঞ্জেতারের যুদ্ধে শিখদেরকে চরম শিক্ষা দেন। কিন্তু কিছুদিন পরই সুলতান মুহাম্মদ খান ও তার ভ্রাতৃদ্বয় গাদ্দারী করে। তারাই প্রথমে মুজাহিদদের যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে মুহাম্মদ খানের ভায়েরা নিহত হয়। অবশেষে মুহাম্মদ খানের সাথে মায়ারে চূড়ান্ত যুদ্ধ হয়। এতে সে পরাজিত হয়। এবার সাইয়্যিদ সাহেবের আনুগত্য স্বীকার করে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে সাইয়্যিদ সাহেব যখন তার আগ্রহে রাজী হন তখন হাজারি খান ময়দানে সাক্ষাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তখন সাইয়িদ সাহেব সুলতান মুহাম্মদ খানের বাইয়াত করা, জিহাদ ও সাহচর্যের অঙ্গীকার ও চুক্তি, অতঃপর বারবার তা ভঙ্গ করা, অধিকন্তু উলটো আক্রমণ ও কাফিরদের সঙ্গে মিলিত হবার সকল বিষয় ও অবস্থা বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, এখনও পর্যন্ত জানতে পারলাম না তোমাদের ভাই-এর এবং তোমার বিদ্রোহের কারণটা কী?
সুলতান মুহাম্মদ খান অত্যন্ত ওজরখাহী করতে শুরু করে এবং নিজের ভুল-ভ্রান্তির কথা স্বীকার করে বলে, আমাদের অবাধ্যতা ও বিদ্রোহের কারণ, এই বলে সে জড়ানো মোচড়ানো একটি কাগজ নিজের চিঠির লেফাফা থেকে বের করে সাইয়্যিদ সাহেবের সামনে রেখে দেয়। তিনি তা খুলে একটি বড় আকারের শরী’য়তের হুকুমনামা দেখতে পান। তার উপর ভারতবর্ষের বহু উলামা ও পীরযাদাদের সীল মোহরাংকিত দস্তখত ছিল। চিঠির সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু ছিল এই যে,
‘তোমাদের খান ও সর্দারমণ্ডলীকে লিখিতভাবে জানানো যাচ্ছে যে, সায়্যিদ আহমদ নামক এক ব্যক্তি ভারতবর্ষের কতিপয় আলিমকে নিজের মতাবলম্বী করে বেশ কিছু লোকজনসহ তোমাদের দেশে গেছে। সে বাহ্যত জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ’র দাবী করে থাকে, অথচ এটা তার স্পষ্টতই ধোকা ও প্রতারণা। সে আমাদের এবং তোমাদের দীন ও মাযহাবের বিরোধী। তারা একটি নতুন দীন ও মাযহাবের উদ্ভব ঘটিয়েছে। সে কোন ওলী ও বুযুর্গকে মানে না। সবাইকে খারাপ ও মন্দ বলে। ইংরেজরা তাঁকে তোমাদের দেশের হাল-হকীকত জানার জন্যে পাঠিয়েছে। তোমরা কোনক্রমেই তার ওয়ায-নসীহতের জালে আটকা পড়বে না। আশ্চর্য নয়, একদিন সে তোমাদের দেশই হয়তো ছিনিয়ে নিতে চাইবে। যেভাবেই তোমাদের পক্ষে সম্ভব হোক তোমরা তাঁকে ধ্বংস করে দাও আর নিজেদের দেশে স্থান দিবে না। এ ব্যাপারে যদি অলসতা ও গাফলতির আশ্রয় নাও তবে ভবিষ্যতে পস্তাবে’। (ঈমান যখন জাগলো/সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদবি/ আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত/ পৃঃ ১৮৫-১৮৬)
উলামায়ে ছু’দের হীন চক্রান্ত-প্রোপাগান্ডা এবং বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি এত ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল যে, প্রায় সমস্ত সীমান্তবাসীদের মন পালটে যায়। তারা ধীরে ধীরে সাইয়্যিদ সাহেবের সঙ্গ ছেড়ে গাদ্দারী করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা শরীয়তের ঝান্ডাবাহী মুজাহিদদের পাইকারীভাবে হত্যা করে। এ গণহত্যা কী পরিমাণ বিভীষিকাময় ও নির্মম ছিল তা জানতে উক্ত গ্রন্থ পড়ে দেখতে পারেন। যদি একবার পড়ে ফেলেন তাহলে চোখের পানি কোনোভাবে আটকে রাখতে পারবেন না। অবশেষে সাইয়্যিদ সাহেব সীমান্তবাসীর গাদ্দারীর কারণে কাশ্মীর অভিমূখে রওয়ান হন। সেখানেই তিনি তিনশতের বেশী মুজাহিদ যাদেরকে নিজ নিজ এলাকার সার-নির্যাস ও মগজসাদৃশ্য বলা যেতে পারে তাদেরকে সাথে নিয়ে শাহাদত লাভে ধন্য হন। এ যুদ্ধে মুজাহিদদের সংখ্যা ছিল মাত্র সাতশ’। এক সময় যাদের সংখ্যা লক্ষাধিক ছিল একমাত্র উলামায়ে ছু’ ও সীমান্তের গাদ্দারদের কারণেই তাদের সংখ্যা সাতশতে এসে টেকে। এভাবে অস্তিমিত হয় উম্মাহের এক সম্ভাবনাময় সূর্যের।
এবার যদি আপনি সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহ’র আমলের উলামায়ে ছু’ ও বর্তমান সময়ের দরবারী আলেমদের সাথে তুলনা করেন তাহলে অনেক কিছুর মিল খুঁজে পাবেন। তখন যেভাবে উলামায়ে ছু’রা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল বর্তমানে তাদের উত্তরসূরীরা ঠিক তাই করছে। তখন যেভাবে এদের পুর্বসূরীরা জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফতোয়া সংগ্রহ করেছিল বর্তমানেও তারা তাই করছে। তখন যেভাবে তারা নিজেরা ইংরেজদের স্বার্থ রক্ষা করার পরও মুজাহিদদেরকে ইংরেজদের দোসর বলেছিল বর্তমানে দরবারী মোল্লারা তাদের পুর্বসূরীদের অনুসররণ করে ঠিক একই কাজ করছে।
সুতরাং এসব শাহবাগি-আমেরিকান আলেমদেরকে বর্জন করুন।
Comment